মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৯৬৪

পরিচ্ছেদঃ ১৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতের পর যিকর-আযকার
৯৬৪। হযরত সা'দ ইবনে আবু ওয়াক্কাছ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত রয়েছে। তিনি তাঁর সন্তানদেরকে এই কথাগুলো শিক্ষা দিতেন এবং বলতেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামাযের পর এই কথাগুলো দ্বারা আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাইতেন। যথাঃ হে আল্লাহ্! আমি আপনার নিকট কাপুরুষতা হতে আশ্রয় চাচ্ছি। আমি আপনার নিকট কৃপণতা হতে আশ্রয় চাচ্ছি। আমি আপনার নিকট অক্ষম-অকর্মণ্য বয়স হতে আশ্রয় চাইতেছি এবং আপনার নিকট দুনিয়ার ফেতনা ফাসাদের ঝামেলা হতে আশ্রয় চাচ্ছি।-বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৯৬৫

পরিচ্ছেদঃ ১৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতের পর যিকর-আযকার
৯৬৫। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদা নিঃস্ব মুহাজিরগণ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ) ! সম্পদশালীরাই বেশী বেশী সওয়াব এবং স্থায়ী নিয়ামতসমূহের অধিকারী হল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এ কি কথা বললে? তাঁরা বললেন, সম্পদশালী লোকগণও নামায পড়ে। যেমন আমরাও পড়ি। আমাদের রোযার ন্যায় তারাও রোযা রাখে কিন্তু তারা দান খয়রাত করে আর আমরা তা করতে পারি না। তারা দাস-দাসী মুক্ত করে কিন্তু আমরা তা করতে পারি না। তাদের কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি কি তোমাদেরকে এরূপ একটি বিষয় শিখিয়ে দিব না, যার মাধ্যমে তোমরা তোমাদের চেয়ে অগ্রবর্তীদের মর্যাদা লাভ করতে পারবে? আর তোমাদের তুলনায় কেউ শ্রেষ্ঠ হতে পারবে না? অবশ্য তোমাদের মত যদি তারাও তা করে সেকথা স্বতন্ত্র। তারা বললেন, হ্যাঁ। আমাদেরকে শিখিয়ে দিন ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমরা প্রত্যেক নামাযের পর তেত্রিশবার করে সুবহানাল্লাহ, আল্লাহু আকবার এবং আলহামদু লিল্লাহ পাঠ করবে।
বর্ণনাকারী আবু ছালেহ বলেন, অতঃপর আবার নিঃস্ব মুহাজিরগণ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর দরবারে এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ) ! (আপনি আমাদেরকে যে কথা শিখিয়ে দিয়েছেন) তা আমাদের ভাইগণও শুনে তদ্রূপ আমল করছে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এটা হল আল্লাহর দান। (এতে কারো কিছু করবার নেই।) —বুখারী, মুসলিম
কিন্তু আবু ছালেহ হতে পরবর্তী কথাগুলো শুধু মুসলিমই রেওয়ায়াত করেছেন, আর বুখারীর অপর বর্ণনায় তেত্রিশবারের স্থলে দশবার সুবহানাল্লাহ, দশবার আলহামদুলিল্লাহ এবং দশবার আল্লাহু আকবার বলার কথা রয়েছে।
বর্ণনাকারী আবু ছালেহ বলেন, অতঃপর আবার নিঃস্ব মুহাজিরগণ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর দরবারে এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ) ! (আপনি আমাদেরকে যে কথা শিখিয়ে দিয়েছেন) তা আমাদের ভাইগণও শুনে তদ্রূপ আমল করছে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এটা হল আল্লাহর দান। (এতে কারো কিছু করবার নেই।) —বুখারী, মুসলিম
কিন্তু আবু ছালেহ হতে পরবর্তী কথাগুলো শুধু মুসলিমই রেওয়ায়াত করেছেন, আর বুখারীর অপর বর্ণনায় তেত্রিশবারের স্থলে দশবার সুবহানাল্লাহ, দশবার আলহামদুলিল্লাহ এবং দশবার আল্লাহু আকবার বলার কথা রয়েছে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৯৬৬

পরিচ্ছেদঃ ১৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতের পর যিকর-আযকার
৯৬৬। হযরত কা'ব ইবনে উজরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, প্রত্যেক ফরজ নামাযের পর পাঠ করবার কয়েকটি বাক্য রয়েছে। যারা তা আমল করবে বা পাঠ করবে তারা কখনও ব্যর্থ হবে না। তা হল তেত্রিশবার সুবহানাল্লাহ, তেত্রিশবার আলহামদু লিল্লাহ এবং চৌত্রিশবার আল্লাহু আকবার। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৯৬৭

পরিচ্ছেদঃ ১৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতের পর যিকর-আযকার
৯৬৭। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক নামাযের পর তেত্রিশবার করে সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ এবং আল্লাহু আকবার বলে, তাতে মোট হয় নিরানব্বইবার। তারপর একশতবার পূর্ণ করবার জন্য বলে, আল্লাহ্ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, তিনি একক। তাঁর কোন অংশীদার নেই। রাজত্ব তাঁরই। প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি সর্বশক্তিমান। তার যাবতীয় গুনাহ সমুদ্রের ফেনাসদৃশ অফুরন্ত হলেও মাফ করা হবে। -মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৯৬৮

পরিচ্ছেদঃ ১৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের পর যিকর-আযকার
৯৬৮। হযরত আবু উমামাহ বাহেলী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট আরজ করা হল, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! কোন দোয়াটি নিশ্চিত কবুল হয়? তিনি বললেন, যে দোয়া শেষ রাত্রে এবং ফরজ নামাযের পর পাঠ করা হয়। -তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৯৬৯

পরিচ্ছেদঃ ১৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের পর যিকর-আযকার
৯৬৯। হযরত ওকবাহ ইবনে আমের (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে প্রত্যেক নামাযের পর সূরা ফালাক এবং সূরা নাস পাঠ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। -আহমদ, আবু দাউদ, নাসায়ী, বায়হাকী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান