মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৮২১

পরিচ্ছেদঃ ১১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - তাকবীরে তাহরীমার পর যা পড়তে হয়
৮২১। মুহাম্মাদ ইবনে মাসলামাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নফল নামায পড়তে দাঁড়িয়ে বলতেন, আল্লাহু আকবার, আমি আমার মুখ তাঁরই দিকে ফেরালাম, যিনি আসমানসমূহ এবং যমিনকে সৃষ্টি করেছেন এবং আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই।
নাসায়ী বলেন, অবশিষ্টাংশ তিনি জাবেরের হাদীসের অনুরূপই রেওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি ওয়া আনা আউয়্যালুল মুসলিমীন বাক্যের স্থলে ওয়া আনা মিনাল মুসলিমীন বাক্য বলেছেন। তারপর তিনি বললেন, হে আল্লাহ্! তুমি রাজাধিরাজ! তুমি ছাড়া কোন উপাস্য নেই। আমি তোমার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। তোমার প্রশংসাসহকারে। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কিরাত শুরু করতেন। -নাসায়ী
নাসায়ী বলেন, অবশিষ্টাংশ তিনি জাবেরের হাদীসের অনুরূপই রেওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি ওয়া আনা আউয়্যালুল মুসলিমীন বাক্যের স্থলে ওয়া আনা মিনাল মুসলিমীন বাক্য বলেছেন। তারপর তিনি বললেন, হে আল্লাহ্! তুমি রাজাধিরাজ! তুমি ছাড়া কোন উপাস্য নেই। আমি তোমার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। তোমার প্রশংসাসহকারে। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কিরাত শুরু করতেন। -নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৮২২

পরিচ্ছেদঃ ১২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮২২। হযরত উবাদাহ ইবনে ছামেত (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে সূরা ফাতিহা* পাঠ করে না, তার নামায হয় না।—বুখারী, মুসলিম
মুসলিমের বর্ণনান্তরে রয়েছে, যে উম্মুল কুরআন এবং তা ছাড়া আরও কিছু বেশী পাঠ করে না তার নামায় হয় না।
* নামাযে সূরা ফাতিহা পড়া ফরজ না ওয়াজিব এ সম্পর্কে ইমামগণের ভিন্ন মতামত রয়েছে- (১) ইমাম আহমদ ও শাফী (রহ) এর প্রসিদ্ধ মতে নামাযে সূরায়ে ফাতিহা পড়া ফরজ। তাঁরা আলোচ্য হাদীসকে দলীল হিসেবে গ্রহণ করেন। (২) ইমাম আবু হানিফা (রহ)-এর মতে নামাযে সূরা ফাতিহা পড়া ওয়াজিব। তাঁদের দলীল কুরআনের আয়াত فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنَ الْقُرْآَنِ উক্ত আয়াতে কোন সূরাকে নির্দিষ্ট না করে শুধু কুরআন তেলাওয়াতের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া রাসূল (সা.) জনৈক বেদুইনকে শিক্ষা দেয়ার সময় বলেছিলেন, কুরআন শরীফের যেখান থেকেই তুমি পাঠ করা সহজ মনে কর, সেখান থেকেই পাঠ কর। এজন্য হানাফীগণ বিশেষ কোন সূরাকে নির্দিষ্ট না করে “কেরাত" পাঠকে ফরজ বলেছেন এবং সূরা ফাতিহা পাঠকে ওয়াজিব বলেছেন। এতে কুরআন ও হাদীসের মধ্যে কোন বৈপরীত্য থাকে না। (আশি 'আহল লুমআত)
মুসলিমের বর্ণনান্তরে রয়েছে, যে উম্মুল কুরআন এবং তা ছাড়া আরও কিছু বেশী পাঠ করে না তার নামায় হয় না।
* নামাযে সূরা ফাতিহা পড়া ফরজ না ওয়াজিব এ সম্পর্কে ইমামগণের ভিন্ন মতামত রয়েছে- (১) ইমাম আহমদ ও শাফী (রহ) এর প্রসিদ্ধ মতে নামাযে সূরায়ে ফাতিহা পড়া ফরজ। তাঁরা আলোচ্য হাদীসকে দলীল হিসেবে গ্রহণ করেন। (২) ইমাম আবু হানিফা (রহ)-এর মতে নামাযে সূরা ফাতিহা পড়া ওয়াজিব। তাঁদের দলীল কুরআনের আয়াত فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنَ الْقُرْآَنِ উক্ত আয়াতে কোন সূরাকে নির্দিষ্ট না করে শুধু কুরআন তেলাওয়াতের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া রাসূল (সা.) জনৈক বেদুইনকে শিক্ষা দেয়ার সময় বলেছিলেন, কুরআন শরীফের যেখান থেকেই তুমি পাঠ করা সহজ মনে কর, সেখান থেকেই পাঠ কর। এজন্য হানাফীগণ বিশেষ কোন সূরাকে নির্দিষ্ট না করে “কেরাত" পাঠকে ফরজ বলেছেন এবং সূরা ফাতিহা পাঠকে ওয়াজিব বলেছেন। এতে কুরআন ও হাদীসের মধ্যে কোন বৈপরীত্য থাকে না। (আশি 'আহল লুমআত)

তাহকীক:
তাহকীক চলমান