মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১১ টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ৬৬৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আযানের ফযীলত ও মুয়াযযিনের উত্তর দান
৬৬৩। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বরণ্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, ইমাম নামাযের জামিনস্বরূপ। আর মুয়াযযিন হল আমানতদার। হে আল্লাহ্! আপনি ইমামদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন এবং মুয়াযযিনদেরকে মাফ করুন। -আহমদ, আবু দাউদ, তিরমিযী, শাফেয়ী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬৬৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আযানের ফযীলত ও মুয়াযযিনের উত্তর দান
৬৬৪। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি সওয়াবের নিয়তে সাত বছর আযান দিবে তার জন্য দোযখের আগুন হতে মুক্তি লাভ সুনিশ্চিত। -তিরমিযী, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬৬৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আযানের ফযীলত ও মুয়াযযিনের উত্তর দান
৬৬৫। হযরত ওকবাহ ইবনে আমের (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তোমার প্রভু সন্তুষ্ট হন সেই বকরীর রাখালের প্রতি যে একাকী পর্বত চূড়ায় দাঁড়িয়ে নামাযের আযান দেয় এবং নামায পড়ে। তখন আল্লাহ্ পাক ফিরিশতাদেরকে বলেন, তোমরা আমার এই বান্দাকে দেখ সে আযান দিচ্ছে এবং নামায পড়ছে। আর আমাকে ভয় করছে। আমি আমার এই বান্দাকে মাফ করে দিলাম এবং বেহেশতে প্রবেশের যোগ্য করে দিলাম। —আবু দাউদ, নাসায়ী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬৬৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আযানের ফযীলত ও মুয়াযযিনের উত্তর দান
৬৬৬। হযরত ইবনে ওমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তিন ব্যক্তি কিয়ামত দিবসে মেশকের স্তূপের উপর অবস্থান করবে। (১) যে ক্রীতদাস আল্লাহ্ পাকের এবং তার মনিবের হক দাবী যথাযথভাবে আদায় করে। (২) যে ব্যক্তি কোন জনসমষ্টির নামাযে ইমামতি করে এবং তারা তার উপর খুশী থাকে এবং (৩) যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের জন্য দিনে এবং রাতে আযান দেয়। -তিরমিযী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬৬৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আযানের ফযীলত ও মুয়াযযিনের উত্তর দান
৬৬৭। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, মুয়াযযিনকে মাফ করে দেয়া হবে তার আযানের আওয়াজের শেষ সীমা পর্যন্ত (ব্যাপকভাবে) এবং তার জন্য প্রত্যেক সজীব ও নির্জীব ব্যক্তি ও বস্তু সাক্ষ্য দিবে। আর যে নামাযে উপস্থিত হবে তার জন্য (জামাতের নামাযে) পঁচিশ নামাযের সওয়াব লেখা হবে এবং তার দু’ নামাযের মধ্যকার ছগীরাহ গুনাহসমূহ মাফ করা হবে। —আহমদ, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬৬৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আযানের ফযীলত ও মুয়াযযিনের উত্তর দান
৬৬৮। হযরত ওছমান ইবনে আবুল আছ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! আমাকে আমার সম্প্রদায়ের ইমাম নিযুক্ত করুন। তিনি বললেন, আচ্ছা তোমাকে তাদের ইমাম করলাম। তবে ইমামতির ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে সর্বাধিক দুর্বল ব্যক্তির প্রতি লক্ষ্য রাখবে এবং একজন মুয়াযযিন বানিয়ে নিবে। যে আযানের বদলে মজুরী গ্রহণ করবে না। -আহমদ, আবু দাউদ, নাসায়ী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬৬৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আযানের ফযীলত ও মুয়াযযিনের উত্তর দান
৬৬৯। হযরত উম্মে সালামা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে শিক্ষা দিয়েছেন যেন আমি মাগরিবের আযানের সময় পাঠ করি, “আল্লাহুম্মা হাযা ইকবালু লায়লিকা ওয়া ইদবারু নাহারিকা ওয়া আছওয়াতু দুআয়িকা ফাগফিরলী” অর্থাৎ হে আল্লাহ্! এটা আপনার রাত্রের আগমন, আপনার দিনের প্রত্যাগমন এবং আপনার মুয়াযযিনদের আযানের সময়। আমাকে ক্ষমা করুন। —আবু দাউদ, বায়হাকী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬৭০
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আযানের ফযীলত ও মুয়াযযিনের উত্তর দান
৬৭০। হযরত আবু উমামাহ অথবা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর অপর এক সাহাবী বলেছেন, একদা হযরত বেলাল (রাযিঃ) একামত বলতে শুরু করলেন, যখন তিনি ক্বাদ ক্বামাতিছ ছালাহ বললেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আকামাহাল্লাহু ওয়া আদামাহা” অর্থাৎ আল্লাহ্ নামাযকে সুপ্রতিষ্ঠিত করুন এবং তাকে স্থায়ী করুন। আর বাকী সমস্ত একামতে হযরত ওমর (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসে আযানের জবাবে যেরূপ উল্লেখ রয়েছে সেরূপই বললেন। -আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬৭১
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আযানের ফযীলত ও মুয়াযযিনের উত্তর দান
৬৭১। হযরত আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আযান এবং একামতের মধ্যকার দোয়া কখনও আল্লাহর দরবার হতে প্রত্যাখ্যান করা হয় না। -আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬৭২
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আযানের ফযীলত ও মুয়াযযিনের উত্তর দান
৬৭২। হযরত সহল ইবনে সা'দ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, দু'টো সময়ের দোয়া কখনও ফিরিয়ে দেয়া হয় না। অথবা খুব কমই ফিরিয়ে দেয়া হয়, আযানের সময়ের দোয়া এবং যুদ্ধের সময়ের দোয়া যখন পরস্পরে কাটাকাটি শুরু হয়ে যায়। বর্ণনান্তরে রয়েছে, বৃষ্টির সময়কার দোয়া। -আবু দাউদ, দারেমী
কিন্তু দারেমী বৃষ্টির সময়কার দোয়া কথাটি উল্লেখ করেননি।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬৭৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আযানের ফযীলত ও মুয়াযযিনের উত্তর দান
৬৭৩। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, এক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! মুয়াযযিনগণতো আমাদের তুলনায় অধিক ফজীলতের অধিকারী হচ্ছেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমিও বল, যেরূপ তারা বলে থাকে এবং ঐরূপ বলার পর আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করবে, তাতে ঐরূপ ফজীলত তোমাকেও দেওয়া হবে।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান