মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
হাদীস নং: ৫৬৪
- নামাযের অধ্যায়
প্রথম অনুচ্ছেদ
৫৬৪। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, পাঁচ ওয়াক্তের নামায, এক জুমআ হতে অপর জুম'আ পর্যন্ত এবং এক রমজান হতে অপর রমজান পর্যন্ত এর মধ্যবর্তী সকল ছগীরাহ গুনাহের কাফ্ফারাস্বরূপ, যদি কবীরাহ গুনাহসমূহ হতে বেঁচে থাকা যায়। —মুসলিম
كتاب الصلاة
اَلْفَصْلُ الْلأَوَّلُ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الصَّلَوَاتُ الْخَمْسُ وَالْجُمُعَةُ إِلَى الْجُمُعَةِ وَرَمَضَانُ إِلَى رَمَضَانَ مُكَفِّرَاتٌ لَمَّا بَيْنَهُنَّ إِذَا اجْتُنِبَتِ الْكَبَائِر» . رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৬৫
- নামাযের অধ্যায়
প্রথম অনুচ্ছেদ
৫৬৫। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুলাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, বল দেখি, যদি তোমাদের কারও (গৃহের) দরজায় একটি নদী থাকে, যাতে সে দৈনিক পাঁচবার গোসল করে। তবে তার শরীরে কি কোনরূপ ময়লা থাকতে পারে? তাঁরা বললেন, না, কোন ময়লা থাকতে পারে না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের উদাহরণ এরূপই। এই নামাযের দ্বারা মহান আল্লাহ্ (নামাযীর) অন্যায় অপরাধসমূহ মোচন করে দেন। —বুখারী, মুসলিম
كتاب الصلاة
اَلْفَصْلُ الْلأَوَّلُ
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَرَأَيْتُمْ لَوْ أَنَّ نَهْرًا بِبَابِ أَحَدِكُمْ يَغْتَسِلُ فِيهِ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسًا هَلْ يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَيْءٌ؟ قَالُوا: لَا يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَيْءٌ. قَالَ: فَذَلِكَ مَثَلُ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ يَمْحُو اللَّهُ بِهِنَّ الْخَطَايَا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৬৬
- নামাযের অধ্যায়
প্রথম অনুচ্ছেদ
৫৬৬। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ)* হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, এক ব্যক্তি এক মহিলাকে অবৈধভাবে চুম্বন করল। তারপর সে নবী পাক (ﷺ)-এর নিকট এসে তাঁর নিকট এই ঘটনা ব্যক্ত করল। তখন মহান আল্লাহ্ নাযিল করলেন, যার অর্থ এইঃ “নামায কায়েম কর দিনের দুই অংশে এবং রাত্রের কিছু অংশে । নিশ্চিতরূপে পুণ্যসমূহ পাপসমূহকে দূর করে দেয়।”(সূরা হুদঃ ১১৪) (এই আয়াত শুনে) ঐ ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এটা কি শুধু আমার জন্যই? তিনি বললেন, আমার সকল উম্মতের জন্যই। বর্ণনান্তরে রয়েছে, আমার উম্মতের যে কেউ এরূপ আমল করবে তার জন্য এটি প্রযোজ্য হবে। - বুখারী, মুসলিম
*হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) এর নাম আব্দুল্লাহ, উপনাম আবু আব্দুর রহমান আল-হুজালী, দাদার নাম- জাকির ইবনের হাবীব। তিনি মহানবী (ﷺ) দারুল আরকামে প্রবেশের পূর্বেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তিনি বলতেন, আমি ৬ষ্ঠ মুসলিম হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছি। ইকবাল ফী আসমাইর রিজাল
তিনি ৩২/৩৩ হিজরীতে ৯/৮-ই রমজান ৬০ বছরের কিছু বেশী বয়সে মদীনায় ইন্তেকাল করেন।
*হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) এর নাম আব্দুল্লাহ, উপনাম আবু আব্দুর রহমান আল-হুজালী, দাদার নাম- জাকির ইবনের হাবীব। তিনি মহানবী (ﷺ) দারুল আরকামে প্রবেশের পূর্বেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তিনি বলতেন, আমি ৬ষ্ঠ মুসলিম হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছি। ইকবাল ফী আসমাইর রিজাল
তিনি ৩২/৩৩ হিজরীতে ৯/৮-ই রমজান ৬০ বছরের কিছু বেশী বয়সে মদীনায় ইন্তেকাল করেন।
كتاب الصلاة
اَلْفَصْلُ الْلأَوَّلُ
وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: إِنَّ رَجُلًا أَصَابَ مِنِ امْرَأَةٍ قُبْلَةً فَأَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَهُ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى: (وَأَقِمِ الصَّلَاةَ طَرَفَيِ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِنَ اللَّيْل إِن الْحَسَنَات يذْهبن السَّيِّئَات)
فَقَالَ الرَّجُلُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلِي هَذَا؟ قَالَ: «لِجَمِيعِ أُمَّتِي كُلِّهِمْ» . وَفِي رِوَايَةٍ: «لِمَنْ عَمِلَ بِهَا مِنْ أُمَّتِي»
فَقَالَ الرَّجُلُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلِي هَذَا؟ قَالَ: «لِجَمِيعِ أُمَّتِي كُلِّهِمْ» . وَفِي رِوَايَةٍ: «لِمَنْ عَمِلَ بِهَا مِنْ أُمَّتِي»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৬৭
- নামাযের অধ্যায়
প্রথম অনুচ্ছেদ
৫৬৭। হযরত আনাস (রাযিঃ)* হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, এক ব্যক্তি এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি দণ্ডযোগ্য অপরাধ করেছি; সুতরাং আমা প্রতি তা প্রয়োগ করুন। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে তার সেই কাজ সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞেস করলেন না। ইতোমধ্যে নামাযের ওয়াক্ত হয়ে গেলে লোকটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে নামায আদায় করল। নামায শেষে লোকটি দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি দণ্ডযোগ্য অপরাধ করেছি। আমার প্রতি আল্লাহর কিতাবে নির্ধারিত দণ্ড প্রদান করুন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি কি আমাদের সাথে নামায আদায় করনি? সে বলল, হ্যাঁ। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আল্লাহ্ পাক তোমার জন্য তোমার গুনাহ বা দণ্ড ক্ষমা করে দিয়েছেন। —বুখারী, মুসলিম
* হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাযিঃ) এর নাম-আনাস, উপনাম আবু হামযা, আবু উমাইয়া, আবু উসামা, আবু উসায়মা।
উপাধি-খাদিমু রাসূলিল্লাহ, পিতার নাম মালেক ইবনে নযর, মাতার নাম উম্মে সুলাইম বিনতে মিলহান।
হযরত আনাস (রাযিঃ) সর্বমোট ১২৮৬ খানা হাদীস বর্ণনা করেন। তিনি ৯০/৯২/৯৩ হিজরীতে ইন্তেকাল করেন। প্রাগুক্ত
* হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাযিঃ) এর নাম-আনাস, উপনাম আবু হামযা, আবু উমাইয়া, আবু উসামা, আবু উসায়মা।
উপাধি-খাদিমু রাসূলিল্লাহ, পিতার নাম মালেক ইবনে নযর, মাতার নাম উম্মে সুলাইম বিনতে মিলহান।
হযরত আনাস (রাযিঃ) সর্বমোট ১২৮৬ খানা হাদীস বর্ণনা করেন। তিনি ৯০/৯২/৯৩ হিজরীতে ইন্তেকাল করেন। প্রাগুক্ত
كتاب الصلاة
اَلْفَصْلُ الْلأَوَّلُ
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَصَبْتُ حَدًّا فأقمه عَليّ قَالَ وَلم يسْأَله عَنهُ قَالَ وَحَضَرَتِ الصَّلَاةُ فَصَلَّى مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا قَضَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصَّلَاة قَامَ إِلَيْهِ الرَّجُلُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَصَبْتُ حَدًّا فأقم فِي كتاب الله قَالَ أَلَيْسَ قَدْ صَلَّيْتَ مَعَنَا قَالَ نَعَمْ قَالَ فَإِنَّ اللَّهَ قَدْ غَفَرَ لَكَ ذَنْبَكَ أَو قَالَ حدك
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৬৮
- নামাযের অধ্যায়
প্রথম অনুচ্ছেদ
৫৬৮। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি নবী পাক (ﷺ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন কাজ আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়? তিনি বললেন, যথাসময়ে নামায পড়া। আমি বললাম, তারপর কোন্ কাজ? তিনি বললেন, পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা। আমি আবার বললাম, তারপর কোন কাজ? তিনি বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদ করা। ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে এই কাজগুলোর কথা বললেন। আমি বেশী জিজ্ঞেস করলে তিনি আমাকে আরও বেশী বলতেন। -বুখারী, মুসলিম
كتاب الصلاة
اَلْفَصْلُ الْلأَوَّلُ
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: سَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَي الْأَعْمَال أحب إِلَى الله قَالَ: «الصَّلَاةُ لِوَقْتِهَا» قُلْتُ ثُمَّ أَيُّ قَالَ: «بِرُّ الْوَالِدَيْنِ» قُلْتُ ثُمَّ أَيُّ قَالَ: «الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ» قَالَ حَدَّثَنِي بِهِنَّ وَلَوِ استزدته لزادني
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৬৯
- নামাযের অধ্যায়
প্রথম অনুচ্ছেদ
৫৬৯। হযরত জাবের (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, বান্দা এবং কুফরীর মধ্যে যোগসূত্র হল নামায ছেড়ে দেয়া। -মুসলিম
كتاب الصلاة
اَلْفَصْلُ الْلأَوَّلُ
وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بَيْنَ الْعَبْدِ وَبَيْنَ الْكُفْرِ ترك الصَّلَاة» . رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক: