মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৪- পাক-পবিত্রতার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১০ টি
হাদীস নং: ২৮২
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
প্রথম অনুচ্ছেদ
২৮২। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করলেন, আমি কি তোমাদেরকে জানিয়ে দিব না যে, আল্লাহ্ পাক কিসের দ্বারা গুনাহ মোচন করে দেন এবং কিসের দ্বারা মর্যাদা বাড়িয়ে দেন? তারা বললেন, হ্যাঁ অবশ্যই, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি বললেন, কষ্ট সত্ত্বেও পূর্ণভাবে অজুর পানি ঢেলে দেয়া, মসজিদের দিকে বেশী বেশী যাওয়া এবং এক নামায সম্পন্ন করার পর অপর নামাযের অপেক্ষায় থাকা। আর একেই বলে প্রস্তুতি; কিন্তু মালেক ইবনে আনাস (রাযিঃ)-এর রেওয়ায়াতে আছে, এটাই প্রস্তুতি, এটাই প্রস্তুতি-দু'বার। -মুসলিম, ইমাম তিরমিযীর রেওয়ায়াতে তিনবার।
كتاب الطهارة
اَلْفَصْلُ الْلأَوَّلُ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: (أَلَا أَدُلُّكُمْ عَلَى مَا يَمْحُو اللَّهُ بِهِ الْخَطَايَا وَيَرْفَعُ بِهِ الدَّرَجَاتِ؟ قَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ: «إِسْبَاغُ الْوُضُوءِ عَلَى الْمَكَارِهِ وَكَثْرَةُ الْخُطَى إِلَى الْمَسَاجِدِ وَانْتِظَارُ الصَّلَاةِ بَعْدَ الصَّلَاة فذلكم الرِّبَاط»
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮৩
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
প্রথম অনুচ্ছেদ
২৮৩। মালিক ইবনু আনাস (রাঃ)-এর বর্ণনায় রয়েছে, ’এটাই রিবা-ত্ব, এটাই রিবা-ত্ব’ দু’বার বলা হয়েছে। (মুসলিম, আর তিরমিযীতে তা তিনবার উল্লিখিত হয়েছে)
كتاب الطهارة
اَلْفَصْلُ الْلأَوَّلُ
وَفِي حَدِيث مَالك بن أنس: «فَذَلِك الرِّبَاطُ فَذَلِكُمُ الرِّبَاطُ» . رَدَّدَ مَرَّتَيْنِ. رَوَاهُ مُسْلِمٌ. وَفِي رِوَايَة التِّرْمِذِيّ ثَلَاثًا
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮৪
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
প্রথম অনুচ্ছেদ
২৮৪। হযরত উসমান (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি অজু করে এবং তা উত্তমরূপে করে, তাঁর গুনাহসমূহ তাঁর শরীর হতে দূর হয়ে যায়। এমনকি তার নখের নীচ হতেও দূর হয়ে যায়। —বুখারী, মুসলিম
كتاب الطهارة
اَلْفَصْلُ الْلأَوَّلُ
عَنْ عُثْمَانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ خَرَجَتْ خَطَايَاهُ مِنْ جَسَدِهِ حَتَّى تخرج من تَحت أَظْفَاره»
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮৫
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
প্রথম অনুচ্ছেদ
২৮৫। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যখন কোন মুসলিম কিংবা (তিনি বলেছেন) মু'মিন বান্দা (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) অজু করে, অতঃপর সে তার মুখমণ্ডল ধৌত করে। তখন তার মুখমণ্ডল হতে পানির সাথে কিংবা (তিনি বলেছেন) পানির শেষ ফোঁটার সাথে (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) বের হয়ে যায়; তার সেই সকল গুনাহ, যার দিকে তার চক্ষুদ্বয় দৃষ্টিপাত করেছে। আর যখন সে হাত ধৌত করে তখন তার হাত হতে বের হয়ে যায় সেই সকল গুনাহ, যা তার হস্তদ্বয় সম্পাদন করেছে পানির সাথে কিংবা পানির শেষ ফোঁটার সাথে। এইভাবে যখন সে পা ধৌত করে তখন বের হয়ে যায় সেই সকল গুনাহ, যা সম্পাদন করার জন্য তার পা অগ্রসর হয়েছে পানির সাথে অথবা পানির শেষ ফোঁটার সাথে। যার ফলে সে সকল গুনাহ হতে পাক-পবিত্র হয়ে বের হয়। —মুসলিম
كتاب الطهارة
اَلْفَصْلُ الْلأَوَّلُ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا تَوَضَّأَ الْعَبْدُ الْمُسْلِمُ أَوِ الْمُؤْمِنُ فَغَسَلَ وَجْهَهُ خَرَجَ مِنْ وَجْهِهِ كُلُّ خَطِيئَةٍ نَظَرَ إِلَيْهَا بِعَيْنَيْهِ مَعَ المَاء مَعَ آخِرِ قَطْرِ الْمَاءِ فَإِذَا غَسَلَ يَدَيْهِ خرجت من يَدَيْهِ كل خَطِيئَة بَطَشَتْهَا يَدَاهُ مَعَ الْمَاءِ أَوْ مَعَ آخِرِ قَطْرِ الْمَاءِ فَإِذَا غَسَلَ رِجْلَيْهِ خَرَجَ كُلُّ خَطِيئَةٍ مَشَتْهَا رِجْلَاهُ مَعَ الْمَاءِ أَوْ مَعَ آخِرِ قَطْرِ الْمَاءِ حَتَّى يَخْرُجَ نَقِيًّا مِنَ الذُّنُوب)
(رَوَاهُ مُسلم)
(رَوَاهُ مُسلم)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮৬
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
প্রথম অনুচ্ছেদ
২৮৬। হযরত উসমান (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যখনই কোন মুসলমানের নিকট ফরজ নামাযের ওয়াক্ত উপস্থিত হয়, আর সে উত্তমরূপে তার অজু সম্পন্ন করে। উত্তমরূপে তার বিনয় এবং তার রুকু (ও সিজদা) সম্পন্ন করে তার সেই নামায তার পূর্বেকার সকল গুনার জন্য প্রায়শ্চিত্ত হয়ে যায় যখন পর্যন্ত না সে কবীরাহ গুনাহ করে। আর এটা সর্বদাই হতে থাকে। —মুসলিম
كتاب الطهارة
اَلْفَصْلُ الْلأَوَّلُ
وَعَنْ عُثْمَانَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا مِنَ امْرِئٍ مُسْلِمٍ تَحْضُرُهُ صَلَاةٌ مَكْتُوبَةٌ فَيُحْسِنُ وُضُوءَهَا وَخُشُوعَهَا وَرُكُوعَهَا إِلَّا كَانَتْ كَفَّارَةً لِمَا قَبْلَهَا مِنَ الذُّنُوبِ مَا لَمْ يُؤْتِ كَبِيرَةً وَذَلِكَ الدَّهْرَ كُلَّهُ» . رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮৭
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
প্রথম অনুচ্ছেদ
২৮৭। হযরত উসমান (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, একবার তিনি এইভাবে অজু করলেন, তিনবার তাঁর হাতের কব্জির উপর উত্তমরূপে পানি ঢাললেন, তারপর কুলি করলেন এবং নাকে পানি দিলেন, অতঃপর মুখমণ্ডল তিনবার ধৌত করলেন। তারপর তিনবার ডানহাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করলেন। তারপর তিনবার বামহাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করলেন। তারপর মাথা মাসেহ করলেন। তারপর তিনবার ডান পা ধৌত করলেন। এইভাবে তিনবার বাম পা ধৌত করলেন। অতঃপর বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে আমার এই অঞ্জুর ন্যায় অজু করতে দেখেছি। (এইরূপ অজু করে) তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যে ব্যক্তি আমার এই অজুর ন্যায় অজু করবে, তারপর আল্লাহর ধ্যানসহ দুই রাকাত নামায আদায় করবে। অপর কোন বিষয় মনে স্থান দিবে না। এতে তার পূর্বেকার গুনাহ মার্জনা করে দেয়া হবে। —বুখারী, মুসলিম
كتاب الطهارة
اَلْفَصْلُ الْلأَوَّلُ
وَعَنْهُ أَنَّهُ تَوَضَّأَ فَأَفْرَغَ عَلَى يَدَيْهِ ثَلَاثًا ثُمَّ تَمَضْمَضَ وَاسْتَنْثَرَ ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ ثَلَاثًا ثُمَّ غَسَلَ يَدَهُ الْيُمْنَى إِلَى الْمِرْفَقِ ثَلَاثًا ثُمَّ غَسَلَ يَدَهُ الْيُسْرَى إِلَى الْمِرْفَقِ ثَلَاثًا ثُمَّ مَسَحَ بِرَأْسِهِ ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَهُ الْيُمْنَى ثَلَاثًا ثُمَّ الْيُسْرَى ثَلَاثًا ثُمَّ قَالَ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَوَضَّأَ نَحْوَ وُضُوئِي هَذَا ثُمَّ قَالَ: «مَنْ تَوَضَّأَ وُضُوئِي هَذَا ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ لَا يُحَدِّثُ نَفسه فيهمَا بِشَيْء إِلَّا غفر لَهُ مَا تقدم من ذَنبه» . وَلَفظه للْبُخَارِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮৮
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
প্রথম অনুচ্ছেদ
২৮৮। হযরত উকবাহ ইবনে আমের (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেহেন, যে মুসলিম ব্যক্তি অজু করে এবং তা উত্তমরূপে সম্পন্ন করে তারপর উঠে নিজ অন্তর ও চেহারাকে সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর দিকে ঝুঁকিয়ে দুই রাকাত নামায পড়ে তার জন্য বেহেশত ওয়াজিব (অবধারিত) হয়ে যায়। —মুসলিম
كتاب الطهارة
اَلْفَصْلُ الْلأَوَّلُ
وَعَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَتَوَضَّأُ فَيُحْسِنُ وُضُوءَهُ ثُمَّ يَقُومُ فَيُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ مقبل عَلَيْهِمَا بِقَلْبِهِ وَوَجْهِهِ إِلَّا وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ» . رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮৯
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
প্রথম অনুচ্ছেদ
২৮৯। হযরত উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি অজু করবে এবং উত্তমরূপে অথবা বলেছেন, পরিপূর্ণরূপে করবে। তারপর বলবে, “আশহাদু আললা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু” অর্থাৎ আমি সাক্ষ্য দিতেছি যে, আল্লাহ্ ছাড়া কোন উপাস্য নাই এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। বর্ণনাস্তরে রয়েছে, "আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকালাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু” অর্থাৎ আমি সাক্ষ্য দিতেছি যে, আল্লাহ্ ছাড়া কোন উপাস্য নাই, তিনি একক, তাঁর কোন অংশীদার নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিতেছি যে, মুহাম্মাদ (ﷺ) তাঁর বান্দা ও তাঁর রাসূল। তাঁর জন্য বেহেশতের আটটি দরজা খুলে দেয়া হবে। সেগুলোর যে কোন একটি দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করতে পারবে। ইমাম মুসলিম (রহ) তার ছহীহ কিতাবে এরূপ বর্ণনা করেছেন। আর হুমাইদী আফরাদে মুসলিম গ্রন্থে এবং ইবনুল আসীর জামেউল উছূল গ্রন্থে ঐরূপ বর্ণনা করেছেন এবং শায়খ মুহীউদ্দীন নববী মুসলিম-এর হাদীসের শেষে আমার বর্ণনার অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু ইমাম তিরমিযী (রহ) বাড়িয়ে বলেছেন, আল্লাহুম্মাজ 'আলনী মিনাত্তাওওয়াবীনা ওয়াজ আলনী মিনাল মুতাত্বাহহিরীন” অর্থাৎ হে আল্লাহ্! আমাকে তাওবাহকারীদের অন্তর্ভুক্ত কর এবং আমাকে পবিত্রতা অবলম্বনকারীদের অন্তর্ভুক্ত কর। মুহীউস সুন্নায় সেই হাদীস বর্ণনা করেছেন- 'যে ব্যক্তি অজু করল এবং তা উত্তমরূপে করল' শুরু হতে শেষ পর্যন্ত ।
كتاب الطهارة
اَلْفَصْلُ الْلأَوَّلُ
وَعَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ يَتَوَضَّأُ فَيُبْلِغُ أَوْ فَيُسْبِغُ الْوُضُوءَ ثُمَّ يَقُولُ: أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ وَفِي رِوَايَةٍ: أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ إِلَّا فُتِحَتْ لَهُ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ الثَّمَانِيَةُ يَدْخُلُ مِنْ أَيِّهَا شَاءَ . هَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ فِي صَحِيحِهِ وَالْحُمَيْدِيُّ فِي أَفْرَاد مُسلم وَكَذَا ابْن الْأَثِير فِي جَامع الْأُصُول
وَذكر الشَّيْخ مُحي الدِّينِ النَّوَوِيُّ فِي آخِرِ حَدِيثِ مُسْلِمٍ عَلَى مَا روينَاهُ وَزَاد التِّرْمِذِيّ: «الله اجْعَلْنِي مِنَ التَّوَّابِينَ وَاجْعَلْنِي مِنَ الْمُتَطَهِّرِينَ» وَالْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ مُحْيِي السُّنَّةِ فِي الصِّحَاحِ: «مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ» إِلَى آخِرِهِ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ فِي جَامِعِهِ بِعَيْنِهِ إِلَّا كَلِمَةَ «أَشْهَدُ» قَبْلَ «أَن مُحَمَّدًا»
وَذكر الشَّيْخ مُحي الدِّينِ النَّوَوِيُّ فِي آخِرِ حَدِيثِ مُسْلِمٍ عَلَى مَا روينَاهُ وَزَاد التِّرْمِذِيّ: «الله اجْعَلْنِي مِنَ التَّوَّابِينَ وَاجْعَلْنِي مِنَ الْمُتَطَهِّرِينَ» وَالْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ مُحْيِي السُّنَّةِ فِي الصِّحَاحِ: «مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ» إِلَى آخِرِهِ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ فِي جَامِعِهِ بِعَيْنِهِ إِلَّا كَلِمَةَ «أَشْهَدُ» قَبْلَ «أَن مُحَمَّدًا»
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯০
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
প্রথম অনুচ্ছেদ
২৯০। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আমার উম্মতকে রোজ কিয়ামতে ডাকা হবে। কল্যাণকর নিদর্শনযুক্ত অশ্বের ন্যায় উজ্জ্বল অবস্থায়, অজুর চিহ্নের কারণে; সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তার উজ্জ্বলতাকে দীর্ঘ করতে পারে সে যেন তা করে। —বুখারী, মুসলিম
كتاب الطهارة
اَلْفَصْلُ الْلأَوَّلُ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عَلَيْهِ وَسلم: «إِن أُمَّتِي يُدْعَوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ غُرًّا مُحَجَّلِينَ مِنْ آثَارِ الْوُضُوءِ فَمَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أَنْ يُطِيلَ غرته فَلْيفْعَل»
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯১
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
প্রথম অনুচ্ছেদ
২৯১। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, মুমিনের অলংকার অজুর পানি পৌঁছানোর স্থান পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। —মুসলিম
كتاب الطهارة
اَلْفَصْلُ الْلأَوَّلُ
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَبْلُغُ الْحِلْيَةُ مِنَ الْمُؤْمِنَ حَيْثُ يبلغ الْوضُوء» . رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক: