আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ
الأدب المفرد للبخاري
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১২৯৫
৬২৩. কু-ধারণা
১২৯৫. হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ফরমাইয়াছেনঃ সাবধান, কু-ধারণা পোষণ করা হইতে বিরত থাকিবে, কেননা, কু-ধারণাই হইতেছে সবচাইতে বড় মিথ্যা। আর কাহারও বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি করিও না । একে অপরের পতন বা ধ্বংস সাধন করিয়া নিজের উত্থান কামনা করিও না, একে অপরের পশ্চাতে লাগিও না, একে অপরের প্রতি হিংসা ও বিদ্বেষ পোষণ করিও না এবং তোমরা সকলেই আল্লাহ্র বান্দা-ভাই ভাই হইয়া যাও।
بَابُ الظَّنِّ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: إِيَّاكُمْ وَ الظَّنَّ، فَإِنَّ الظَّنَّ أَكْذَبُ الْحَدِيثِ، وَلاَ تَجَسَّسُوا، وَلاَ تَنَافَسُوا، وَلاَ تَدَابَرُوا، وَلاَ تَحَاسَدُوا، وَلاَ تَبَاغَضُوا، وَكُونُوا عِبَادَ اللهِ إِخْوَانًا.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১২৯৬
৬২৩. কু-ধারণা
১২৯৬. হযরত আনাস (রাযিঃ) বলেন, একদা নবী করীম (ﷺ) তাঁহার জনৈকা সহধর্মিনীর সাথে ছিলেন। এমন সময় এক ব্যক্তি তাঁহাদের নিকট দিয়া অতিক্রম করিল। তখন নবী করীম (ﷺ) সেই ব্যক্তিটিকে ডাকিয়া বলিলেন, ওহে ! ইনি হইতেছেন আমার সহধর্মিনী অমুক। তখন সে ব্যক্তি বলিয়া উঠিল ‘(ইয়া রাসূলাল্লাহ্ !) আমি যদি অপর কাহারও সম্পর্কে এরূপ মন্দধারণা পোষণ করিতাম ও তবে আপনার ব্যাপারে তো আমি এরূপ মন্দধারণা পোষণ করিতাম না !’ ফরমাইলেনঃ শয়তান আদম সন্তানের রক্তপ্রবাহের শিরায় শিরায় বিচরণ করে। [সুতরাং মন্দ ধারণা যে কোনদিনই হইবে না, এমন কথা নিশ্চিয়তার সহিত বলা যায় না। তাই, চিরতরে উহার মূলোৎপাটন করিয়া দিলাম ।]
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: بَيْنَمَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَعَ امْرَأَةٍ مِنْ نِسَائِهِ، إِذْ مَرَّ بِهِ رَجُلٌ، فَدَعَاهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ: يَا فُلاَنُ، إِنَّ هَذِهِ زَوْجَتِي فُلاَنَةٌ، قَالَ: مَنْ كُنْتُ أَظُنُّ بِهِ فَلَمْ أَكُنْ أَظُنُّ بِكَ، قَالَ: إِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنِ ابْنِ آدَمَ مَجْرَى الدَّمِ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১২৯৭
৬২৩. কু-ধারণা
১২৯৭. আবু ওয়ায়েল বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) বলিয়াছেন, যাহার বস্তু চুরি যায়, কু-ধারণা পোষণ করিতে করিতে সে এমন এক পর্যায়ে গিয়া পৌঁছে যখন সে চোর হইতেও বড় অপরাধী হইয়া যায়। [অর্থাৎ অযথাই এমন অনেক সৎলোক সম্পর্কে সে সন্দেহ পোষণ করিতে থাকে যে, এমন পুণ্যবান ও সৎব্যক্তিদের প্রতি কু-ধারণা পোষণ করা চুরির চাইতেও গুরুতর ।]
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ يَعْقُوبَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ أَخُو عُبَيْدٍ الْقُرَشِيِّ، قَالَ: حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ: مَا يَزَالُ الْمَسْرُوقُ مِنْهُ يَتَظَنَّى حَتَّى يَصِيرَ أَعْظَمَ مِنَ السَّارِقِ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১২৯৮
৬২৩. কু-ধারণা
১২৯৮. বিলাল ইব্ন সা’দ আল্-আশ’আরী (রাহঃ) বলেন, একদা হযরত মু’আবিয়া (রাযিঃ) হযরত আবুদ্দারদা (রাযিঃ)-কে এই মর্মে পত্র লিখিলেন যে, দামেশ্কের দাগী লোকগুলির নাম আমার কাছে লিখিয়া পাঠাও । তিনি উত্তরে লিখিলেনঃ দামিশ্কের দাগীদের সহিত আমার কী সম্পর্ক, আর কোথা হইতেই বা আমি তাহাদিগকে চিনিতে পারিব ? তখন তাঁহার পুত্র বিলাল বলিলেন। (আব্বা), আমি তাহাদের নাম লিখিয়া দিতেছি। এই কথা বলিয়া তিনি তাহাদের নাম লিখিয়া দিলেন। আবু দ্দারদা (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা করিলেন, কোথা হইতে তুমি ইহা জানিতে পারিলে ? তুমি নিজে দাগী না হইলে তাহারা যে দাগী তাহা তুমি কিভাবে জানিলে ? তাহা হইলে নিজের নাম দিয়াই (তালিকা) শুরু কর ! ফলে, বিলাল আর তাহা পাঠাইলেন না ।
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ، عَنْ بِلاَلِ بْنِ سَعْدٍ الأَشْعَرِيِّ، أَنَّ مُعَاوِيَةَ كَتَبَ إِلَى أَبِي الدَّرْدَاءِ: اكْتُبْ إِلَيَّ فُسَّاقَ دِمَشْقَ، فَقَالَ: مَا لِي وَفُسَّاقُ دِمَشْقَ؟ وَمِنْ أَيْنَ أَعْرِفُهُمْ؟ فَقَالَ ابْنُهُ بِلاَلٌ: أَنَا أَكْتُبُهُمْ، فَكَتَبَهُمْ، قَالَ: مِنْ أَيْنَ عَلِمْتَ؟ مَا عَرَفْتَ أَنَّهُمْ فُسَّاقٌ إِلاَّ وَأَنْتَ مِنْهُمْ، ابْدَأْ بِنَفْسِكَ، وَلَمْ يُرْسِلْ بِأَسْمَائِهِمْ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান