আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ

الأدب المفرد للبخاري

আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৯৫৩
৪২৯- ভাইয়ের সম্মানার্থে কোন ব্যক্তির দাঁড়ানো।
৯৫৩. হযরত আনাস (রাযিঃ) বলেন, নবী করীম (ﷺ)-কে দেখিয়া সাহাবাগণ যত প্রীত হইতেন, আর কাহাকেও দেখিয়া তাহারা ততটুকু প্রীত হইতেন না, অথচ তাহারা যখন তাঁহাকে দেখিতেন, তখন তাঁহার জন্য (সম্মানার্থে) কখনো উঠিয়া দাঁড়াইতেন না যেহেতু তাহা যে তাঁহার অপসন্দনীয় তাঁহারা জানিতেন। ১
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ‏:‏ مَا كَانَ شَخْصٌ أَحَبَّ إِلَيْهِمْ رُؤْيَةً مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، وَكَانُوا إِذَا رَأَوْهُ لَمْ يَقُومُوا إِلَيْهِ، لِمَا يَعْلَمُونَ مِنْ كَرَاهِيَتِهِ لِذَلِكَ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:৯৫৪
৪২৯- ভাইয়ের সম্মানার্থে কোন ব্যক্তির দাঁড়ানো।
৯৫৪. উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়েশা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, কথাবার্তায় উঠাবসায় ফাতিমার চাইতে নবী করীম (ﷺ)-এর সাথে অধিকতর সামঞ্জস্যশীল আর কেহই ছিলেন না। তিনি আরও বলেন, নবী করীম (ﷺ) যখন তাঁহাকে দেখিতেন, তাঁহাকে খোশ-আমদেদ জানাইতেন, তাঁহার জন্য উঠিয়া দাঁড়াইতেন এবং তাঁহাকে চুম্বন দিতেন। অপরদিকে নবী করীম (ﷺ) তাঁহার নিকট গমন করিলে তিনিও তাঁহাকে অভ্যর্থনা জানাইতেন এবং উঠিয়া চুম্বন করিতেন। নবী করীম (ﷺ)-এর অন্তিম রোগের সময় তিনি তাঁহার সদনে উপস্থিত হইলেন। তিনি খোশ-আমদেদ জানাইলেন এবং তাঁহাকে চুম্বন করিলেন এবং তাঁহাকে কী যেন কানে কানে বলিলেন। তিনি (ফাতিমা) তাহাতে কাঁদিয়া ফেলিলেন। অতঃপর তিনি কানে কানে আরও কী যেন বলিলেনঃ এইবার তিনি (ফাতিমা) হাসিয়া উঠিলেন। আমি তখন উপস্থিত মহিলাগণকে লক্ষ্য করিয়া বলিলাম, আমি মনে করিতাম নারী জাতির মধ্যে এই মহিলাই অনন্যা, কিন্তু এখন দেখিতেছি ইনি একজন সাধারণ মহিলাই, কখনো তিনি কাঁদিয়া ফেলেন, আবার কখনো হাসিয়া উঠেন! (যার কোন অর্থই হয় না) তখন আমি তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, তিনি কী বলিলেন? বলিলেনঃ আপাতত এ রহস্য আমি ফাঁস করিতে পারিব না।
অতঃপর যখন নবী করীম (ﷺ)-এর ইন্তিকাল হইল, তখন তিনি (ফাতিমা) বলিলেনঃ প্রথমবার তিনি কানে কানে বলিয়াছিলেন, আমার মৃত্যু আসন্ন, তাই আমি কাঁদিয়াছিলাম। অতঃপর কানে কানে বলিয়াছিলেন, আমার পরিবার পরিজনের মধ্যে সর্বপ্রথম তুমিই (ইন্তিকাল করিয়া) আমার সাথে গিয়া মিলিত হইবে, ইহাতে আমি খুশি হই এবং উহা আমার কাছে অত্যন্ত ভাল লাগে। (তাই তখন আমি হাসিয়া উঠি)।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَكَمِ، قَالَ‏:‏ أَخْبَرَنَا النَّضْرُ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، قَالَ‏:‏ أَخْبَرَنَا مَيْسَرَةُ بْنُ حَبِيبٍ قَالَ‏:‏ أَخْبَرَنِي الْمِنْهَالُ بْنُ عَمْرٍو قَالَ‏:‏ حَدَّثَتْنِي عَائِشَةُ بِنْتُ طَلْحَةَ، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ‏:‏ مَا رَأَيْتُ أَحَدًا مِنَ النَّاسِ كَانَ أَشْبَهَ بِالنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم كَلاَمًا وَلاَ حَدِيثًا وَلاَ جِلْسَةً مِنْ فَاطِمَةَ، قَالَتْ‏:‏ وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا رَآهَا قَدْ أَقْبَلَتْ رَحَّبَ بِهَا، ثُمَّ قَامَ إِلَيْهَا فَقَبَّلَهَا، ثُمَّ أَخَذَ بِيَدِهَا فَجَاءَ بِهَا حَتَّى يُجْلِسَهَا فِي مَكَانِهِ، وَكَانَتْ إِذَا أَتَاهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم رَحَّبَتْ بِهِ، ثُمَّ قَامَتْ إِلَيْهِ فَقَبَّلَتْهُ، وأَنَّهَا دَخَلَتْ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي مَرَضِهِ الَّذِي قُبِضَ فِيهِ، فَرَحَّبَ وَقَبَّلَهَا، وَأَسَرَّ إِلَيْهَا، فَبَكَتْ، ثُمَّ أَسَرَّ إِلَيْهَا، فَضَحِكَتْ، فَقُلْتُ لِلنِّسَاءِ‏:‏ إِنْ كُنْتُ لَأَرَى أَنَّ لِهَذِهِ الْمَرْأَةِ فَضْلاً عَلَى النِّسَاءِ، فَإِذَا هِيَ مِنَ النِّسَاءِ، بَيْنَمَا هِيَ تَبْكِي إِذَا هِيَ تَضْحَكُ، فَسَأَلْتُهَا‏:‏ مَا قَالَ لَكِ‏؟‏ قَالَتْ‏:‏ إِنِّي إِذًا لَبَذِرَةٌ، فَلَمَّا قُبِضَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم، فَقَالَتْ‏:‏ أَسَرَّ إِلَيَّ فَقَالَ‏:‏ إِنِّي مَيِّتٌ، فَبَكَيْتُ، ثُمَّ أَسَرَّ إِلَيَّ فَقَالَ‏:‏ إِنَّكِ أَوَّلُ أَهْلِي بِي لُحُوقًا، فَسُرِرْتُ بِذَلِكَ وَأَعْجَبَنِي‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা