৯০৩. হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেনঃ করীম ইব্‌ন করীম ইব্‌ন করীম ইব্‌ন করীম হইতেছেন ইউসুফ ইব্‌ন ইয়াকূব ইব্‌ন ইসহাক ইব্‌ন ইবরাহীম (আ)। ১

৯০৪. হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, কিয়ামতের দিন মুত্তাকী-পরহেযগারগণই হইবে আমার বন্ধু। বংশগত নৈকট্য কোনই কাজে আসিবে না। লোকজন তাহাদের আমল নিয়া আসিবে আর তোমরা আসিবে দুনিয়া তোমাদের কাঁধে উঠাঁইয়া। আর বলিবে, হে মুহাম্মাদ! তখন আমি এইরূপ এইরূপ বলিবে, মুহাম্মাদ বলিয়া ডাকিলে কী হইবে? কোনই কাজে আসিবে না। আমি সব দিক হইতে মুখ ফিরাইয়া লইব।

৯০৫. হযরত ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আমার মতে কোন ব্যক্তি কুরআনের এই আয়াত অনুযায়ী আমল করে নাঃ ‏يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّا خَلَقْنَاكُمْ مِنْ ذَكَرٍ وَأُنْثَى‏ ‏‏إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللهِ أَتْقَاكُمْ‏
“হে মানব জাতি! আমি তোমাদিগকে এক পুরুষ এক নারী হইতে সৃষ্টি করিয়াছি”.... “নিঃসন্দেহে আল্লাহ্‌র নিকট তোমাদের মধ্যে সবচাইতে সম্ভ্রান্ত সেই ব্যক্তি যে সবচাইতে বেশী আল্লাহ্‌ভীরু” (সূরা হুজুরাতঃ ১৩) এর উপর আমল করা সত্ত্বেও এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে বলিতে পারে না যে, আমি তোমার চাইতে অধিকতর সম্ভ্রান্ত। কেননা তাক্ওয়া বা আল্লাহ্‌ভীরুতা ছাড়া অন্য কোনভাবে কেহ অপর কোন ব্যক্তি হইতে অধিকতর সম্ভ্রান্ত হইতে পারে না।

৯০৬. হযরত ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, তোমরা কৌলীণ্য বলিতে কি মনে কর? আল্লাহ্ তাআলা কৌলীণ্য কি তাহা সুস্পষ্টভাবে বলিয়া দিয়াছেন, তোমাদের মধ্যে সবচাইতে কুলীন সেই ব্যক্তি যে সবচাইতে বেশী আল্লাহ্ ভীরু। তোমরা বংশ মর্যাদা বলিতে কি মনে কর ? চরিত্রের দিক দিয়া যে সর্বোত্তম, তাহার বংশ মর্যাদাই সবচাইতে বেশী।