আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ
الأدب المفرد للبخاري
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৮৮২
৩৮৮- বাচালতা।
৮৮২. হযরত যায়িদ ইব্ন আসলাম বলেন, আমি হযরত আব্দুলাহ্ ইব্ন উমর (রাযিঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছিঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর যুগে পূর্বদেশ হইতে দুইজন বাগ্মী লোক (মদীনায়) আসে। তাহারা দুইজনে লোকসমক্ষে দাঁড়াইয়া কিছুক্ষণ বক্তৃতা করিল। অতঃপর বসিয়া পড়িল। অতঃপর নবী করীম (ﷺ)-এর পক্ষের বক্তা সাৰিত ইব্ন কায়স (রাযিঃ) উঠিয়া দাঁড়াইলেন এবং বক্তৃতা করিলেন। কিন্তু শ্রোতামণ্ডলী প্রথমোক্ত দুইজনের বক্তৃতায় অভিভূত হইয়া পড়েন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বক্তৃতা করিতে উঠিলেন এবং বলিলেনঃ মানবমন্ডলী, বক্তব্য সরলভাবে বলিবে কেননা ঘুরাইয়া-ফিরাইয়া কথা বলা শয়তানের কাজ। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ কোন কোন বক্তৃতায় জাদুকরী প্রভাব থাকে।
بَابُ كَثْرَةِ الْكَلامِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ يَقُولُ: قَدِمَ رَجُلاَنِ مِنَ الْمَشْرِقِ خَطِيبَانِ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَقَامَا فَتَكَلَّمَا ثُمَّ قَعَدَا، وَقَامَ ثَابِتُ بْنُ قَيْسٍ، خَطِيبُ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَتَكَلَّمَ، فَعَجِبَ النَّاسُ مِنْ كَلاَمِهِمَا، فَقَامَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ فَقَالَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ، قُولُوا قَوْلَكُمْ، فَإِنَّمَا تَشْقِيقُ الْكَلاَمِ مِنَ الشَّيْطَانِ، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: إِنَّ مِنَ الْبَيَانِ سِحْرًا.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৮৮৩
৩৮৮- বাচালতা।
৮৮৩. হযরত আনাস (রাযিঃ) বলেন, এক ব্যক্তি হযরত উমর ফারূক (রাযিঃ)-এর সম্মুখে বক্তৃতা করিল এবং অনেক দীর্ঘ কথাবার্তা বলিল (বাগ্মিতার পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করিল)। তখন হযরত উমর (রাযিঃ) বলিলেনঃ “বক্তৃতায় অতিরিক্ত কথা বলা হইতেছে শয়তানের কাজ।”
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي حُمَيْدٌ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسًا يَقُولُ: خَطَبَ رَجُلٌ عِنْدَ عُمَرَ فَأَكْثَرَ الْكَلاَمَ، فَقَالَ عُمَرُ: إِنَّ كَثْرَةَ الْكَلاَمِ فِي الْخُطَبِ مِنْ شَقَاشِقِ الشَّيْطَانِ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৮৮৪
৩৮৮- বাচালতা।
৮৮৪. সাহল ইব্ন যিরা বলেন, আবু ইয়াযীদ অথবা মা’আন ইব্ন ইয়াযীদকে বলিতে শুনিয়াছিঃ একদা নবী করীম (ﷺ) বলিয়া পাঠাইলেন, তোমরা তোমাদের মসজিদসমূহে সমবেত হও এবং যখন লোক সমবেত হইবে তখন আমাকে খবর দিবে। অতঃপর আগমনকারী (তিনি) প্রথমে আমাদেরই মসজিদে তাশরীফ আনিলেন এবং বসিলেন। তখন আমাদের মধ্যকার এক ব্যক্তি দাঁড়াইয়া কিছু কথা বলিলেন, যাহাতে তিনি বলিলেনঃ সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহ্র যাহার প্রশংসা দ্বারা একমাত্র তাঁহার সত্তা ছাড়া আর কিছুই কাম্য নহে আর তিনি ছাড়া পলায়ন করিয়া যাইবার অন্য কোন ঠাঁইও নাই। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ক্রুদ্ধ হইলেন এবং উঠিয়া প্রস্থান করিলেন। তখন আমরা একে অপরকে দোষারোপ করিতে লাগিলাম এবং বলাবলি করিতে লাগিলাম যে, আগন্তুক তো প্রথমে আমাদেরই মসজিদে তাশরীফ আনিলেন (আর আমরা আমাদের ত্রুটিতে তাহাকে অসন্ভুষ্ট করিলাম)। অতঃপর তিনি অন্য এক মসজিদে চলিয়া গেলেন এবং সেখানে গিয়া বসিলেন। আমরা সেখানে তাহার নিকট গিয়া উপস্থিত হইলাম এবং তাহার সহিত আলাপ করিলাম। ত্রুটি মার্জনার জন্য আবেদন জানাইলাম। তিনি আমাদের সাথে (ফিরিয়া) তাশরীফ আনিলেন এবং তাঁহার পূর্ব আসন বা উহার নিকটবর্তী স্থানে বসিলেন। অতঃপর বলিলেনঃ সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহ্র যিনি যাহা ইচ্ছা তাঁহার সম্মুখে করেন এবং যাহাকে ইচ্ছা তাহার পশ্চাতে করেন। আর কোন কোন বক্তৃতায় জাদুকরী প্রভাব থাকে। অতঃপর তিনি আমাদিগকে ওয়ায-নসীহত করিলেন এবং তালীম দিলেন।
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِسْحَاقَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ قَالَ: حَدَّثَنِي سُهَيْلُ بْنُ ذِرَاعٍ قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا يَزِيدَ أَوْ مَعْنَ بْنَ يَزِيدَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: اجْتَمِعُوا فِي مَسَاجِدِكُمْ، وَكُلَّمَا اجْتَمَعَ قَوْمٌ فَلْيُؤْذِنُونِي، فَأَتَانَا أَوَّلَ مَنْ أَتَى، فَجَلَسَ، فَتَكَلَّمَ مُتَكَلِّمٌ مِنَّا، ثُمَّ قَالَ: إِنَّ الْحَمْدَ لِلَّهِ الَّذِي لَيْسَ لِلْحَمْدِ دُونَهُ مَقْصَدٌ، وَلاَ وَرَاءَهُ مَنْفَذٌ. فَغَضِبَ فَقَامَ، فَتَلاَوَمْنَا بَيْنَنَا، فَقُلْنَا: أَتَانَا أَوَّلَ مَنْ أَتَى، فَذَهَبَ إِلَى مَسْجِدٍ آخَرَ فَجَلَسَ فِيهِ، فَأَتَيْنَاهُ فَكَلَّمْنَاهُ، فَجَاءَ مَعَنَا فَقَعَدَ فِي مَجْلِسِهِ أَوْ قَرِيبًا مِنْ مَجْلِسِهِ، ثُمَّ قَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي مَا شَاءَ جَعَلَ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَمَا شَاءَ جَعَلَ خَلْفَهُ، وَإِنَّ مِنَ الْبَيَانِ سِحْرًا، ثُمَّ أَمَرَنَا وَعَلَّمَنَا.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান