আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ
الأدب المفرد للبخاري
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৮০৮
৩৪৯- আপনার জন্য আমার প্রাণ উৎসর্গিত
৮০৮. হযরত আনাস ইব্ন মালিক (রাযিঃ) বলেন, আবু তাল্হা রাসূলুল্লাহ্র সম্মুখে জানু পাতিয়া বসিতেন, তাঁহার তূণে রক্ষিত তীরগুলিকে ছাড়াইয়া দিতেন আর বলিতেনঃ وَجْهِي لِوَجْهِكَ الْوِقَاءُ، وَنَفْسِي لِنَفْسِكَ الْفِدَاءُ. “হে প্রিয় নবী! আমার মুখমণ্ডল আপনার মুখমণ্ডলের ঢাল স্বরূপ, আর আমার জান আপনার জানের জন্য কুরবান (উৎসর্গ) হউক!”
بَابُ قَوْلِ الرَّجُلِ: نَفْسِي لَكَ الْفِدَاءُ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ جُدْعَانَ قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ: كَانَ أَبُو طَلْحَةَ يَجْثُو بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَيَنْثُرُ كِنَانَتَهُ وَيَقُولُ: وَجْهِي لِوَجْهِكَ الْوِقَاءُ، وَنَفْسِي لِنَفْسِكَ الْفِدَاءُ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৮০৯
৩৪৯- আপনার জন্য আমার প্রাণ উৎসর্গিত
৮০৯. হযরত আবু যার (রাযিঃ) বলেন, একদা নবী করীম (ﷺ) (মদীনার বিখ্যাত গোরস্থান) বাকীর দিকে চলিলেন। আমিও তাঁহার অনুগামী হইলাম। তিনি পিছনে ফিরিয়া তাকাইলেন এবং আমাকে দেখিতে পাইলেন। তখন তিনি আমাকে সম্বোধন করিলেন, হে আবু যার! আমি বলিলাম, আমি হাযির হে আল্লাহর রাসূল! আপনার মর্যাদা বর্দ্ধিত হউক! আপনার জন্য আমার জান কবুল। বলিলেনঃ আজ যাহাদের দুনিয়ায় প্রাচুর্য রহিয়াছে কাল-কিয়ামতে তাহারা হইবে দৈন্যগ্রস্ত। অবশ্য যাহারা এই রূপ এই রূপ (দান-খয়রাত) করিবে তাহারা নহে। আমি বলিলাম, আল্লাহ্ ও তদীয় রাসূলই এ ব্যাপারে সমধিক জ্ঞাত। তিনি এরূপ তিনবার বলিলেন। অতঃপর উহুদ পাহাড় আমাদের সম্মুখে পড়িল। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ আবু যার! আমি বলিলাম, আমি হাযির হে আল্লাহ্র রাসূল! আপনার মর্যাদা বর্দ্ধিত হউক! আপনার জন্য আমার জান কবুল! বলিলেনঃ এই উহুদ পাহাড় যদি মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর পরিবারের জন্য স্বর্ণ হইয়া যায় (অর্থাৎ উহুদ পরিমাণ স্বর্ণ যদি হস্তগত হয়) তবে রাত আসা অবধি এক দীনার বা এক মিসকাল পরিমাণ (ওজন বিশেষ) স্বর্ণও অবশিষ্ট থাক এ কথা আমি পছন্দ করিব না। অতঃপর আমরা একটি খোলা প্রান্তরে উপনীত হইলাম। তখন তিনি প্রান্তরের এক পার্শ্বে চলিয়া গেলেন। আমি ভাবিলাম, তিনি হয়ত প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যাইতেছেন। তাই আমি এক পার্শ্বে বসিয়া রহিলাম। অনেকক্ষণ অতিবাহিত হইয়া গেল,তবুও রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ফিরিতেছেন না দেখিয়া আমার আশংকা হইল তাঁহার কোন বিপদ হইয়া গেল কিনা! এমন সময় কোন এক ব্যক্তির সহিত ফিস ফিস করিয়া কথা বলার আওয়ায শুনিতে পাইলাম। অতঃপর তিনি একাকী আমার নিকট আসিলেন। আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি কাহার সহিত ফিস ফিস করিয়া কথা বলিতেছিলেন? তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি বুঝি উহা শুনিতে পাইয়াছ? আমি বলিলাম, জ্বী, হ্যাঁ। বলিলেনঃ ইনি ছিলেন জিব্রাঈল (আ)। এই সুসংবাদ নিয়া তিনি আসিয়াছিলেন যে, আমার উম্মাতের মধ্যকার যে ব্যক্তি শিরকে লিপ্ত না হইয়া ইন্তিকাল করিবে সে বেহেশতে প্রবেশ করিবে। আমি বলিলাম, যদিও সে ব্যভিচারী হয়, যদিও সে চুরি করে, তবুও কি? বলিলেনঃ হ্যাঁ!
حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ فَضَالَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: فَانْطَلَقَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ الْبَقِيعِ، وَانْطَلَقْتُ أَتْلُوهُ، فَالْتَفَتَ فَرَآنِي فَقَالَ: يَا أَبَا ذَرٍّ، فَقُلْتُ: لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللهِ، وَسَعْدَيْكَ، وَأَنَا فِدَاؤُكَ، فَقَالَ: إِنَّ الْمُكْثِرِينَ هُمُ الْمُقِلُّونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، إِلاَّ مَنْ قَالَ هَكَذَا وَهَكَذَا فِي حَقٍّ، قُلْتُ: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، فَقَالَ: هَكَذَا ثَلاَثًا، ثُمَّ عَرَضَ لَنَا أُحُدٌ فَقَالَ: يَا أَبَا ذَرٍّ، فَقُلْتُ: لَبَّيْكَ رَسُولَ اللهِ وَسَعْدَيْكَ، وَأَنَا فِدَاؤُكَ، قَالَ: مَا يَسُرُّنِي أَنَّ أُحُدًا لِآلِ مُحَمَّدٍ ذَهَبًا، فَيُمْسِي عِنْدَهُمْ دِينَارٌ، أَوْ قَالَ: مِثْقَالٌ، ثُمَّ عَرَضَ لَنَا وَادٍ، فَاسْتَنْتَلَ فَظَنَنْتُ أَنَّ لَهُ حَاجَةً، فَجَلَسْتُ عَلَى شَفِيرٍ، وَأَبْطَأَ عَلَيَّ. قَالَ: فَخَشِيتُ عَلَيْهِ، ثُمَّ سَمِعْتُهُ كَأَنَّهُ يُنَاجِي رَجُلاً، ثُمَّ خَرَجَ إِلَيَّ وَحْدَهُ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ، مَنِ الرَّجُلُ الَّذِي كُنْتَ تُنَاجِي؟ فَقَالَ: أَوَ سَمِعْتَهُ؟ قُلْتُ: نَعَمْ، قَالَ: فَإِنَّهُ جِبْرِيلُ أَتَانِي، فَبَشَّرَنِي أَنَّهُ مَنْ مَاتَ مِنْ أُمَّتِي لاَ يُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا دَخَلَ الْجَنَّةَ، قُلْتُ: وَإِنْ زَنَى وَإِنْ سَرَقَ؟ قَالَ: نَعَمْ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
