৭৯৪. যায়িদ ইবন ওয়াহব বলেন, আমি হযরত ইবন মাসউদ (রাযিঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছি : তােমরা এমন একটি যুগে অবস্থান করিতেছ, যাহাতে ধর্ম তত্ত্বজ্ঞাণীগণ সংখ্যায় বেশী, বক্তাগণ সংখ্যায় কম, এ যুগে সাহায্য গ্রহীতার সংখ্যা অল্প, দাতার সংখ্যাই বেশী, আমল এ যুগে প্রবৃত্তির পরিচালক, কিন্তু তােমাদের পর অচিরেই এমন এক যুগ আসিতেছে যখন ধর্ম তত্ত্বজ্ঞাণীগণ সংখ্যায় স্বল্প হইবেন, আর বক্তার সংখ্যা হইবে প্রচুর। যাচ্ঞাকারীর সংখ্যা তখন বেশী হইবে আর দাতার সংখ্যা হইবে অল্প, আর প্রবৃত্তিই হইবে লােকের আমলের পরিচালক স্বরূপ। (অর্থাৎ আমলও করিবে প্রবৃত্তির বশবর্তী হইয়াই, শরীআতের ধার না ধারিয়াই]। ওহে জানিয়া রাখ, আখেরী যামানায় সৎ-স্বভাবই হইবে কোন কোন আমলের চাইতে উত্তম।

৭৯৫. হযরত জারীরী বলেন, আমি হযরত আবুত তুফায়েল (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করিলাম, আপনি কি নবী করীম (ﷺ)-কে দেখিয়াছেন? জবাবে তিনি বলেন, জ্বী, হ্যাঁ, আমি ছাড়া বর্তমানে ভূপৃষ্ঠে নবী করীম (ﷺ)-কে যাহারা দেখিয়াছেন তাঁহাদের মধ্যকার কেহ বর্তমান আছেন বলিয়া আমার জানা নাই। অতঃপর তিনি (নবী করীমের আকৃতি বর্ণনা প্রসঙ্গে) বলিলেনঃ তিনি ছিলেন পৌর বর্ণ ও লাবণ্যময় চেহারার অধিকারী। (এ রিওয়ায়েতটি খালিদ ইবন আব্দুল্লাহর প্রমুখাৎ বর্ণিত।) ইয়াযীদ ইবন হারুন প্রমুখাৎ রর্ণিত জারীরে অন্য রিওয়ায়েতে আছে, জারীরী বলেনঃ আমি এবং আবু তুফায়ল (আমির ইবন ওয়াসেলা কেনানী (রাযিঃ)] আল্লাহর ঘরের তাওয়াফ করিতেছিলাম। তখন হযরত আবু তােফায়ল (রাযিঃ) বলিলেনঃ আমি ছাড়া নবী করীম (ﷺ)-কে দেখিয়াছেন এমন কেহই আর জীবিত নাই। আমি বলিলাম, আপনি বুঝি তাঁহাকে (রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে দেখিয়াছেন? তিনি বলিলেনঃ জী হ্যঁ। আমি বলিলাম, তিনি কেমন ছিলেন? তিনি বলিলেনঃ তিনি ছিলেন গৌর বর্ণ, লাবণ্যময় চেহারার অধিকারী মধ্যম আকৃতিসম্পন্ন।

৭৯৬, হযরত ইবন আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেনঃ উত্তম স্বভাব, উত্তম জীবন যাপন এবং মিতাচার নবুওয়াতের পঁচিশ ভাগের একভাগ।

৭৯৭. হযরত ইবন আব্বাসের অপর রিওয়ায়েতে আছে যে, নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেনঃ উত্তম স্বভাব, উত্তম জীবন যাপন এবং মিতাচার নবুওয়াতের সত্তর ভাগের এক ভাগ।

৭৯৭. হযরত ইবন আব্বাসের অপর রিওয়ায়েতে আছে যে, নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেন ও উত্তম স্বভাব, উত্তম জীবন যাপন এবং মিতাচার নবুওয়াতের সত্তর ভাগের এক ভাগ।