আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ
الأدب المفرد للبخاري
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৬৪৮
২৮১- নবী করীম (ﷺ)-এর প্রসঙ্গ উত্থাপিত হওয়া সত্ত্বেও যে দরূদ পড়ে না
৬৪৮. হযরত জাবির ইবন আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) বলেন, একদা নবী করীম (ﷺ) মিম্বরে আরোহণ করিলেন। যখন প্রথম সিঁড়িতে আরোহণ করিলেন, তখন বলিলেন: আমীন। অতঃপর যখন দ্বিতীয় সিঁড়িতে আরোহণ করিলেন তখন বলিলেন: আমীন! অতঃপর তৃতীয় সিঁড়িতে আরোহণ করিলেন এবং বলিলেনঃ আমীন ! তখন সাহাবীগণ বলিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আজ আমরা আপনাকে তিনবার 'আমীন' বলিতে শুনিলাম ইহার অর্থ কি? তিনি বলিলেনঃ যখন আমি প্রথম সিঁড়িতে আরোহণ করিলাম তখন জিবরাঈল (আ) আসিলেন এবং বলিলেনঃ দুর্ভাগ্য হউক সেই ব্যক্তির যে রমযান পাইল এবং উহা অতিক্রান্ত হইয়া যাওয়া সত্ত্বেও তাহার মাগফিরাত হয় নাই। আমি বলিলামঃ আমীন! অতঃপর তিনি বলিলেন দুর্ভাগ্য হউক সেই ব্যক্তির যে তাহার পিতামাতা উভয়কে অথবা তাঁহাদের যে কোন একজনকে পাইল, অথচ তাহারা তাহাকে বেহেশতে প্রবেশ করাইল না। আমি বলিলামঃ আমীন ! অতঃপর বলিলেন, দুর্ভাগ্য হউক সেই ব্যক্তির যাহার সম্মুখে আপনার প্রসঙ্গ উত্থাপিত হইল অথচ সেই ব্যক্তি আপনার প্রতি দরূদ পড়িল না। আমি বলিলামঃ আমীন।
بَابُ مَنْ ذُكِرَ عِنْدَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ يُصَلِّ عَلَيْهِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ شَيْبَةَ ، قَالَ : أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نَافِعٍ الصَّائِغُ ، عَنْ عِصَامِ بْنِ زَيْدٍ ، وَأَثْنَى عَلَيْهِ ابْنُ شَيْبَةَ خَيْرًا ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ، " أَنّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَقَى الْمِنْبَرَ ، فَلَمَّا رَقَى الدَّرَجَةَ الأُولَى ، قَالَ : آمِينَ ، ثُمَّ رَقَى الثَّانِيَةَ ، فَقَالَ : آمِينَ ، ثُمَّ رَقَى الثَّالِثَةَ ، فَقَالَ : آمِينَ ، فَقَالُوا : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، سَمِعْنَاكَ تَقُولُ : آمِينَ ثَلاثَ مَرَّاتٍ ؟ قَالَ : لَمَّا رَقِيتُ الدَّرَجَةَ الأُولَى جَاءَنِي جِبْرِيلُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، فَقَالَ : شَقِيَ عَبْدٌ أَدْرَكَ رَمَضَانَ ، فَانْسَلَخَ مِنْهُ وَلَمْ يُغْفَرْ لَهُ ، فَقُلْتُ : آمِينَ ، ثُمَّ قَالَ : شَقِيَ عَبْدٌ أَدْرَكَ وَالِدَيْهِ أَوْ أَحَدَهُمَا فَلَمْ يُدْخِلاهُ الْجَنَّةَ ، فَقُلْتُ : آمِينَ ، ثُمَّ قَالَ : شَقِيَ عَبْدٌ ذُكِرْتَ عِنْدَهُ وَلَمْ يُصَلِّ عَلَيْكَ ، فَقُلْتُ : آمِينَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৪৯
২৮১- নবী করীম (ﷺ)-এর প্রসঙ্গ উত্থাপিত হওয়া সত্ত্বেও যে দরূদ পড়ে না
৬৪৯. হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি একবার আমার প্রতি দরূদ পাঠ করে আল্লাহ্ তা'আলা তাহার প্রতি দশবার রহমত বর্ষণ করেন।
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى ، قَالَ : حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ ، قَالَ : أَخْبَرَنِي الْعَلاءُ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : " مَنْ صَلَّى عَلَيَّ وَاحِدَةً صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ عَشْرًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৫০
২৮১- নবী করীম (ﷺ)-এর প্রসঙ্গ উত্থাপিত হওয়া সত্ত্বেও যে দরূদ পড়ে না
৬৫০. হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, একদা নবী করীম (ﷺ) মিম্বরে আরোহণ করিলেন এবং বলিলেন আমীন! আমীন!! আমীন!!! তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করা হইল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি ইহা কি করিলেন ? জবাবে বলিলেন : ধুলায় ধূসরিত হউক তাহার নাক যে ব্যক্তি তাহার পিতামাতা দুই জনকে বা তাঁহাদের কোন একজনকে পাইল অথচ তাহারা তাহার বেহেশতে প্রবেশের কারণ হইল না! আমি বলিলাম :
আমীন (অর্থাৎ তাহাই হউক)। অতঃপর (দ্বিতীয়বার) তিনি বলিলেনঃ ধুলায় ধূসরিত হউক তাহার নাক যে রমযান মাস পাইল অথচ তাহার মাগফিরাত হইল না, আমি বলিলামঃ আমীন! অতঃপর জিবরাঈল পুনরায় বলিলেন, ধূলায় ধূসরিত হউক তাহার নাক যাহার সম্মুখে আপনার প্রসঙ্গ উত্থাপিত হইল অথচ সে আপনার প্রতি দরূদ পড়িল না। তখনও আমি বলিলামঃ আমীন।
আমীন (অর্থাৎ তাহাই হউক)। অতঃপর (দ্বিতীয়বার) তিনি বলিলেনঃ ধুলায় ধূসরিত হউক তাহার নাক যে রমযান মাস পাইল অথচ তাহার মাগফিরাত হইল না, আমি বলিলামঃ আমীন! অতঃপর জিবরাঈল পুনরায় বলিলেন, ধূলায় ধূসরিত হউক তাহার নাক যাহার সম্মুখে আপনার প্রসঙ্গ উত্থাপিত হইল অথচ সে আপনার প্রতি দরূদ পড়িল না। তখনও আমি বলিলামঃ আমীন।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي حَازِمٍ ، عَنْ كَثِيرٍ يَرْوِيهِ ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ رَبَاحٍ ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، " أَنّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَقَى الْمِنْبَرَ ، فَقَالَ : آمِينَ ، آمِينَ ، آمِينَ " ، قِيلَ لَهُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، مَا كُنْتَ تَصْنَعُ هَذَا ؟ فَقَالَ : قَالَ لِي جِبْرِيلُ : رَغِمَ أَنْفُ عَبْدٍ أَدْرَكَ أَبَوَيْهِ أَوْ أَحَدَهُمَا لَمْ يُدْخِلْهُ الْجَنَّةَ ، قُلْتُ : آمِينَ ، ثُمَّ قَالَ : رَغِمَ أَنْفُ عَبْدٍ دَخَلَ عَلَيْهِ رَمَضَانُ لَمْ يُغْفَرْ لَهُ ، فَقُلْتُ : آمِينَ ، ثُمَّ قَالَ : رَغِمَ أَنْفُ امْرِئٍ ذُكِرْتَ عِنْدَهُ فَلَمْ يُصَلِّ عَلَيْكَ ، فَقُلْتُ : آمِينَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৫১
২৮১- নবী করীম (ﷺ)-এর প্রসঙ্গ উত্থাপিত হওয়া সত্ত্বেও যে দরূদ পড়ে না
৬৫১. হযরত ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) হযরত জুওয়াইরিয়ার (নবী পত্নী) প্রমুখাৎ বর্ণনা করেন যে, একদা নবী করীম (ﷺ) তাঁহার ঘর হইতে বাহির হইলেন, তাঁহার নাম পূর্বে ছিল বার্রা। নবী করীম (ﷺ) তাঁহার নাম পরিবর্তন করিয়া রাখেন জুওয়াইরিয়া। তিনি তাঁহার ঘর হইতে বাহির হইবার সময় একথা তাঁহার মনঃপূত হইল না যে, তিনি তাঁহার ঘরে পুনরায় আসিয়া প্রবেশ করিবেন। অথচ তাঁহার নাম ঐ বারাই থাকিবে (তাই তিনি এই নতুন নামকরণ করিলেন)-অতঃপর বেলা উঠিলে তিনি প্রত্যাবর্তন করিলেন অথচ হযরত জুওয়াইরিয়া তখনো তেমনি ঠাঁয় বসিয়াই ছিলেন। তিনি তাঁহাকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেন, তুমি কি সেই যে বসিয়াছিলে তেমনি একনাগাড়ে বসিয়াই রহিয়াছ ? তোমার এখান হইতে যাওয়ার পর আমি চারটি কালিমা (কথা) তিনবার বলিয়াছি, যদি তোমার সমূহ কথার (অর্থাৎ দু'আ দরূদের) সহিত উহার ওযন করা হয় তবে আমার কথিত ঐ কালিমাগুলিই সমধিক ভারী প্রতিপন্ন হইবে। ঐগুলি হইল : سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ ، وَرِضَا نَفْسِهِ ، وَزِنَةَ عَرْشِهِ ، وَمِدَادَ أَوْ مَدَدَ كَلِمَاتِهِ "পবিত্রতা ও প্রশংসা আল্লাহরই— তাঁহার সৃষ্টির সংখ্যানুপাতে তাঁহার সন্তুষ্টি যতটুকুতে হয় ততটুকু তাঁহার আরশে ওযন অনুপাতে এবং তাঁহার কালিমাসমূহের আধিক্য অনুসারে।
حَدَّثَنَا عَلِيٌّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا سُفْيَانُ ، قَالَ : حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ مَوْلَى آلِ طَلْحَةَ ، قَالَ : سَمِعْتُ كُرَيْبًا أَبَا رِشْدِينَ ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ، عَنْ جُوَيْرِيَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ بْنِ أَبِي ضِرَارٍ ، " أَنّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ مِنْ عِنْدِهَا ، وَكَانَ اسْمُهَا بَرَّةَ ، فَحَوَّلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْمَهَا ، فَسَمَّاهَا جُوَيْرِيَةَ ، فَخَرَجَ وَكَرِهَ أَنْ يَدْخُلَ وَاسْمُهَا بَرَّةُ ، ثُمَّ رَجَعَ إِلَيْهَا بَعْدَمَا تَعَالَى النَّهَارُ ، وَهِيَ فِي مَجْلِسِهَا ، فَقَالَ : مَا زِلْتِ فِي مَجْلِسِكِ ؟ لَقَدْ قُلْتُ بَعْدَكِ أَرْبَعَ كَلِمَاتٍ ثَلاثَ مَرَّاتٍ ، لَوْ وُزِنَتْ بِكَلِمَاتِكِ وَزَنَتْهُنَّ : سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ ، وَرِضَا نَفْسِهِ ، وَزِنَةَ عَرْشِهِ ، وَمِدَادَ أَوْ مَدَدَ كَلِمَاتِهِ " . قَالَ مُحَمَّدٌ : حَدَّثَنَا عَلِيٌّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا بِهِ سُفْيَانُ غَيْرَ مَرَّةٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ ، عَنْ كُرَيْبٍ ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ، أَن ّالنَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ مِنْ عِنْدِ جُوَيْرِيَةَ ، وَلَمْ يَقُلْ : عَنْ جُوَيْرِيَةَ إِلا مَرَّةً

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৫২
২৮১- নবী করীম (ﷺ)-এর প্রসঙ্গ উত্থাপিত হওয়া সত্ত্বেও যে দরূদ পড়ে না
৬৫২. হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেন : আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা কর দোযখ হইতে, আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা কর কবরের আযাব হইতে, আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা কর মাসীহ দাজ্জালের ফিতনা হইতে এবং আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা কর, জীবন ও মৃত্যুর ফেৎনা হইতে।
حَدَّثَنَا ابْنُ سَلامٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ ، عَنِ الأَعْمَشِ ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " اسْتَعِيذُوا بِاللَّهِ مِنْ جَهَنَّمَ ، اسْتَعِيذُوا بِاللَّهِ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ ، اسْتَعِيذُوا بِاللَّهِ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ ، اسْتَعِيذُوا بِاللَّهِ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান