আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ

الأدب المفرد للبخاري

আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪৪৯
২০৪- ব্যাখ্যা সাপেক্ষে কাহাকেও মুনাফিক বলা
৪৩৯। হযরত আলী (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে এবং যুবায়র ইব্‌ন আওয়ামকে রওয়ানা করাইলেন। আমরা ঘোড়ায় চড়িয়া রওয়ানা হইলাম। যাত্রাকালে তিনি আমাদিগকে বলিলেন, যতক্ষণ না অমুক অমুক ধরনের একটি বাগানে পৌঁছবে এবং সেখানে পাইবে এক মহিলাকে (মক্কার) মুশরিকদের উদ্দেশ্যে লিখিত হাতিবের পত্র তাহার নিকট পাইবে ততক্ষণ পথ চলিতেই থাকিবে। আমরা পথ চলিতে লাগিলাম এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কথামত জনৈকা উষ্ট্রারোহিণী মহিলাকে চলন্ত অবস্থায় পাইয়া গেলাম। আমরা বলিলাম, পত্র কোথায় ? বাহির কর। সে বলিল, আমার কাছে কোন পত্র নাই । আমরা তখন তাহার এবং তাহার উষ্ট্রী তল্লাশী করিলাম। আমার সাথীটি বলিয়া উঠিলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মিথ্যা বলিতে পারেন না। (পত্র নিশ্চয়ই তাঁহার কাছে আছে)। অতঃপর আমি তাকে লক্ষ্য করিয়া বলিলাম, তুমি পত্র বাহির করিয়া দিবে, নতুবা আল্লাহ্‌র কসম, আমি তোমাকে উলঙ্গ করিয়া হইলেও পত্র বাহির করিব। তখন সে তাহার কোমরের দিকে হাত নিল এবং পত্রখানি বাহির করিয়া দিল। সে তখন একটি পশমী কাপড় পরিহিতা ছিল। আমরা তখন তাহা লইয়া নবী (ﷺ)-এর খিদমতে আসিয়া উপস্থিত হইলাম। তখন উমর (রাযিঃ) বলিয়া উঠিলেন, এই ব্যক্তি (হাতিব) আল্লাহ্, তাঁহার রাসূল এবং মুসলিম জাতির সহিত বিশ্বাসঘাতকতা করিয়াছে। আমাকে তাহার গর্দান মারিতে দিন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হাতিবকে জিজ্ঞাসা করিলেন যে, তুমি কেন এমনটি করিতে গেলে? হাতিব বলিলেনঃ (ইয়া রাসূলাল্লাহ্!) আমার ঈমান ঠিকই আছে, আমি শুধু চাহিয়াছিলাম যে, কাওমের উপর আমার একটু অনুগ্রহ থাকুক । রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেন, হে উমর! সে ঠিকই বলিয়াছে। সে কি বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে নাই। এই জন্যই হয়তো আল্লাহ্ তাআলা তাঁহাদের (বদরযুদ্ধে অংশ গ্রহণকারীদের) সম্পর্কে বলিয়াছেন যে, “তোমরা যাহা ইচ্ছা কর না কেন, তোমাদের জন্য জান্নাত ওয়াজিব হইয়া গিয়াছে।” হযরত উমরের চক্ষুদ্বয় তখন অশ্রুসজল হইয়া উঠিল। তিনি বলিয়া উঠিলেন, আল্লাহ্ এবং তদীয় রাসূলই সমধিক জ্ঞাত ।
بَابُ مَنْ قَالَ لآخَرَ‏:‏ يَا مُنَافِقُ، فِي تَأْوِيلٍ تَأَوَّلَهُ
حَدَّثَنَا مُوسَى، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا حُصَيْنٌ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ قَالَ‏:‏ سَمِعْتُ عَلِيًّا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يَقُولُ‏:‏ بَعَثَنِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَالزُّبَيْرَ بْنَ الْعَوَّامِ، وَكِلاَنَا فَارِسٌ، فَقَالَ‏:‏ انْطَلِقُوا حَتَّى تَبْلُغُوا رَوْضَةَ كَذَا وَكَذَا، وَبِهَا امْرَأَةٌ مَعَهَا كِتَابٌ مِنْ حَاطِبٍ إِلَى الْمُشْرِكِينَ، فَأْتُونِي بِهَا، فَوَافَيْنَاهَا تَسِيرُ عَلَى بَعِيرٍ لَهَا حَيْثُ وَصَفَ لَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم، فَقُلْنَا‏:‏ الْكِتَابُ الَّذِي مَعَكِ‏؟‏ قَالَتْ‏:‏ مَا مَعِي كِتَابٌ، فَبَحَثْنَاهَا وَبَعِيرَهَا، فَقَالَ صَاحِبِي‏:‏ مَا أَرَى، فَقُلْتُ‏:‏ مَا كَذَبَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَأُجَرِّدَنَّكِ أَوْ لَتُخْرِجِنَّهُ، فَأَهْوَتْ بِيَدِهَا إِلَى حُجْزَتِهَا وَعَلَيْهَا إِزَارٌ صُوفٌ، فَأَخْرَجَتْ، فَأَتَيْنَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، فَقَالَ عُمَرُ‏:‏ خَانَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَالْمُؤْمِنِينَ، دَعْنِي أَضْرِبْ عُنُقَهُ، وَقَالَ‏:‏ مَا حَمَلَكَ‏؟‏ فَقَالَ‏:‏ مَا بِي إِلاَّ أَنْ أَكُونَ مُؤْمِنًا بِاللَّهِ، وَأَرَدْتُ أَنْ يَكُونَ لِي عِنْدَ الْقَوْمِ يَدٌ، قَالَ‏:‏ صَدَقَ يَا عُمَرُ، أَوَ لَيْسَ قَدْ شَهِدَ بَدْرًا، لَعَلَّ اللَّهَ اطَّلَعَ إِلَيْهِمْ فَقَالَ‏:‏ اعْمَلُوا مَا شِئْتُمْ فَقَدْ وَجَبَتْ لَكُمُ الْجَنَّةُ، فَدَمَعَتْ عَيْنَا عُمَرَ وَقَالَ‏:‏ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান