আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ

الأدب المفرد للبخاري

আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৩৩৯
১৫৫- প্রশংসাকারীর মুখে ধূলি নিক্ষেপ
৩৩৯। হযরত আবু মা’মার বলেন, এক ব্যক্তি জনৈক আমীরের সম্মুখে দাঁড়াইয়া তাহার স্তুতিবাদ করিতেছিল । হযরত মিকদাদ (রাযিঃ) তাহার মুখের উপর ধূলি নিক্ষেপ করিলেন এবং বলিলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদিগকে প্রশংসাকারীদের মুখে ধূলি নিক্ষেপ করিতে আদেশ করিয়াছেন।
بَابُ يُحْثَى فِي وُجُوهِ الْمَدَّاحِينَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدٍ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ قَالَ‏:‏ قَامَ رَجُلٌ يُثْنِي عَلَى أَمِيرٍ مِنَ الأُمَرَاءِ، فَجَعَلَ الْمِقْدَادُ يَحْثِي فِي وَجْهِهِ التُّرَابَ، وَقَالَ‏:‏ أَمَرَنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ نَحْثِيَ فِي وُجُوهِ الْمَدَّاحِينَ التُّرَابَ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৪০
১৫৫- প্রশংসাকারীর মুখে ধূলি নিক্ষেপ
৩৪০। আতা ইব্‌ন আবু রিবাহ বলেনঃ এক ব্যক্তি হযরত ইব্‌ন উমর (রাযিঃ)-এর সম্মুখে অপর এক ব্যক্তির প্রশংসা করিতেছিল । হযরত ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) তাহার মুখের দিকে ধূলি নিক্ষেপ করিলেন এবং বলিলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যখন তোমার প্রশংসাকারীদিগকে দেখিবে তখন তাহাদের মুখে ধূলি ছুঁড়িয়া মারিবে।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدٍ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، أَنَّ رَجُلاً كَانَ يَمْدَحُ رَجُلاً عِنْدَ ابْنِ عُمَرَ فَجَعَلَ ابْنُ عُمَرَ يَحْثُو التُّرَابَ نَحْوَ فِيهِ، وَقَالَ‏:‏ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم‏:‏ إِذَا رَأَيْتُمُ الْمَدَّاحِينَ فَاحْثُوا فِي وُجُوهِهِمُ التُّرَابَ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৪১
১৫৫- প্রশংসাকারীর মুখে ধূলি নিক্ষেপ
৩৪১। রাজা ইব্‌ন আবু রাজা বলেনঃ একদা আমি হযরত মিহজান আসলামীর সহিত ছিলাম। আমরা পথ চলিতে চলিতে বসরাবাসীদের এক মসজিদ পর্যন্ত গিয়া পৌছিলাম। সেখানে গিয়া দেখি মসজিদের এক দরজায় হযরত বুরায়দা আসলামী বসিয়া রহিয়াছেন। রাবী বলেনঃ মসজিদে সাকবা নামক এক ব্যক্তি ছিলেন। তিনি অত্যন্ত দীর্ঘ নামায পড়িতেন। আমরা যখন মসজিদের দরজায় গিয়া পৌছিলাম, বুরায়দার গায়ে তখন একখানা চাদর জড়ানো ছিল এবং তিনি অত্যন্ত রসিক মেজাজের লোক ছিলেন। তিনি বলিয়া উঠিলেন, কী মিহজান! তুমি কি সাকাবার মত নামায পড়িতে পারিবে ? মিহজান উহার কোন উত্তর না দিয়াই প্রত্যাবর্তন করিলেন। রাবী বলেনঃ মিহ্‌জান বলিয়াছেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার হাত ধরিলেন এবং পথ চলিতে শুরু করিলেন। চলিতে চলিতে আমরা উহুদ পাহাড়ে গিয়া উঠিলাম । রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সেখান হইতে মদীনার দিকে তাকাইয়া বলিলেনঃ এই জনপদের জন্য দুঃখ হয়, যখন উহা পুরাপুরি বসতিপূর্ণ থাকিবে এমনি সময় উহার অধিবাসীরা উহা ত্যাগ করিবে। এখানে দাজ্জাল আসিবে এবং উহার প্রত্যেক ফটকে এক একজন ফিরিশতাকে দেখিতে পাইবে। সুতরাং সে উহাতে প্রবেশ করিতে পারিবে না। ফিরিয়া আমরা যখন মসজিদে (নববীতে) আসিলাম তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এক ব্যক্তিকে নামায ও রুকূ সিজ্দাতে মশগুল দেখিতে পাইলেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, ঐ লোকটি কে? আমি তখন তাহার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করিয়া বলিতে লাগিলাম, এই সেই ব্যক্তি যাহার অমুক অমুক গুণ রহিয়াছে। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে বলিলেনঃ ক্ষান্ত হও, উহাকে শুনাইবে না, নতুবা তুমি তাহার সর্বনাশ করিয়া ফেলিবে। রাবী বলেন, অতঃপর তিনি চলিতে থাকিলেন এবং যখন তাঁহার হুজ্‌রার নিকট আসিলেন তখন তাঁহার হস্তদ্বয় ঝাড়া দিয়া বলিলেনঃ তোমাদের উত্তম দীন হইল উহার সহজতর রূপ, তোমাদের উত্তম দীন হইল উহার সহজতর রূপ। এ রূপ তিনি তিনবার বলিলেন।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدٍ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا مُوسَى، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ رَجَاءِ بْنِ أَبِي رَجَاءٍ، عَنْ مِحْجَنٍ الأَسْلَمِيِّ قَالَ رَجَاءٌ‏:‏ أَقْبَلْتُ مَعَ مِحْجَنٍ ذَاتَ يَوْمٍ حَتَّى انْتَهَيْنَا إِلَى مَسْجِدِ أَهْلِ الْبَصْرَةِ، فَإِذَا بُرَيْدَةُ الأَسْلَمِيُّ عَلَى بَابٍ مِنْ أَبْوَابِ الْمَسْجِدِ جَالِسٌ، قَالَ‏:‏ وَكَانَ فِي الْمَسْجِدِ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ‏:‏ سُكْبَةُ، يُطِيلُ الصَّلاَةَ، فَلَمَّا انْتَهَيْنَا إِلَى بَابِ الْمَسْجِدِ، وَعَلَيْهِ بُرْدَةٌ، وَكَانَ بُرَيْدَةُ صَاحِبَ مُزَاحَاتٍ، فَقَالَ‏:‏ يَا مِحْجَنُ أَتُصَلِّي كَمَا يُصَلِّي سُكْبَةُ‏؟‏ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ مِحْجَنٌ، وَرَجَعَ، قَالَ‏:‏ قَالَ مِحْجَنٌ‏:‏ إِنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَخَذَ بِيَدِي، فَانْطَلَقْنَا نَمْشِي حَتَّى صَعِدْنَا أُحُدًا، فَأَشْرَفَ عَلَى الْمَدِينَةِ فَقَالَ‏:‏ وَيْلُ أُمِّهَا مِنْ قَرْيَةٍ، يَتْرُكُهَا أَهْلُهَا كَأَعْمَرَ مَا تَكُونُ، يَأْتِيهَا الدَّجَّالُ، فَيَجِدُ عَلَى كُلِّ بَابٍ مِنْ أَبْوَابِهَا مَلَكًا، فَلاَ يَدْخُلُهَا، ثُمَّ انْحَدَرَ حَتَّى إِذَا كُنَّا فِي الْمَسْجِدِ، رَأَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً يُصَلِّي، وَيَسْجُدُ، وَيَرْكَعُ، فَقَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم‏:‏ مَنْ هَذَا‏؟‏ فَأَخَذْتُ أُطْرِيهِ، فَقُلْتُ‏:‏ يَا رَسُولَ اللهِ، هَذَا فُلاَنٌ، وَهَذَا‏.‏ فَقَالَ أَمْسِكْ، لاَ تُسْمِعْهُ فَتُهْلِكَهُ، قَالَ‏:‏ فَانْطَلَقَ يَمْشِي، حَتَّى إِذَا كَانَ عِنْدَ حُجَرِهِ، لَكِنَّهُ نَفَضَ يَدَيْهِ ثُمَّ قَالَ‏:‏ إِنَّ خَيْرَ دِينِكُمْ أَيْسَرُهُ، إِنَّ خَيْرَ دِينِكُمْ أَيْسَرُهُ ثَلاثًا‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান