আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ
الأدب المفرد للبخاري
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২৭০
১৩৫- উত্তম স্বভাব-চরিত্র।
২৭০। আবু দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) বলেনঃ ওজনদণ্ডে উত্তম স্বভাব-চরিত্রের চেয়ে অধিক ভারী আর কোন আমল হইবে না।
بَابُ حُسْنِ الْخُلُقِ
عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ رَضِيَ اللَّهُ تَعَالَى عَنْهُ , قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " مَا مِنْ شَيْءٍ فِي الْمِيزَانِ أَثْقَلَ مِنْ خُلُقٍ حَسَنٍ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৭১
১৩৫- উত্তম স্বভাব-চরিত্র।
২৭১৷ আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) বলেন, নবী (ﷺ) নিজেও অশ্লীলভাষী ছিলেন না এবং অশ্লীলতাকে তিনি পছন্দও করতেন না। তিনি বলতেনঃ তোমাদের মধ্যে উত্তম স্বভাব-চরিত্রের লোকই সর্বোত্তম।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: لَمْ يَكُنِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَاحِشًا وَلاَ مُتَفَحِّشًا، وَكَانَ يَقُولُ: خِيَارُكُمْ أَحَاسِنُكُمْ أَخْلاَقًا.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৭২
১৩৫- উত্তম স্বভাব-চরিত্র।
২৭২। আমর ইবনে শুআইব (রহঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি নবী (ﷺ)-কে বলতে শুনেছেনঃ আমার নিকট প্রিয়তর এবং কিয়ামতের দিন আমার নিকটবর্তী আসনে উপবিষ্ট হবে তোমাদের মধ্যকার এমন ব্যক্তি সম্পর্কে আমি কি তোমাদের অবহিত করবো না? লোকজন চুপ থাকলো। তিনি দুই অথবা তিনবার কথাটি বললেন। লোকজন বললো, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ। তিনি বলেনঃ তোমাদের মধ্যকার সর্বোত্তম স্বভাব-চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তি।
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ قَالَ: حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ الْهَادِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: أُخْبِرُكُمْ بِأَحَبِّكُمْ إِلَيَّ، وَأَقْرَبِكُمْ مِنِّي مَجْلِسًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ؟ فَسَكَتَ الْقَوْمُ، فَأَعَادَهَا مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا، قَالَ الْقَوْمُ: نَعَمْ يَا رَسُولَ اللهِ، قَالَ: أَحْسَنُكُمْ خُلُقًا.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৭৩
১৩৫- উত্তম স্বভাব-চরিত্র।
২৭৩। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ সর্বোত্তম স্বভাব-চরিত্রের পূর্ণতা দান করার জন্যই আমি প্রেরিত হয়েছি।
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلاَنَ، عَنِ الْقَعْقَاعِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: إِنَّمَا بُعِثْتُ لِأُتَمِّمَ صَالِحَ الأَخْلاقِ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৭৪
১৩৫- উত্তম স্বভাব-চরিত্র।
২৭৪। আয়েশা (রাঃ) বলেন, যখনই রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে দুইটি ব্যাপারের একটি বেছে নেয়ার এখতিয়ার দেয়া হয়েছে, তখনই তিনি সহজতরটিকে বেছে নিয়েছেন, যতক্ষণ না তা পাপাচার হতো। যদি তা পাপাচার হতো তবে তিনি লোকজনের চেয়ে তা থেকে সর্বাধিক দূরে থাকতেন। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কখনো ব্যক্তিগত প্রতিশোধ গ্রহণ করেননি। অবশ্য আল্লাহ তাআলার বিধানের পরিপন্থী কোন কিছু হতে দেখলে তিনি মহামহিম আল্লাহর জন্য তার প্রতিশোধ গ্রহণ করতেন।
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا أَنَّهَا قَالَتْ: مَا خُيِّرَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ أَمْرَيْنِ إِلاَّ اخْتَارَ أَيْسَرَهُمَا، مَا لَمْ يَكُنْ إِثْمًا، فَإِذَا كَانَ إِثْمًا كَانَ أَبْعَدَ النَّاسِ مِنْهُ، وَمَا انْتَقَمَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لِنَفْسِهِ، إِلاَّ أَنْ تُنْتَهَكَ حُرْمَةُ اللهِ تَعَالَى، فَيَنْتَقِمُ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ بِهَا.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৭৫
১৩৫- উত্তম স্বভাব-চরিত্র।
২৭৫। আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আল্লাহ তায়ালা তোমাদের মধ্যে চরিত্র বণ্টন করেছেন যেভাবে তোমাদের মধ্যে রিযিক বণ্টন করেছেন। আল্লাহ যাকে ভালোবাসেন এবং যাকে ভালোবাসেন না তাদের সকলকেই সম্পদ দান করেছেন। কিন্তু তিনি ঈমান দান করেছেন কেবল যাদেরকে তিনি ভালোবাসেন। অতএব যে ব্যক্তি সম্পদ ব্যয়ে কৃপণ, শত্রুর বিরুদ্ধে জিহাদে ভীত এবং ইবাদতের মাধ্যমে রাত জাগরণে দুর্বল, সে যেন বেশী পাঠ করেঃ “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া সুবহানাল্লাহি ওয়াল-হামদু লিল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবার” (আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই। তিনি মহাপবিত্র, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর এবং আল্লাহ মহান)।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ زُبَيْدٍ، عَنْ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ: إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَسَمَ بَيْنَكُمْ أَخْلاَقَكُمْ، كَمَا قَسَمَ بَيْنَكُمْ أَرْزَاقَكُمْ، وَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يُعْطِي الْمَالَ مَنْ أَحَبَّ وَمَنْ لاَ يُحِبُّ، وَلاَ يُعْطِي الإِيمَانَ إِلاَّ مَنْ يُحِبُّ، فَمَنْ ضَنَّ بِالْمَالِ أَنْ يُنْفِقَهُ، وَخَافَ الْعَدُوَّ أَنْ يُجَاهِدَهُ، وَهَابَ اللَّيْلَ أَنْ يُكَابِدَهُ، فَلْيُكْثِرْ مِنْ قَوْلِ: لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، وَسُبْحَانَ اللهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান