আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ
الأدب المفرد للبخاري
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪৯
২৬- আত্মীয়-স্বজনের সহিত ঘনিষ্ঠ আচরণ
৪৯। হযরত আবু আইউব আনসারী (রাযিঃ) বলেন, জনৈক বেদুইন নবী করীম (ﷺ)-এর এক ভ্রমণকালে তাহার খেদমতে উপস্থিত হইয়া আরয করিলঃ (ইয়া রাসূলাল্লাহ!) যাহা আমাকে বেহেশতের নিকটবর্তী এবং দোযখ হইতে দূরবর্তী করিবে, সে সম্পর্কে আমাকে অবগত করুন! ফরমাইলেন, ইবাদত করিবে আল্লাহর এবং শরীক করিবে না তাহার সহিত অন্য কাহাকেও, সালাত কায়েম করিবে, যাকাত প্রদান করিবে এবং আত্মীয়-স্বজনের প্রতি ঘনিষ্ঠ আচরণ করিবে।
بَابُ صِلَةِ الرَّحِمِ
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَوْهَبٍ قَالَ: سَمِعْتُ مُوسَى بْنَ طَلْحَةَ يَذْكُرُ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ، أَنَّ أَعْرَابِيًّا عَرَضَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي مَسِيرِهِ، فَقَالَ: أَخْبِرْنِي مَا يُقَرِّبُنِي مِنَ الْجَنَّةِ، وَيُبَاعِدُنِي مِنَ النَّارِ؟ قَالَ: تَعْبُدُ اللَّهَ وَلاَ تُشْرِكْ بِهِ شَيْئًا، وَتُقِيمُ الصَّلاَةَ، وَتُؤْتِي الزَّكَاةَ، وَتَصِلُ الرَّحِمَ.
হাদীস নং:৫০
২৬- আত্মীয়-স্বজনের সহিত ঘনিষ্ঠ আচরণ
৫০। হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ফরমাইয়াছেন ? আল্লাহ্ তা'আলা যখন সমস্ত সৃষ্টি জগতকে সৃষ্টি করিয়া সম্পন্ন করিলেন, তখন ‘রেহেম উঠিয়া দাঁড়াইল। আল্লাহ্ তা'আলা জিজ্ঞাসা করিলেন ঃ কি চাস্ হে ? সে নিবেদন করিল ও আমাকে ছিন্নকারী হইতে তােমার শরণ কামনা করছি প্রভূ! ফরমাইলেন ঃ তুই কি ইহাতে সন্তুষ্ট নস্ যে, যে তােকে যুক্ত রাখিব আর যে তােকে বিচ্ছিন্ন করিবে, আমি তাহাকে বিচ্ছিন্ন করিব? রেহেম বলিল ঃ জ্বী হ্যা, ফরমাইলেনঃ ইহা তাে তােরই জন্য। অতঃপর আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলিলেন ঃ ইচ্ছা ইহলে পড়িতে পার ?
فَهَلْ عَسَيْتُمْ إِنْ تَوَلَّيْتُمْ أَنْ تُفْسِدُوا فِي الأَرْضِ وَتُقَطِّعُوا أَرْحَامَكُمْ “তবে কি (হে মুনাফিক সমাজ!) তােমরা আধিপত্য লাভ করিলে পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করিবে এবং আত্মীয়তার বন্ধনসমূহকে ছিন্ন করিবে? (কুরআন- ৪৭ঃ২২)
فَهَلْ عَسَيْتُمْ إِنْ تَوَلَّيْتُمْ أَنْ تُفْسِدُوا فِي الأَرْضِ وَتُقَطِّعُوا أَرْحَامَكُمْ “তবে কি (হে মুনাফিক সমাজ!) তােমরা আধিপত্য লাভ করিলে পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করিবে এবং আত্মীয়তার বন্ধনসমূহকে ছিন্ন করিবে? (কুরআন- ৪৭ঃ২২)
بَابُ صِلَةِ الرَّحِمِ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ قَالَ: حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي مُزَرِّدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: خَلَقَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ الْخَلْقَ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْهُ قَامَتِ الرَّحِمُ، فَقَالَ: مَهْ، قَالَتْ: هَذَا مَقَامُ الْعَائِذِ بِكَ مِنَ الْقَطِيعَةِ، قَالَ: أَلاَ تَرْضَيْنَ أَنْ أَصِلَ مَنْ وَصَلَكِ، وَأَقْطَعَ مَنْ قَطَعَكِ؟ قَالَتْ: بَلَى يَا رَبِّ، قَالَ: فَذَلِكَ لَكِ ثُمَّ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: اقْرَؤُوا إِنْ شِئْتُمْ: (فَهَلْ عَسَيْتُمْ إِنْ تَوَلَّيْتُمْ أَنْ تُفْسِدُوا فِي الأَرْضِ وَتُقَطِّعُوا أَرْحَامَكُمْ).
হাদীস নং:৫১
২৬- আত্মীয়-স্বজনের সহিত ঘনিষ্ঠ আচরণ
৫১। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) কুরআন শরীফের আয়াত ঃ وَآتِ ذَا الْقُرْبَى حَقَّهُ وَالْمِسْكِينَ وَابْنَ السَّبِيلِ وَإِمَّا تُعْرِضَنَّ عَنْهُمُ ابْتِغَاءَ رَحْمَةٍ مِنْ رَبِّكَ تَرْجُوهَا فَقُلْ لَهُمْ قَوْلًا مَيْسُورًا (28) وَلَا تَجْعَلْ يَدَكَ مَغْلُولَةً إِلَى عُنُقِكَ وَلَا تَبْسُطْهَا كُلَّ الْبَسْطِ فَتَقْعُدَ مَلُومًا مَحْسُورً শেষ পর্যন্ত তিলাওয়াত করিয়া বলিলেনঃ যদি কাহারও হাতে অর্থ সম্পদ বলিতে কিছু থাকে, তাহা হইলে আল্লাহ তা'আলা শুরুতেই তাহার সবচাইতে জরুরী কর্তব্য বলিয়া দিলেন--“নিকটাত্মীয়কে তাহাদের হক প্রদান কর এবং দুঃস্থ-দরিদ্র ও পথিকজনকেও!” (কুরআন ও ১৭ ঃ ২৬) তারপর যদি তাহার কাছে কিছু একান্তই না থাকে, তবে কি করিবে, তাহা শিক্ষা দিলেন। (এই বলিয়া) “যদি তুমি তােমার প্রভুর রহমতের আশায় থাক”—যাহা তােমার আকাঙ্খিত (অর্থাৎ বর্তমানে হাতে কিছু নাই—যদ্দরুন যাচ্ঞাকারীর যাচ্ঞা পূরণ করিতে পারিতেছ না) “তাহা হইলে তাহাকে কোমল বাক্য বলিয়া দাও।”(কুরআন, ১৭ঃ ২৮)
অর্থাৎ উত্তম প্রতিশ্রুতি দাও! যেন ইহা নিশ্চিত এবং আল্লাহ চাহেত শীঘ্রই হইয়া যাইবে। “এবং নিজের হাতকে ঘাড়ের সহিত লটকাইয়া রাখিও না।” অর্থাৎ দানে একেবারেই বিরত থাকিও না। “আবার উহা সম্পূর্ণরূপে প্রসারিত করিয়াও দিও না।” অর্থাৎ যাহা আছে সবই দান করিয়া বসিও না--“যাহাতে বসিয়া পড় তিরস্কৃত অবস্থায়” অর্থাৎ পরে যাহারা আসিবে তাহারা যেন তােমাদিগকে রিক্তহস্ত দেখিয়া তিরস্কার না করে। “এবং আক্ষেপগ্রস্ত অবস্থায়" (কুরআন, ১৭ঃ ২৯) অর্থাৎ -- যাহা
দান করিয়া দিয়াছ, তাহার জন্য পাছে আক্ষেপ করিতে না হয়।
অর্থাৎ উত্তম প্রতিশ্রুতি দাও! যেন ইহা নিশ্চিত এবং আল্লাহ চাহেত শীঘ্রই হইয়া যাইবে। “এবং নিজের হাতকে ঘাড়ের সহিত লটকাইয়া রাখিও না।” অর্থাৎ দানে একেবারেই বিরত থাকিও না। “আবার উহা সম্পূর্ণরূপে প্রসারিত করিয়াও দিও না।” অর্থাৎ যাহা আছে সবই দান করিয়া বসিও না--“যাহাতে বসিয়া পড় তিরস্কৃত অবস্থায়” অর্থাৎ পরে যাহারা আসিবে তাহারা যেন তােমাদিগকে রিক্তহস্ত দেখিয়া তিরস্কার না করে। “এবং আক্ষেপগ্রস্ত অবস্থায়" (কুরআন, ১৭ঃ ২৯) অর্থাৎ -- যাহা
দান করিয়া দিয়াছ, তাহার জন্য পাছে আক্ষেপ করিতে না হয়।
بَابُ صِلَةِ الرَّحِمِ
حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي سَعْدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي مُوسَى، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: (وَآتِ ذَا الْقُرْبَى حَقَّهُ وَالْمِسْكِينَ وَابْنَ السَّبِيلِ...)، قَالَ: بَدَأَ فَأَمَرَهُ بِأَوْجَبِ الْحُقُوقِ، وَدَلَّهُ عَلَى أَفْضَلِ الأَعْمَالِ إِذَا كَانَ عِنْدَهُ شَيْءٌ فَقَالَ: (وَآتِ ذَا الْقُرْبَى حَقَّهُ وَالْمِسْكِينَ وَابْنَ السَّبِيلِ)، وَعَلَّمَهُ إِذَا لَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ شَيْءٌ كَيْفَ يَقُولُ، فَقَالَ: (وَإِمَّا تُعْرِضَنَّ عَنْهُمُ ابْتِغَاءَ رَحْمَةٍ مِنْ رَبِّكَ تَرْجُوهَا فَقُلْ لَهُمْ قَوْلاً مَيْسُورًا) عِدَّةً حَسَنَةً كَأَنَّهُ قَدْ كَانَ، وَلَعَلَّهُ أَنْ يَكُونَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، (وَلاَ تَجْعَلْ يَدَكَ مَغْلُولَةً إِلَى عُنُقِكَ) لاَ تُعْطِي شَيْئًا، (وَلاَ تَبْسُطْهَا كُلَّ الْبَسْطِ) تُعْطِي مَا عِنْدَكَ، (فَتَقْعُدَ مَلُومًا) يَلُومُكَ مَنْ يَأْتِيكَ بَعْدُ، وَلاَ يَجِدُ عِنْدَكَ شَيْئًا (مَحْسُورًا)، قَالَ: قَدْ حَسَّرَكَ مَنْ قَدْ أَعْطَيْتَهُ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান