আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ
الأدب المفرد للبخاري
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২৪
১৩– মুশরিক পিতার সহিত সদ্ব্যবহার।
২৪। হযরত সা'দ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রাযিঃ) বলেন ঃ আমাকে উপলক্ষ্য করিয়া কুরআন শরীফের চারিখানা আয়াত অবতীর্ণ হইয়াছে। (প্রথমত) আমার মাতা শপথ করিয়াছিলেন যে, যতক্ষণ পর্যন্ত মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর সঙ্গ ত্যাগ না করিব ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি পানাহার করিবেন না। তখন আল্লাহ্ তা'আলা নাযিল করিলেনঃ
“তাহারা (পিতামাতা) যদি আমার সহিত অংশী সাব্যস্ত (শিরক) করিতে তােমাকে চাপ দেয়-যে বিষয়ে তােমাদের কোনই জ্ঞান নাই-তবে তুমি (এ ব্যাপারে) তাহাদের অনুগত্য করিবে না, তবে, পার্থিব ব্যাপারসমূহে তাহাদিগের সহিত সৌজন্য রক্ষা করিয়া চলিবে।” (কুরআন, ৩১ ঃ ১৫)
(দ্বিতীয়ত) একদা (যুদ্ধলব্ধ দ্রব্য সম্ভারের) একখানি তরবারী আমি পাই । উহা আমার বড় পছন্দ হয় । আমি বলিলাম ঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ! আমাকে উহা দান করুন। তখন নাযিল হইল ঃ “লােকে আপনার নিকট যুদ্ধলব্ধ দ্রব্যসম্ভার সম্পর্কে প্রশ্ন করে।”
(তৃতীয়ত) একদা আমি রােগগ্রস্ত হই। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) রােগশয্যায় আমাকে দেখিতে আসেন। আমি তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম ঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ্ ! আমি আমার সম্পদ বন্টন করিয়া দিতে চাই। আমি কি আমার অর্ধেক সম্পত্তি সম্পর্কে অসিয়ত করিব ? তিনি বলিলেন, না। আমি বলিলাম ঃ তাহা হইলে এক
তৃতীয়াংশ সম্পর্কে ? তখন তিনি নিরুত্তর রহিলেন এবং উহাই শেষ পর্যন্ত বৈধ হয়। (অর্থাৎ যে কোন ব্যক্তি তাহার সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশ তাহার উত্তরাধিকারীদিগকে প্রদানের পরিবর্তে অন্য কাজে ব্যয় করিবার অসিয়্যত করিয়া যাইতে পারে। ততােধিক পরিমাণের অসিয়্যত করিলেও তাহা কার্যকরী করা
সিদ্ধ নহে)
(চতুর্থত) একদা আমি কতিপয় আনসারী সাহাবীর সহিত একত্রে মদ্যপান করি। তন্মধ্যে এক ব্যক্তি (মাতাল অবস্থায়) উটের নীচের চোয়ালের হাড় আমার নাকের উপর ছুড়িয়া মারে। তখন আমি নবী করীম (ﷺ)-এর দরবারে গিয়া উপস্থিত হই এবং আল্লাহ তাআলার মদ্যপান অবৈধ ঘােষণা করিয়া আয়াত নাযিল করেনঃ
“তাহারা (পিতামাতা) যদি আমার সহিত অংশী সাব্যস্ত (শিরক) করিতে তােমাকে চাপ দেয়-যে বিষয়ে তােমাদের কোনই জ্ঞান নাই-তবে তুমি (এ ব্যাপারে) তাহাদের অনুগত্য করিবে না, তবে, পার্থিব ব্যাপারসমূহে তাহাদিগের সহিত সৌজন্য রক্ষা করিয়া চলিবে।” (কুরআন, ৩১ ঃ ১৫)
(দ্বিতীয়ত) একদা (যুদ্ধলব্ধ দ্রব্য সম্ভারের) একখানি তরবারী আমি পাই । উহা আমার বড় পছন্দ হয় । আমি বলিলাম ঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ! আমাকে উহা দান করুন। তখন নাযিল হইল ঃ “লােকে আপনার নিকট যুদ্ধলব্ধ দ্রব্যসম্ভার সম্পর্কে প্রশ্ন করে।”
(তৃতীয়ত) একদা আমি রােগগ্রস্ত হই। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) রােগশয্যায় আমাকে দেখিতে আসেন। আমি তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম ঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ্ ! আমি আমার সম্পদ বন্টন করিয়া দিতে চাই। আমি কি আমার অর্ধেক সম্পত্তি সম্পর্কে অসিয়ত করিব ? তিনি বলিলেন, না। আমি বলিলাম ঃ তাহা হইলে এক
তৃতীয়াংশ সম্পর্কে ? তখন তিনি নিরুত্তর রহিলেন এবং উহাই শেষ পর্যন্ত বৈধ হয়। (অর্থাৎ যে কোন ব্যক্তি তাহার সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশ তাহার উত্তরাধিকারীদিগকে প্রদানের পরিবর্তে অন্য কাজে ব্যয় করিবার অসিয়্যত করিয়া যাইতে পারে। ততােধিক পরিমাণের অসিয়্যত করিলেও তাহা কার্যকরী করা
সিদ্ধ নহে)
(চতুর্থত) একদা আমি কতিপয় আনসারী সাহাবীর সহিত একত্রে মদ্যপান করি। তন্মধ্যে এক ব্যক্তি (মাতাল অবস্থায়) উটের নীচের চোয়ালের হাড় আমার নাকের উপর ছুড়িয়া মারে। তখন আমি নবী করীম (ﷺ)-এর দরবারে গিয়া উপস্থিত হই এবং আল্লাহ তাআলার মদ্যপান অবৈধ ঘােষণা করিয়া আয়াত নাযিল করেনঃ
بَابُ بِرِّ الْوَالِدِ الْمُشْرِكِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، قَالَ: حَدَّثَنَا سِمَاكٌ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ قَالَ: نَزَلَتْ فِيَّ أَرْبَعُ آيَاتٍ مِنْ كِتَابِ اللهِ تَعَالَى: كَانَتْ أُمِّي حَلَفَتْ أَنْ لاَ تَأْكُلَ وَلاَ تَشْرَبَ حَتَّى أُفَارِقَ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم، فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: (وَإِنْ جَاهَدَاكَ عَلَى أَنْ تُشْرِكَ بِي مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ فَلاَ تُطُعْهُمَا وَصَاحِبْهُمَا فِي الدُّنْيَا مَعْرُوفًا). وَالثَّانِيَةُ: أَنِّي كُنْتُ أَخَذْتُ سَيْفًا أَعْجَبَنِي، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ، هَبْ لِي هَذَا، فَنَزَلَتْ: (يَسْأَلُونَكَ عَنِ الأَنْفَالِ). وَالثَّالِثَةُ: أَنِّي مَرِضْتُ فَأَتَانِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ، إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أَقْسِمَ مَالِي، أَفَأُوصِي بِالنِّصْفِ؟ فَقَالَ: لاَ، فَقُلْتُ: الثُّلُثُ؟ فَسَكَتَ، فَكَانَ الثُّلُثُ بَعْدَهُ جَائِزًا. وَالرَّابِعَةُ: إِنِّي شَرِبْتُ الْخَمْرَ مَعَ قَوْمٍ مِنَ الأَنْصَارِ، فَضَرَبَ رَجُلٌ مِنْهُمْ أَنْفِي بِلَحْيِ جَمَلٍ، فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَنْزَلَ عَزَّ وَجَلَّ تَحْرِيمَ الْخَمْرِ.