আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

১৮- বিবিধ প্রসঙ্গ। - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১০০৮
সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়া
১০০৮। ইবনে উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। “দুলুকিশ-শামস”, “সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়া” (সূরা ইসরাঃ ৬৮)-এর অর্থ সূর্য পশ্চিমাকাশে ঝুঁকে পড়া।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: " دُلُوكُ الشَّمْسِ: مَيْلُهَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১০০৯
সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়া
১০০৯। ইরনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলতেন, “দুলুকিশ শামস” অর্থ সূর্য পশ্চিম গগনে ঝুঁকে পড়া এবং “গাসাকিল লাইল” অর্থ রাত ও তার অন্ধকার একত্র হওয়া, ঘণিভূত হওয়া ।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, এটা ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) ও ইবনে উমার (রাযিঃ)-র ব্যক্তিগত অভিমত। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, “দুলুকিশ শামস’ অর্থ সূর্য অস্ত যাওয়া। তবে দু'টি ব্যাখ্যাই সুন্দর।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ الْحُصَيْنِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: " كَانَ يَقُولُ: دُلُوكُ الشَّمْسِ: مَيْلُهَا، وَغَسَقُ اللَّيْلِ: اجْتِمَاعُ اللَّيْلِ وَظُلْمَتُهُ
قَالَ مُحَمَّدٌ: هَذَا قَوْلُ ابْنِ عُمَرَ، وَابْنِ عَبَّاسٍ، وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ: دُلُوكُهَا غُرُوبُهَا، وَكُلٌّ حَسَنٌ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১০১০
সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়া
১০১০। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ অন্যান্য জাতির তুলনায় তোমাদের স্থায়িত্বকাল যেন আসর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত। তোমাদের এবং ইহূদী ও খৃস্টানদের দৃষ্টান্ত হচ্ছে এইরূপ — যেমন এক ব্যক্তি কোন কাজ সমাধা করার জন্য শ্রমিক নিয়োগ করলো এবং বললো, দুপুর পর্যন্ত মাথাপিছু এক কীরাত মজুরীর বিনিময়ে কাজ করতে কে রাজী আছে? ইহূদীরা তাতে রাজী হয়ে অর্ধদিবস কাজ করলো। পুনরায় ঐ ব্যক্তি বললো, দুপুর থেকে আসর পর্যন্ত মাথাপিছু এক কীরাত মজুরীর বিনিময়ে কাজ করতে কে রাজী আছে? খৃস্টানরা তাতে সম্মত হয়ে দুপুর থেকে আসর পর্যন্ত কাজ করলো। পুনরায় ঐ ব্যক্তি বললো, আসর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত মাথাপিছু দুই কীরাত মজুরীর বিনিময়ে কাজ করতে কে রাজী আছে? রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ জেনে রাখো! তোমরাই আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত মাথাপিছু দুই কীরাত মজুরীর বিনিময়ে কাজ করছো। রাসূলুল্লাহ ﷺ আরো বলেনঃ এতে ইহুদী ও খৃস্টানরা নিয়োগকর্তার উপর ক্ষেপে গেলো এবং বললো, আমরা বেশী কাজ করেছি, অথচ মজুরী দেয়া হয়েছে কম। সে বললো, আমি কি তোমাদের উপর কোনরূপ যুলুম করেছি? তারা বললো, না। সে বললো, এটা হচ্ছে আমার অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা দান করি।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, এ হাদীস আমাদের দিকনির্দেশ দিচ্ছে যে, আসর নামায বিলম্বে পড়া প্রথম ওয়াক্তে পড়ার তুলনায় উত্তম। তোমরা কি লক্ষ্য করছো না যে, এ হাদীসে যুহর ও আসরের মাঝখানে যে সময় রয়েছে তা আসর ও মাগরিবের মাঝখানের সময়ের তুলনায় বেশী। যে ব্যক্তি আসরের নামায বিলম্বে না পড়ে প্রথম ওয়াক্তে পড়ে থাকে, তাতে আসর ও মাগরিবের মধ্যকার সময়ের তুলনায় যুহর ও আসরের মধ্যকার সময় কম হয়ে যায়। তাই এ হাদীস থেকে দিকনির্দেশ পাওয়া যায় যে, আসর নামায সত্বর পড়ার চেয়ে বিলম্বে পড়াই উত্তম, যতোক্ষণ সূর্য উজ্জ্বল ও পরিষ্কার থাকে এবং হলুদ বর্ণ ধারণ না করে । ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের ফিকহবিদ সাধারণেরও এই মত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ أَخْبَرَهُ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " إِنَّمَا أَجَلُكُمْ فِيمَا خَلا مِنَ الأُمَمِ، كَمَا بَيْنَ صَلاةِ الْعَصْرِ إِلَى مَغْرِبِ الشَّمْسِ؟ وَإِنَّمَا مَثَلُكُمْ وَمَثَلُ الْيَهُودِ، وَالنَّصَارَى كَرَجُلٍ اسْتَعْمَلَ عُمَّالا، فَقَالَ: مَنْ يَعْمَلُ لِي إِلَى نِصْفِ النَّهَارِ عَلَى قِيرَاطٍ قِيرَاطٍ؟ قَالَ: فَعَمِلَتِ الْيَهُودُ، ثُمَّ قَالَ: مَنْ يَعْمَلُ لِي مِنْ نِصْفِ النَّهَارِ إِلَى الْعَصْرِ عَلَى قِيرَاطٍ قِيرَاطٍ؟ فَعَمِلَتِ النَّصَارَى عَلَى قِيرَاطٍ قِيرَاطٍ، ثُمَّ قَالَ: مَنْ يَعْمَلُ لِي مِنَ صَلاةِ الْعَصْرِ إِلَى مَغْرِبِ الشَّمْسِ عَلَى قِيرَاطَيْنِ قِيرَاطَيْنِ، أَلا فَأَنْتُمُ الَّذِينَ يَعْمَلُونَ مِنْ صَلاةِ الْعَصْرِ إِلَى مَغْرِبِ الشَّمْسِ عَلَى قِيرَاطَيْنِ قِيرَاطَيْنِ، قَالَ: فَغَضِبَ الْيَهُودُ وَالنَّصَارَى، وَقَالُوا: نَحْنُ أَكْثَرُ عَمَلا، وَأَقَلُّ عَطَاءً، قَالَ: هَلْ ظَلَمْتُكُمْ مِنْ حَقِّكُمْ شَيْئًا؟ قَالُوا: لا، قَالَ: فَإِنَّهُ فَضْلِي أُعْطِيهِ مَنْ شِئْتُ ".
قَالَ مُحَمَّدٌ: هَذَا الْحَدِيثُ يَدُلُّ عَلَى أَنَّ تَأْخِيرَ الْعَصْرِ أَفْضَلُ مِنْ تَعْجِيلِهَا، أَلا تَرَى أَنَّهُ جَعَلَ مَا بَيْنَ الظُّهْرِ إِلَى الْعَصْرِ أَكْثَرَ مِمَّا بَيْنَ الْعَصْرِ إِلَى الْمَغْرِبِ فِي هَذَا الْحَدِيثِ، وَمَنْ عَجَّلَ الْعَصْرَ كَانَ مَا بَيْنَ الظُّهْرِ إِلَى الْعَصْرِ أَقَلَّ مِمَّا بَيْنَ الْعَصْرِ إِلَى الْمَغْرِبِ، فَهَذَا يَدُلُّ عَلَى تَأْخِيرِ الْعَصْرِ، وَتَأْخِيرِ الْعَصْرِ أَفْضَلُ مِنْ تَعْجِيلِهَا، مَا دَامَتِ الشَّمْسُ بَيْضَاءَ نَقِيَّةً لَمْ تُخَالِطْهَا صُفْرةٌ.
وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا رَحِمَهُمُ اللَّهُ تَعَالَى
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান