আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
১৩- উত্তরাধিকার সম্পত্তির অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৭৩৭
মৃত্যুর সময় এক-তৃতীয়াংশ সম্পদে ওসিয়াত করা।
৭৩৭। আমর ইবনে সুলাইম আয-যুরাকী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-কে বলা হলো, এখানে গাসসান গোত্রের একটি প্রাপ্তবয়সের কাছাকাছি বালক (মুমূর্ষু অবস্থায়) আছে। তার ওয়ারিসগণ সিরিয়ায় রয়েছে। তার কাছে এখানে সম্পদ আছে এবং এখানে তার চাচাতো বোন ছাড়া আর কেউ নাই। উমার (রাযিঃ) বলেন, তাকে নিজ চাচাতো বোনের জন্য ওসিয়াত করতে বলো। অতএব সে 'বিরে জুশাম' নামক কূপটি তার জন্য ওসিয়াত করলো। আমর ইবনে সুলাইম বলেন, অতঃপর আমি সেই কূপটি তিরিশ হাজার দিরহামে বিক্রি করেছি। যে চাচাতো বোনের জন্য সে ওসিয়াত করেছিল সে ছিল আমর ইবনে সুলাইমের মা।
بَابُ: الرَّجُلِ يُوصِي عِنْدَ مَوْتِهِ بِثُلُثِ مَالِهِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ، أَنَّ أَبَاهُ أَخْبَرَهُ، أَنَّ عَمْرَو بْنَ سُلَيْمٍ الزُّرَقِيَّ، أَخْبَرَهُ، أَنَّهُ قِيلَ لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ: إِنَّ هَهُنَا غُلامًا يَفَاعًا مِنْ غَسَّانَ، وَوَارِثُهُ بِالشَّامِ، وَلَهُ مَالٌ، وَلَيْسَ هُنَا إِلا ابْنَةُ عَمٍّ لَهُ، فَقَالَ عُمَرُ: مُرُوهُ، فَلْيُوصِ لَهَا، فَأَوْصَى لَهَا بِمَالٍ، يُقَالُ لَهُ: بِئْرُ جُشَمَ، قَالَ عَمْرُو بْنُ سُلَيْمٍ: فَبِعْتُ ذَلِكَ الْمَالَ بِثَلاثِينَ أَلْفًا بَعْدَ ذَلِكَ، وَابْنَةُ عَمِّهِ الَّتِي أَوْصَى لَهَا هِيَ أُمُّ عَمْرِو بْنِ سُلَيْمٍ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৩৮
মৃত্যুর সময় এক-তৃতীয়াংশ সম্পদে ওসিয়াত করা।
৭৩৮ । সাদ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাযিঃ) বলেন, বিদায় হজ্জের বছর আমি কঠিন রোগে আক্রান্ত হলে রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাকে দেখতে এলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছি যা আপনি দেখছেন। আমি একজন সম্পদশালী ব্যক্তি এবং আমার একটিমাত্র কন্যা সন্তান ছাড়া আর কোন ওয়ারিস নাই। আমি কি আমার সম্পদের দুই-তৃতীয়াংশ দান-খয়রাত করে যেতে পারি? এ ব্যাপারে আপনার কি অভিমত? তিনি বলেনঃ “না” । আমি বললাম, তাহলে অর্ধেক পরিমাণ? তিনি বলেন, “না”। আমি বললাম, তাহলে এক-তৃতীয়াংশ? অতঃপর রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ “এক-তৃতীয়াংশ করা যেতে পারে। তবে এই পরিমাণটাও অধিক। তোমার ওয়ারিসগণ অসচ্ছলতার কারণে অন্যের কাছে হাত পাততে বাধ্য হবে, তাদেরকে এরূপ অবস্থায় রেখে যাওয়ার চাইতে সচ্ছল অবস্থায় রেখে যাওয়া অনেক উত্তম। তুমি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে তোমার পরিবারবর্গের জন্য যা কিছুই খরচ করবে তাতে তোমাকে সওয়াব দেয়া হবে, এমনকি তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে যে গ্রাসটি তুলে দিবে তার জন্যও তোমাকে সওয়াব দেয়া হবে।" আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কি আমার সাথীদের পিছনে থেকে যাবো? তিনি বলেনঃ “তুমি পিছনে থেকে যাবে না (তোমার পিছনে থেকে যাওয়াটা তোমার জন্য ক্ষতিকর নয়), বরং তুমি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যে কাজই করবে তার ফলে তুমি উন্নত হবে এবং তোমার মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। খুব সম্ভব তুমি আরো বেশী দিন জীবিত থাকবে এবং তোমার মাধ্যমে একদলের উপকার হবে এবং অপর একদল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। হে আল্লাহ! আমার সাহাবীদের হিজরত পূর্ণ করুন এবং তাদেরকে তাদের হিজরত থেকে পশ্চাদমুখী করবেন না।” কিন্তু বিপদগ্রস্ত সাদ ইবনে খাওলা (রাযিঃ)-র জন্য রাসূলুল্লাহ আফসোস করতেন। কেননা তিনি মক্কায়ই ইন্তিকাল করেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, মৃত ব্যক্তির পরিত্যক্ত সম্পদ থেকে তার ঋণ পরিশোধের পর উদ্বৃত্ত সম্পদের এক-তৃতীয়াংশে ওসিয়াত করা জায়েয। তার জন্য এর অধিক পরিমাণ সম্পদে ওসিয়াত করা জায়েয নয়। যদি সে এর অধিক পরিমাণ মালে ওসিয়াত করে এবং তার ওয়ারিসগণ তার মৃত্যুর পর এটা মেনে নেয় তবে তা জায়েয হবে। কিন্তু মেনে নেয়ার পর তারা আর তাদের সম্মতি প্রত্যাহার করতে পারবে না। যদি তারা এ ওসিয়াত প্রত্যাখ্যান করে, তবে মৃতের এক-তৃতীয়াংশ সম্পদে তার ওসিয়াত কার্যকর হবে। কেননা রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ এক-তৃতীয়াংশ সম্পদে ওসিয়াত করা যেতে পারে, তবে এটাও পরিমাণে অধিক । এজন্য এক-তৃতীয়াংশ সম্পদের বেশী ওসিয়াত করা জায়েয নয়। তবে ওয়ারিসরা যদি এর বেশী পরিমাণ সম্পদে ওসিয়াত অনুমোদ করে তাহলে তা জায়েয হবে। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং অধিকাংশ ফিকহবিদের এটাই সাধারণ মত।**
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, মৃত ব্যক্তির পরিত্যক্ত সম্পদ থেকে তার ঋণ পরিশোধের পর উদ্বৃত্ত সম্পদের এক-তৃতীয়াংশে ওসিয়াত করা জায়েয। তার জন্য এর অধিক পরিমাণ সম্পদে ওসিয়াত করা জায়েয নয়। যদি সে এর অধিক পরিমাণ মালে ওসিয়াত করে এবং তার ওয়ারিসগণ তার মৃত্যুর পর এটা মেনে নেয় তবে তা জায়েয হবে। কিন্তু মেনে নেয়ার পর তারা আর তাদের সম্মতি প্রত্যাহার করতে পারবে না। যদি তারা এ ওসিয়াত প্রত্যাখ্যান করে, তবে মৃতের এক-তৃতীয়াংশ সম্পদে তার ওসিয়াত কার্যকর হবে। কেননা রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ এক-তৃতীয়াংশ সম্পদে ওসিয়াত করা যেতে পারে, তবে এটাও পরিমাণে অধিক । এজন্য এক-তৃতীয়াংশ সম্পদের বেশী ওসিয়াত করা জায়েয নয়। তবে ওয়ারিসরা যদি এর বেশী পরিমাণ সম্পদে ওসিয়াত অনুমোদ করে তাহলে তা জায়েয হবে। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং অধিকাংশ ফিকহবিদের এটাই সাধারণ মত।**
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، أَنَّهُ قَالَ: جَاءَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ يَعُودُنِي مِنْ وَجَعٍ اشْتَدَّ بِي، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، بَلَغَ مِنِّي الْوَجَعُ مَا تَرَى، وَأَنَا ذُو مَالٍ، وَلا يَرِثُنِي إِلا ابْنَةٌ لِي، أَفَأَتَصَدَّقُ بِثُلُثَيْ مَالِي؟ قَالَ: «لا» ، قَالَ: فَبِالشَّطْرِ؟ قَالَ: «لا» ، قَالَ: فَبِالثُّلُثِ؟ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الثُّلُثَ، وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ، أَوْ كَبِيرٌ، إِنَّكَ إِنْ تَذَرْ وَرَثَتَكَ أَغْنِيَاءَ خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَذَرَهُمْ عَالَةً يَتَكَفَّفُونَ النَّاسَ، وَإِنَّكَ لَنْ تُنْفِقَ نَفَقَةً تَبْتَغِي بِهَا وَجْهَ اللَّهِ تَعَالَى إِلا أُجِرْتَ بِهَا حَتَّى مَا تَجْعَلُ فِي امْرَأَتِكَ» ، قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أُخَلَّفُ بَعْدَ أَصْحَابِي؟ قَالَ: «إِنَّكَ لَنْ تُخَلَّفَ فَتَعْمَلَ عَمَلًا صَالِحًا تَبْتَغِي بِهِ وَجْهَ اللَّهِ تَعَالَى إِلا ازْدَدْتَ بِهِ دَرَجَةً وَرِفْعَةً، وَلَعَلَّكَ أَنْ تُخَلَّفَ حَتَّى يَنْتَفِعَ بِكَ أَقْوَامٌ، وَيُضَرَّ بِكَ آخَرُونَ، اللَّهم أَمْضِ لأَصْحَابِي هِجْرَتَهُمْ، وَلا تَرُدَّهُمْ عَلَى أَعْقَابِهِمْ، لَكِنِ الْبَائِسُ سَعْدُ بْنُ خَوْلَةَ، يَرْثِي لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ مَاتَ بِمَكَّةَ» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: الْوَصَايَا جَائِزَةٌ فِي ثُلُثِ مَالِ الْمَيِّتِ بَعْدَ قَضَاءِ دَيْنِهِ، وَلَيْسَ لَهُ أَنْ يُوصِيَ بِأَكْثَرَ مِنْهُ، فَإِنْ أَوْصَى بِأَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ، فَأَجَازَتْهُ الْوَرَثَةُ بَعْدَ مَوْتِهِ فَهُوَ جَائِزٌ، وَلَيْسَ لَهُمْ أَنْ يَرْجِعُوا بَعْدَ إِجَازَتِهِمْ، وَإِنْ رَدُّوا، رَجَعَ ذَلِكَ إِلَى الثُّلُثِ لأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الثُّلُثَ، وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ» ، فَلا يَجُوزُ لأَحَدٍ وَصِيَّةٌ بِأَكْثَرَ مِنَ الثُّلُثِ إِلا أَنْ يُجِيزَ الْوَرَثَةُ.
وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا رَحِمَهُمُ اللَّهُ تَعَالَى
وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا رَحِمَهُمُ اللَّهُ تَعَالَى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
