আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
১৩- উত্তরাধিকার সম্পত্তির অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৭৩৫
হামীলের উত্তরাধিকার।
৭৩৫। সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রাহঃ) বলেন, উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) অনারবকে উত্তরাধিকারী বানাতে অস্বীকৃতি জানান। তবে তিনি আরবে ভূমিষ্ঠ অনারব সন্তানদের উত্তরাধিকারী বানাতে সম্মতি প্রকাশ করেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করেছি। তাকে ওয়ারিস করা হবে না। হামীল সেই শিশুকে বলা হয় যাকে বন্দী করে নিয়ে আসা হয় এবং তার সাথে স্ত্রীলোকও বন্দী হয়ে আসে এবং সে এই শিশুকে তার সন্তান, ভাই অথবা বোন বলে দাবি করে। কেবল বংশগত সম্পর্কের দাবির ভিত্তিতে সাক্ষ্য-প্রমাণ ব্যতীত ওয়ারিস সাব্যস্ত হবে না। পিতা-পুত্রের ক্ষেত্রে এই নীতির ব্যতিক্রম আছে। কেননা পিতা যখন দাবি করে যে, সে তার সন্তান এবং পুত্র তা স্বীকার করে তখন সে তার পুত্র বলে সাব্যস্ত হবে এবং সাক্ষীর কোন প্রয়োজন নেই। কিন্তু পুত্র যদি গোলাম হয় এবং তার মালিক তা অস্বীকার করে, তাহলে সে ঐ পিতার সন্তান সাব্যস্ত হবে না, যতোক্ষণ তার মালিক এর সত্যতা স্বীকার না করবে। অপরদিকে কোন স্ত্রীলোক এই বাচ্চার দাবিদার হলে এবং কোন মুসলমান মহিলা তার সপক্ষে এই সাক্ষ্য দিলে যে, এই সন্তান সে প্রসব করেছে এবং সন্তানও তা স্বীকার করলে, সে তারই সন্তান সাব্যস্ত হবে। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং হানাফী ফিকহবিদদের এটাই সাধারণ মত।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করেছি। তাকে ওয়ারিস করা হবে না। হামীল সেই শিশুকে বলা হয় যাকে বন্দী করে নিয়ে আসা হয় এবং তার সাথে স্ত্রীলোকও বন্দী হয়ে আসে এবং সে এই শিশুকে তার সন্তান, ভাই অথবা বোন বলে দাবি করে। কেবল বংশগত সম্পর্কের দাবির ভিত্তিতে সাক্ষ্য-প্রমাণ ব্যতীত ওয়ারিস সাব্যস্ত হবে না। পিতা-পুত্রের ক্ষেত্রে এই নীতির ব্যতিক্রম আছে। কেননা পিতা যখন দাবি করে যে, সে তার সন্তান এবং পুত্র তা স্বীকার করে তখন সে তার পুত্র বলে সাব্যস্ত হবে এবং সাক্ষীর কোন প্রয়োজন নেই। কিন্তু পুত্র যদি গোলাম হয় এবং তার মালিক তা অস্বীকার করে, তাহলে সে ঐ পিতার সন্তান সাব্যস্ত হবে না, যতোক্ষণ তার মালিক এর সত্যতা স্বীকার না করবে। অপরদিকে কোন স্ত্রীলোক এই বাচ্চার দাবিদার হলে এবং কোন মুসলমান মহিলা তার সপক্ষে এই সাক্ষ্য দিলে যে, এই সন্তান সে প্রসব করেছে এবং সন্তানও তা স্বীকার করলে, সে তারই সন্তান সাব্যস্ত হবে। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং হানাফী ফিকহবিদদের এটাই সাধারণ মত।
بَابُ: مِيرَاثِ الْحَمِيلِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا بُكَيْرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَشَجِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، قَالَ: «أَبَى عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، أَنْ يُوَرِّثَ أَحَدًا مِنَ الأَعَاجِمِ إِلا مَا وُلِدَ فِي الْعَرَبِ» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، لا يُوَرَّثُ الْحَمِيلُ الَّذِي يُسْبَى وَتُسْبَى مَعَهُ امْرَأَةٌ، فَتَقُولُ: هُوَ وَلَدِي أَوْ تَقُولُ هُوَ أَخِي، أَوْ يَقُولُ هِيَ أُخْتِي، وَلا نَسَبَ مِنَ الأَنْسَابِ يُوَرِّثُ إِلَّا بِبَيِّنَةٍ إِلَّا الْوَالِدُ وَالْوَلَدُ، فَإِنَّهُ إِذَا ادَّعَى الْوَالِدُ أَنَّهُ ابْنُهُ وَصَدَّقَهُ فَهُوَ ابْنُهُ، وَلا يَحْتَاجُ فِي هَذَا إِلَى بَيِّنَةٍ إِلا أَنْ يَكُونَ الْوَلَدُ عَبْدًا فَيُكَذِّبَهُ مَوْلاهُ بِذَلِكَ، فَلا يَكُونُ ابْنَ الأَبِ مَا دَامَ عَبْدًا حَتَّى يُصَدِّقَهُ الْمَوْلَى، وَالْمَرْأَةُ إِذَا ادَّعَتِ الْوَلَدَ، وَشَهِدَتِ امْرَأَةٌ حُرَّةٌ مُسْلِمَةٌ عَلَى أَنَّهَا وَلَدَتْهُ وَهُوَ يُصَدِّقُهَا وَهُوَ حُرٌّ فَهُوَ ابْنُهَا.
وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا رَحِمَهُمُ اللَّهُ
وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا رَحِمَهُمُ اللَّهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান