আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

১২- শরীআতে যিনা ব্যভিচারের দন্ড বিধি - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৭২৩
নাবীযের মলম বা হালুয়া।
৭২৩। মাহমুদ ইবনে লাবীদ আল-আনসারী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) যখন সিরিয়ায় পৌঁছলেন, তখন সেখানকার লোকেরা প্লেগ-মহামারী ও আবহাওয়ার প্রতিকূলতার অভিযোগ করলো এবং বললো, নাবীয পান করা ছাড়া মন-মেজাজ চাঙ্গা রাখা সম্ভব নয়। উমার (রাযিঃ) বলেন, তোমরা মধু পান করো। তারা বললো, মধুও অনুকূল নয়। সিরিয়ার অধিবাসীদের মধ্যকার এক ব্যক্তি বললো, আপনি কি নাবীয় থেকে এমন কিছু বানানোর অনুমতি দিবেন যাতে নেশার উদ্রেক হবে না? তিনি বলেন, হ্যাঁ। সুতরাং তারা এটাকে জ্বাল দিতে থাকলো, এমনকি তার দুই-তৃতীয়াংশ পানি কমে গেলো এবং এক-তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকলো। তারা তা উমার (রাযিঃ)-র কাছে নিয়ে এলো। তিনি তাতে নিজের হাতের আঙ্গুল ঢুকালেন, অতঃপর তা তুলে নিলেন। তার আঙ্গুলগুলো আঠালো হয়ে গেলো। তিনি বলেন, এই মলম তো উটের মলমের সদৃশ। তিনি তা পান করার অনুমতি দিলেন । উবাদা ইবনুস সামিত (রাযিঃ) তাকে বলেন, আল্লাহর শপথ! আপনি তা হালাল করে দিলেন! উমার (রাযিঃ) বলেন, কখনো নয়, আল্লাহর শপথ! আমি তা হালাল করিনি। হে আল্লাহ! আমি তাদের জন্য এমন কোন জিনিস হালাল করিনি, যা আপনি তাদের জন্য হারাম করেছেন এবং যে জিনিস তাদের জন্য হালাল করেছেন তাও আমি হারাম করিনি।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করেছি। যে হালুয়ার দুই-তৃতীয়াংশ শুকিয়ে গেছে তা পান করায় কোন দোষ নেই। তবে শর্ত হচ্ছে, তা যেন নেশা উদ্রেককারী না হয়। নেশার উদ্রেক হলে তা হারাম। কিন্তু পুরাতন শরাব যার মাদকতা নষ্ট হয়ে গেছে তা পান করাতেও কোন কল্যাণ নেই (তাও হারাম)।
بَابُ: نَبِيذِ الطِّلاءِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا دَاوُدُ بْنُ الْحُصَيْنِ، عَنْ وَاقِدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ، عَنْ مَحْمُودِ بْنِ لَبِيدٍ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، حِينَ قَدِمَ الشَّامَ، شَكَا إِلَيْهِ أَهْلُ الشَّامِ وَبَاءَ الأَرْضِ أَوْ ثِقَلَهَا، وَقَالُوا: لا يَصْلُحُ لَنَا إِلا هَذَا الشَّرَابُ، قَالَ: اشْرَبُوا الْعَسَلَ، قَالُوا: لا يُصْلِحُنَا الْعَسَلُ، قَالَ لَهُ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الأَرْضِ: هَلْ لَكَ أَنْ أَجْعَلَ لَكَ مِنْ هَذَا الشَّرَابِ شَيْئًا لا يُسْكِرُ، قَالَ: نَعَمْ.
فَطَبَخُوهُ، حَتَّى ذَهَبَ ثُلُثَاهُ، وَبَقِيَ ثُلُثُهُ، فَأَتَوْا بِهِ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، فَأَدْخَلَ أُصْبُعَهُ فِيهِ، ثُمَّ رَفَعَ يَدَهُ، فَتَبِعَهُ يَتَمَطَّطُ، فَقَالَ: هَذَا الطِّلاءُ مِثْلُ طِلاءِ الإِبِلِ، فَأَمَرَهُمْ أَنْ يَشْرَبُوهُ، فَقَالَ عُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ: أَحْلَلْتَهَا وَاللَّهِ، قَالَ: كَلَّا، وَاللَّهِ مَا أَحْلَلْتُهَا، اللَّهُمَّ إِنِّي لا أُحِلُّ لَهُمْ شَيْئًا حَرَّمْتَهُ عَلَيْهِمْ، وَلا أُحَرِّمُ عَلَيْهِمْ شَيْئًا أَحْلَلْتَهُ لَهُمْ.
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، لا بَأْسَ بِشُرْبِ الطِّلاءِ الَّذِي قَدْ ذَهَبَ ثُلُثَاهُ وَبَقِيَ ثُلُثُهُ، وَهُوَ لا يُسْكِرُ، فَأَمَّا كُلُّ مُعَتَّقٍ يُسْكِرُ فَلا خَيْرَ فِيهِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান