আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
৮- তালাক ও আনুষঙ্গিক অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৪ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৬১৬
দুধপান সম্পর্কিত বর্ণনা।
৬১৬। নাফে (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। ইবনে উমার (রাযিঃ) বলতেন, শিশুকালে দুধপান করার মাধ্যমেই দুধপান সম্পর্কিত আত্মীয়তার সূচনা হয়।
بَابُ: الرَّضَاعِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، كَانَ يَقُولُ: «لا رَضَاعَةَ إِلا لِمَنْ أُرْضِعَ فِي الصِّغَرِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১৭
দুধপান সম্পর্কিত বর্ণনা।
৬১৭। আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ তার কাছে ছিলেন। তিনি শুনতে পেলেন, এক ব্যক্তি হাফসা (রাযিঃ)-র ঘরে প্রবেশ করার জন্য তার কাছে অনুমতি চাচ্ছে। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! এই ব্যক্তি আপনার ঘরে প্রবেশ করার অনুমতি চাচ্ছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ সম্ভবত হাফসার অমুক রিদাই (দুধ সম্পর্কের) চাচা। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার অমুক রিদাই চাচা জীবিত থাকলে সে কি আমার ঘরে প্রবেশ করতে পারতো। তিনি বলেনঃ হ্যাঁ।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ عِنْدَهَا، وَإِنَّهَا سَمِعَتْ رَجُلا يَسْتَأْذِنُ فِي بَيْتِ حَفْصَةَ، قَالَتْ عَائِشَةُ: فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذَا رَجُلٌ يَسْتَأْذِنُ فِي بَيْتِكَ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أُرَاهُ فُلانًا لِعَمٍّ لِحَفْصَةَ مِنَ الرَّضَاعَةِ، قَالَتْ عَائِشَةُ: " يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَوْ كَانَ عَمِّي فُلانٌ مِنَ الرَّضَاعَةِ حَيًّا دَخَلَ عَلَيَّ؟ قَالَ: نَعَمْ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১৮
দুধপান সম্পর্কিত বর্ণনা।
৬১৮। আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ রক্ত সম্পর্কের কারণে যা হারাম হয়, দুধ সম্পর্কের কারণেও তা হারাম হয় (বুখারী)।**
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «يَحْرُمُ مِنَ الرَّضَاعَةِ مَا يَحْرُمُ مِنَ الْوِلَادَةِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১৯
দুধপান সম্পর্কিত বর্ণনা।
৬১৯ । আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। যাদেরকে তার বোনেরা এবং ভাইয়ের মেয়েরা দুধ পান করিয়েছে, তারা সরাসরি তার কাছে প্রবেশ করতে পারতো। কিন্তু যাদেরকে তার ভাবীরা দুধ পান করিয়েছে, তারা তার কাছে প্রবেশ করতে পারতো না।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أنَّهُ كَانَ «يَدْخُلُ عَلَيْهَا مَنْ أَرْضَعَتْهُ أَخَوَاتُهَا وَبَنَاتُ أَخِيهَا، وَلا يَدْخُلُ عَلَيْهَا مَنْ أَرْضَعَتْهُ نِسَاءُ إِخْوَتِهَا»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬২০
দুধপান সম্পর্কিত বর্ণনা।
৬২০। আমর ইবনুস শারীদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-র কাছে এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো, যার অধীনে দুই স্ত্রী ছিলো। তাদের একজন একটি বালককে এবং অপরজন একটি বালিকাকে দুধ পান করিয়েছিল। জিজ্ঞেস করা হলো, এই বালক কি ঐ বালিকাকে বিবাহ করতে পারবে? তিনি বলেন, না। কেননা একই ব্যক্তি উভয়ের দুধপিতা ।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنِي الزُّهْرِيُّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الشَّرِيدِ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ سُئِلَ عَنْ رَجُلٍ كَانَتْ لَهُ امْرَأَتَانِ، فَأَرْضَعَتْ إِحْدَاهُمَا غُلامًا، وَالأُخْرَى جَارِيَةً، فَسُئِلَ هَلْ يَتَزَوَّجُ الْغُلامُ الْجَارِيَةَ؟ قَالَ: لا، اللِّقَاحُ وَاحِدٌ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬২১
দুধপান সম্পর্কিত বর্ণনা।
৬২১। ইবরাহীম ইবনে উকবা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রাহঃ)-কে দুধপান জনিত ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি বলেন, দুই বছর বয়সের মধ্যে দুধপান করলে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন হারাম হয়ে যায়, তার পরিমাণ এক ফোটাই হোক না কেন। দুই বছরের পর পান করলে তা হারাম হয় না। তখন তা খাদ্য হিসাবে গণ্য হয়।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ عُقْبَةَ، أَنَّهُ سَأَلَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيِّبِ عَنِ الرَّضَاعَةِ؟ فَقَالَ: مَاكَانَ فِي الْحَوْلَيْنِ، وَإِنْ كَانَتْ مَصَّةً وَاحِدَةً فَهِيَ تُحَرِّمُ، وَمَا كَانَ بَعْدَ الْحَوْلَيْنِ فَإِنَّمَا طَعَامٌ يَأْكُلُهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬২২
দুধপান সম্পর্কিত বর্ণনা।
৬২২। ইবরাহীম ইবনে উকবা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি এই একই বিষয় উরওয়া ইবন যুবায়েরের কাছে জিজ্ঞেস করলেন। তিনিও সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাবের অনুরূপ জওয়াব দিলেন।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ عُقْبَةَ، أَنَّهُ سَأَلَ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ فَقَالَ لَهُ مِثْلَ مَا قَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬২৩
দুধপান সম্পর্কিত বর্ণনা।
৬২৩। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলতেন, দুই বছর বয়সসীমার মধ্যে একবার স্তন চুষলেও দুধপান জনিত হুরমাত সাব্যস্ত হবে।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ثَوْرُ بْنُ زَيْدٍ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، كَانَ يَقُولُ: «مَا كَانَ فِي الْحَوْلَيْنِ وَإِنْ كَانَتْ مَصَّةً وَاحِدَةً فَهِيَ تُحَرِّمُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬২৪
দুধপান সম্পর্কিত বর্ণনা।
৬২৪ সালেম ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। আয়েশা (রাযিঃ) তাকে নিজের বোন উম্মে কুলছুম বিনতে আবু বাকর (রাযিঃ)-র নিকট পাঠালেন। তখন তিনি দুগ্ধপোষ্য শিশু ছিলেন। তিনি বলে দিলেন, তাকে দশবার দুধ পান করাও। তাহলে সে আমার কাছে (মাহরাম হিসাবে) আসতে পারবে। উম্মে কুলছুম আমাকে তিনবার দুধ পান করান, অতঃপর রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েন। তিনি আমাকে তিনবারের বেশী দুধ পান করাতে পারেননি। তাই আমি আয়েশা (রাযিঃ)-র সামনে এজন্য যেতে পারতাম না যে, উম্মে কুলছূম আমাকে দশবার দুধ পান করাতে পারেননি।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَهُ، أَنَّ عَائِشَةَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا أَرْسَلَتْ بِهِ وَهُوَ يَرْضَعُ إِلَى أُخْتِهَا أُمِّ كُلْثُومٍ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، فَقَالَتْ: «أَرْضِعِيهِ عَشْرَ رَضَعَاتٍ حَتَّى يَدْخُلَ عَلَيَّ» ، فَأَرْضَعَتْنِي أُمُّ كُلْثُومٍ بِنْتُ أَبِي بَكْرٍ ثَلاثَ رَضَعَاتٍ، ثُمَّ مَرِضَتْ، فَلَمْ تُرْضِعْنِي غَيْرَ ثَلاثَ مِرَارٍ، فَلَمْ أَكُنْ أَدْخُلُ عَلَى عَائِشَةَ مِنْ أَجْلِ أَنَّ أُمَّ كُلْثُومٍ لَمْ تُتِمَّ لِي عَشْرَ رَضَعَاتٍ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬২৫
দুধপান সম্পর্কিত বর্ণনা।
৬২৫ । আবু উবায়েদের কন্যা সাফিয়্যা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নাফেকে অবহিত করেছেন যে, হাফসা (রাযিঃ) আসেম ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে সাদকে তার বোন ফাতিমা বিনতে উমার (রাযিঃ)-র কাছে দশবার দুধ পান করানোর জন্য পাঠান—যাতে সে তার মাহরাম হতে পারে। ফাতিমা তাই করলেন। অতএব আসেম তার কাছে আসা-যাওয়া করতো। ফাতিমা তাকে শিশু অবস্থায় দুধ পান করিয়েছিলেন। অর্থাৎ আসেম তখনো দুগ্ধপোষ্য শিশু ছিলেন।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، عَنْ صَفِيَّةَ ابْنَةِ أَبِي عُبَيْدٍ، أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ، أَنَّ حَفْصَةَ «أَرْسَلَتْ بِعَاصِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعْدٍ إِلَى فَاطِمَةَ بِنْتِ عُمَرَ تُرْضِعُهُ عَشْرَ رَضَعَاتٍ لِيَدْخُلَ عَلَيْهَا، فَفَعَلَتْ، فَكَانَ يَدْخُلُ عَلَيْهَا وَهُوَ يَوْمَ أَرْضَعَتْهُ صَغِيرٌ يَرْضَعُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬২৬
দুধপান সম্পর্কিত বর্ণনা।
৬২৬। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, প্রথম পর্যায়ে আল্লাহ তাআলা কুরআন মজীদে নাযিল করেছিলেন যে, দশবার দুধ পান করলে হুরমাত (বৈবাহিক সম্পর্ক নিষিদ্ধ) প্রতিষ্ঠিত হবে। অতঃপর তা পাঁচবার পান করানোর আয়াত দ্বারা মানসূখ (রহিত) হয়ে যায়। রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর ইন্তেকালের পরও লোকেরা তা পাঠ করতো।**
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: " كَانَ فِيمَا أَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى مِنَ الْقُرْآنِ: عَشْرُ رَضَعَاتٍ مَعْلُومَاتٍ يُحَرِّمْنَ، ثُمَّ نُسِخْنَ بِخَمْسٍ مَعْلُومَاتٍ، فَتُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُنَّ مِمَّا يُقْرَأُ مِنَ الْقُرْآنِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬২৭
দুধপান সম্পর্কিত বর্ণনা।
৬২৭। আব্দুল্লাহ ইবনে দীনার (রাহঃ) বলেন, এক ব্যক্তি আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ)-র কাছে দারুল কাদায় আসলো। আমি তখন তার সাথে ছিলাম। সে বয়স্ক লোকদের দুধপান সম্পর্কে তার কাছে জিজ্ঞেস করলো। আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, এক ব্যক্তি উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-র কাছে এসে বললো, আমার কাছে একটি বাঁদী ছিলো। আমি তার সাথে সহবাস করতাম। আমার স্ত্রী তাকে নিজ স্তনের দুধ পান করিয়ে দিলো। আমি যখন আমার বাঁদীর কাছে যেতে লাগলাম তখন আমার স্ত্রী বললো, আল্লাহর শপথ! আমি তাকে আমার বুকের দুধ পান করিয়েছি। তুমি তার কাছে যাবে না। উমার (রাযিঃ) বলেন, তোমার স্ত্রীকে শাস্তি দাও এবং নিজ বাঁদীর সাথে সহবাস করো। কেননা শিশু অবস্থায় দুধ পান করলে দুধ-সম্পর্ক স্থাপিত হয়।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، وَأَنَا مَعَهُ عِنْدَ دَارِ الْقَضَاءِ، يَسْأَلُهُ عَنْ رَضَاعَةِ الْكَبِيرِ، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، فَقَالَ: كَانَتْ لِي وَلِيدَةٌ فَكُنْتُ أُصِيبُهَا، فَعَمَدَتِ امْرَأَتِي إِلَيْهَا، فَأَرْضَعَتْهَا، فَدَخَلْتُ عَلَيْهَا، فَقَالَتِ امْرَأَتِي: دُونَكَ، وَاللَّهِ قَدْ أَرْضَعْتُهَا، قَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: «أَوْجِعْهَا وَائْتِ جَارِيَتَكَ، فَإِنَّمَا الرَّضَاعَةُ رَضَاعَةُ الصَّغِيرِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬২৮
দুধপান সম্পর্কিত বর্ণনা।
৬২৮। ইবনে শিহাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তাকে বড়োদের দুধপান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো। তিনি বলেন, উরওয়া ইবনুয যুবায়ের আমাকে অবহিত করেছেন যে, আবু হুযায়ফা ইবনে উতবা ইবনে রবীআ (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সাহাবী ছিলেন এবং বদর যুদ্ধে উপস্থিত ছিলেন। তিনি সালেমকে পালক পুত্র বানিয়েছিলেন—যেমন রাসূলুল্লাহ ﷺ যায়েদ ইবনে হারিছা (রাযিঃ)-কে পালক পুত্র বানিয়েছিলেন। সালেমকে আবু হুযায়ফা (রাযিঃ)-র মুক্তদাস বলা হতো। আবু হুযায়ফা (রাযিঃ) তার ভাই ওলীদ ইবনে উতবা ইবনে রবীআর কন্যা ফাতিমার সাথে তাকে বিবাহ করান এবং তিনি সালেমকে নিজের পুত্র মনে করতেন। ফাতিমা (রাযিঃ) প্রথম দলের সাথে হিজরত করেন এবং সমসাময়িক কুরাইশ মহিলাদের মধ্যে সর্বাধিক সম্মানিতা ছিলেন। যায়েদ ইবনে হারিছা (রাযিঃ) সম্পর্কে যখন নাযিল হলোঃ “তোমরা মুখডাকা পুত্রদেরকে তাদের পিতাদের সাথে সম্পর্ক সূত্রে ডাকো, এটা আল্লাহর নিকট অধিক ইনসাফের কথা” (সূরা আহযাবঃ ৫)— তখন থেকে মুখডাকা পুত্রদের নিজ নিজ পিতার সাথে সম্পর্কিত করে ডাকা হয়। যদি তাদের কারো পিতার নাম জানা সম্ভব না হতো, তবে তাকে নিজ মনিবের সাথে সম্পর্কিত করে ডাকা হতো। আমের গোত্রের কন্যা এবং আবু হুযায়ফা (রাযিঃ)-র স্ত্রী সাহলা বিনতে সুহাইল (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কাছে এলেন। (রাবী বলেন), আমরা জানতে পেরেছি যে, তিনি বলেছেন, আমরা সালেমকে আপন সন্তান মনে করতাম এবং সে আমার কাছে আসা-যাওয়া করতো, আর আমরা তখন পর্দাহীন অবস্থায় থাকতাম। আমাদের একটি মাত্র ঘর আছে। এ সম্পর্কে আপনার অভিমত জানতে চাই। (রাবী বলেন), আমরা জানতে পেরেছি যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে বলেছেনঃ “তাকে পাঁচবার তোমার স্তনের দুধ পান করাও। তাহলে সে দুধপান জনিত কারণে তোমার মাহরাম হয়ে যাবে।”
অতএব সাহলা (রাযিঃ) সালেমকে নিজের দুধপুত্র মনে করতেন। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) এ হাদীসকে নিজ মতের সপক্ষে দলীল হিসাবে গ্রহণ করেন এবং তিনি যে পুরুষলোককে চাইতেন যে, সে তার ঘরে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করুক— তার সম্পর্কে তিনি উম্মে কুলছূম এবং নিজের ভ্রাতুষ্পুত্রীদের নির্দেশ দিতেন—তাকে তোমার স্তনের দুধ পান করাও। কিন্তু নবী ﷺ -এর আর সব স্ত্রীগণ এ ধরনের দুধপুত্রদের তাদের কাছে আসতে অনুমতি অস্বীকৃতি জানান। তারা সকলে আয়েশা (রাযিঃ)-কে বলেন, আল্লাহর শপথ! রাসূলুল্লাহ ﷺ দুধ সম্পর্কের ব্যাপারে সালহা বিনতে সুহাইলকে যে নির্দেশ দিয়েছিলেন – তা কেবল সালেমের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ ছিলো। আল্লাহর শপথ! এ ধরনের দুধ সম্পর্কের ভিত্তিতে কোন ব্যক্তি আমাদের কাছে আসা-যাওয়ার অনুমতি পাবে না। বয়স্কদের দুধ পান করানোর ব্যাপারে নবী ﷺ -এর স্ত্রীদের এটাই ছিলো চূড়ান্ত অভিমত।
অতএব সাহলা (রাযিঃ) সালেমকে নিজের দুধপুত্র মনে করতেন। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) এ হাদীসকে নিজ মতের সপক্ষে দলীল হিসাবে গ্রহণ করেন এবং তিনি যে পুরুষলোককে চাইতেন যে, সে তার ঘরে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করুক— তার সম্পর্কে তিনি উম্মে কুলছূম এবং নিজের ভ্রাতুষ্পুত্রীদের নির্দেশ দিতেন—তাকে তোমার স্তনের দুধ পান করাও। কিন্তু নবী ﷺ -এর আর সব স্ত্রীগণ এ ধরনের দুধপুত্রদের তাদের কাছে আসতে অনুমতি অস্বীকৃতি জানান। তারা সকলে আয়েশা (রাযিঃ)-কে বলেন, আল্লাহর শপথ! রাসূলুল্লাহ ﷺ দুধ সম্পর্কের ব্যাপারে সালহা বিনতে সুহাইলকে যে নির্দেশ দিয়েছিলেন – তা কেবল সালেমের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ ছিলো। আল্লাহর শপথ! এ ধরনের দুধ সম্পর্কের ভিত্তিতে কোন ব্যক্তি আমাদের কাছে আসা-যাওয়ার অনুমতি পাবে না। বয়স্কদের দুধ পান করানোর ব্যাপারে নবী ﷺ -এর স্ত্রীদের এটাই ছিলো চূড়ান্ত অভিমত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، وَسُئِلَ عَنْ رَضَاعَةِ الْكَبِيرِ؟ فَقَالَ: أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ أَبَا حُذَيْفَةَ بْنَ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ كَانَ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَهِدَ بَدْرًا، وَكَانَ تَبَنَّى سَالِمًا الَّذِي يُقَالُ لَهُ: مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ، كَمَا كَانَ تَبَنَّى رَسُولُ اللَّهِ زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ، فَأَنْكَحَ أَبُو حُذَيْفَةَ سَالِمًا وَهُوَ يَرَى أَنَّهُ ابْنُهُ أَنْكَحَهُ ابْنَةَ أَخِيهِ فَاطِمَةَ بِنْتَ الْوَلِيدِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ، وَهِيَ مِنَ الْمُهَاجِرَاتِ الأُوَلِ وَهِيَ يَوْمَئِذٍ مِنْ أَفْضَلِ أَيَامَى قُرَيْشٍ، فَلَمَّا أَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى فِي زَيْدٍ مَا أَنْزَلَ: {ادْعُوهُمْ لآبَائِهِمْ هُوَ أَقْسَطُ عِنْدَ اللَّهِ} [الأحزاب: 5] رُدَّ كُلُّ أَحَدٍ تُبُنِّيَ إِلَى أَبِيهِ، فَإِنْ لَمْ يَكُنْ يُعْلَمُ أَبُوهُ رُدَّ إِلَى مَوَالِيهِ، فَجَاءَتْ سَهْلَةُ بِنْتُ سُهَيْلٍ امْرَأَةُ أَبِي حُذَيْفَةَ وَهِيَ مِنْ بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا بَلَغَنَا، فَقَالَتْ: كُنَّا نُرَى سَالِمًا وَلَدًا، وَكَانَ يَدْخُلُ عَلَيَّ وَأَنَا فُضْلٌ وَلَيْسَ لَنَا إِلا بَيْتٌ وَاحِدٌ، فَمَا تَرَى فِي شَأْنِهِ؟ فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا بَلَغَنَا: «أَرْضِعِيهِ خَمْسَ رَضَعَاتٍ، فَيَحْرُمَ بِلَبَنِكَ، أَوْ بِلَبَنِهَا» ، وَكَانَتْ تَرَاهُ ابْنًا مِنَ الرَّضَاعَةِ، فَأَخَذَتْ بِذَلِكَ عَائِشَةُ فِيمَنْ تُحِبُّ أَنْ يَدْخُلَ عَلَيْهَا مِنَ الرِّجَالِ، فَكَانَتْ تَأْمُرُ أُمَّ كُلْثُومٍ، وَبَنَاتِ أَخِيهَا يُرْضِعْنَ مَنْ أَحْبَبْنَ أَنْ يَدْخُلَ عَلَيْهَا، وَأَبَى سَائِرُ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَدْخُلَ عَلَيْهِمْ بِتِلْكَ الرَّضَاعَةِ أَحَدٌ مِنَ النَّاسِ، وَقُلْنَ لِعَائِشَةَ: وَاللَّهِ مَا نَرَى الَّذِي أَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَهْلَةَ بِنْتَ سُهَيْلٍ إِلا رُخْصَةً لَهَا فِي رَضَاعَةِ سَالِمٍ وَحْدَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لا يَدْخُلُ عَلَيْنَا بِهَذِهِ الرَّضَاعَةِ أَحَدٌ، فَعَلَى هَذَا كَانَ رَأْيُ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَضَاعَةِ الْكَبِيرِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬২৯
দুধপান সম্পর্কিত বর্ণনা।
৬২৯ ৷ ইয়াহ্ইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছেন, দোলনায় থাকাকালীন দুধপানই নির্ভরযোগ্য। যে দুধপান রক্ত-মাংস বৃদ্ধি করে তাই নির্ভরযোগ্য।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, দুই বছর বয়সসীমার মধ্যে দুধ পান করলে তাতেই কেবল দুধপান সম্পর্কিত হুরমাত প্রতিষ্ঠিত হবে। দুই বছরের মধ্যে দুধ পান করাটাই হুরমাত প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কারণ, তা একবার স্তন চুষলেও। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ), সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব এবং উরওয়া ইবনুয যুবায়ের তাই বলেছেন। দুই বছর বয়স হওয়ার পর দুধ পান করলে তাতে দুধপান জনিত হুরমাত প্রতিষ্ঠিত হয় না। কেননা মহান আল্লাহ বলেনঃ
والوالدات يرضعن أولادهن حولين كاملين لمن أراد أن يتم الرضاعة
“যে পিতা চায় যে, তার সন্তান পূর্ণ মুদ্দতকাল পর্যন্ত দুধ পান করতে থাকুক—তখন মায়েরা নিজেদের সন্তানদের পূর্ণ দুই বছর দুধ পান করাবে” (সূরা বাকারাঃ ২৩৩)।
অতএব দুধপানের পূর্ণ মেয়াদ হচ্ছে দুই বছর। এই মেয়াদ অতিক্রান্ত হওয়ার পর কোন দুধপান নেই—যা হুরমাত প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) সতর্কতা বিধানের জন্য দুই বছরের পর আরো ছয় মাস বাড়িয়ে দিয়েছেন এবং বলেছেন, এই হচ্ছে তিরিশ মাস এবং তিরিশ মাস শেষ হওয়ার পর আর দুধপান সম্পর্কিত হুরমাত প্রতিষ্ঠিত হবে না। কিন্তু আমাদের মতে দুই বছরের পর আর হুরমাত প্রতিষ্ঠিত হবে না।
স্তনদায়িনীর স্বামীও স্তন পানকারিণীর মাহরাম হয়ে যায়। আমাদের মতে বংশীয় সম্পর্কের কারণে যা হারাম হয় —–দুধপান জনিত কারণেও তাই হারাম হয়। অতএব দুধ-ভাইয়ের জন্য দুধবোন (উভয়ের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন) হারাম। তাদের উভয়ের মা ভিন্ন ভিন্ন স্ত্রীলোক হওয়া সত্ত্বেও দুধপিতা একই ব্যক্তি হওয়ার কারণে তারা পরস্পরের জন্য হারাম। যেমন ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেছেন, 'একই স্ত্রীর দুধ হতে হবে।' আমরা এই মত গ্রহণ করেছি এবং ইমাম আবু হানীফারও এই মত।**
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, দুই বছর বয়সসীমার মধ্যে দুধ পান করলে তাতেই কেবল দুধপান সম্পর্কিত হুরমাত প্রতিষ্ঠিত হবে। দুই বছরের মধ্যে দুধ পান করাটাই হুরমাত প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কারণ, তা একবার স্তন চুষলেও। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ), সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব এবং উরওয়া ইবনুয যুবায়ের তাই বলেছেন। দুই বছর বয়স হওয়ার পর দুধ পান করলে তাতে দুধপান জনিত হুরমাত প্রতিষ্ঠিত হয় না। কেননা মহান আল্লাহ বলেনঃ
والوالدات يرضعن أولادهن حولين كاملين لمن أراد أن يتم الرضاعة
“যে পিতা চায় যে, তার সন্তান পূর্ণ মুদ্দতকাল পর্যন্ত দুধ পান করতে থাকুক—তখন মায়েরা নিজেদের সন্তানদের পূর্ণ দুই বছর দুধ পান করাবে” (সূরা বাকারাঃ ২৩৩)।
অতএব দুধপানের পূর্ণ মেয়াদ হচ্ছে দুই বছর। এই মেয়াদ অতিক্রান্ত হওয়ার পর কোন দুধপান নেই—যা হুরমাত প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) সতর্কতা বিধানের জন্য দুই বছরের পর আরো ছয় মাস বাড়িয়ে দিয়েছেন এবং বলেছেন, এই হচ্ছে তিরিশ মাস এবং তিরিশ মাস শেষ হওয়ার পর আর দুধপান সম্পর্কিত হুরমাত প্রতিষ্ঠিত হবে না। কিন্তু আমাদের মতে দুই বছরের পর আর হুরমাত প্রতিষ্ঠিত হবে না।
স্তনদায়িনীর স্বামীও স্তন পানকারিণীর মাহরাম হয়ে যায়। আমাদের মতে বংশীয় সম্পর্কের কারণে যা হারাম হয় —–দুধপান জনিত কারণেও তাই হারাম হয়। অতএব দুধ-ভাইয়ের জন্য দুধবোন (উভয়ের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন) হারাম। তাদের উভয়ের মা ভিন্ন ভিন্ন স্ত্রীলোক হওয়া সত্ত্বেও দুধপিতা একই ব্যক্তি হওয়ার কারণে তারা পরস্পরের জন্য হারাম। যেমন ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেছেন, 'একই স্ত্রীর দুধ হতে হবে।' আমরা এই মত গ্রহণ করেছি এবং ইমাম আবু হানীফারও এই মত।**
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، أَنَّهُ سَمِعَهُ يَقُولُ: لا رَضَاعَةَ إِلا فِي الْمَهْدِ، وَلا رَضَاعَةَ إِلا مَا أَنْبَتَ اللَّحْمُ وَالدَّمُ، قَالَ مُحَمَّدٌ: لا يُحَرِّمُ الرَّضَاعُ إِلا مَا كَانَ فِي الْحَوْلَيْنِ، فَمَا كَانَ فِيهَا مِنَ الرَّضَاعِ، وَإِنْ كَانَ مَصَّةً وَاحِدَةً فَهِيَ تُحَرِّمُ كَمَا قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ، وَسَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ، وَعُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَمَا كَانَ بَعْدَ الْحَوْلَيْنِ لَمْ يُحَرِّمْ شَيْئًا لأَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ قَالَ: وَالْوَالِدَاتُ يُرْضِعْنَ أَوْلادَهُنَّ حَوْلَيْنِ كَامِلَيْنِ لِمَنْ أَرَادَ أَنْ يُتِمَّ الرَّضَاعَةَ فَتَمَامُ الرَّضَاعَةِ الْحَوْلانِ، فَلا رَضَاعَةَ بَعْدَ تَمَامِهِمَا تُحَرِّمُ شَيْئًا، وَكَانَ أَبُو حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ يَحْتَاطُ بِسِتَّةِ أَشْهُرٍ بَعْدَ الْحَوْلَيْنِ، فَيَقُولُ: يُحَرِّمُ مَا كَانَ فِي الْحَوْلَيْنِ وَبَعْدَهُمَا إِلَى تَمَامِ سِتَّةِ أَشْهُرٍ، وَذَلِكَ ثَلاثُونَ شَهْرًا، وَلا يُحَرِّمُ مَا كَانَ بَعْدَ ذَلِكَ، وَنَحْنُ لا نَرَى أَنَّهُ يُحَرِّمُ، وَنَرَى أَنَّهُ لا يُحَرِّمُ مَا كَانَ بَعْدَ الْحَوْلَيْنِ، وَأَمَّا لَبَنُ الْفَحْلِ فَإِنَّا نَرَاهُ يُحَرِّمُ، وَنَرَى أَنَّهُ يَحْرُمُ مِنَ الرَّضَاعِ مَا يَحْرُمُ مِنَ النَّسَبِ، فَالأَخُ مِنَ الرَّضَاعَةِ مِنَ الأَبِ تَحْرُمُ عَلَيْهِ أُخْتُهُ مِنَ الرَّضَاعَةِ مِنَ الأَبِ، وَإِنْ كَانَتِ الأُمَّانِ مُخْتَلِفَتَيْنِ إِذَا كَانَ لَبَنُهُمَا مِنْ رَجُلٍ وَاحِدٍ، كَمَا قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: اللِّقَاحُ وَاحِدٌ، فَبِهَذَا نَأْخُذُ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান