আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

৮- তালাক ও আনুষঙ্গিক অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৫৯২
মৃত্যুর অথবা তালাকের ইদ্দাত চলাকালে স্বামীর বাড়ির বাইরে স্ত্রীর যাওয়া সম্পর্কে।
৫৯২। ইয়াহ্ইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি কাসিম ইবনে মুহাম্মাদ এবং সুলায়মান ইবনে ইয়াসারকে আলোচনা করতে শুনেছেন যে, ইয়াহ্ইয়া ইবনে সাঈদ ইবনুল আস (নিজ স্ত্রী) আব্দুর রহমান ইবনুল হাকামের কন্যাকে তিন তালাক দিলেন। আব্দুর রহমান তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে গেলেন। আয়েশা (রাযিঃ) মদীনার গভর্নর মারওয়ানকে বলে পাঠালেন, আল্লাহ্‌কে ভয় করো এবং মেয়েটিকে তালাকদাতা স্বামীর বাড়ীতে ফেরত পাঠাও। সুলায়মানের বর্ণনায় আছে, মারওয়ান বলে পাঠালেন, আব্দুর রহমানকে প্রতিরোধ করার ক্ষমতা আমার নেই। আসেমের বর্ণনায় আছে, মারওয়ান বললেন, আপনি কি ফাতিমা বিনতে কায়েসের ঘটনা অবহিত নন? আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, ফাতিমার হাদীস বর্ণনা না করলে তোমার কোন ক্ষতি ছিলো না। মারওয়ান বলেন, স্বামীর বাড়ী থেকে ফাতিমার চলে যাওয়ার কারণ যদি উভয়ের পরিবারের মধ্যে বিরাজমান ঝগড়া হয়ে থাকে তাহলে সেই একই কারণ এখানেও বিদ্যমান আছে।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করেছি। স্বামী স্ত্রীকে যে ঘরে তালাক দিয়েছে অথবা যে ঘরে স্বামী মারা গেছে ইদ্দাত চলাকালে সেই ঘর থেকে তার বের হওয়া নিষেধ-তা এক তালাক হোক অথবা একাধিক তালাক। ইমাম আবু হানীফা এবং আমাদের অধিকাংশ ফিক্হবিদের এটাই সাধারণ মত।
بَابُ: الْمَرْأَةِ تَنْتَقِلُ مِنْ مَنْزِلِهَا قَبْلَ انْقِضَاءِ عِدَّتِهَا مِنْ مَوْتٍ أَوْ طَلاقٍ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، وَسُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، " أَنَّهُ سَمِعَهُمَا يَذْكُرَانِ أَنَّ يَحْيَى بْنَ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ طَلَّقَ بِنْتَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَكَمِ الْبتَّةَ، فَانْتَقَلَهَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، فَأَرْسَلَتْ عَائِشَةُ إِلَى مَرْوَانَ وَهُوَ أَمِيرُ الْمَدِينَةِ: اتَّقِ اللَّهَ وَارْدُدِ الْمَرْأَةَ إِلَى بَيْتِهَا، فَقَالَ مَرْوَانُ فِي حَدِيثِ سُلَيْمَانَ: أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ غَلَبَنِي، وَقَالَ فِي حَدِيثِ الْقَاسِمِ: أَوَمَا بَلَغَكِ شَأْنُ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ؟ قَالَتْ عَائِشَةُ: لا يَضُرُّكَ أَنْ لا تَذْكُرَ حَدِيثَ فَاطِمَةَ، قَالَ مَرْوَانُ، إِنْ كَانَ بِكِ الشَّرُّ فَحَسْبُكِ مَا بَيْنَ هَذَيْنِ مِنَ الشَّرِّ "، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، لا يَنْبَغِي لِلْمَرْأَةِ أَنْ تَنْتَقِلَ مِنْ مَنْزِلِهَا الَّذِي طَلَّقَهَا فِيهِ زَوْجُهَا طَلاقًا بَائِنًا، أَوْ غَيْرَهُ، أَوْ مَاتَ عَنْهَا فِيهِ حَتَّى تَنْقَضِيَ عِدَّتُهَا، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৯৩
মৃত্যুর অথবা তালাকের ইদ্দাত চলাকালে স্বামীর বাড়ির বাইরে স্ত্রীর যাওয়া সম্পর্কে।
৫৯৩। নাফে (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। সাঈদ ইবনে যায়েদ ইবনে নুফাইলের কন্যাকে মুগাল্লাযা তালাক দেয়া হলো। তাকে সেই (তালাক দেয়া) ঘর থেকে সরিয়ে নেয়া হলো। ইবনে উমার (রাযিঃ) এটা অপছন্দ করলেন।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، أَنَّ «ابْنَةَ سَعِيدِ بْنِ زَيْدِ بْنِ نُفَيْلٍ طُلِّقَتِ الْبَتَّةَ، فَانْتَقَلَتْ، فَأَنْكَرَ ذَلِكَ عَلَيْهَا ابْنُ عُمَرَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৯৪
মৃত্যুর অথবা তালাকের ইদ্দাত চলাকালে স্বামীর বাড়ির বাইরে স্ত্রীর যাওয়া সম্পর্কে।
৫৯৪। মালেক ইবনে সিনানের কন্যা এবং আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাযিঃ)-র বোন ফুরাইআ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি তার বাপের বাড়ী ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করার জন্য রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কাছে এলেন। (তিনি বলেন), কেননা আমার স্বামী আমাদের পালিয়ে যাওয়া কয়েকটি গোলামের খোঁজে বাইরে গিয়েছিলেন। আল-কাদ্দূম নামক এলাকার কাছাকাছি তিনি যখন তাদের প্রায় ধরে ফেলছিলেন তখন তারা তাকে হত্যা করে। আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কাছে আমার বাপের বাড়ী খুদরা গোত্রে ফিরে যাওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করি। কেননা আমার স্বামী তার মালিকানায় আমার বসবাসের জন্য কোন ঘর এবং খোরপোষ রেখে যাননি। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ “হ্যাঁ, তুমি যেতে পারো”। অতএব আমি তাঁর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে রওয়ানা হলাম। আমি কেবল হুজরা থেকে বের হয়েছি এমন সময় তিনি আমাকে ডাকলেন অথবা আমাকে ডাকার জন্য কাউকে নির্দেশ দিলেন। অতএব আমাকে ডাকা হলো। আমি তাঁর কাছে গেলে তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ “তুমি কি বলেছিলে? আমি তার সামনে পূর্বের ঘটনা পুনরায় ব্যক্ত করলাম। তিনি বলেনঃ “নিজ ঘরে অবস্থান করো ইদ্দাত শেষ না হওয়া পর্যন্ত।" রাবী বলেন, অতএব আমি সেই ঘরে (স্বামীর ঘরে) চার মাস দশ দিন ইদ্দাত পালন করলাম।** রাবী আরো বলেন, উছমান (রাযিঃ) তার খিলাফতকালে আমাকে ডেকে পাঠালেন এবং এই বিষয়ে আমার কাছে জিজ্ঞেস করলেন। আমি তাকে বিষয়টি আদ্যপান্ত অবহিত করি। তিনি এই বিষয়টির অনুসরণ করেন এবং তদনুযায়ী (এই জাতীয় ঘটনার) ফয়সালা দিতেন।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا سَعْدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، عَنْ عَمَّتِهِ زَيْنَبَ ابْنَةِ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، أَنَّ الْفُرَيْعَةَ بِنْتَ مَالِكِ بْنِ سِنَانٍ وَهِيَ أُخْتُ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَخْبَرَتْهُ، أَنَّهَا أَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَسْأَلُهُ أَنْ تَرْجِعَ إِلَى أَهْلِهَا فِي بَنِي خُدْرَةٍ، فَإِنَّ زَوْجِي خَرَجَ فِي طَلَبِ أَعْبُدٍ لَهُ أَبَقُوا حَتَّى إِذَا كَانَ بِطَرَفِ الْقَدُومِ أَدْرَكَهُمْ، فَقَتَلُوهُ، فَقَالَتْ: فَسَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَأْذَنَ لِي أَنْ أَرْجِعَ إِلَى أَهْلِي فِي بَنِي خُدْرَةٍ فَإِنَّ زَوْجِي لَمْ يَتْرُكْنِي فِي مَسْكَنٍ يَمْلِكُهُ، وَلا نَفَقَةٍ، فَقَالَ: «نَعَمْ» ، فَخَرَجْتُ حَتَّى إِذَا كُنْتُ بِالْحُجْرَةِ دَعَانِي، أَوْ أَمَرَ مَنْ دَعَانِي، فَدُعِيتُ لَهُ، فَقَالَ: «كَيْفَ قُلْتِ؟» ، فَرَدَّدْتُ عَلَيْهِ الْقِصَّةَ الَّتِي ذَكَرْتُ لَهُ، فَقَالَ: «امْكُثِي فِي بَيْتِكَ حَتَّى يَبْلُغَ الْكِتَابُ أَجَلَهُ» ، قَالَتْ: فَاعْتَدَدْتُ فِيهِ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا، قَالَتْ: فَلَمَّا كَانَ أَمْرُ عُثْمَانَ أَرْسَلَ إِلَيَّ فَسَأَلَنِي عَنْ ذَلِكَ فَأَخْبَرْتُهُ بِذَلِكَ فَاتَّبَعَهُ وَقَضَى بِهِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৯৫
মৃত্যুর অথবা তালাকের ইদ্দাত চলাকালে স্বামীর বাড়ির বাইরে স্ত্রীর যাওয়া সম্পর্কে।
৫৯৫। সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তার কাছে এক মহিলা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো যে, তার স্বামী যখন তাকে তালাক দেয়, তখন সে ভাড়া বাড়িতে ছিল। এখন এ বাড়ির ভারা কে দিবে স্বামী না স্ত্রী? সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রাহঃ) বলেন, স্বামীকে ভাড়ার খরচ বহন হতে হবে। কেরা বললো, ভাড়া পরিশোধ করার সামর্থ্য যদি স্বামীর না থাকে? তিনি বলেন, তাহলে স্ত্রী তা পরিশোধ করবে। তারা আবার বললো, সেও যদি অসমর্থ হয়? তিনি বলেন, তাহলে সরকারের স্থানীয় প্রতিনিধি ভাড়া পরিশোধ করবে।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيِّبِ، أَنَّهُ سُئِلَ عَنِ الْمَرْأَةِ يُطَلِّقُهَا زَوْجُهَا وَهِيَ فِي بَيْتِ بِكِرَاءٍ، عَلَى مَنِ الْكِرَاءُ؟ قَالَ: عَلَى زَوْجِهَا، قَالُوا: فَإِنْ لَمْ يَكُنْ عِنْدَ زَوْجِهَا؟ قَالَ: فَعَلَيْهَا، قَالُوا: فَإِنْ لَمْ يَكُنْ عِنْدَهَا؟ قَالَ: فَعَلَى الْأَمِيرِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৯৬
মৃত্যুর অথবা তালাকের ইদ্দাত চলাকালে স্বামীর বাড়ির বাইরে স্ত্রীর যাওয়া সম্পর্কে।
৫৯৬। নাফে (রাহঃ) বলেন, ইবনে উমার (রাযিঃ) তার স্ত্রীকে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর স্ত্রী হাফসা (রাযিঃ)-র ঘরে তালাক দেন। তার ঘরের মধ্য দিয়ে (ইবনে উমারের) মসজিদে যাওয়ার পথ ছিল। ইবনে উমার (রাযিঃ) ঐ ঘরের পিছন দিয়ে অন্য পথে মসজিদে যেতেন। কেননা তিনি স্ত্রীকে রুজু করার পূর্বে তার অবস্থানের ঘরের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করার অনুমতি চাওয়া পছন্দ করেননি।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করেছি। স্বামী স্ত্রীকে যে বাড়িতে তালাক দিয়েছে ইদ্দাত চলাকালে সেখান থেকে তার বের হওয়া উচিৎ নয়-তা বায়েন তালাকই হোক অথবা রিজঈ তালাকই হোক অথবা স্বামী মারা গিয়েই থাকুক। ঐ বাড়ীতেই তাকে ইদ্দাত পূর্ণ করতে হবে। ইমাম আবু হানীফা এবং আমাদের মাযহাবের ফিকহবিদদের এটাই সাধারণ মত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ «طَلَّقَ امْرَأَتَهُ فِي مَسْكَنِ حَفْصَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ طَرِيقُهُ فِي حُجْرَتِهَا، فَكَانَ يَسْلُكُ الطَّرِيقَ الأُخْرَى مِنْ أَدْبَارِ الْبُيُوتِ إِلَى الْمَسْجِدِ، كَرَاهَةَ أَنْ يَسْتَأْذِنَ عَلَيْهَا حَتَّى رَاجَعَهَا» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، لا يَنْبَغِي لِلْمَرْأَةِ أَنْ تَنْتَقِلَ مِنْ مَنْزِلِهَا الَّذِي طَلَّقَهَا فِيهِ زَوْجُهَا، إِنْ كَانَ الطَّلاقُ بَائِنًا، أَوْ غَيْرَ بَائِنٍ، أَوْ مَاتَ عَنْهَا فِيهِ حَتَّى تَنْقَضِيَ عِدَّتُهَا، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান