আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
৮- তালাক ও আনুষঙ্গিক অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৫৮৭
এক স্ত্রীকে অপর স্ত্রীর উপর অগ্রাধিকার দেয়া।
৫৮৭। রাফে ইবনে খাদীজ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি মুহাম্মাদ ইবনে সালামার কন্যাকে বিবাহ করলেন। তিনি তার ঘরসংসার করতে থাকলেন। অতঃপর তিনি এক যুবতীকে বিবাহ করলেন, তাকে প্রথম স্ত্রীর উপর অগ্রাধিকার দিতে লাগলেন এবং তার দিকে ঝুঁকে পড়লেন। প্রথম স্ত্রী তার কাছে তালাক দাবি করলো। অতএব তিনি তাকে এক তালাক দিলেন এবং নিজ বাড়িতেই রাখলেন। ইদ্দাত শেষ হওয়ার পূর্বে তিনি তাকে রুজু করলেন। কিন্তু এবারও তিনি যুবতী স্ত্রীর দিকেই ঝুঁকে থাকলেন। প্রথম স্ত্রী আবারও তালাক দাবি করলো। তিনি এবার তাকে এক তালাক দিলেন এবং স্ত্রীকে নিজ বাড়ীতেই রাখলেন। অতঃপর ইদ্দাত শেষ হওয়ার কাছাকাছি সময়ে আবারও স্ত্রীকে রুজু করলেন। কিন্তু তিনি যুবতী স্ত্রীকেই অগ্রাধিকার দিতে থাকলেন। প্রথম স্ত্রী পুনরায় তালাক দাবি করেন। স্বামী তাকে বলেন, তোমার কি খেয়াল, আর এক তালাক বাকী আছে। আমি তো দ্বিতীয় স্ত্রীকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। এ অবস্থায় তুমি যদি আমার ঘর-সংসার করতে রাজী হও তাহলে থেকে যাও। আর যদি তুমি চাও তবে আমি তোমাকে তালাক দিতে পারি। স্ত্রী বললো, অগ্রাধিকার দেয়া সত্ত্বেও আমি তোমার সংসারে থেকে যাওয়াই পছন্দ করি। অতএব তিনি নিজ স্ত্রীকে রেখে দিলেন। রাবী ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন, দ্বিতীয় স্ত্রীকে অগ্রাধিকার দেয়া সত্ত্বেও প্রথম স্ত্রী যখন তার সংসারে থেকে যাওয়াকে বেছে নিলো, তখন রাফে (রাযিঃ) এই অগ্রাধিকার দেয়াকে গুনাহ মনে করেননি।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, এ ব্যাপারে এক স্ত্রী সম্মত হলে অপর স্ত্রীকে অগ্রাধিকার দেয়ায় কোন দোষ নেই। তবে স্ত্রী তার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার অধিকার প্রাপ্ত হয়। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের সকল ফিকহবিদের এটাই সাধারণ মত।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, এ ব্যাপারে এক স্ত্রী সম্মত হলে অপর স্ত্রীকে অগ্রাধিকার দেয়ায় কোন দোষ নেই। তবে স্ত্রী তার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার অধিকার প্রাপ্ত হয়। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের সকল ফিকহবিদের এটাই সাধারণ মত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ أَنَّهُ تَزَوَّجَ ابْنَةَ مُحَمَّدِ بْنِ سَلَمَةَ، فَكَانَتْ تَحْتَهُ، فَتَزَوَّجَ عَلَيْهَا امْرَأَةً شَابَّةً فَآثَرَ الشَّابَّةَ عَلَيْهَا، فَنَاشَدَتْهُ الطَّلاقَ فَطَلَّقَهَا وَاحِدَةً، ثُمَّ أَمْهَلَهَا حَتَّى إِذَا كَادَتْ تَحِلُّ ارْتَجَعَهَا، ثُمَّ عَادَ، فَآثَرَ الشَّابَّةَ، فَنَاشَدَتْهُ الطَّلاقَ، فَطَلَّقَهَا وَاحِدَةً، ثُمَّ أَمْهَلَهَا حَتَّى كَادَتْ أَنْ تَحِلَّ ارْتَجَعَهَا، ثُمَّ عَادَ فَآثَرَ الشَّابَّةَ، فَنَاشَدَتْهُ الطَّلاقَ، فَقَالَ: «مَا شِئْتِ إِنَّمَا بَقِيَتْ وَاحِدَةٌ، فَإِنْ شِئْتِ اسْتَقْرَرْتِ عَلَى مَا تَرَيْنَ مِنَ الأَثَرَةِ وَإِنْ شِئْتِ طَلَّقْتُكِ» ، قَالَتْ: بَلْ أَسْتَقِرُّ عَلَى الأَثَرَةِ، فَأَمْسَكَهَا عَلَى ذَلِكَ، وَلَمْ يَرَ رَافِعٌ أَنَّ عَلَيْهِ فِي ذَلِكَ إِثْمًا حِينَ رَضِيَتْ أَنْ تَسْتَقِرَّ عَلَى الأَثَرَةِ، قَالَ مُحَمَّدٌ: لا بَأْسَ بِذَلِكَ إِذَا رَضِيَتْ بِهِ الْمَرْأَةُ، وَلَهَا أَنْ تَرْجِعَ عَنْهُ إِذَا بَدَا لَهَا، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান