আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

৮- তালাক ও আনুষঙ্গিক অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৫৬১
গোলামকে বিবাহ করার অনুমতি দেয়ার কারণে তালাক দেয়ার অধিকারও কি মনিবের হাতে থাকবে?
৫৬১। ইবনে উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলতেন, কোন ব্যক্তি তার গোলামকে বিবাহ করার অনুমতি দেয়ার অধিকারে তার স্ত্রীকে তালাক দেয়ারও অধিকারী হয় না। তালাকের অধিকার গোলামেরই থাকে। তবে মনিব যদি গোলামের বাঁদীকে অথবা বাঁদীর বাদীকে নিয়ে নেয় তাহলে কোন দোষ নেই। (এ কথাটুকু বলে গোলামের স্ত্রী এবং তার বাঁদীর মধ্যকার আইনগত পার্থক্যের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে)।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করেছি। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের সকল ফিকহবিদের এই মত।
بَابُ: الرَّجُلِ يَأْذَنُ لِعَبْدِهِ فِي التَّزْوِيجِ هَلْ يَجُوزُ طَلاقُ الْمَوْلَى عَلَيْهِ؟
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: «مَنْ أَذِنَ لِعَبْدِهِ فِي أَنْ يَنْكِحَ فَإِنَّهُ لا يَجُوزُ لامْرَأَتِهِ طَلاقٌ إِلا أَنْ يُطَلِّقَهَا الْعَبْدُ، فَأَمَّا أَنْ يَأْخُذَ الرَّجُلُ أَمَةَ غُلامِهِ، أَوْ أَمَةَ وَلِيدَتِهِ، فَلا جُنَاحَ عَلَيْهِ» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৬২
গোলামকে বিবাহ করার অনুমতি দেয়ার কারণে তালাক দেয়ার অধিকারও কি মনিবের হাতে থাকবে?
৫৬২। ইবনে উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। ছাকীফ গোত্রের একটি ক্রীতদাস উমার (রাযিঃ)-র কাছে এসে বললো, আমার মনিব তার অমুক ক্রীতদাসীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। কিন্তু সে এখনো তার সাথে সহবাস করে। উমার (রাযিঃ) দাসীটিকে চিনতেন। তিনি তার মনিবকে ডেকে পাঠালেন। সে উপস্থিত হলে তিনি বলেন, তোমার ক্রীতদাসীটি কি করে? সে বললো, সে আমার কাছে আছে। তিনি জিজ্ঞেস করেন, তুমি কি তার সাথে সহবাস করো? উমার (রাযিঃ)-র নিকট উপস্থিত কতিপয় লোক তাকে ইশারা করলে সে বললো, না। উমার (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ! তুমি যদি স্বীকারোক্তি করতে তবে আমি অবশ্যই তোমাকে শাস্তি দিতাম।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করেছি। কোন ব্যক্তি তার বাঁদীকে নিজের গোলামের সাথে বিবাহ দেয়ার পর তার সাথে সহবাস করা তার উচিত নয়। কেননা মালিক বিবাহ দেয়ার পর তালাক ও বিচ্ছেদের অধিকার গোলামের হাতে চলে গেছে। তালাক দেয়ার অধিকার মালিকের নেই। সে যদি তার সাথে সহবাস করে তবে প্রথমবারের মতো তাকে সতর্ক করে শাসিয়ে দিতে হবে। এরপরও সে যদি তার সাথে সহবাস করে তবে বিচারক তাকে যতো দিন কারাদণ্ড এবং বেত্রাঘাত প্রদান উপযুক্ত মনে করবেন, তাই শাস্তি দিবেন। কিন্তু বেত্রাঘাতের সংখ্যা চল্লিশের বেশী হবে না।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ عَبْدًا لِبَعْضِ ثَقِيفٍ جَاءَ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، فَقَالَ: أَنَّ سَيِّدِي أَنْكَحَنِي جَارِيَتَهُ، فُلانَةً، وَكَانَ عُمَرُ يَعْرِفُ الْجَارِيَةَ، وَهُوَ يَطَؤُهَا فَأَرْسَلَ عُمَرُ إِلَى الرَّجُلِ، فَقَالَ: مَا فَعَلَتْ جَارِيَتُكَ؟ قَالَ: هِيَ عِنْدِي، قَالَ: هَلْ تَطَؤُهَا؟ فَأَشَارَ إِلَى بَعْضِ مَنْ كَانَ عِنْدَهُ، فَقَالَ: لا، فَقَالَ عُمَرُ: أَمَا وَاللَّهِ لَوِ اعْتَرَفَتْ لَجَعَلْتُكَ نَكَالا "، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، لا يَنْبَغِي إِذَا زَوَّجَ الرَّجُلُ جَارِيَتَهُ عَبْدَهُ أَنْ يَطَأَهَا لأَنَّ الطَّلاقَ وَالْفُرْقَةَ بِيَدِ الْعَبْدِ إِذَا زَوَّجَهُ مَوْلاهُ، وَلَيْسَ لِمَوْلاهُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا بَعْدَ أَنْ زَوَّجَهَا فَإِنْ وَطِئَهَا يُنْدَمُ إِلَيْهِ فِي ذَلِكَ، فَإِنْ عَادَ أَدَّبَهُ الإِمَامُ عَلَى قَدْرِ مَا يَرَى مِنَ الْحَبْسِ وَالضَّرْبِ، وَلا يَبْلُغَ بِذَلِكَ أَرْبَعِينَ سَوْطًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান