আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

৭- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৫৩৯
বিবাহের পর স্বামী অথবা স্ত্রীর অসুখের কারণে স্ত্রীর কাছে না যাওয়া।
৫৩৯। সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রাহঃ) বলতেন, কোন ব্যক্তি কোন মহিলাকে বিবাহ করলো, কিন্তু সে তার সাথে সহবাস করতে সক্ষম নয়। এ অবস্থায় তাকে এক বছরের সময় দিতে হবে। এরপর যদি সে সহবাস করতে সক্ষম হয় তবে তো ভালো, অন্যথায় তাদের বিবাহ ভেঙ্গে দিতে হবে।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমাদের এই মত এবং ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-র বক্তব্যও তাই। এক বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও স্বামী যদি সহবাস করতে সক্ষম না হয়, তবে স্ত্রীকে এখতিয়ার দিতে হবে। সে যদি এই স্বামীর ঘর-সংসার করতে রাজী হয়, তবে সে তার স্ত্রী হিসাবেই থেকে গেলো। এরপর তার আর এখতিয়ার প্রয়োগের ক্ষমতা থাকবে না। আর সে যদি নিজকে বেছে নেয় (স্বামীকে পরিত্যাগ করে) তবে সে এক বায়েন তালাক হবে। আর স্বামী যদি দাবি করে যে, সে এক বছরের মধ্যে সহবাস করেছে এবং স্ত্রী যদি সায়্যিবা হয় তাহলে স্বামীর বক্তব্য শপথ সহকারে গ্রহণযোগ্য হবে। আর স্ত্রী যদি নিজকে বাকেরা বলে দাবি করে, তবে মহিলারা তাকে পরীক্ষা করে দেখবে এবং তারা যদি বলে যে, সে বাকেরা তবে সে বলবে, আল্লাহর শপথ! সে আমার সাথে সঙ্গম করেনি। অতঃপর তাকে স্বামীর সাথে থাকতে অথবা তার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার এখতিয়ার দেয়া হবে। কিন্তু মহিলারা যদি বলে যে, সে সায়্যিবা, তাহলে স্বামীর দাবি গ্রহণযোগ্য হবে এই কথা বলার পর যে, আল্লাহর শপথ! আমি তার সাথে সংগম করেছি। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের সকল ফিকহবিদের এটাই সাধারণ মত।
بَابُ: الرَّجُلِ يَنْكِحُ الْمَرْأَةَ وَلا يَصِلُ إِلَيْهَا لِعِلَّةٍ بِالْمَرْأَةِ أَوْ بِالرَّجُلِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، أنَّهُ كَانَ يَقُولُ: مَنْ تَزَوَّجَ امْرَأَةً فَلَمْ يَسْتَطِعْ أَنْ يَمَسَّهَا فَإِنَّهُ يُضْرَبُ لَهُ أَجَلٌ سَنَةً فَإِنْ مَسَّهَا وَإِلا فُرِّقَ بَيْنَهُمَا، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ إِنْ مَضَتْ سَنَةٌ وَلَمْ يَمَسَّهَا خُيِّرَتْ فَإِنِ اخْتَارَتْهُ فَهِيَ زَوْجَتُهُ، وَلا خِيَارَ لَهَا بَعْدَ ذَلِكَ أَبَدًا، وَإِنِ اخْتَارَتْ نَفْسَهَا فَهِيَ تَطْلِيقَةٌ بَائِنَةٌ، وَإِنْ قَالَ إِنِّي قَدْ مَسِسْتُهَا فِي السَّنَةِ إِنْ كَانَتْ ثَيِّبًا فَالْقَوْلُ قَوْلُهُ مَعَ يَمِينِهِ، وَإِنْ كَانَتْ بِكْرًا
نَظَرَ إِلَيْهَا النِّسَاءُ، فَإِنْ قُلْنَ هِيَ بِكْرٌ خُيِّرَتْ بَعْدَ مَا تُحَلَّفُ بِاللَّهِ مَا مَسَّهَا وَإِنْ قُلْنَ هِيَ ثَيِّبٌ، فَالْقَوْلُ قَوْلُهُ مَعَ يَمِينِهِ لَقَدْ مَسِسْتُهَا وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৪০
বিবাহের পর স্বামী অথবা স্ত্রীর অসুখের কারণে স্ত্রীর কাছে না যাওয়া।
৫৪০। সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রাহঃ) বলেন, কোন ব্যক্তি কোন স্ত্রীলোককে বিবাহ করলো এবং পুরুষলোকটির মস্তিষ্ক বিকৃতি অথবা অন্য কোন রোগ আছে, এক্ষেত্রে স্ত্রীলোকটির এখতিয়ার থাকবে যে, সে ইচ্ছা করলে তার সাথে ঘর-সংসারও করতে পারে অথবা বিচ্ছিন্নও হয়ে যেতে পারে।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, অবস্থা যদি এমন হয় যে, স্ত্রীর সাথে পুরুষলোকটির বসবাস সম্ভব নয়, তাহলে স্ত্রীলোকটির এখতিয়ার থাকবে যে, সে যদি চায় স্বামীর সাথেও থাকতে পারে অথবা বিচ্ছিন্ন হয়েও যেতে পারে। অন্যথায় নপুংসক ও মস্তিষ্ক বিকৃতির ক্ষেত্র ছাড়া কোন অবস্থায় স্ত্রীর (বিবাহ বন্ধন সম্পর্কে) কোন এখতিয়ার থাকবে না।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا مُجَبَّرٌ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، أَنَّهُ قَالَ: أَيُّمَا رَجُلٍ تَزَوَّجَ امْرَأَةً وَبِهِ جُنُونٌ، أَوْ ضُرٌّ فَإِنَّهَا تُخَيَّرُ إِنْ شَاءَتْ قَرَّتْ وَإِنْ شَاءَتْ فَارَقَتْ، قَالَ مُحَمَّدٌ: إِذَا كَانَ أَمْرًا لا يُحْتَمَلُ خُيِّرَتْ، فَإِنْ شَاءَتْ قَرَّتْ، وَإِنْ شَاءَتْ فَارَقَتْ، وَإِلا لا خِيَارَ لَهَا إِلا فِي الْعِنِّينِ وَالْمَجْبُوبِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান