আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

৭- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৫৩১
চারের অধিক স্ত্রীর বর্তমানে নতুন স্ত্রী গ্রহণ।
৫৩১। ইবনে শিহাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ছাকীফ গোত্রের লোকেরা যখন ইসলাম গ্রহণ করে, তখন তাদের এক ব্যক্তির অধীনে দশজন স্ত্রী ছিলো। রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে বলেনঃ “তাদের মধ্যে চারজনকে রেখে বাকীদের তালাক দাও।”
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই হাদীসের উপর আমল করি। তাদের মধ্যে যে চারজনকে ইচ্ছা রেখে দিয়ে অবশিষ্টদের বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে। কিন্তু ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) বলেন, প্রথম চার স্ত্রীর বিবাহ জায়েয হয়েছে এবং অবশিষ্টদের বিবাহ বাতিল গণ্য হবে। ইবরাহীম নাখঈর বক্তব্যও তাই।
بَابُ: الرَّجُلِ يَكُونُ عِنْدَهُ أَكْثَرُ مِنْ أَرْبَعِ نِسْوَةٍ فَيُرِيدُ أَنْ يَتَزَوَّجَ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، قَالَ: بَلَغَنَا، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِرَجُلٍ مِنْ ثَقِيفٍ وَكَانَ عِنْدَهُ عَشْرُ نِسْوَةٍ حِينَ أَسْلَمَ الثَّقَفِيُّ، فَقَالَ لَهُ: «أَمْسِكْ مِنْهُنَّ أَرْبَعًا، وَفَارِقْ سَائِرَهُنَّ» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، يَخْتَارُ مِنْهُنَّ أَرْبَعًا أَيَّتُهُنَّ شَاءَ، وَيُفَارِقُ مَا بَقِيَ، وَأَمَّا أَبُو حَنِيفَةَ فَقَالَ: نِكَاحُ الأَرْبَعَةِ الأُوَلِ جَائِزٌ، وَنِكَاحُ مَنْ بَقِيَ مِنْهُنَّ بَاطِلٌ وَهُوَ قَوْلُ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৩২
চারের অধিক স্ত্রীর বর্তমানে নতুন স্ত্রী গ্রহণ।
৫৩২। রবীআ ইবনে আবু আব্দুর রহমান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। ওয়ালীদ (ইবনে আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ান যখন মদীনায় আসেন, তখন) কাসেম ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) এবং উরওয়া ইবনুয যুবায়েরের নিকট জিজ্ঞেস করলেন, তিনি তার চার স্ত্রীর একজনকে বিদায় দিয়ে অপর এক মহিলাকে বিবাহ করতে চান, তা জায়েয কি না? তারা উভয়ে বলেন, হ্যাঁ, তোমার স্ত্রীকে তিন তালাক দাও, অতঃপর বিবাহ করো। কিন্তু কাসেম বলেন, ভিন্ন ভিন্ন মজলিসে তালাক দাও।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমাদের মতে তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর ইদ্দাত পূর্ণ হওয়ার পূর্বে পঞ্চম মহিলার সাথে বিবাহ বন্ধনে আব্দ্ধ হওয়া পছন্দনীয় নয়। কেননা পাঁচজন আযাদ মহিলার জরায়ুতে তার বীর্য জমা হওয়া ভালো নয়। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের সকল ফিকহবিদের এই মত (অর্থাৎ তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর ইদ্দাত শেষ হওয়ার পর সে পঞ্চম মহিলাকে বিবাহ করবে)।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا رَبِيعَةُ بْنُ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ الْوَلِيدَ سَأَلَ الْقَاسِمَ، وَعُرْوَةَ وَكَانَتْ عِنْدَهُ أَرْبَعُ نِسْوَةٍ فَأَرَادَ أَنْ يَبِتَّ وَاحِدَةً وَيَتَزَوَّجُ أُخْرَى، فَقَالَ: نَعَمْ، فَارِقِ امْرَأَتَكَ ثَلاثًا وَتَزَوَّجْ، فَقَالَ الْقَاسِمُ فِي مَجَالِسَ مُخْتَلِفَةٍ، قَالَ مُحَمَّدٌ: لا يُعْجِبُنَا أَنْ يَتَزَوَّجَ خَامِسَةً وَإِنْ بَتَّ طَلاقَ إِحْدَاهُنَّ حَتَّى تَنْقَضِيَ عِدَّتُهَا، لا يُعْجِبُنَا أَنْ يَكُونَ مَاؤُهُ فِي رَحِمِ خَمْسِ نِسْوَةٍ حَرَائِرَ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا رَحِمَهُمُ اللَّهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান