আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ৫০৭
- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
কোরবানীর পশুকে কাপড়ের ঝুল পরানো।
৫০৭। নাফে (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। ইবনে উমার (রাযিঃ) তার কোরবানীর উটের ঝুল কাটতেন না। মিনা থেকে রওয়ানা হয়ে ভোরে আরাফাতে না পৌঁছা পর্যন্ত তিনি তার কোরবানীর পশুকে ঝুল পরাতেন না। তিনি মিসরীয় কাপড়েরর তৈরী চারটি ঝুল পরাতেন । অতঃপর তা কাবার গেলাফের কাজে ব্যবহারের জন্য মক্কায় পাঠিয়ে দিতেন। নাফে (রাহঃ) বলেন, কাবা ঘরের গেলাফ তৈরীর রীতি শুরু হওয়ার পর ঝুল পরানোর রীতি বন্ধ হয়ে যায়।
كتاب الحج
بَابُ: جِلالِ الْبُدْنِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ كَانَ " لا يَشُقُّ جِلالَ بُدْنِهِ، وَكَانَ لا يُجَلِّلُهَا حَتَّى يَغْدُوَ بِهَا مِنْ مِنًى إِلَى عَرَفَةَ وَكَانَ يُجَلِّلُهَا بِالْحُلَلِ وَالْقُبَاطِيِّ وَالأَنْمَاطِ، ثُمَّ يَبْعَثُ بِجِلالِهَا، فَيَكْسُوهَا الْكَعْبَةَ، قَالَ: فَلَمَّا كُسِيَتِ الْكَعْبَةُ هَذِهِ الْكِسْوَةَ أَقْصَرَ مِنَ الْجِلالِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫০৮
- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
কোরবানীর পশুকে কাপড়ের ঝুল পরানো।
৫০৮। ইমাম মালেক (রাহঃ) বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনে দীনারকে জিজ্ঞেস করলাম, কাবা ঘরের গেলাফ তৈরী হয়ে যাওয়ার পর ইবনে উমার (রাযিঃ) তার কোরবানীর উটের ঝুলগুলো কি করতেন? আব্দুল্লাহ ইবনে দীনার বলেন, ইবনে উমার (রাযিঃ) তা দান করে দিতেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমাদেরও এই মত। কোরবানীর পশুর ঝুল (পশুকে সুসজ্জিত করার কাপড়), নাসারন্ধ্রের রশি, বাঁধার দড়ি ইত্যাদি সব দান-খয়রাত করে দিতে হবে। এসব জিনিস এবং গোশত কসাইকে মজুরী হিসাবে দেয়া জায়েয নয়। আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কর্মনীতি সম্পর্কে জানতে পেরেছি যে,
أن النبي صلى الله عليه وسلم بعث مع علي بن أبي طالب رضي الله عنه بهدي، فأمر أن يتصدق بجلاله وبخطمه، وأن لا يعطي الجزار من خطمه وجلاله شيئا
“নবী ﷺ আলী (রাযিঃ)-কে কোরবানীর পশুসহ মক্কায় পাঠান। তিনি তাকে নির্দেশ দিলেন, তিনি যেন এর ঝুল, নাসারন্ধ্রের রশি সবকিছু দান করেন এবং এর কোন জিনিসই কসাইকে মজুরী হিসাবে না দেন।”
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমাদেরও এই মত। কোরবানীর পশুর ঝুল (পশুকে সুসজ্জিত করার কাপড়), নাসারন্ধ্রের রশি, বাঁধার দড়ি ইত্যাদি সব দান-খয়রাত করে দিতে হবে। এসব জিনিস এবং গোশত কসাইকে মজুরী হিসাবে দেয়া জায়েয নয়। আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কর্মনীতি সম্পর্কে জানতে পেরেছি যে,
أن النبي صلى الله عليه وسلم بعث مع علي بن أبي طالب رضي الله عنه بهدي، فأمر أن يتصدق بجلاله وبخطمه، وأن لا يعطي الجزار من خطمه وجلاله شيئا
“নবী ﷺ আলী (রাযিঃ)-কে কোরবানীর পশুসহ মক্কায় পাঠান। তিনি তাকে নির্দেশ দিলেন, তিনি যেন এর ঝুল, নাসারন্ধ্রের রশি সবকিছু দান করেন এবং এর কোন জিনিসই কসাইকে মজুরী হিসাবে না দেন।”
كتاب الحج
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، قَالَ: سَأَلْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ دِينَارٍ، مَا كَانَ ابْنُ عُمَرَ يَصْنَعُ بِجِلالِ بُدْنِهِ؟ حَتَّى أَقْصَرَ عَنْ تِلْكَ الْكِسْوَةِ، قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ: كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ يَتَصَدَّقُ بِهَا "، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، يَنْبَغِي أَنْ يُتَصَدَّقَ بِجِلالِ الْبُدْنِ وَبِخُطُمِهَا، وَأَنْ لا يُعْطَى الْجَزَّارُ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا، وَلا مِنْ لُحُومِهَا، بَلَغَنَا أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ مَعَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ بِهَدْيٍ، فَأَمَرَ أَنْ يَتَصَدَّقَ بِجِلالِهِ وَبِخُطُمِهِ، وَأَنْ لا يُعْطِيَ الْجَزَّارَ مِنْ خُطُمِهِ وَجِلالِهِ شَيْئًا
তাহকীক: