আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪৯১
কোরবানীর দিন জামরাতুল আকাবায় প্রস্তর নিক্ষেপের পরও হাজীদের জন্য যেসব কাজ নিষিদ্ধ।
৪৯১ । আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) আরাফাতে হজ্জের খোতবা দিলেন এবং লোকদের হজ্জের নিয়মাবলী শিক্ষা দিতে গিয়ে বলেন, তোমরা যখন মিনায় পৌঁছে জামরাতুল আকাবায় প্রস্তর নিক্ষেপ সমাপ্ত করবে তখন ইহরামের কারণে তোমাদের উপর যা কিছু নিষিদ্ধ ছিলো তা তোমাদের জন্য হালাল হয়ে যাবে, শুধু স্ত্রীসহবাস ও সুগন্ধি ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। বাইতুল্লাহ তাওয়াফের পর তা তোমাদের জন্য হালাল হবে।
بَابُ: مَا يَحْرُمُ عَلَى الْحَاجِّ بَعْدَ رَمْيِ جَمْرَةِ الْعَقَبَةِ يَوْمَ النَّحْرِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ خَطَبَ النَّاسَ بِعَرَفَةَ فَعَلَّمَهُمْ أَمْرَ الْحَجِّ، وَقَالَ لَهُمْ فِيمَا قَالَ: «ثُمَّ جِئْتُمْ مِنًى، فَمَنْ رَمَى الْجَمْرَةَ الَّتِي عِنْدَ الْعَقَبَةِ فَقَدْ حَلَّ لَهُ مَا حَرُمَ عَلَيْهِ إِلا النِّسَاءَ وَالطِّيبَ، لا يَمَسَّ أَحَدٌ نِسَاءً، وَلا طِيبًا حَتَّى يَطُوفَ بِالْبَيْتِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৯২
কোরবানীর দিন জামরাতুল আকাবায় প্রস্তর নিক্ষেপের পরও হাজীদের জন্য যেসব কাজ নিষিদ্ধ।
৪৯২। আব্দুল্লাহ ইবনে দীনার (রাহঃ) উমার (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছেন, উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি জামরায় প্রস্তর নিক্ষেপ করলো, অতঃপর মাথা মুণ্ডন করলো অথবা চুল খাটো করলো এবং সাথে কোরবানীর পশু থাকলে তা কোরবানী করলো, এরপর তার জন্য সব কিছুই হালাল হয়ে গেলো যা হজ্জের সময় তার উপর হারাম ছিলো। তবে বাইতুল্লাহ তাওয়াফ না করা পর্যন্ত স্ত্রীসহবাস এবং সুগন্ধি ব্যবহার তার জন্য নিষিদ্ধ থাকবে ।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, এটা আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) এবং উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-র বক্তব্য। অন্যথায় হযরত আয়েশা (রাযিঃ) বলেন,
طيبت رسول اللہ ﷺ بیدى هاتين بعد ما حلق قبل أن يزور البيت
“রাসূলুল্লাহ ﷺ মাথা কামানোর পর এবং বাইতুল্লাহ শরীফ যিয়ারতের পূর্বে আমার এই দুই হাতে আমি তাঁর দেহে সুগন্ধি মেখে দিয়েছি।”
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, এটা আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) এবং উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-র বক্তব্য। অন্যথায় হযরত আয়েশা (রাযিঃ) বলেন,
طيبت رسول اللہ ﷺ بیدى هاتين بعد ما حلق قبل أن يزور البيت
“রাসূলুল্লাহ ﷺ মাথা কামানোর পর এবং বাইতুল্লাহ শরীফ যিয়ারতের পূর্বে আমার এই দুই হাতে আমি তাঁর দেহে সুগন্ধি মেখে দিয়েছি।”
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ: قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: «مَنْ رَمَى الْجَمْرَةَ ثُمَّ حَلَقَ، أَوْ قَصَّرَ، وَنَحَرَ هَدْيًا إِنْ كَانَ مَعَهُ حَلَّ لَهُ مَا حَرُمَ عَلَيْهِ فِي الْحَجِّ إِلا النِّسَاءَ وَالطِّيبَ حَتَّى يَطُوفَ بِالْبَيْتِ» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: هَذَا قَوْلُ عُمَرَ وَابْنِ عُمَرَ، وَقَدْ رَوَتْ عَائِشَةُ خِلافَ ذَلِكَ قَالَتْ: طَيَّبْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدَيَّ هَاتَيْنِ بَعْدَ مَا حَلَقَ قَبْلَ أَنْ يَزُورَ الْبَيْتَ، فَأَخَذْنَا بِقَوْلِهَا، وَعَلَيْهِ أَبُو حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةُ مِنْ فُقَهَائِنَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৯৩
কোরবানীর দিন জামরাতুল আকাবায় প্রস্তর নিক্ষেপের পরও হাজীদের জন্য যেসব কাজ নিষিদ্ধ।
৪৯৩। আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে ইহরাম বাঁধার পূর্বে ইহরামের জন্য সুগন্ধি মেখে দিতাম এবং হালাল হওয়ার জন্য বাইতুল্লাহ তাওয়াফের পূর্বেও সুগন্ধি মেখে দিতাম ।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমাদের মতে এটাই উত্তম। তাওয়াফে যিয়ারতের পূর্বে সুগন্ধি ব্যবহার করা যেতে পারে। আমরা উমার (রাযিঃ) ও ইবনে উমার (রাযিঃ)-র মত পরিত্যাগ করেছি । ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের সকল ফিকহবিদের এটাই সাধারণ মত।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমাদের মতে এটাই উত্তম। তাওয়াফে যিয়ারতের পূর্বে সুগন্ধি ব্যবহার করা যেতে পারে। আমরা উমার (রাযিঃ) ও ইবনে উমার (রাযিঃ)-র মত পরিত্যাগ করেছি । ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের সকল ফিকহবিদের এটাই সাধারণ মত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ: «كُنْتُ أُطَيِّبُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لإِحْرَامِهِ قَبْلَ أَنْ يُحْرِمَ، وَلِحِلِّهِ قَبْلَ أَنْ يَطُوفَ بِالْبَيْتِ» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ فِي الطِّيبِ قَبْلَ زِيَارَةِ الْبَيْتِ وَنَدَعُ مَا رَوَى عُمَرُ، وَابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ تَعَالَى عَنْهُمَا، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান