আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
৫- রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ৩৭০
- রোযার অধ্যায়
যেসব দিনে রোযা রাখা মাকরূহ।
৩৭০। সুলায়মান ইবনে ইয়াসার (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ মিনার দিনগুলোতে রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন।
أبواب الصيام
بَابُ: الأَيَّامِ الَّتِي يُكْرَهُ فِيهَا الصَّوْمُ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ سُلْيَمَانَ بْنِ يَسَارٍ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «نَهَى عَنْ صِيَامِ أَيَّامِ مِنًى»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৭১
- রোযার অধ্যায়
যেসব দিনে রোযা রাখা মাকরূহ।
৩৭১ । আবু মুররা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) আইয়ামে তাশরীকে (ঈদুল আযহার দিনের পরের তিন দিন) তার পিতা আমর ইবনুল আস (রাযিঃ)-র কাছে গেলেন। তার সামনে খাদ্যদ্রব্য দিয়ে আমর (রাযিঃ) বলেন, খাও। আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) তার পিতাকে বলেন, আমি রোযা রেখেছি। আমর (রাযিঃ) বলেন, খেয়ে নাও। তুমি কি জানো না, রাসূলুল্লাহ ﷺ এই কয়দিন রোযা না রাখার জন্য আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন?
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই নীতি গ্রহণ করেছি। আইয়ামে তাশরীকে (১১, ১২ ও ১৩ যিলহজ্জ) কারো রোযা রাখা ঠিক নয়, চাই সে তামাত্তু হজ্জকারী হোক অথবা অন্য প্রকারের হজ্জকারী। কেননা নবী ﷺ এই কয়দিন রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের পূর্ববর্তী যুগের সব আলেমের এই মত। ইমাম মালেক (রাহঃ) বলেন, যে তামাত্তু হজ্জকারী কোরবানী করার জন্য পশু সংগ্রহ করতে পারেনি অথবা কোরবানীর পূর্বেকার তিন দিন (৭, ৮ ও ৯ যিলহজ্জ) রোযাও রাখতে পারেনি, তার জন্য আইয়ামে তাশরীকের তিন দিন রোযা রাখা জায়েয।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই নীতি গ্রহণ করেছি। আইয়ামে তাশরীকে (১১, ১২ ও ১৩ যিলহজ্জ) কারো রোযা রাখা ঠিক নয়, চাই সে তামাত্তু হজ্জকারী হোক অথবা অন্য প্রকারের হজ্জকারী। কেননা নবী ﷺ এই কয়দিন রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের পূর্ববর্তী যুগের সব আলেমের এই মত। ইমাম মালেক (রাহঃ) বলেন, যে তামাত্তু হজ্জকারী কোরবানী করার জন্য পশু সংগ্রহ করতে পারেনি অথবা কোরবানীর পূর্বেকার তিন দিন (৭, ৮ ও ৯ যিলহজ্জ) রোযাও রাখতে পারেনি, তার জন্য আইয়ামে তাশরীকের তিন দিন রোযা রাখা জায়েয।
أبواب الصيام
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْهَادِ، عَنْ أَبِي مُرَّةَ مَوْلَى عُقَيْلِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ: دَخَلَ عَلَى أَبِيهِ فِي أَيَّامِ التَّشْرِيقِ، فَقَرَّبَ لَهُ طَعَامًا، فَقَالَ: كُلْ، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ لأَبِيهِ: إِنِّي صَائِمٌ، قَالَ: كُلْ، أَمَا عَلِمْتَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ «يَأْمُرُنَا بِالْفِطْرِ فِي هَذِهِ الأَيَّامِ» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، لا يَنْبَغِي أَنْ يُصَامَ أَيَّامُ التَّشْرِيقِ لِمُتْعَةٍ، وَلا لِغَيْرِهَا، لِمَا جَاءَ مِنَ النَّهْيِ عَنْ صَوْمِهَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ، وَالْعَامَّةِ مِنْ قَبْلِنَا، وَقَالَ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ: يَصُومُهَا الْمُتَمَتِّعُ الَّذِي لا يَجِدُ الْهَدْيَ، أَوْ فَاتَتْهُ الأَيَّامُ الثَّلاثَةُ قَبْلَ يَوْمِ النَّحْرِ