আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
৩- জানাযা-কাফন-দাফন সম্পর্কিত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩১১
মৃতের জন্য জানাযার নামায পড়া এবং দোয়া করা।
৩১১। সাঈদ আল-মাকবূরী (রাহঃ) থেকে তার পিতার (কায়সান) সূত্রে বর্ণিত। তিনি আৰু হুরায়রা (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, মৃতের জানাযা কিভাবে পড়তে হবে? তিনি বলেন, আল্লাহর শপথ! আমি অবশ্যই তোমাকে এ সম্পর্কে অবহিত করবো। আমি কোন ব্যক্তির ঘর থেকে তার লাশের সাথে যাই। লাশ যখন নামিয়ে রাখা হয় তখন আমি 'আল্লাহু আকবার' বলে জানাযা শুরু করি, অতঃপর আল্লাহর প্রশংসা করি এবং তার নবীর উপর দুরূদ পাঠ করি, অতঃপর (তৃতীয় তাকবীর বলার পর) নিম্নোক্ত দোয়া পড়িঃ
اللَّهُمَّ، عَبْدُكَ وَابْنُ عَبْدِكَ وَابْنُ أَمَتِكَ، كَانَ يَشْهَدُ أَنْ لا إِلَهَ إِلا أَنْتَ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُكَ، وَأَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ، إِنْ كَانَ مُحْسِنًا فَزِدْ فِي إِحْسَانِهِ، وَإِنْ كَانَ مُسِيئًا فَتَجَاوَزْ عَنْهُ، اللَّهُمَّ لا تَحْرِمْنَا أَجْرَهُ، وَلا تَفْتِنَّا بَعْدَهُ
“হে আল্লাহ! তোমার এই বান্দা, তোমার বান্দার পুত্র এবং তোমার বাদীর পুত্র। সে এই সাক্ষ্য দিতো যে, 'তুমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ ﷺ তোমার বান্দা ও তোমার রাসূল'। তুমি তার সম্পর্কে সর্বাধিক অবগত। যদি সে ভালো লোক হয়ে থাকে, তবে তুমি তার ভালো কাজের সওয়াব বৃদ্ধি করে দাও। আর যদি সে অপরাধী হয়ে থাকে, তবে তুমি তার প্রতি ক্ষমাপরবশ হও। হে আল্লাহ! তার মৃত্যুতে আমাদের যে কষ্ট হয়েছে তার সওয়াব থেকে আমাদের বঞ্চিত করো না এবং তার (মৃত্যুর পর) আমাদের বিপদে ফেলো না”।১ ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমাদের মতে এবং ইমাম আবু হানীফার মতে এটাই উত্তম যে, জানাযার নামাযে ফাতিহা পাঠ করবে না।২
اللَّهُمَّ، عَبْدُكَ وَابْنُ عَبْدِكَ وَابْنُ أَمَتِكَ، كَانَ يَشْهَدُ أَنْ لا إِلَهَ إِلا أَنْتَ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُكَ، وَأَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ، إِنْ كَانَ مُحْسِنًا فَزِدْ فِي إِحْسَانِهِ، وَإِنْ كَانَ مُسِيئًا فَتَجَاوَزْ عَنْهُ، اللَّهُمَّ لا تَحْرِمْنَا أَجْرَهُ، وَلا تَفْتِنَّا بَعْدَهُ
“হে আল্লাহ! তোমার এই বান্দা, তোমার বান্দার পুত্র এবং তোমার বাদীর পুত্র। সে এই সাক্ষ্য দিতো যে, 'তুমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ ﷺ তোমার বান্দা ও তোমার রাসূল'। তুমি তার সম্পর্কে সর্বাধিক অবগত। যদি সে ভালো লোক হয়ে থাকে, তবে তুমি তার ভালো কাজের সওয়াব বৃদ্ধি করে দাও। আর যদি সে অপরাধী হয়ে থাকে, তবে তুমি তার প্রতি ক্ষমাপরবশ হও। হে আল্লাহ! তার মৃত্যুতে আমাদের যে কষ্ট হয়েছে তার সওয়াব থেকে আমাদের বঞ্চিত করো না এবং তার (মৃত্যুর পর) আমাদের বিপদে ফেলো না”।১ ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমাদের মতে এবং ইমাম আবু হানীফার মতে এটাই উত্তম যে, জানাযার নামাযে ফাতিহা পাঠ করবে না।২
بَابُ: الصَّلاةِ عَلَى الْمَيِّتِ وَالدُّعَاءِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ الْمَقْبُرِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ سَأَلَ أَبَا هُرَيْرَةَ كَيْفَ [ص:111] يُصَلِّي عَلَى الْجِنَازَةِ، فَقَالَ: " أَنَا لَعَمْرِ اللَّهِ أُخْبِرُكَ، أَتْبَعُهَا مِنْ أَهْلِهَا، فَإِذَا وُضِعَتْ كَبَّرْتُ، فَحَمِدْتُ اللَّهَ وَصَلَّيْتُ عَلَى نَبِيِّهِ، ثُمَّ قُلْتُ: اللَّهُمَّ، عَبْدُكَ وَابْنُ عَبْدِكَ وَابْنُ أَمَتِكَ، كَانَ يَشْهَدُ أَنْ لا إِلَهَ إِلا أَنْتَ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُكَ، وَأَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ، إِنْ كَانَ مُحْسِنًا فَزِدْ فِي إِحْسَانِهِ، وَإِنْ كَانَ مُسِيئًا فَتَجَاوَزْ عَنْهُ، اللَّهُمَّ لا تَحْرِمْنَا أَجْرَهُ، وَلا تَفْتِنَّا بَعْدَهُ "، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، لا قِرَاءَةَ عَلَى الْجِنَازَةِ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩১২
মৃতের জন্য জানাযার নামায পড়া এবং দোয়া করা।
৩১২। নাফে (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। ইবনে উমার (রাযিঃ) যখন জানাযার নামায পড়তেন, তখন এতোটা জোরে সালাম বলতেন যে, তার কাছের লোকেরা তা শুনতে পেতো।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই হাদীসের উপর আমল করি। ডানে-বাঁয়ে সালাম ফিরানোর সময় কণ্ঠস্বর এতোটা উচ্চু করবে যাতে তা অন্তত কাছের লোকেরা শুনতে পায়। ইমাম আবু হানীফারও এই মত।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই হাদীসের উপর আমল করি। ডানে-বাঁয়ে সালাম ফিরানোর সময় কণ্ঠস্বর এতোটা উচ্চু করবে যাতে তা অন্তত কাছের লোকেরা শুনতে পায়। ইমাম আবু হানীফারও এই মত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا نَافِعٌ، «أَنَّ ابْنَ عُمَرَ كَانَ» إِذَا صَلَّى عَلَى جِنَازَةٍ سَلَّمَ، حَتَّى يُسْمِعَ مَنْ يَلِيهِ "، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، يُسَلِّمُ عَنْ يَمِينِهِ وَيَسَارِهِ، وَيُسْمِعُ مَنْ يَلِيهِ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩১৩
মৃতের জন্য জানাযার নামায পড়া এবং দোয়া করা।
৩১৩ ৷ নাফে (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। ইবনে উমার (রাযিঃ) আসরের নামায এবং ফজরের নামায ওয়াক্তমত পড়ার পর জানাযার নামায পড়তেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করেছি। ফজর ও আসর নামাযের পর (সূর্য উঠা এবং অস্ত যাওয়ার পূর্বে) জানাযার নামায পড়ায় কোন দোষ নেই। ইমাম আবু হানীফারও এই মত ।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করেছি। ফজর ও আসর নামাযের পর (সূর্য উঠা এবং অস্ত যাওয়ার পূর্বে) জানাযার নামায পড়ায় কোন দোষ নেই। ইমাম আবু হানীফারও এই মত ।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا نَافِعٌ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ كَانَ «يُصَلِّي عَلَى الْجِنَازَةِ بَعْدَ الْعَصْرِ، وَبَعْدَ الصُّبْحِ إِذَا صُلِّيَتَا لِوَقْتِهِمَا» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ لا بَأْسَ بِالصَّلاةِ عَلَى الْجِنَازَةِ فِي تَيْنِكَ السَّاعَتَيْنِ مَا لَمْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ، أَوْ تَتَغَيَّرُ الشَّمْسُ بِصُفْرَةٍ لِلْمَغِيبِ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান