আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

২- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:২৭৩
নামাযরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে যাতায়াত করা।
২৭৩। বুসর ইবনে সাঈদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। যায়েদ ইবনে খালিদ আল-জুহানী (রাযিঃ) তাকে আবু জুহাইম আল-আনসারী (রাযিঃ)-র কাছে এই কথা জিজ্ঞেস করতে পাঠান যে, নামাযরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে অতিক্রমকারী সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে তিনি কি বলতে শুনেছেন? আবু জুহাইম (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ নামাযরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে যাতায়াতকারী যদি জানতো যে, এতে তার কি গুনাহ হয়, তবে তার সামনে দিয়ে অতিক্রম করার পরিবর্তে সে চল্লিশ পর্যন্ত অপেক্ষা করা নিজের জন্য কল্যাণকর মনে করতো।** (রাবী) আবু নাদর বলেন, বুসর ইবনে সাঈদ চল্লিশ দিন না চল্লিশ মাস না চল্লিশ বছর বলেছেন তা আমি মনে রাখতে পারিনি।
بَابُ: الْمَارِّ بَيْنَ يَدَيِ الْمُصَلِّي
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا سَالِمٌ أَبُو النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ، أَنَّ بُسْرَ بْنَ سَعِيدٍ أَخْبَرَهُ، [ص:98] أَنَّ زَيْدَ بْنَ خَالِدٍ الْجُهَنِيَّ، أَرْسَلَهُ إِلَى أَبِي جُهَيْمٍ الأَنْصَارِيِّ يَسْأَلُهُ مَاذَا سَمِعَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فِي الْمَارِّ بَيْنَ يَدَيِ الْمُصَلِّي؟ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْ يَعلَمُ الْمَارُّ بَيْنَ يَدَيِ الْمُصَلِّي مَاذَا عَلَيْهِ فِي ذَلِكَ، لَكَانَ أَنْ يَقِفَ أَرْبَعِينَ خَيْرًا لَهُ مِنْ أَنْ يَمُرَّ بَيْنَ يَدَيْهِ» ، قَالَ: لا أَدْرِي قَالَ: أَرْبَعِينَ يَوْمًا، أَوْ أَرْبَعِينَ شَهْرًا، أَوْ أَرْبَعِينَ سَنَةً
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৭৪
নামাযরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে যাতায়াত করা।
২৭৪ । আব্দুর রহমান ইবনে আবু সাঈদ (রাহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ তোমাদের কেউ যখন নামায পড়ে, তখন সে যেন নিজের সামনে দিয়ে কাউকে যাতায়াত করতে না দেয়। যাতায়াতকারী যদি বিরত হতে অস্বীকার করে তবে সে যেন তার সাথে যুদ্ধ করে। কেননা সে একটা শয়তান।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا كَانَ أَحَدُكُمْ يُصَلِّي، فَلا يَدَعْ أَحَدًا يَمُرُّ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَإِنْ أَبَى فَلْيُقَاتِلْهُ فَإِنَّمَا هُوَ شَيْطَانٌ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৭৫
নামাযরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে যাতায়াত করা।
২৭৫। কাব আল-আহবার (রাহঃ) বলেন, নামাযরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে অতিক্রমকারী যদি জানতো যে, এতে তার কতো মারাত্মক গুনাহ হয়, তবে সে নিজের জন্য নামাযীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করার চেয়ে জমীনের অভ্যন্তরে ধ্বসে যাওয়াকে কল্যাণকর মনে করতো।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, নামাযরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে যাতায়াত করা মাকরূহ। যদি কোন ব্যক্তি নামাযীর সামনে দিয়ে যেতে সংকল্প করে, তবে যতোদূর সম্ভব তাকে বাধা দেয়া উচিৎ। কিন্তু তার সাথে দ্বন্দ্ব-সংঘাতে লিপ্ত হওয়া যতোটা ক্ষতিকর, নামাযীর সামনে দিয়ে যাতায়াত করা ততোটা ক্ষতিকর নয়। আমাদের জানামতে আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাযিঃ) ছাড়া আর কেউই ‘কিতাল’ (দ্বন্দ্ব-সংঘাত, যুদ্ধ) শব্দটি বর্ণনা করেননি। সাধারণ ফিকহবিদগণ শব্দটির প্রত্যক্ষ অর্থের উপর আমল করেননি। বরং শব্দটির পরোক্ষ অর্থ তাই যা আমরা গ্রহণ করেছি। অর্থাৎ যতোদূর সম্ভব বাধা দিবে। ইমাম আবু হানীফারও এই মত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ كَعْبٍ، أَنَّهُ قَالَ: «لَوْ كَانَ يَعْلَمُ الْمَارُّ بَيْنَ يَدَيِ الْمُصَلِّي مَاذَا عَلَيْهِ فِي ذَلِكَ كَانَ أَنْ يُخْسَفَ بِهِ خَيْرًا لَهُ» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: يُكْرَهُ أَنْ يَمُرَّ الرَّجُلُ بَيْنَ يَدَيِ الْمُصَلِّي، فَإِنْ أَرَادَ أَنْ يَمُرَّ بَيْنَ يَدَيْهِ فَلْيَدْرَأْ مَا اسْتَطَاعَ وَلا يُقَاتِلْهُ، فَإِنْ قَاتَلَهُ كَانَ مَا يَدْخُلُ عَلَيْهِ فِي صَلاتِهِ مِنْ قِتَالِهِ إِيَّاهُ أَشَدَّ عَلَيْهِ مِنْ مَمَرِّ هَذَا بَيْنَ يَدَيْهِ، وَلا نَعْلَمُ أَحَدًا رَوَى قِتَالَهُ، إِلا مَا رُوِيَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، وَلَيْسَتِ الْعَامَّةُ عَلَيْهَا، وَلَكِنَّهَا عَلَى مَا وَصَفْتُ لَكَ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، رَحِمَهُ اللَّهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৭৬
নামাযরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে যাতায়াত করা।
২৭৬। ইবনে উমার (রাযিঃ) বলেন, নামাযকে কোন কিছুই কর্তন করতে পারে না।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করেছি। অর্থাৎ নামাযীর সামনে দিয়ে কোন কিছু যাতায়াত করলে তাতে নামায নষ্ট হয় না। ইমাম আবু হানীফারও এই মত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ: «لا يَقْطَعُ الصَّلاةَ شَيْءٌ» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهِ نَأْخُذُ، لا يَقْطَعُ الصَّلاةَ شَيْءٌ مِنْ مَارٍّ بَيْنَ يَدَيِ الْمُصَلِّي، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، رَحِمَهُ اللَّهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান