আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
২- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২৪০
রমযান মাসে রাতের ইবাদত ও তার ফযীলাত।
২৪০। আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। (এক রাতে) রাসূলুল্লাহ ﷺ মসজিদে নববীতে নফল নামায পড়লেন ৷ লোকজনও তাঁর সাথে নামায পড়লো। পরবর্তী রাতে নামাযীদের সংখ্যা আরো বেড়ে গেলো। তৃতীয় অথবা চতুর্থ রাতেও লোকজন অধিক সংখ্যায় জড়ো হলো। কিন্তু রাসূলুল্লাহ ﷺ আর তাদের কাছে বেরিয়ে আসেননি। ভোরবেলা তিনি বলেনঃ “গত রাতে তোমরা যা করেছো তা আমি অবশ্যই দেখেছি। তোমাদের নিকট আসতে কোন কিছুই আমাকে বাধা দেয়নি, কিন্তু আমি আশংকা করছিলাম, এই নামায তোমাদের উপর ফরয করে দেয়া হয় কিনা?” রাবী বলেন, এটা রমযান মাসের ঘটনা।
بَابُ: قِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ وَمَا فِيهِ مِنَ الْفَضْلِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُا " أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى فِي الْمَسْجِدِ، فَصَلَّى بِصَلاتِهِ نَاسٌ، ثُمَّ كَثُرُوا مِنَ الْقَابِلَةِ، ثُمَّ اجْتَمَعُوا اللَّيْلَةَ الثَّالِثَةَ أَوِ الرَّابِعَةَ فَكَثُرُوا، فَلَمْ يَخْرُجْ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا أَصْبَحَ قَالَ: قَدْ رَأَيْتُ الَّذِي قَدْ صَنَعْتُمُ الْبَارِحَةَ، فَلَمْ يَمْنَعْنِي أَنْ أَخْرُجَ إِلَيْكُمْ إِلا أَنِّي خَشِيتُ أَنْ يُفْرَضَ عَلَيْكُمْ "، وَذَلِكَ فِي رَمَضَانَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৪১
রমযান মাসে রাতের ইবাদত ও তার ফযীলাত।
২৪১। আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আয়েশা (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞেস করেন, রমযান মাসের রাতে রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর নামায কিরূপ ছিল? তিনি বলেন, রমযান অথবা অন্য কোন মাসে রাতে রাসূলুল্লাহ ﷺ এগারো রাকআতের অধিক নামায পড়তেন না। তিনি চার রাকআত নামায পড়তেন। তুমি এর সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে আর জিজ্ঞেস করো না। পুনরায় তিনি চার রাকআত নামায পড়তেন। তুমি এর সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে আর জিজ্ঞেস করো না, এরপর তিন রাকআত পড়তেন। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি বেতের নামায পড়ার পূর্বে ঘুমান? তিনি বলেনঃ “হে আয়েশা! আমার চোখ দু'টি ঘুমায়, কিন্তু আমার হৃদয় ঘুমায় না”।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ كَيْفَ كَانَتْ صَلاةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَمَضَانَ؟ قَالَتْ: «مَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَزِيدُ فِي رَمَضَانَ وَلا غَيْرِهِ عَلَى إِحْدَى عَشْرةَ رَكْعَةً، يُصَلِّي أَرْبَعًا، فَلا تَسْأَلْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ، ثُمَّ يُصَلِّي أَرْبَعًا، فَلا تَسْأَلْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ، ثُمَّ يُصَلِّي ثَلاثًا» ، قَالَتْ: فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتَنَامُ قَبْلَ أَنْ تُوتِرَ؟ فَقَالَ: يَا عَائِشَةُ، عَيْنَايَ تَنَامَانِ وَلا يَنَامُ قَلْبِي

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৪২
রমযান মাসে রাতের ইবাদত ও তার ফযীলাত।
২৪২। আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ রমযান মাসের রাতে ইবাদত করার জন্য লোকদের উৎসাহিত করতেন, কিন্তু কঠোরভাবে নির্দেশ দিতেন না। তিনি বলতেনঃ “যে ব্যক্তি দৃঢ় ঈমান নিয়ে সওয়াব লাভের আশায় রমযান মাসের (রাতে) ইবাদত করে, তার পিছনের যাবতীয় অপরাধ ক্ষমা করে দেয়া হয়”। ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন, অতঃপর নবী ﷺ ইন্তেকাল করেন এবং এই নিয়ম পূর্ববৎ বহাল থাকে। অতঃপর আবু বাকর (রাযিঃ)-র খেলাফত কাল এবং উমার (রাযিঃ)-র খেলাফতের প্রথম পর্যায় পর্যন্ত তা অপরিবর্তিত থাকে।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُرَغِّبُ النَّاسَ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَأْمُرَ بِعَزِيمَةٍ، فَيَقُولُ: «مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ» , قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: فَتُوُفِّيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالأَمْرُ عَلَى ذَلِكَ، ثُمَّ كَانَ الأَمْرُ فِي خِلافَةِ أَبِي بَكْرٍ، وَصَدْرًا مِنْ خِلافَةِ عُمَرَ عَلَى ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৪৩
রমযান মাসে রাতের ইবাদত ও তার ফযীলাত।
২৪৩। আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুল কারী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রমযানের এক রাতে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-র সাথে বের হলেন। তখন কতক লোক একত্রে এবং কতক লোক একাকী বিচ্ছিন্নভাবে নামায পড়ছিল। উমার (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ! আমি ভাবছি যে, আমি এই লোকদের একজন ইমামের পিছনে একত্র করে দেই, তবে তা খুবই ভালো হতো। অতঃপর তিনি তাই করার সংকল্প করলেন এবং সবাইকে উবাই ইবনে কাব (রাযিঃ)-র পিছনে একত্র করেন । রাবী আরো বলেন, আমি আরেক রাতে তার সাথে বের হলাম। তখন সব লোক একজন ইমামের পিছনে নামায পড়ছিল। উমার (রাযিঃ) বলেন, 'এটা উত্তম বিদআত।১ লোকজন প্রথম রাতে যে নামায পড়ে, তার তুলনায় সেই নামায উত্তম যা থেকে তারা ঘুমিয়ে পড়ে।' অর্থাৎ লোকেরা রাতের প্রথমাংশে নামায পড়তো। কিন্তু তার ইচ্ছা ছিল, তারা যদি এই নামায শেষরাতে পড়তো।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই কর্মপন্থা গ্রহণ করেছি। রমযান মাসে জামাআতে নফল নামায পড়ায় কোন দোষ নেই।২ কেননা এর উপর মুসলমানদের ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং তারা এটাকে উত্তম মনে করেছেন। নবী ﷺ বলেনঃ
ما رأه المسلمون حسنا فهو عند الله حسن وما رأه المسلمون قبيحا فهو عند الله له قبيح
“যে জিনিসকে মুসলমানরা উত্তম মনে করে, আল্লাহর নিকটও তা উত্তম। আর যে জিনিসকে মুসলমানরা খারাপ মনে করে, তা আল্লাহর নিকটও খারাপ।”৩
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই কর্মপন্থা গ্রহণ করেছি। রমযান মাসে জামাআতে নফল নামায পড়ায় কোন দোষ নেই।২ কেননা এর উপর মুসলমানদের ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং তারা এটাকে উত্তম মনে করেছেন। নবী ﷺ বলেনঃ
ما رأه المسلمون حسنا فهو عند الله حسن وما رأه المسلمون قبيحا فهو عند الله له قبيح
“যে জিনিসকে মুসলমানরা উত্তম মনে করে, আল্লাহর নিকটও তা উত্তম। আর যে জিনিসকে মুসলমানরা খারাপ মনে করে, তা আল্লাহর নিকটও খারাপ।”৩
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدٍ الْقَارِيِّ، " أَنَّهُ خَرَجَ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ لَيْلَةً فِي رَمَضَانَ، فَإِذَا النَّاسُ أَوْزَاعٌ مُتَفَرِّقُونَ، يُصَلِّي الرَّجُلُ فَيُصَلِّي بِصَلاتِهِ الرَّهْطُ، فَقَالَ عُمَرُ: " وَاللَّهِ، إِنِّي لأَظُنُّنِي لَوْ جَمَعْتُ هَؤُلاءِ عَلَى قَارِئٍ وَاحِدٍ لَكَانَ أَمْثَلَ، ثُمَّ عَزَمَ فَجَمَعَهُمْ عَلَى أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ: ثُمَّ خَرَجْتُ مَعَهُ لَيْلَةً أُخْرَى، وَالنَّاسُ يُصَلُّونَ بِصَلاةِ قَارِئِهِمْ، فَقَالَ: نِعْمَتِ الْبِدْعَةُ هَذِهِ، وَالَّتِي يَنَامُونَ عَنْهَا أَفْضَلُ مِنَ الَّتِي يَقُومُونَ فِيهَا.
يُرِيدُ آخِرَ اللَّيْلِ وَكَانَ النَّاسُ يَقُومُونَ أَوَّلِهِ ".
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا كُلِّهِ نَأْخُذُ، لا بَأْسَ بِالصَّلاةِ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ، أَنْ يُصَلِّيَ النَّاسُ تَطَوُّعًا بِإِمَامٍ، لأَنَّ الْمُسْلِمِينَ قَدْ أَجْمَعُوا عَلَى ذَلِكَ وَرَأَوْهُ حَسَنًا.
وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «مَا رَآهُ الْمُؤْمِنُونَ حَسَنًا فَهُوَ عِنْدَ اللَّهِ حَسَنٌ، وَمَا رَآهُ الْمُسْلِمُونَ قَبِيحًا فَهُوَ عِنْدَ اللَّهِ قَبِيحٌ»
يُرِيدُ آخِرَ اللَّيْلِ وَكَانَ النَّاسُ يَقُومُونَ أَوَّلِهِ ".
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا كُلِّهِ نَأْخُذُ، لا بَأْسَ بِالصَّلاةِ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ، أَنْ يُصَلِّيَ النَّاسُ تَطَوُّعًا بِإِمَامٍ، لأَنَّ الْمُسْلِمِينَ قَدْ أَجْمَعُوا عَلَى ذَلِكَ وَرَأَوْهُ حَسَنًا.
وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «مَا رَآهُ الْمُؤْمِنُونَ حَسَنًا فَهُوَ عِنْدَ اللَّهِ حَسَنٌ، وَمَا رَآهُ الْمُسْلِمُونَ قَبِيحًا فَهُوَ عِنْدَ اللَّهِ قَبِيحٌ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান