আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
২- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২১৯
কোন ব্যক্তি ঘরে ফরয নামায পড়ার পর মসজিদে গিয়ে যদি জামাআতে নামায পায়।
২১৯। বুসর ইবনে মিহজান (রাহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সাথে ছিলেন। নামাযের আযান হলে রাসূলুল্লাহ ﷺ উঠে নামায পড়তে গেলেন। কিন্তু লোকটি (রাবী নিজে) নিজ স্থানে বসে থাকলো। (নামায শেষে ) রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ লোকদের সাথে নামায পড়তে কিসে তোমাকে বাধা দিলো? তুমি কি মুসলিম ব্যক্তি নও? সে বললো, হ্যাঁ, কিন্তু আমি বাড়িতে নামায পড়ে এসেছি। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ তুমি মসজিদে এলে লোকদের সাথে নামায পড়ো বাড়িতে নামায পড়ে থাকলেও ।**
بَابُ: الرَّجُلِ يُصَلِّي الْمَكْتُوبَةَ فِي بَيْتِهِ ثُمَّ يُدْرِكُ الصَّلاةَ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي الدِّيلِ يُقَالُ لَهُ: بُسْرُ بْنُ مِحْجَنٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ كَانَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَذِّنَ بِالصَّلاةِ، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي، وَالرَّجُلُ فِي مَجْلِسِهِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا مَنَعَكَ أَنْ تُصَلِّيَ مَعَ النَّاسِ؟ أَلَسْتَ رَجُلا مُسْلِمًا؟ قَالَ: بَلَى، وَلَكِنِّي قَدْ كُنْتُ صَلَّيْتُ فِي أَهْلِي، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا جِئْتَ فَصَلِّ مَعَ النَّاسِ وَإِنْ كُنْتَ قَدْ صَلَّيْتَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২২০
কোন ব্যক্তি ঘরে ফরয নামায পড়ার পর মসজিদে গিয়ে যদি জামাআতে নামায পায়।
২২০। নাফে (রাহঃ) বলেন, ইবনে উমার (রাযিঃ) বলতেন, কোন ব্যক্তি একাকী মাগরিব অথবা ফজরের নামায পড়ার পর জামাআত পেলে সে তা পুনর্বার পড়বে না।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، كَانَ يَقُولُ: «مَنْ صَلَّى صَلاةَ الْمَغْرِبِ، أَوِ الصُّبْحِ، ثُمَّ أَدْرَكَهُمَا، فَلا يُعِيدُ لَهُمَا غَيْرَ مَا قَدْ صَلاهُمَا»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২২১
কোন ব্যক্তি ঘরে ফরয নামায পড়ার পর মসজিদে গিয়ে যদি জামাআতে নামায পায়।
২২১। আসাদ গোত্রের এক ব্যক্তি আবু আইউব আল-আনসারী (রাযিঃ)-র কাছে বলেন, আমি বাড়িতে নামায পড়ার পর মসজিদে এসে ইমামকে নামাযরত দেখতে পাই। আমি কি পুনরায় তার সাথে নামায পড়বো? তিনি বলেন, হ্যাঁ, তার সাথে নামায পড়ো। যে ব্যক্তি তা করবে তাকে দ্বিগুণ সওয়াব দেয়া হবে।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা উল্লেখিত কর্মনীতি গ্রহণ করেছি। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ)-র মতের উপর আমরা আমল করি। তবে ফজর এবং মাগরিবের নামায পুনর্বার পড়বে না। কেননা মাগরিবের নামায বেজোড় এবং নফল নামায বেজোড় পড়া যায় না। আর ফজরের নামাযের পর নফল নামায পড়া নিষেধ। অনুরূপভাবে আসরের নামাযের পরও নফল নামায পড়া নিষেধ। ইমাম আবু হানীফারও এই মত।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা উল্লেখিত কর্মনীতি গ্রহণ করেছি। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ)-র মতের উপর আমরা আমল করি। তবে ফজর এবং মাগরিবের নামায পুনর্বার পড়বে না। কেননা মাগরিবের নামায বেজোড় এবং নফল নামায বেজোড় পড়া যায় না। আর ফজরের নামাযের পর নফল নামায পড়া নিষেধ। অনুরূপভাবে আসরের নামাযের পরও নফল নামায পড়া নিষেধ। ইমাম আবু হানীফারও এই মত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا عَفِيفُ بْنُ عَمْرِو السَّهْمِيُّ، عَنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي أَسَدٍ، أَنَّهُ سَأَلَ أَبَا أَيُّوبَ الأَنْصَارِيَّ، فَقَالَ: «إِنِّي أُصَلِّي، ثُمَّ آتِي الْمَسْجِدَ فَأَجِدُ الإِمَامَ يُصَلِّي، أَفَأُصَلِّي مَعَهُ» ؟ قَالَ: «نَعَمْ، صَلِّ مَعَهُ، وَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَلَهُ مِثْلُ سَهْمِ جَمْعٍ أَوْ سَهْمُ جَمْعٍ» .
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، وَنَأْخُذُ بِقَوْلِ ابْنِ عُمَرَ أَيْضًا، أَنْ لا نُعِيدَ صَلاةَ الْمَغْرِبِ وَالصُّبْحِ، لأَنَّ الْمَغْرِبَ وِتْرٌ، فَلا يَنْبَغِي أَنْ يُصَلِّيَ التَّطَوُّعَ وِتْرًا، وَلا صَلاةَ تَطَوُّعٍ بَعْدَ الصُّبْحِ، وَكَذَلِكَ الْعَصْرُ عِنْدَنَا، وَهِيَ بِمَنْزِلَةِ الْمَغْرِبِ وَالصُّبْحِ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، رَحِمَهُ اللَّهُ
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، وَنَأْخُذُ بِقَوْلِ ابْنِ عُمَرَ أَيْضًا، أَنْ لا نُعِيدَ صَلاةَ الْمَغْرِبِ وَالصُّبْحِ، لأَنَّ الْمَغْرِبَ وِتْرٌ، فَلا يَنْبَغِي أَنْ يُصَلِّيَ التَّطَوُّعَ وِتْرًا، وَلا صَلاةَ تَطَوُّعٍ بَعْدَ الصُّبْحِ، وَكَذَلِكَ الْعَصْرُ عِنْدَنَا، وَهِيَ بِمَنْزِلَةِ الْمَغْرِبِ وَالصُّبْحِ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، رَحِمَهُ اللَّهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান