আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
২- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৮৬
কোন ব্যক্তি নামাযের কথা ভুলে গেলে অথবা তার নামাযের ওয়াক্ত চলে গেলে।
১৮৬ ৷ সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন খায়বার অভিযান শেষে প্রত্যাবর্তন করেন, তখন রাতের বেলা সফর করেন। শেষ রাতে তিনি যাত্রা বিরতি করলেন এবং বিলাল (রাযিঃ)-কে বললেনঃ আমাদের "ফজরের নামাযের দিকে খেয়াল রেখো”। রাসূলুল্লাহ ﷺ আমার ঘুমিয়ে গেলেন এবং তাঁর সাথীরাও ঘুমিয়ে পড়লেন। বিলাল (রাযিঃ) জেগে থাকলেন যতোক্ষণ আল্লাহ চাইলেন। কিন্তু তিনি যেমনি তার উটের হাওদার সাথে হেলান দিয়ে নিজের মুখ সুবহে সাদেকের দিকে করে রাখলেন, হঠাৎ তার চোখে ঘুম এসে গেলো। অতএব রাসূলুল্লাহ ﷺ -ও জাগতে পারলেন না, বিলালও নয় এবং কাফেলার একজনও নয়। এমনকি সকালে রোদের প্রখরতা বেড়ে গেলে রাসূলুল্লাহ ﷺ ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে জেগে উঠলেন। তিনি ডাক দিলেনঃ “হে বিলাল!" বিলাল (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার জান যেই সত্তা নিয়ে গিয়েছিলেন, সেই মহান সত্তা আমার জানও নিয়ে গিয়েছিলেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেনঃ “এখান থেকে প্রস্থান করো”। অতএব লোকেরা নিজ নিজ হাওদা প্রস্তুত করে রওয়ানা দিলো। কিছু দূর যাওয়ার পর রাসূলুল্লাহ ﷺ বিলাল (রাযিঃ)-কে তাকবীর বলার নির্দেশ দিলেন। অতএব তিনি ইকামত দিলেন এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ তাদেরকে নিয়ে ফজরের নামায পড়লেন। নামায শেষ করে তিনি বললেনঃ “যে ব্যক্তি নামাযের কথা ভুলে যায় সে যেন তা স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে পড়ে নেয়। কেননা মহান আল্লাহ বলেনঃ “আমার স্মরণের জন্য নামায পড়ো” (সূরা তহাঃ ১৪)।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই হাদীস অনুসারে আমল করি। তবে যেসব ওয়াক্তে রাসূলুল্লাহ ﷺ নামায পড়তে নিষেধ করেছেন সেই ওয়াক্ত বাদ দিয়ে অর্থাৎ তিনি সূর্য উঠার সময়, সূর্য ঠিক মাথার উপর আসলে এবং সূর্যাস্তের সময় নামায পড়তে নিষেধ করেছেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দিনের আসরের নামায সূর্যাস্তের সময় পড়া যাবে, যদিও সূর্য লাল হয়ে যায় এবং অস্ত যাওয়ার কাছাকাছি এসে যায়। ইমাম আবু হানীফা (ব)-রও এই মত।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই হাদীস অনুসারে আমল করি। তবে যেসব ওয়াক্তে রাসূলুল্লাহ ﷺ নামায পড়তে নিষেধ করেছেন সেই ওয়াক্ত বাদ দিয়ে অর্থাৎ তিনি সূর্য উঠার সময়, সূর্য ঠিক মাথার উপর আসলে এবং সূর্যাস্তের সময় নামায পড়তে নিষেধ করেছেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দিনের আসরের নামায সূর্যাস্তের সময় পড়া যাবে, যদিও সূর্য লাল হয়ে যায় এবং অস্ত যাওয়ার কাছাকাছি এসে যায়। ইমাম আবু হানীফা (ব)-রও এই মত।
بَابُ الرَّجُلِ يَنْسَى الصَّلاةَ أَوْ تَفُوتُهُ عَنْ وَقْتِهَا
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ قَفَلَ مِنْ خَيْبَرَ أَسْرَى، حَتَّى إِذَا كَانَ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ عَرَّسَ، وَقَالَ لِبِلالٍ: اكْلأْ لَنَا الصُّبْحَ، فَنَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ، وَكَلأَ بِلالٌ مَا قُدِّرَ لَهُ، ثُمَّ اسْتَنَدَ إِلَى رَاحِلَتِهِ وَهُوَ مُقَابِلُ الْفَجْرِ، فَغَلَبَتْهُ عَيْنَاهُ، فَلَمْ يَسْتَيْقِظْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلا بِلالٌ، وَلا أَحَدٌ مِنَ الرَّكْبِ، حَتَّى ضَرَبَتْهُمُ الشَّمْسُ، فَفَزِعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا بِلالُ، فَقَالَ بِلالٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخَذَ بِنَفْسِي الَّذِي أَخَذَ بِنَفْسِكَ، قَالَ: اقْتَادُوا فَبَعَثُوا رَوَاحِلَهُمْ، فَاقْتَادُوهَا شَيْئًا، ثُمَّ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِلالا، فَأَقَامَ الصَّلاةَ فَصَلَّى بِهِمُ الصُّبْحَ، ثُمَّ قَالَ حِينَ قَضَى الصَّلاةَ: " مَنْ نَسِيَ صَلاةً فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا، فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يَقُولُ: {وَأَقِمِ الصَّلاةَ لِذِكْرِي} [طه: 14] ".
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، إِلا أَنْ يَذْكُرَهَا فِي السَّاعَةِ الَّتِي نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الصَّلاةِ فِيهَا: حِينَ تَطْلُعُ الشَّمْسُ حَتَّى تَرْتَفِعَ وَتَبْيَضَّ، وَنِصْفَ النَّهَارِ حَتَّى تَزُولَ، حِينَ تَحْمَرُّ الشَّمْسُ حَتَّى تَغِيبَ إِلا عَصْرَ يَوْمِهِ فَإِنَّهُ يُصَلِّيهَا وَإِنِ احْمَرَّتِ الشَّمْسُ قَبْلَ أَنْ تَغْرُبَ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، رَحِمَهُ اللَّهُ
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، إِلا أَنْ يَذْكُرَهَا فِي السَّاعَةِ الَّتِي نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الصَّلاةِ فِيهَا: حِينَ تَطْلُعُ الشَّمْسُ حَتَّى تَرْتَفِعَ وَتَبْيَضَّ، وَنِصْفَ النَّهَارِ حَتَّى تَزُولَ، حِينَ تَحْمَرُّ الشَّمْسُ حَتَّى تَغِيبَ إِلا عَصْرَ يَوْمِهِ فَإِنَّهُ يُصَلِّيهَا وَإِنِ احْمَرَّتِ الشَّمْسُ قَبْلَ أَنْ تَغْرُبَ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، رَحِمَهُ اللَّهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৮৭
কোন ব্যক্তি নামাযের কথা ভুলে গেলে অথবা তার নামাযের ওয়াক্ত চলে গেলে।
১৮৭। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের পূর্বে ফজরের এক রাকআত পেলো, সে ফজরের নামায পেয়ে গেলো। আর যে ব্যক্তি সূর্যাস্তের পূর্বে আসরের এক রাকআত পেলো সে আসরের নামায পেয়ে গেলো।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنِي زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، وَعَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، وَعَنِ الأَعْرَجِ، يُحَدِّثُونَهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «مَنْ أَدْرَكَ مِنَ الصُّبْحِ رَكْعَةً قَبْلَ أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ فَقَدْ أَدْرَكَهَا.
وَمَنْ أَدْرَكَهَا مِنَ الْعَصْرِ قَبْلَ أَنْ تَغْرُبَ الشَّمْسِ فَقَدْ أَدْرَكَهَا»
وَمَنْ أَدْرَكَهَا مِنَ الْعَصْرِ قَبْلَ أَنْ تَغْرُبَ الشَّمْسِ فَقَدْ أَدْرَكَهَا»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান