আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

১- পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:
উযুর প্রারম্ভ
১। ইয়াহ্ইয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি তার দাদা আবু হাসানের কাছে শুনেছেন, তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে যায়েদ ইবনে আসেম (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞেস করেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ কিভাবে উযু করতেন তা কি আপনি আমাকে দেখাতে পারেন? আব্দুল্লাহ ইবনে যায়েদ (রাযিঃ) বলেন, হ্যাঁ। তিনি উযুর পানি নিয়ে ডাকলেন, অতঃপর তার দুই হাতে পানি ঢেলে তা দুইবার করে (কব্জি পর্যন্ত) ধুলেন, অতঃপর কুলি করলেন, অতঃপর তিনবার মুখমণ্ডল ধুলেন, অতঃপর উভয় হাত কনুই পর্যন্ত দুইবার করে ধুলেন, অতঃপর মাথার সামনের দিক থেকে মাসেহ শুরু করে উভয় হাত মাথার পিছন দিকে নিয়ে গেলেন এবং পুনরায় তা মাসেহ আরম্ভ করার স্থানে ঘুরিয়ে আনেন, অতঃপর উভয় পা (গোছা পর্যন্ত) ধুলেন ।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, উযুর অঙ্গগুলো তিনবার করে ধোয়া সর্বোত্তম, দুইবার করে ধোয়াও জায়েয। আর একবার করে উত্তমরূপে ধুয়ে নেযাও যথেষ্ট। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এরও এই মত।
بَابُ: ابْتِدَاءِ الْوُضُوءِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ يَحْيَى بْنِ عُمَارَةَ بْنِ أَبِي حَسَنٍ الْمَازِنِيُّ، عَنْ أَبِيهِ يَحْيَى، أَنَّهُ سَمِعَ جَدَّهُ أَبَا حَسَنٍ، يَسْأَلُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ زَيْدِ بْنِ عَاصِمٍ، وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " هَلْ تَسْتَطِيعُ أَنْ تُرِيَنِي كَيْفَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَوَضَّأُ، قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدٍ: نَعَمْ، فَدَعَا بِوَضُوءٍ، فَأَفْرَغَ عَلَى يَدَيْهِ فَغَسَلَ يَدَيْهِ مَرَّتَيْنِ، ثُمَّ مَضْمَضَ، ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ ثَلاثًا، ثُمَّ غَسَلَ يَدَيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ مَرَّتَيْنِ، ثُمَّ مَسَحَ مِنْ مُقَدَّمِ رَأْسِهِ حَتَّى ذَهَبَ بِهِمَا إِلَى قَفَاهُ، ثُمَّ رَدَّهُمَا إِلَى الْمَكَانِ الَّذِي مِنْهُ بَدَأَ، ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَيْهِ ".
قَالَ مُحَمَّدٌ: هَذَا حَسَنٌ، وَالْوُضُوءُ ثَلاثًا ثَلاثًا أَفْضَلُ، وَالاثْنَانِ يُجْزِيَانِ، وَالْوَاحِدَةُ إِذَا أَسْبَغَتْ تُجْزِئُ أَيْضًا، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:
উযুর প্রারম্ভ
২। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, তোমাদের কেউ যখন উযু করে, সে যেন তার নাকে পানি প্রবেশ করিয়ে তা পরিষ্কার করে (নাক ঝেড়ে নেয়)।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: «إِذَا تَوَضَّأَ أَحَدُكُمْ فَلْيَجْعَلْ فِي أَنْفِهِ، ثُمَّ لِيَسْتَنْثِرْ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:
উযুর প্রারম্ভ
৩। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ যে ব্যক্তি উযু করে সে যেন নাক পরিষ্কার করে। আর যে ব্যক্তি (পায়খানার পর) ঢিলা দিয়ে শৌচ করে সে যেন বেজোড় সংখ্যায় তা ব্যবহার করে।**
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এ হাদীস গ্রহণ করেছি। যে ব্যক্তি উযু করে, তার কুলি করা এবং নাকে পানি দিয়ে তা পরিষ্কার করে নেয়া উচিৎ। 'ইসতিজমার' শব্দের অর্থ 'ইস্তিনজা' (পায়খানা-পেশাবের পর পরিচ্ছন্নতা অর্জন)। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) -এর এই মত।

** উযুর মধ্যে কুলি করা ও নাকে পানি দেয়া সুন্নত। পায়খানা থেকে পরিষ্কার হওয়ার জন্য ঢিলা এবং পানি উভয়টি ব্যবহার করা সর্বোত্তম। তবে এর যে কোন একটি দিয়ে শৌচ করা যেতে পারে। তিনটি ঢিলা ব্যবহার করাই উত্তম। তবে প্রয়োজনবোধে বেশী সংখ্যকও ব্যবহার করা যেতে পারে (অনুবাদক)।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلانِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «مَنْ تَوَضَّأَ فَلْيَسْتَنْثِرْ، وَمَنِ اسْتَجْمَرَ فَلْيُوتِرْ» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، يَنْبَغِي لِلْمُتَوَضِّئِ أَنْ يَتَمَضْمَضَ ويَسْتَنْثِرَ، وَيَنْبَغِي لَهُ أَيْضًا أَنْ يَسْتَجْمِرَ.
وَالاسْتِجَمَارُ: الاسْتِنْجَاءُ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:
উযুর প্রারম্ভ
৪। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, যে ব্যক্তি উত্তমরূপে উযু করে নামাযের উদ্দেশ্যে বের হয়, অতঃপর সে যতোক্ষণ নামাযের সংকল্প রাখে ততোক্ষণ নামাযের মধ্যেই থাকে। তার একটি কদমের পরিবর্তে একটি করে নেকী লেখা হয় এবং অপর কদমের পরিবর্তে একটি করে গুনাহ মাফ করা হয়। অতএব তোমাদের কেউ নামাযের ইকামত শুনে যেন দৌড়ে না যায়, বরং শান্তভাবে হেঁটে যায়। কেননা যার ঘর সবচেয়ে বেশী দূরে তাকে সবচেয়ে বেশী সওয়াব দেয়া হয়। লোকেরা জিজ্ঞেস করলো, কেন, হে আবু হুরায়রা? তিনি বলেন, অধিক সংখ্যক পদক্ষেপের কারণে।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نُعَيْمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْمُجْمِرُ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ: " مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ وُضُوءَهُ، ثُمَّ خَرَجَ عَامِدًا إِلَى الصَّلاةِ، فَهُوَ فِي صَلاةٍ مَا كَانَ يَعْمِدُ، وَأَنَّهُ تُكْتَبُ لَهُ بِإِحْدَى خُطْوَتَيْهِ حَسَنَةٌ، وَتُمْحَى عَنْهُ بِالأُخْرَى سَيِّئَةٌ، فَإِنْ سَمِعَ أَحَدُكُمُ الإِقَامَةَ فَلا يَسْعَ، فَإِنَّ أَعْظَمَكُمْ أَجْرًا أَبْعَدُكُمْ دَارًا، قَالُوا: لِمَ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ؟ قَالَ: مِنْ أَجْلِ كَثْرَةِ الْخُطَا "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান