আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৮- নামাযের ওয়াক্তের বিবরণ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৫৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ৬০০
৩৯১। ইশার পর জ্ঞানচর্চা ও কল্যাণকর বিষয়ের আলোচনা।
৫৭৩। আব্দুল্লাহ ইবনে সাব্বাহ (রাহঃ) ..... কুররা ইবনে খালিদ (রাহঃ) থকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমরা হাসান বসরী (রাহঃ) এর অপেক্ষায় ছিলাম। তিনি এত বিলম্বে আসলেন যে, নিয়মিত নামায শেষে চলে যাওয়ার সময় ঘনিয়ে আসল। এরপর তিনি এসে বললেন, আমাদের এ প্রতিবেশীগণ আমাদের ডেকেছিলেন। তারপর তিনি বললেন, আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) বর্ণনা করেছেন, এক রাতে আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর অপেক্ষায় ছিলাম। এমন কি প্রায় অর্ধেক রাত হয়ে গেল, তখন এসে তিনি আমাদের নিয়ে নামায আদায় করলেন। এরপর আমাদের সম্বোধন করে তিনি বললেনঃ জেনে রাখ! লোকেরা নামায আদায় করে ঘুমিয়ে পড়েছে, তবে তোমরা যতক্ষণ নামাযের অপেক্ষায় ছিলে ততক্ষণ নামাযেই রত ছিলে।

হাসন বসরী (রাহঃ) বলেন, মানুষ যতক্ষণ কল্যাণের অপেক্ষায় থাকে, ততক্ষণ তারা কল্যাণেই রত থাকে। কুররা (রাহঃ) বলেন, এ উক্তি আনাস (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর হাদীসেরই অংশ।
باب السَّمَرِ فِي الْفِقْهِ وَالْخَيْرِ بَعْدَ الْعِشَاءِ
600 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الصَّبَّاحِ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَلِيٍّ الحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا قُرَّةُ بْنُ خَالِدٍ، قَالَ: انْتَظَرْنَا الحَسَنَ وَرَاثَ عَلَيْنَا حَتَّى قَرُبْنَا مِنْ وَقْتِ قِيَامِهِ، فَجَاءَ فَقَالَ: دَعَانَا جِيرَانُنَا هَؤُلاَءِ، ثُمَّ قَالَ: قَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ: انْتَظَرْنَا النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ لَيْلَةٍ، حَتَّى كَانَ شَطْرُ اللَّيْلِ يَبْلُغُهُ، فَجَاءَ فَصَلَّى لَنَا، ثُمَّ خَطَبَنَا، فَقَالَ: «أَلاَ إِنَّ النَّاسَ قَدْ صَلَّوْا ثُمَّ رَقَدُوا، وَإِنَّكُمْ لَمْ تَزَالُوا فِي صَلاَةٍ مَا انْتَظَرْتُمُ الصَّلاَةَ - قَالَ الحَسَنُ - وَإِنَّ القَوْمَ لاَ يَزَالُونَ بِخَيْرٍ مَا انْتَظَرُوا الخَيْرَ» قَالَ قُرَّةُ: هُوَ مِنْ حَدِيثِ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
হাদীস নং: ৫৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ৬০১
৩৯১। ইশার পর জ্ঞানচর্চা ও কল্যাণকর বিষয়ের আলোচনা।
৫৭৪। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একবার তাঁর শেষ জীবনে ইশার নামায আদায় করে সালাম ফিরাবার পর বললেনঃ আজকের এ রাত সম্পর্কে তোমাদের অভিমত কি? আজ থেকে নিয়ে একশ’ বছরের মাথায় আজ যারা ভূ-পৃষ্ঠে আছে তাদের কেউ অবশিষ্ট থাকবে না। কিন্তু সাহাবীগণ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ‘একশ’ বছরের’ এ উক্তি সম্পর্কে নানাবিধ জল্পনা-কল্পনা করতে থাকেন। প্রকৃতপক্ষে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আজকে যারা জীবিত আছে তাদের কেউ ভূ-পৃষ্ঠে থাকবে না। এর দ্বারা তিনি বুঝাতে চেয়েছেন যে, এ শতাব্দী ঐ যুগের পরিসমাপ্তি ঘটাবে।
باب السَّمَرِ فِي الْفِقْهِ وَالْخَيْرِ بَعْدَ الْعِشَاءِ
601 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: حَدَّثَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، وَأَبُو بَكْرٍ ابْنُ أَبِي حَثْمَةَ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، قَالَ: صَلَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلاَةَ العِشَاءِ فِي آخِرِ حَيَاتِهِ، فَلَمَّا سَلَّمَ، قَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «أَرَأَيْتَكُمْ لَيْلَتَكُمْ هَذِهِ، فَإِنَّ رَأْسَ مِائَةٍ، لاَ يَبْقَى مِمَّنْ هُوَ اليَوْمَ عَلَى ظَهْرِ الأَرْضِ أَحَدٌ» فَوَهِلَ النَّاسُ فِي مَقَالَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِلَى مَا يَتَحَدَّثُونَ مِنْ هَذِهِ الأَحَادِيثِ، عَنْ مِائَةِ سَنَةٍ، وَإِنَّمَا قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ [ص:124]: «لاَ يَبْقَى مِمَّنْ هُوَ اليَوْمَ عَلَى ظَهْرِ الأَرْضِ» يُرِيدُ بِذَلِكَ أَنَّهَا تَخْرِمُ ذَلِكَ القَرْنَ