আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৮- নামাযের ওয়াক্তের বিবরণ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ৫৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ৫৬৬
৩৭৩। ইশার নামাযের ফযীলত
৫৩৯। ইয়াহয়া ইবনে বুকাইর (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক রাতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইশার নামায আদায় করতে বিলম্ব করলেন। এ হল ব্যাপকভাবে ইসলাম প্রসারের আগের কথা। (নামাযের জন্য) তিনি বেরিয়ে আসেননি, এমন কি উমর (রাযিঃ) বললেন, মহিলা ও শিশুরা ঘুমিয়ে পড়েছে। এরপর তিনি বেরিয়ে এলেন এবং মসজিদের লোকদের লক্ষ্য করে বললেনঃ তোমরা ব্যতীত যমীনের অধিবাসীদের কেউ ইশার নামাযের জন্য অপেক্ষায় নেই।*
*এ হাদীসে ইশার নামাযের ফযীলতের প্রতি সূক্ষ্ম ইঙ্গিত রয়েছে। আর তা এভাবে যে, ইশার নামাযের জন্য ঘুম বর্জন করে অপেক্ষা করতে হয়, যা অন্য নামাযে নেই। সুতরাং এই অতিরিক্ত কষ্ট ও অপেক্ষার জন্য অধিক সাওয়াব পাওয়া যাবে, তাই স্বাভাবিক। কিংবা হাদীসটির অর্থ হচ্ছে- তোমরা ছাড়া যমীনের আর কেউ ইশার নামাযের জন্য অপেক্ষায় নেই- অর্থাৎ এ নামায কেবল এই উম্মতেরই বৈশিষ্ট্য। অতএব, এর ফযীলত সুস্পষ্ট।
*এ হাদীসে ইশার নামাযের ফযীলতের প্রতি সূক্ষ্ম ইঙ্গিত রয়েছে। আর তা এভাবে যে, ইশার নামাযের জন্য ঘুম বর্জন করে অপেক্ষা করতে হয়, যা অন্য নামাযে নেই। সুতরাং এই অতিরিক্ত কষ্ট ও অপেক্ষার জন্য অধিক সাওয়াব পাওয়া যাবে, তাই স্বাভাবিক। কিংবা হাদীসটির অর্থ হচ্ছে- তোমরা ছাড়া যমীনের আর কেউ ইশার নামাযের জন্য অপেক্ষায় নেই- অর্থাৎ এ নামায কেবল এই উম্মতেরই বৈশিষ্ট্য। অতএব, এর ফযীলত সুস্পষ্ট।
باب فَضْلِ الْعِشَاءِ
566 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ أَخْبَرَتْهُ، قَالَتْ: أَعْتَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةً بِالعِشَاءِ، وَذَلِكَ قَبْلَ أَنْ يَفْشُوَ الإِسْلاَمُ، فَلَمْ يَخْرُجْ حَتَّى قَالَ عُمَرُ: نَامَ النِّسَاءُ وَالصِّبْيَانُ، فَخَرَجَ، فَقَالَ لِأَهْلِ المَسْجِدِ: «مَا يَنْتَظِرُهَا أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ الأَرْضِ غَيْرَكُمْ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪০
আন্তর্জাতিক নং: ৫৬৭
৩৭৩। ইশার নামাযের ফযীলত
৫৪০। মুহাম্মাদ ইবনে আলা' (রাহঃ) ..... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ও আমার সঙ্গীরা-যারা (আবিসিনিয়া থেকে) জাহাজ যোগে আমার সঙ্গে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন- বাকী’য়ে বুতহানের একটি মুক্ত এলাকায় বসবাসরত ছিলাম। তখন নবী (ﷺ) থাকতেন মদীনায়। বুতহানের অধিবাসীরা পালাক্রমে একদল করে প্রতি রাতে ইশার নামাযের সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খিদমতে আসতেন। পালাক্রমে ইশার নামাযের সময় আমি ও আমার কতিপয় সঙ্গী নবী (ﷺ) এর কাছে হাযির হলাম। তখন তিনি কোন কাজে খুব ব্যস্ত ছিলেন, ফলে নামায আদায়ে বিলম্ব করলেন। এমন কি রাত অর্ধেক হয়ে গেল।
তারপর নবী (ﷺ) বেরিয়ে এলেন এবং সবাইকে নিয়ে নামায আদায় করলেন। নামায শেষে তিনি উপস্থিত ব্যক্তিদেরকে বললেনঃ প্রত্যেকেই নিজ নিজ স্থানে বসে যাও। তোমাদের সুসংবাদ দিচ্ছি যে, আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য এটি এক নিআমত যে, তোমরা ব্যতীত মানুষের মধ্যে কেউ এ মুহূর্তে নামায আদায় করছে না। কিংবা তিনি বলেছিলেনঃ তোমরা ব্যতীত কোন উম্মত এ সময় নামায আদায় করেনি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন বাক্যটি বলেছিলেন বর্ণনাকারী তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। আবু মুসা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর এ কথা শুনে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত মনে বাড়ি ফিরলাম।
তারপর নবী (ﷺ) বেরিয়ে এলেন এবং সবাইকে নিয়ে নামায আদায় করলেন। নামায শেষে তিনি উপস্থিত ব্যক্তিদেরকে বললেনঃ প্রত্যেকেই নিজ নিজ স্থানে বসে যাও। তোমাদের সুসংবাদ দিচ্ছি যে, আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য এটি এক নিআমত যে, তোমরা ব্যতীত মানুষের মধ্যে কেউ এ মুহূর্তে নামায আদায় করছে না। কিংবা তিনি বলেছিলেনঃ তোমরা ব্যতীত কোন উম্মত এ সময় নামায আদায় করেনি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন বাক্যটি বলেছিলেন বর্ণনাকারী তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। আবু মুসা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর এ কথা শুনে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত মনে বাড়ি ফিরলাম।
باب فَضْلِ الْعِشَاءِ
567 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ العَلاَءِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ: كُنْتُ أَنَا وَأَصْحَابِي الَّذِينَ قَدِمُوا مَعِي فِي السَّفِينَةِ نُزُولًا فِي بَقِيعِ بُطْحَانَ، وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ، فَكَانَ يَتَنَاوَبُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ صَلاَةِ العِشَاءِ كُلَّ لَيْلَةٍ نَفَرٌ مِنْهُمْ، فَوَافَقْنَا النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَا وَأَصْحَابِي، وَلَهُ بَعْضُ الشُّغْلِ فِي بَعْضِ أَمْرِهِ، فَأَعْتَمَ بِالصَّلاَةِ حَتَّى ابْهَارَّ اللَّيْلُ، ثُمَّ خَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَلَّى بِهِمْ، فَلَمَّا قَضَى صَلاَتَهُ، قَالَ لِمَنْ حَضَرَهُ: «عَلَى رِسْلِكُمْ، أَبْشِرُوا، إِنَّ مِنْ نِعْمَةِ اللَّهِ عَلَيْكُمْ، أَنَّهُ لَيْسَ أَحَدٌ مِنَ النَّاسِ يُصَلِّي هَذِهِ السَّاعَةَ غَيْرُكُمْ» أَوْ قَالَ: «مَا صَلَّى هَذِهِ السَّاعَةَ أَحَدٌ غَيْرُكُمْ» لاَ يَدْرِي أَيَّ الكَلِمَتَيْنِ قَالَ، قَالَ أَبُو مُوسَى فَرَجَعْنَا، فَفَرِحْنَا بِمَا سَمِعْنَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

তাহকীক:

বর্ণনাকারী: