আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৮৩- তাওহীদ অধ্যায় ও জাহমিয়্যাসহ ভ্রান্ত দলগুলোর অপনোদন - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৭০৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ৭৫৪১ - ৭৫৪২
৩১৫৩. তাওরাত ও অপরাপর আসমানী কিতাব আরবী ইত্যাদী ভাষায় ব্যাখ্যা করা বৈধ। কেননা, আল্লাহর বাণীঃ যদি তোমরা সত্যবাদী হও, তবে তাওরাত আন এবং পাঠ কর (৩ঃ ৯৩)।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আবু সুফিয়ান ইবনে হারব (রাযিঃ) আমাকে এ খবর দিয়েছেন, হিরাক্লিয়াস তাঁর দোভাষীকে ডাকলেন। তারপর তিনি নবী (ﷺ) এর পত্রখানা আনার জন্য হুকুম করলেন এবং তা পড়লেন। (তাতে লিপিবদ্ধ ছিল) বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম- আল্লাহর বান্দা ও রাসূল মুহাম্মাদ (ﷺ) এর পক্ষ থেকে রোম সম্রাট হিরাক্লিয়াসের প্রতি এ পত্র প্রেরিত। তাতে আরও লেখা ছিল يَا أَهْلَ الْكِتَابِ تَعَالَوْا إِلَى كَلِمَةٍ سَوَاءٍ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ (হে কিতাবীগণ! এস সে কথায়, যা আমাদের ও তোমাদের মধ্যে একই)।
৭০৩৩। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আহলে কিতাবগন তাওরাত হিব্রু ভাষায় পাঠ করত, আর মুসলমানদের জন্য আরবী ভাষায় এর ব্যাখ্যা করত। এ প্রেক্ষিতে তিনি বললেনঃ কিতাবধারীদেরকে তোমরা বিশ্বাস করো না, আবার তাদেরকে মিথ্যারোপও করো না, বরং তোমরা আল্লাহর এ বাণীটি آمَنَّا بِاللَّهِ وَمَا أُنْزِلَ الآيَةَ (আমরা আল্লাহতে এবং আমাদের ও তোমাদের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে ঈমান এনেছি) বল।
باب مَا يَجُوزُ مِنْ تَفْسِيرِ التَّوْرَاةِ وَغَيْرِهَا مِنْ كُتُبِ اللَّهِ بِالْعَرَبِيَّةِ وَغَيْرِهَا لِقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {فَأْتُوا بِالتَّوْرَاةِ فَاتْلُوهَا إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ} وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ أَخْبَرَنِي أَبُو سُفْيَانَ بْنُ حَرْبٍ، أَنَّ هِرَقْلَ، دَعَا تَرْجُمَانَهُ، ثُمَّ دَعَا بِكِتَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَرَأَهُ " بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ مِنْ مُحَمَّدٍ عَبْدِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ إِلَى هِرَقْلَ، وَ{يَا أَهْلَ الْكِتَابِ تَعَالَوْا إِلَى كَلِمَةٍ سَوَاءٍ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ }" الآيَةَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ أَهْلُ الْكِتَابِ يَقْرَءُونَ التَّوْرَاةَ بِالْعِبْرَانِيَّةِ، وَيُفَسِّرُونَهَا بِالْعَرَبِيَّةِ لأَهْلِ الإِسْلاَمِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تُصَدِّقُوا أَهْلَ الْكِتَابِ، وَلاَ تُكَذِّبُوهُمْ وَ( قُولُوا آمَنَّا بِاللَّهِ وَمَا أُنْزِلَ إليكم) الآيَةَ ".
হাদীস নং: ৭০৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ৭৫৪৩
৩১৫৩. তাওরাত ও অপরাপর আসমানী কিতাব আরবী ইত্যাদী ভাষায় ব্যাখ্যা করা বৈধ।
৭০৩৪। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, দুজন ইহুদী নারী-পুরুষকে নবী (ﷺ) এর কাছে আনা হল। তারা যিনা করেছিল। এরপর নবী (ﷺ) বললেনঃ তোমরা ইহুদীগণ যিনাকারী ও যিনাকারিনীদের সাথে কি আচরণ করে থাক? তারা বলল, আমরা এদেরকে (এক পদ্ধতিতে) মুখ কালো ও লাঞ্ছিত করে থাকি। নবী (ﷺ) বললেনঃ তোমরা তাওরাত এনে তা তিলাওয়াত কর, যদি তোমরা সত্যবাদী হও। তারা তাওরাত নিয়ে আসল এবং তাদেরই খুশিমত এক ব্যক্তিকে ডেকে বলল, হে আওয়ার! তুমি পাঠ কর। সে পাঠ করতে লাগল। পরিশেষে এক স্থানে এসে সে তাতে আপন হাত রেখে দিল। নবী (ﷺ) বললেনঃ তোমার হাতটি উঠাও। সে হাত উঠাল। হঠাৎ 'যিনার শাস্তি পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করা (রজম)' আয়াতটি স্পষ্টত দেখা যাচ্ছিল। তিলাওয়াতকারী বলল, হে মুহাম্মাদ! এদের (দু’জনের) মধ্যখানে শাস্তি পক্ষান্তরে রজমই, কিন্তু আমরা পরস্পর তা গোপন করছিলাম। নবী (ﷺ) তাদেরকে রজম করার নির্দেশ দিলে তাদেরকে রজমই করা হয়। বর্ণনাকারী বলেন, যিনাকারী পুরুষটিকে মেয়ে লোকটির উপর ঝুকে পড়ে তাকে পাথর থেকে রক্ষার চেষ্টা করতে দেখেছি।
باب مَا يَجُوزُ مِنْ تَفْسِيرِ التَّوْرَاةِ وَغَيْرِهَا مِنْ كُتُبِ اللَّهِ بِالْعَرَبِيَّةِ وَغَيْرِهَا
7543 - حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: أُتِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرَجُلٍ وَامْرَأَةٍ مِنَ اليَهُودِ قَدْ زَنَيَا، فَقَالَ لِلْيَهُودِ: «مَا تَصْنَعُونَ بِهِمَا؟» ، قَالُوا: نُسَخِّمُ وُجُوهَهُمَا وَنُخْزِيهِمَا، قَالَ: {فَأْتُوا بِالتَّوْرَاةِ فَاتْلُوهَا إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ} [آل عمران: 93] ، فَجَاءُوا، فَقَالُوا لِرَجُلٍ مِمَّنْ يَرْضَوْنَ: يَا أَعْوَرُ، اقْرَأْ فَقَرَأَ حَتَّى انْتَهَى إِلَى مَوْضِعٍ مِنْهَا فَوَضَعَ يَدَهُ عَلَيْهِ، قَالَ: «ارْفَعْ يَدَكَ» ، فَرَفَعَ يَدَهُ فَإِذَا فِيهِ آيَةُ الرَّجْمِ تَلُوحُ، فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، إِنَّ عَلَيْهِمَا الرَّجْمَ، وَلَكِنَّا نُكَاتِمُهُ بَيْنَنَا، فَأَمَرَ بِهِمَا فَرُجِمَا، فَرَأَيْتُهُ يُجَانِئُ عَلَيْهَا الحِجَارَةَ