আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৮৩- তাওহীদ অধ্যায় ও জাহমিয়্যাসহ ভ্রান্ত দলগুলোর অপনোদন - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
হাদীস নং: ৬৯৪০
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৪৮
৩১২৭. আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহর অনুগ্রহ সৎকর্মপরায়ণদের নিকটবর্তী (৭ঃ ৫৬)।
৬৯৪০। মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ......... উসামা ইবনে যায়দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, নবী (ﷺ) এর জনৈকা কন্যার এক ছেলের জীবনসায়াহ্নে তার কন্যা নবী (ﷺ) কে যাওয়ার জন্য (অনুরোধ করে) একজন লোক পাঠালেন। উত্তরে নবী (ﷺ) বলেছিলেনঃ আল্লাহ যা নিয়ে নেন এবং যা দান করেন সবই তারই জন্য। আর প্রতিটি বস্তুর জন্য একটা সময়সীমা নির্ধারিত রয়েছে। সুতরাং সে যেন সবর করে এবং সাওয়াবের আশা করে। তারপর নবী-তনয়া নবী (ﷺ) কে পুনরায় যাওয়ার জন্য কসম দিয়ে লোক পাঠালেন। তিনি যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়ালেন।
বর্ণনাকারী উসামা ইবনে যায়দ (রাযিঃ) বলেন, আমি, মু’আয ইবনে জাবাল, উবাই ইবনে কাব, উবাদা ইবনে সামিতও তাঁর সঙ্গে যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়ালাম। আমরা যখন সেখানে গিয়ে প্রবেশ করলাম তখন তারা বাচ্চাটাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে দিলেন। অথচ তখন বাচ্চার বুকের মধ্যে এক অস্বস্তি বোধ হচ্ছিল। বর্ণনাকারী বলেন, আমার ধারণা নবী (ﷺ) তখন বলেছিলেনঃ এ তো যেন মশকের মত। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কাঁদলেন। তা দেখে সা’দ ইবনে উবাদা (রাযিঃ) বললেনঃ আপনি কাঁদছেন? তিনি বললেনঃ অবশ্যই, আল্লাহ তাঁর দয়ালু বান্দাদের প্রতিই দয়া প্রদর্শন করে থাকেন।
বর্ণনাকারী উসামা ইবনে যায়দ (রাযিঃ) বলেন, আমি, মু’আয ইবনে জাবাল, উবাই ইবনে কাব, উবাদা ইবনে সামিতও তাঁর সঙ্গে যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়ালাম। আমরা যখন সেখানে গিয়ে প্রবেশ করলাম তখন তারা বাচ্চাটাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে দিলেন। অথচ তখন বাচ্চার বুকের মধ্যে এক অস্বস্তি বোধ হচ্ছিল। বর্ণনাকারী বলেন, আমার ধারণা নবী (ﷺ) তখন বলেছিলেনঃ এ তো যেন মশকের মত। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কাঁদলেন। তা দেখে সা’দ ইবনে উবাদা (রাযিঃ) বললেনঃ আপনি কাঁদছেন? তিনি বললেনঃ অবশ্যই, আল্লাহ তাঁর দয়ালু বান্দাদের প্রতিই দয়া প্রদর্শন করে থাকেন।
باب مَا جَاءَ فِي قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى {إِنَّ رَحْمَةَ اللَّهِ قَرِيبٌ مِنَ الْمُحْسِنِينَ}
7448 - حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَاحِدِ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أُسَامَةَ، قَالَ: كَانَ ابْنٌ لِبَعْضِ بَنَاتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْضِي، فَأَرْسَلَتْ [ص:134] إِلَيْهِ أَنْ يَأْتِيَهَا، فَأَرْسَلَ «إِنَّ لِلَّهِ مَا أَخَذَ، وَلَهُ مَا أَعْطَى، وَكُلٌّ إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى، فَلْتَصْبِرْ وَلْتَحْتَسِبْ» ، فَأَرْسَلَتْ إِلَيْهِ فَأَقْسَمَتْ عَلَيْهِ، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقُمْتُ مَعَهُ، وَمُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ، وَأُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ، وَعُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ، فَلَمَّا دَخَلْنَا نَاوَلُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصَّبِيَّ وَنَفْسُهُ تَقَلْقَلُ فِي صَدْرِهِ - حَسِبْتُهُ قَالَ: كَأَنَّهَا شَنَّةٌ - فَبَكَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ أَتَبْكِي، فَقَالَ: «إِنَّمَا يَرْحَمُ اللَّهُ مِنْ عِبَادِهِ الرُّحَمَاءَ»
হাদীস নং: ৬৯৪১
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৪৯
৩১২৭. আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহর অনুগ্রহ সৎকর্মপরায়ণদের নিকটবর্তী (৭ঃ ৫৬)।
৬৯৪১। উবাইদুল্লাহ ইবনে সা’দ ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ জান্নাত ও জাহান্নাম উভয়টি স্বীয় প্রতিপালকের কাছে অভিযোগ করল। জান্নাত বলল, হে আমার প্রতিপালক! আমার ব্যাপারটি কি হলো যে, তাতে শুধু নিঃস্ব ও নিম্নশ্রেণীর লোকেরাই প্রবেশ করবে। এদিকে জাহান্নামও অভিযোগ করল অর্থাৎ আপনি শুধুমাত্র অহংকারীদেরকেই আমাতে প্রাধান্য দিলেন।
আল্লাহ জান্নাতকে লক্ষ্য করে বললেনঃ তুমি আমার রহমত। জাহান্নামকে বললেনঃ তুমি আমার আযাব। আমি যাকে চাইব, তোমাকে দিয়ে শাস্তি পৌছাব। তোমাদের উভয়কেই পূর্ণ করা হবে। তবে আল্লাহ তাআলা তার সৃষ্টির কারো উপর যুলুম করবেন না। তিনি জাহান্নামের জন্য নিজ ইচ্ছানুযায়ী নতুন সৃষ্টি পয়দা করবেন। তাদেরকে যখন জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে, তখন জাহান্নাম বলবে, আরো অতিরিক্ত আছে কি? জাহান্নামে আরো নিক্ষেপ করা হবে, তখনো সে বলবে, আরো অতিরিক্ত আছে কি? এভাবে তিনবার বলবে। পরিশেষে আল্লাহ তাআলা তাঁর কুদরতের কদম জাহান্নামে প্রবেশ করিয়ে দিলে তা পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। তখন জাহান্নামের একটি অংশ আরেকটি অংশকে এই উত্তর করবে- যথেষ্ট হয়েছে, যথেষ্ট হয়েছে, যথেষ্ট হয়েছে।
আল্লাহ জান্নাতকে লক্ষ্য করে বললেনঃ তুমি আমার রহমত। জাহান্নামকে বললেনঃ তুমি আমার আযাব। আমি যাকে চাইব, তোমাকে দিয়ে শাস্তি পৌছাব। তোমাদের উভয়কেই পূর্ণ করা হবে। তবে আল্লাহ তাআলা তার সৃষ্টির কারো উপর যুলুম করবেন না। তিনি জাহান্নামের জন্য নিজ ইচ্ছানুযায়ী নতুন সৃষ্টি পয়দা করবেন। তাদেরকে যখন জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে, তখন জাহান্নাম বলবে, আরো অতিরিক্ত আছে কি? জাহান্নামে আরো নিক্ষেপ করা হবে, তখনো সে বলবে, আরো অতিরিক্ত আছে কি? এভাবে তিনবার বলবে। পরিশেষে আল্লাহ তাআলা তাঁর কুদরতের কদম জাহান্নামে প্রবেশ করিয়ে দিলে তা পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। তখন জাহান্নামের একটি অংশ আরেকটি অংশকে এই উত্তর করবে- যথেষ্ট হয়েছে, যথেষ্ট হয়েছে, যথেষ্ট হয়েছে।
باب مَا جَاءَ فِي قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى {إِنَّ رَحْمَةَ اللَّهِ قَرِيبٌ مِنَ الْمُحْسِنِينَ}
7449 - حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " اخْتَصَمَتِ الجَنَّةُ وَالنَّارُ إِلَى رَبّهِمَا، فَقَالَتِ الجَنَّةُ: يَا رَبِّ، مَا لَهَا لاَ يَدْخُلُهَا إِلَّا ضُعَفَاءُ النَّاسِ وَسَقَطُهُمْ، وَقَالَتِ النَّارُ: - يَعْنِي - أُوثِرْتُ بِالْمُتَكَبِّرِينَ، فَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى لِلْجَنَّةِ: أَنْتِ رَحْمَتِي، وَقَالَ لِلنَّارِ: أَنْتِ عَذَابِي، أُصِيبُ بِكِ مَنْ أَشَاءُ، وَلِكُلِّ وَاحِدَةٍ مِنْكُمَا مِلْؤُهَا، قَالَ: فَأَمَّا الجَنَّةُ، فَإِنَّ اللَّهَ لاَ يَظْلِمُ مِنْ خَلْقِهِ أَحَدًا، وَإِنَّهُ يُنْشِئُ لِلنَّارِ مَنْ يَشَاءُ، فَيُلْقَوْنَ فِيهَا، فَتَقُولُ: هَلْ مِنْ مَزِيدٍ، ثَلاَثًا، حَتَّى يَضَعَ فِيهَا قَدَمَهُ فَتَمْتَلِئُ، وَيُرَدُّ بَعْضُهَا إِلَى بَعْضٍ، وَتَقُولُ: قَطْ قَطْ قَطْ "
হাদীস নং: ৬৯৪২
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৫০
৩১২৭. আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহর অনুগ্রহ সৎকর্মপরায়ণদের নিকটবর্তী (৭ঃ ৫৬)।
৬৯৪২। হাফস ইবনে উমর (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ কতিপয় কওম তাদের গুনাহের কারণে শাস্তিস্বরূপ জাহান্নামের অগ্নিশিখায় পৌছবে। তারপর আল্লাহ তাআলা নিজ করুণার বদৌলতে তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেবেন। তাদেরকে জাহান্নামী বলে আখ্যায়িত করা হবে।
হাম্মাম (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে উক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন।
হাম্মাম (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে উক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى {إِنَّ رَحْمَةَ اللَّهِ قَرِيبٌ مِنَ الْمُحْسِنِينَ}
7450 - حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «لَيُصِيبَنَّ أَقْوَامًا سَفْعٌ مِنَ النَّارِ، بِذُنُوبٍ أَصَابُوهَا عُقُوبَةً، ثُمَّ يُدْخِلُهُمُ اللَّهُ الجَنَّةَ بِفَضْلِ رَحْمَتِهِ، يُقَالُ لَهُمُ الجَهَنَّمِيُّونَ» ، وَقَالَ هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، حَدَّثَنَا أَنَسٌ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

তাহকীক: