আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৮৩- তাওহীদ অধ্যায় ও জাহমিয়্যাসহ ভ্রান্ত দলগুলোর অপনোদন - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১১ টি
হাদীস নং: ৬৯১৩
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪১৮
৩১২৪. মহান আল্লাহর বাণীঃ তখন তাঁর আরশ পানির ওপর ছিল। তিনি আরশে আযীমের প্রতিপালক।
আবুল আলীয়া (রাহঃ) বলেন, اسْتَوَى إِلَى السَّمَاءِ এর মর্মার্থ হচ্ছে, আসমানকে উড্ডীন করেছেন। فَسَوَّاهُنَّ এর মর্মার্থ হচ্ছে, তিনি আসমানরাজিকে সৃষ্টি করেছেন।
মুজাহিদ (রাহঃ) বলেছেন, اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ এর মর্মার্থ হল, আরশের উপর অধিষ্ঠিত হলেন।
আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেছেন, مَجِيد অর্থ সম্মানিত, الوَدُود অর্থ প্রিয়। বলা হয়ে থাকে, حَمِيدٌ مَجِيدٌ মূলত প্রশংসনীয় ও পবিত্র। বস্তুত এটি مَاجِدٍ থেকে فَعِيلٌ এর ওজনে এসেছে। আর مَحْمُودٌ (প্রশংসনীয়) এসেছে حمد থেকে।
আবুল আলীয়া (রাহঃ) বলেন, اسْتَوَى إِلَى السَّمَاءِ এর মর্মার্থ হচ্ছে, আসমানকে উড্ডীন করেছেন। فَسَوَّاهُنَّ এর মর্মার্থ হচ্ছে, তিনি আসমানরাজিকে সৃষ্টি করেছেন।
মুজাহিদ (রাহঃ) বলেছেন, اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ এর মর্মার্থ হল, আরশের উপর অধিষ্ঠিত হলেন।
আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেছেন, مَجِيد অর্থ সম্মানিত, الوَدُود অর্থ প্রিয়। বলা হয়ে থাকে, حَمِيدٌ مَجِيدٌ মূলত প্রশংসনীয় ও পবিত্র। বস্তুত এটি مَاجِدٍ থেকে فَعِيلٌ এর ওজনে এসেছে। আর مَحْمُودٌ (প্রশংসনীয়) এসেছে حمد থেকে।
৬৯১৩। আবদান (রাহঃ) ......... ইমরান ইবনে হুসাইন (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি নবী (ﷺ) এর কাছে ছিলাম। এমন সময় তাঁর কাছে বনু তামীমের কওমটি এল। নবী (ﷺ) তাদেরকে লক্ষ্য করে বললেনঃ হে বনু তামীম। তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ কর। প্রতি উত্তরে তারা বলল, আপনি আমাদেরকে শুভ সংবাদ যখন প্রদান করেছেন, তাহলে কিছু দান করুন। এ সময় ইয়ামানবাসী কতিপয় লোক নবী (ﷺ) এর সেখানে উপস্থিত হল। নবী (ﷺ) তাদের উদ্দেশ্যে বললেনঃ হে ইয়ামানবাসী! তোমাদের জন্য সুসংবাদ। বনু তামীম তা গ্রহণ করল না। তারা বলে উঠল, আমরা গ্রহণ করলাম শুভ সংবাদ। যেহেতু আমরা আপনার কাছে এসেছি দ্বীনি জ্ঞান হাসিল করার উদ্দেশ্যে এবং জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছি যে, এ দুনিয়া সৃষ্টির আগে কি ছিল? নবী (ﷺ) বললেনঃ আল্লাহ তখন ছিলেন, তাঁর আগে আর কিছু ছিল না। তার আরশ তখন পানির ওপর ছিল। এরপর তিনি আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করলেন। এবং লাওহে মাহফুযে সব বস্তু সম্পর্কে লিখে রাখলেন। রাবী বলেন, এরপর আমার কাছে এক ব্যক্তি এসে বলল, হে ইমরান! তোমার উট পালিয়ে গিয়েছে, তার খবর নাও। আমি উটের সন্ধানে চললাম। দেখলাম, উট মরীচিকার আড়ালে আছে। আমি আল্লাহর কসম করে বলছি! আমার মন চাচ্ছিল উট চলে যায় যাক, তবুও আমি মজলিস ছেড়ে যেন না উঠি।
بَابُ {وَكَانَ عَرْشُهُ عَلَى المَاءِ} [هود: 7] ، {وَهُوَ رَبُّ العَرْشِ العَظِيمِ} [التوبة: 129]قَالَ أَبُو العَالِيَةِ: {اسْتَوَى إِلَى السَّمَاءِ} [البقرة: 29] : «ارْتَفَعَ» ، {فَسَوَّاهُنَّ} [البقرة: 29] : «خَلَقَهُنَّ» وَقَالَ مُجَاهِدٌ: {اسْتَوَى} [البقرة: 29] : «عَلاَ» {عَلَى العَرْشِ} [الأعراف: 54] وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: {المَجِيدُ} [ق: 1] : «الكَرِيمُ» ، وَ {الوَدُودُ} [البروج: 14] : «الحَبِيبُ» ، يُقَالُ: «حَمِيدٌ مَجِيدٌ، كَأَنَّهُ فَعِيلٌ مِنْ مَاجِدٍ، مَحْمُودٌ مِنْ حَمِدَ»
7418 - حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبُو حَمْزَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ جَامِعِ بْنِ شَدَّادٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ مُحْرِزٍ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ: إِنِّي عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ جَاءَهُ قَوْمٌ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ، فَقَالَ: «اقْبَلُوا البُشْرَى يَا بَنِي تَمِيمٍ» ، قَالُوا: بَشَّرْتَنَا فَأَعْطِنَا، فَدَخَلَ نَاسٌ مِنْ أَهْلِ اليَمَنِ، فَقَالَ: «اقْبَلُوا البُشْرَى يَا أَهْلَ اليَمَنِ، إِذْ لَمْ يَقْبَلْهَا بَنُو تَمِيمٍ» ، قَالُوا: قَبِلْنَا، جِئْنَاكَ لِنَتَفَقَّهَ فِي الدِّينِ، وَلِنَسْأَلَكَ عَنْ أَوَّلِ هَذَا الأَمْرِ مَا كَانَ، قَالَ: «كَانَ اللَّهُ وَلَمْ يَكُنْ شَيْءٌ قَبْلَهُ، وَكَانَ عَرْشُهُ عَلَى المَاءِ، ثُمَّ خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ، وَكَتَبَ فِي الذِّكْرِ كُلَّ شَيْءٍ» ، ثُمَّ أَتَانِي رَجُلٌ، فَقَالَ: يَا عِمْرَانُ أَدْرِكْ نَاقَتَكَ فَقَدْ ذَهَبَتْ، فَانْطَلَقْتُ أَطْلُبُهَا، فَإِذَا السَّرَابُ يَنْقَطِعُ دُونَهَا، وَايْمُ اللَّهِ لَوَدِدْتُ أَنَّهَا قَدْ ذَهَبَتْ وَلَمْ أَقُمْ

তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৯১৪
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪১৯
৩১২৪. মহান আল্লাহর বাণীঃ তখন তাঁর আরশ পানির ওপর ছিল। তিনি আরশে আযীমের প্রতিপালক।
৬৯১৪। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহর ডান হাত পরিপূর্ণ, রাত দিনের খরচেও তা কমে না। তোমরা ভেবে দেখেছ কি? আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টিলগ্ন থেকে তিনি কত খরচ করে চলেছেন। তবুও তাঁর ডান হাতের কিছুই কমেনি। তার আরশ পানির ওপর অবস্থান করছে। তাঁর অপর হাতটিতে রয়েছে দেয়া এবং নেয়া। তা তিনি উঠান ও নামান।
بَابُ {وَكَانَ عَرْشُهُ عَلَى المَاءِ} [هود: 7] ، {وَهُوَ رَبُّ العَرْشِ العَظِيمِ} [التوبة: 129]
7419 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامٍ، حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «إِنَّ يَمِينَ اللَّهِ مَلْأَى لاَ يَغِيضُهَا نَفَقَةٌ، سَحَّاءُ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ، أَرَأَيْتُمْ مَا أَنْفَقَ مُنْذُ خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ، فَإِنَّهُ لَمْ يَنْقُصْ مَا فِي يَمِينِهِ، وَعَرْشُهُ عَلَى المَاءِ، وَبِيَدِهِ الأُخْرَى الفَيْضُ - أَوِ القَبْضُ - يَرْفَعُ وَيَخْفِضُ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৯১৫
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪২০
৩১২৪. মহান আল্লাহর বাণীঃ তখন তাঁর আরশ পানির ওপর ছিল। তিনি আরশে আযীমের প্রতিপালক।
৬৯১৫। আহমদ (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যায়দ ইবনে হারিসা (রাযিঃ) অভিযোগ নিয়ে আসলেন। তখন নবী (ﷺ) তাকে বলতে লাগলেন, তুমি আল্লাহকে ভয় কর এবং তোমার স্ত্রীকে তোমার কাছে রেখে দাও। আনাস (রাযিঃ) বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যদি কোন জিনিস গোপনই করতেন, তাহলে এই আয়াতটি অবশ্যই গোপন করতেন।
বর্ণনাকারী বলেন, [যায়নাব (রাযিঃ)] অপরাপর নবী সহধর্মিণীর কাছে এই বলে গৌরব করতেন যে, তোমাদেরকে বিবাহ দিয়েছে তোমাদের পরিবার-পরিজন আর আমাকে স্বয়ং আল্লাহ তাআলা সাত আসমানের ওপরে বিয়ে দিয়েছেন। বর্ণনাকারী সাবিত (রাহঃ) বলেছেন, আল্লাহর বাণীঃ (হে নবী) আপনি আপনার অন্তরে যা গোপন করতেন আল্লাহ তা প্রকাশ করে দিচ্ছেন, আপনি লোকদের ভয় করছিলেন। এই আয়াতটি যায়নাব ও যায়দ ইবনে হারিসা (রাযিঃ) সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছিল।
বর্ণনাকারী বলেন, [যায়নাব (রাযিঃ)] অপরাপর নবী সহধর্মিণীর কাছে এই বলে গৌরব করতেন যে, তোমাদেরকে বিবাহ দিয়েছে তোমাদের পরিবার-পরিজন আর আমাকে স্বয়ং আল্লাহ তাআলা সাত আসমানের ওপরে বিয়ে দিয়েছেন। বর্ণনাকারী সাবিত (রাহঃ) বলেছেন, আল্লাহর বাণীঃ (হে নবী) আপনি আপনার অন্তরে যা গোপন করতেন আল্লাহ তা প্রকাশ করে দিচ্ছেন, আপনি লোকদের ভয় করছিলেন। এই আয়াতটি যায়নাব ও যায়দ ইবনে হারিসা (রাযিঃ) সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছিল।
بَابُ {وَكَانَ عَرْشُهُ عَلَى المَاءِ} [هود: 7] ، {وَهُوَ رَبُّ العَرْشِ العَظِيمِ} [التوبة: 129]
7420 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ المُقَدَّمِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: جَاءَ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ يَشْكُو، فَجَعَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «اتَّقِ اللَّهَ، وَأَمْسِكْ عَلَيْكَ زَوْجَكَ» ، قَالَ أَنَسٌ: لَوْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَاتِمًا شَيْئًا لَكَتَمَ هَذِهِ، قَالَ: فَكَانَتْ زَيْنَبُ تَفْخَرُ عَلَى أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ [ص:125] تَقُولُ: زَوَّجَكُنَّ أَهَالِيكُنَّ، وَزَوَّجَنِي اللَّهُ تَعَالَى مِنْ فَوْقِ سَبْعِ سَمَوَاتٍ، وَعَنْ ثَابِتٍ: {وَتُخْفِي فِي نَفْسِكَ مَا اللَّهُ مُبْدِيهِ وَتَخْشَى النَّاسَ} [الأحزاب: 37] ، «نَزَلَتْ فِي شَأْنِ زَيْنَبَ وَزَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৯১৬
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪২১
৩১২৪. মহান আল্লাহর বাণীঃ তখন তাঁর আরশ পানির ওপর ছিল। তিনি আরশে আযীমের প্রতিপালক।
৬৯১৬। খাল্লাদ ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, যায়নাব বিনতে জাহাশ (রাযিঃ) কে কেন্দ্র করে পর্দার আয়াত নাযিল হয়। নবী (ﷺ) যায়নাবের সাথে তার বিবাহ উপলক্ষে ওলীমা হিসাবে সেদিন রুটি ও গোশত আহার করিয়েছিলেন। সহধর্মিণীদের উপর যায়নাব (রাযিঃ) গৌরব করে বলতেন, আল্লাহ তো আসমানে আমার বিয়ের ব্যবস্থা করেছেন।
بَابُ {وَكَانَ عَرْشُهُ عَلَى المَاءِ} [هود: 7] ، {وَهُوَ رَبُّ العَرْشِ العَظِيمِ} [التوبة: 129]
7421 - حَدَّثَنَا خَلَّادُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ طَهْمَانَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَقُولُ: " نَزَلَتْ آيَةُ الحِجَابِ فِي زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ، وَأَطْعَمَ عَلَيْهَا يَوْمَئِذٍ خُبْزًا وَلَحْمًا، وَكَانَتْ تَفْخَرُ عَلَى نِسَاءِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَتْ تَقُولُ: إِنَّ اللَّهَ أَنْكَحَنِي فِي السَّمَاءِ "

তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৯১৭
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪২২
৩১২৪. মহান আল্লাহর বাণীঃ তখন তাঁর আরশ পানির ওপর ছিল। তিনি আরশে আযীমের প্রতিপালক।
৬৯১৭। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আল্লাহ যখন সকল মাখলুক পয়দা করার কাজ সম্পন্ন করলেন, তখন তার আরশের উপর তারই কাছে লিপিবদ্ধ করে রাখলেন ″অবশ্যই আমার রহমত আমার গযব থেকে অগ্রগামী।″
بَابُ {وَكَانَ عَرْشُهُ عَلَى المَاءِ} [هود: 7] ، {وَهُوَ رَبُّ العَرْشِ العَظِيمِ} [التوبة: 129]
7422 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " إِنَّ اللَّهَ لَمَّا قَضَى الخَلْقَ، كَتَبَ عِنْدَهُ فَوْقَ عَرْشِهِ: إِنَّ رَحْمَتِي سَبَقَتْ غَضَبِي "
হাদীস নং: ৬৯১৮
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪২৩
৩১২৪. মহান আল্লাহর বাণীঃ তখন তাঁর আরশ পানির ওপর ছিল। তিনি আরশে আযীমের প্রতিপালক।
৬৯১৮। ইবরাহীম ইবনে মুনযির (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ঈমান আনে, নামায কায়েম করে, রমযান মাসের রোযা পালন করে, আল্লাহ তার ব্যাপারে এ দায়িত্ব নিয়েছেন যে, তিনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। সে আল্লাহর রাস্তায় হিজরত করুক কিংবা তার জন্মভূমিতে অবস্থান করুক। সাহাবীগণ বলে উঠলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! এই বিষয়টি আমরা লোকদের জানিয়ে দেব না? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ অবশ্যই, জান্নাতে একশটি স্তর রয়েছে। এগুলো আল্লাহ তাঁর রাস্তায় জিহাদকারীদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন। প্রতি দুটি স্তরের মাঝখানে আসমান ও যমীনের দূরত্ব বিদ্যমান রয়েছে। কাজেই যখন তোমরা আল্লাহর কাছে চাবে, তখন ফিরদাউস জান্নাত চাবে। কেননা সেটি হচ্ছে সর্বোত্তম ও সর্বোচ্চ জান্নাত। আর দয়ালু (আল্লাহর) আরশটি এরই উপর অবস্থিত। এই ফিরদাউস থেকেই জান্নাতের ঝর্নাগুলো প্রবাহিত হয়ে থাকে।
بَابُ {وَكَانَ عَرْشُهُ عَلَى المَاءِ} [هود: 7] ، {وَهُوَ رَبُّ العَرْشِ العَظِيمِ} [التوبة: 129]
7423 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ المُنْذِرِ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ فُلَيْحٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنِي هِلاَلٌ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ، وَأَقَامَ الصَّلاَةَ، وَصَامَ رَمَضَانَ، كَانَ حَقًّا عَلَى اللَّهِ أَنْ يُدْخِلَهُ الجَنَّةَ، هَاجَرَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، أَوْ جَلَسَ فِي أَرْضِهِ الَّتِي وُلِدَ فِيهَا» ، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَفَلاَ نُنَبِّئُ النَّاسَ بِذَلِكَ؟ قَالَ: «إِنَّ فِي الجَنَّةِ مِائَةَ دَرَجَةٍ، أَعَدَّهَا اللَّهُ لِلْمُجَاهِدِينَ فِي سَبِيلِهِ، كُلُّ دَرَجَتَيْنِ مَا بَيْنَهُمَا كَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ، فَإِذَا سَأَلْتُمُ اللَّهَ فَسَلُوهُ الفِرْدَوْسَ، فَإِنَّهُ أَوْسَطُ الجَنَّةِ، وَأَعْلَى الجَنَّةِ، وَفَوْقَهُ عَرْشُ الرَّحْمَنِ، وَمِنْهُ تَفَجَّرُ أَنْهَارُ الجَنَّةِ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৯১৯
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪২৪
৩১২৪. মহান আল্লাহর বাণীঃ তখন তাঁর আরশ পানির ওপর ছিল। তিনি আরশে আযীমের প্রতিপালক।
৬৯১৯। ইয়াহয়া ইবনে জাফর (রাহঃ) ......... আবু যর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মসজিদে নববীতে প্রবেশ করলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন সেখানে বসা ছিলেন। যখন সূর্য অস্ত গেল, তিনি বললেনঃ হে আবু যর! তোমার কি জানা আছে, এই সূর্য কোথায় যাচ্ছে? আবু যর (রাযিঃ) বলেন, আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই সর্বাপেক্ষা বেশী জানেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এ সূর্য যাচ্ছে এবং অনুমতি চাচ্ছে সিজদার জন্য। তারপর সিজদার জন্য তাকে অনুমতি দেয়া হয়। একদিন তাকে হুকুম দেয়া হবে, যেখান থেকে এসেছ সেখানে ফিরে যাও। তখন সে তার অস্তের স্থল থেকে উদিত হবে। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তিলাওয়াত করলেন, ″এটিই তার অবস্থানস্থল″ আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) এর কিরাআত অনুযায়ী।
بَابُ {وَكَانَ عَرْشُهُ عَلَى المَاءِ} [هود: 7] ، {وَهُوَ رَبُّ العَرْشِ العَظِيمِ} [التوبة: 129]
7424 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ هُوَ التَّيْمِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ: دَخَلْتُ المَسْجِدَ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسٌ، فَلَمَّا غَرَبَتِ الشَّمْسُ قَالَ: «يَا أَبَا ذَرٍّ، هَلْ تَدْرِي أَيْنَ تَذْهَبُ هَذِهِ؟» ، قَالَ: قُلْتُ: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، قَالَ: " فَإِنَّهَا تَذْهَبُ تَسْتَأْذِنُ فِي السُّجُودِ فَيُؤْذَنُ لَهَا، وَكَأَنَّهَا قَدْ قِيلَ لَهَا: ارْجِعِي مِنْ حَيْثُ جِئْتِ، فَتَطْلُعُ مِنْ مَغْرِبِهَا، ثُمَّ قَرَأَ: ذَلِكَ مُسْتَقَرٌّ لَهَا " فِي قِرَاءَةِ عَبْدِ اللَّهِ

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬৯২০
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪২৫
৩১২৪. মহান আল্লাহর বাণীঃ তখন তাঁর আরশ পানির ওপর ছিল। তিনি আরশে আযীমের প্রতিপালক।
৬৯২০। মুসা (রাহঃ) ......... যায়দ ইবনে সাবিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবু বকর (রাযিঃ) আমার কাছে লোক প্রেরণ করলেন। তাই আমি কুরআনের বিভিন্ন অংশ অনুসন্ধানে নেমে পড়লাম। পরিশেষে সূরা তাওবার শেষাংশ একমাত্র আবু খুযায়মা আনসারী (রাযিঃ) ব্যতীত আর কারো কাছে (লিখিত) পেলাম না। (আর তা হচ্ছে) لَقَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مِنْ أَنْفُسِكُمْ থেকে সূরা বারাআতের শেষ পর্যন্ত।
بَابُ {وَكَانَ عَرْشُهُ عَلَى المَاءِ} [هود: 7] ، {وَهُوَ رَبُّ العَرْشِ العَظِيمِ} [التوبة: 129]
7425 - حَدَّثَنَا مُوسَى، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ السَّبَّاقِ، أَنَّ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ، وَقَالَ اللَّيْثُ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ ابْنِ السَّبَّاقِ، أَنَّ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ، حَدَّثَهُ قَالَ: «أَرْسَلَ إِلَيَّ أَبُو بَكْرٍ فَتَتَبَّعْتُ القُرْآنَ، حَتَّى وَجَدْتُ آخِرَ سُورَةِ التَّوْبَةِ مَعَ أَبِي خُزَيْمَةَ الأَنْصَارِيِّ، لَمْ أَجِدْهَا مَعَ أَحَدٍ غَيْرِهِ» ، {لَقَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مِنْ أَنْفُسِكُمْ} [التوبة: 128] حَتَّى خَاتِمَةِ بَرَاءَةَ.

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬৯২১
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪২৫
৩১২৪. মহান আল্লাহর বাণীঃ তখন তাঁর আরশ পানির ওপর ছিল। তিনি আরশে আযীমের প্রতিপালক।
৬৯২১। ইয়াহয়া ইবনে বুকায়র (রাহঃ) ......... ইউনুস (রাহঃ) থেকে হাদীসটি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তিনিও আবু খুযায়মা আনসারীর কাছে এ আয়াত পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করেছেন।
بَابُ {وَكَانَ عَرْشُهُ عَلَى المَاءِ} [هود: 7] ، {وَهُوَ رَبُّ العَرْشِ العَظِيمِ} [التوبة: 129]
7425 - ......... حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يُونُسَ بِهَذَا، وَقَالَ: مَعَ أَبِي خُزَيْمَةَ الأَنْصَارِيِّ

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬৯২২
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪২৬
৩১২৪. মহান আল্লাহর বাণীঃ তখন তাঁর আরশ পানির ওপর ছিল। তিনি আরশে আযীমের প্রতিপালক।
৬৯২২। মুআল্লা ইবনে আসাদ (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, দুঃখ যাতনার সময় নবী (ﷺ) এই বলে দু'আ করতেনঃ আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বুদ নেই। যিনি মহাজ্ঞানী ও ধৈর্যশীল। তিনি ছাড়া আর কোন মা’বুদ নেই, তিনি আরশে আযীমের প্রতিপালক। তিনি ছাড়া কোন মা’বুদ নেই, তিনি আসমান-যমীনের প্রতিপালক এবং সম্মানিত আরশের অধিপতি।
بَابُ {وَكَانَ عَرْشُهُ عَلَى المَاءِ} [هود: 7] ، {وَهُوَ رَبُّ العَرْشِ العَظِيمِ} [التوبة: 129]
7426 - حَدَّثَنَا مُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي العَالِيَةِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ عِنْدَ الكَرْبِ: «لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ العَلِيمُ الحَلِيمُ، لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ العَرْشِ العَظِيمِ، لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ السَّمَوَاتِ وَرَبُّ الأَرْضِ رَبُّ العَرْشِ الكَرِيمِ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৯২৩
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪২৭ - ৭৪২৮
৩১২৪. মহান আল্লাহর বাণীঃ তখন তাঁর আরশ পানির ওপর ছিল। তিনি আরশে আযীমের প্রতিপালক।
৬৯২৩। মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন সব মানুষ বেহুশ হয়ে পড়বে। (যখন আমার হুশ ফিরে আসবে) তখন আমি মুসা (আলাইহিস সালাম) কে আরশের একটি পায়া ধরে দণ্ডায়মান দেখতে পাব।
বর্ণনাকারী মাজিশুন......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন, আমি সবচাইতে আগে পুনরুত্থিত হব। তখন মুসা (আলাইহিস সালাম) কে দেখব, তিনি আরশ ধরে আছেন।
বর্ণনাকারী মাজিশুন......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন, আমি সবচাইতে আগে পুনরুত্থিত হব। তখন মুসা (আলাইহিস সালাম) কে দেখব, তিনি আরশ ধরে আছেন।
بَابُ {وَكَانَ عَرْشُهُ عَلَى المَاءِ} [هود: 7] ، {وَهُوَ رَبُّ العَرْشِ العَظِيمِ} [التوبة: 129]
7427 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «النَّاسُ يَصْعَقُونَ يَوْمَ القِيَامَةِ، فَإِذَا أَنَا بِمُوسَى آخِذٌ بِقَائِمَةٍ مِنْ قَوَائِمِ العَرْشِ» ،
7428 - وَقَالَ المَاجِشُونُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الفَضْلِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «فَأَكُونُ أَوَّلَ مَنْ بُعِثَ، فَإِذَا مُوسَى آخِذٌ بِالعَرْشِ»
7428 - وَقَالَ المَاجِشُونُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الفَضْلِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «فَأَكُونُ أَوَّلَ مَنْ بُعِثَ، فَإِذَا مُوسَى آخِذٌ بِالعَرْشِ»

তাহকীক:

বর্ণনাকারী: