আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৮৩- তাওহীদ অধ্যায় ও জাহমিয়্যাসহ ভ্রান্ত দলগুলোর অপনোদন - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
হাদীস নং: ৬৯০৬
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪১০
৩১২১. আল্লাহর বাণীঃ যাকে আমি নিজ হাতে সৃষ্টি করেছি।
৬৯০৬। মু’আয ইবনে ফাযালা (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন আল্লাহ ঈমানদারদেরকে সমবেত করবেন তখন তারা উক্তি করবে, আমরা আমাদের প্রতিপালকের কাছে কোন সুপারিশ যদি নিয়ে যেতাম; তাহলে তিনি আমাদেরকে এই স্থানটি থেকে বের করে শান্তি প্রদান করতেন। এরপর তারা আদম (আলাইহিস সালাম) এর কাছে গিয়ে বলবে, হে আদম (আলাইহিস সালাম)! আপনি কি মানুষের অবস্থা দেখছেন না? অথচ আল্লাহ আপনাকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন। আপনাকে তিনি তাঁর ফিরিশতাগণ দিয়ে সিজদা করিয়েছেন। আর আপনাকে সব জিনিসের নাম শিক্ষা দিয়েছেন। সুতরাং আপনি আমাদের প্রতিপালকের কাছে সুপারিশ করুন, যেন এই স্থানটি থেকে আমাদেরকে তিনি স্বস্তি প্রদান করেন। আদম (আলাইহিস সালাম) তখন বলবেন, এই কাজের জন্য আমি যোগ্য নই। এবং আদম (আলাইহিস সালাম) তাদের কাছে স্বীয় ভুলের কথা স্মরণ করবেন এবং বলবেন, তোমরা বরং নূহ (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাও। যেহেতু তিনিই আল্লাহর প্রথম রাসুল। যাকে তিনি যমীনবাসীর কাছে প্রেরণ করেছিলেন। (এ কথা শুনে) তারা নূহ (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে। তিনিও বলবেন, আমি তোমাদের এই কাজের জন্য যোগ্য নই। তিনি তাঁর কৃত ত্রুটির কথা স্মরণ করে বলবেন, তোমরা বরং আল্লাহর খলীল (বন্ধু) ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাও। তখন তারা ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে। তিনিও তাদের কাছে স্বীয় কৃত ত্রুটিসমূহের কথা উল্লেখপূর্বক বলবেন, আমি তোমাদের এই কাজের জন্য যোগ্য নই। তোমরা বরং মুসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাও। তিনি এমন একজন বান্দা, যাকে আল্লাহ তাওরাত প্রদান করেছিলেন এবং তাঁর সাথে তিনি প্রত্যক্ষ বাক্যালাপ করেছিলেন। তারা তখন মুসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে। মুসা (আলাইহিস সালাম)-ও বলবেন, আমি তোমাদের এই কাজের জন্য যোগ্য নই। তাদের কাছে তিনি স্বীয় কৃত ক্রটির কথা উল্লেখপূর্বক বলবেন, তোমরা বরং ঈসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাও। যিনি আল্লাহর বান্দা, তাঁর রাসূল, কালেমা ও রুহ। তখন তারা ঈসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে। তখন ঈসা (আলাইহিস সালাম) বলবেন, আমি তোমাদের এই কাজের যোগ্য নই। তোমরা বরং মুহাম্মাদ (ﷺ) এর কাছে যাও। তিনি এমন একজন বান্দা, যার আগের ও পরের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। তারা সবাই আমার কাছে আসবে। আমি তখন আমার প্রতিপালকের কাছে অনুমতি প্রার্থনা করবো, আমাকে এর অনুমতি দেওয়া হবে। আমি আমার প্রতিপালককে যখন দেখতে পাব, তখনই আমি তাঁর সামনে সিজদায় পড়বো। আল্লাহ তার মর্জি অনুসারে যতক্ষণ আমাকে সেভাবে রাখার রেখে দেবেন। তারপর আমাকে বলা হবে, হে মুহাম্মাদ! মাথা উঠান। (যা বলার) বলুন। শোনা হবে। (যা চাওয়ার) চান, দেয়া হবে। (যা সুপারিশ করার) করুন, গ্রহণ করা হবে। তখন আমার প্রতিপালকের শিখিয়ে দেয়া প্রশংসারাজির দ্বারা আমি তাঁর প্রশংসা করব। তারপর আমি শাফাআত করব। আমার জন্য একটা সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। এরপর আমি তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেব। তারপর আমি ফিরে আসব। যখন আমি আমার প্রতিপালককে দেখতে পাব, তখন তাঁর জন্য সিজদায় পড়বো। আল্লাহর মর্জি অনুসারে যতক্ষণ আমাকে এভাবে রাখতে চাইবেন রেখে দিবেন। তারপর আমাকে বলা হবে, হে মুহাম্মাদ! মাথা উঠান। বলুন, শোনা হবে। চান, দেওয়া হবে। সুপারিশ করুন, গ্রহণ করা হবে। তখন আমার প্রতিপালকের শিখিয়ে দেয়া প্রশংসারাজি দিয়ে আমি তার প্রশংসা করব এবং সুপারিশ করব। তখনো আমার জন্য একটা সীমা নির্ধারণ করা হবে। আমি তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেব। তারপর আমি আবার ফিরে আসব। আমি এবারও আমার প্রতিপালককে দেখামাত্র সিজদায় পড়বো। আল্লাহ তাআলা তাঁর মর্জি অনুসারে যতক্ষণ ইচ্ছা আমাকে সেই অবস্থায় রেখে দিবেন। তারপর বলা হবে, হে মুহাম্মাদ! মাথা উঠান। বলুন, শোনা হবে। চান, দেয়া হবে। সুপারিশ করুন, কবুল করা হবে। তখন আমার রবের আমাকে শিখিয়ে দেয়া প্রশংসারাজি দ্বারা প্রশংসা করে শাফাআত করব। তখনও একটা সীমা বাতলানো থাকবে। আমি তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেব। এরপর আমি তার কাছে ফিরে গিয়ে বলব, হে প্রতিপালক! এখন একমাত্র তারাই জাহান্নামে অবশিষ্ট রয়েছে, যাদেরকে কুরআন আটক করে রেখে দিয়েছে এবং যাদের উপর স্থায়ীভাবে জাহান্নাম অবধারিত হয়ে গিয়েছে।
নবী (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পড়েছে, অথচ তার হৃদয়ে একটি যবের ওজন পরিমাণ কল্যাণ (ঈমান) আছে, তাকেও জাহান্নাম থেকে বের করা হবে। তারপর বের করা হবে জাহান্নাম থেকে তাদেরকেও, যারা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পড়েছে এবং তার হৃদয়ে একটি গমের ওজন পরিমাণ কল্যাণ (ঈমান) আছে। (সর্বশেষে) জাহান্নাম থেকে তাকে বের করা হবে, যে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পড়েছে এবং তার হৃদয়ে অণু পরিমাণ মাত্র কল্যাণ (ঈমান) আছে।
নবী (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পড়েছে, অথচ তার হৃদয়ে একটি যবের ওজন পরিমাণ কল্যাণ (ঈমান) আছে, তাকেও জাহান্নাম থেকে বের করা হবে। তারপর বের করা হবে জাহান্নাম থেকে তাদেরকেও, যারা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পড়েছে এবং তার হৃদয়ে একটি গমের ওজন পরিমাণ কল্যাণ (ঈমান) আছে। (সর্বশেষে) জাহান্নাম থেকে তাকে বের করা হবে, যে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পড়েছে এবং তার হৃদয়ে অণু পরিমাণ মাত্র কল্যাণ (ঈমান) আছে।
باب قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى {لِمَا خَلَقْتُ بِيَدَىَّ}
7410 - حَدَّثَنِي مُعَاذُ بْنُ فَضَالَةَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " يَجْمَعُ اللَّهُ المُؤْمِنِينَ يَوْمَ القِيَامَةِ كَذَلِكَ، فَيَقُولُونَ: لَوِ اسْتَشْفَعْنَا إِلَى رَبِّنَا [ص:122] حَتَّى يُرِيحَنَا مِنْ مَكَانِنَا هَذَا، فَيَأْتُونَ آدَمَ، فَيَقُولُونَ: يَا آدَمُ، أَمَا تَرَى النَّاسَ خَلَقَكَ اللَّهُ بِيَدِهِ، وَأَسْجَدَ لَكَ مَلاَئِكَتَهُ، وَعَلَّمَكَ أَسْمَاءَ كُلِّ شَيْءٍ، اشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّنَا حَتَّى يُرِيحَنَا مِنْ مَكَانِنَا هَذَا، فَيَقُولُ: لَسْتُ هُنَاكَ، وَيَذْكُرُ لَهُمْ خَطِيئَتَهُ الَّتِي أَصَابَهَا، وَلَكِنِ ائْتُوا نُوحًا، فَإِنَّهُ أَوَّلُ رَسُولٍ بَعَثَهُ اللَّهُ إِلَى أَهْلِ الأَرْضِ، فَيَأْتُونَ نُوحًا، فَيَقُولُ: لَسْتُ هُنَاكُمْ، وَيَذْكُرُ خَطِيئَتَهُ الَّتِي أَصَابَ، وَلَكِنِ ائْتُوا إِبْرَاهِيمَ خَلِيلَ الرَّحْمَنِ، فَيَأْتُونَ إِبْرَاهِيمَ فَيَقُولُ: لَسْتُ هُنَاكُمْ، وَيَذْكُرُ لَهُمْ خَطَايَاهُ الَّتِي أَصَابَهَا، وَلَكِنِ ائْتُوا مُوسَى، عَبْدًا آتَاهُ اللَّهُ التَّوْرَاةَ، وَكَلَّمَهُ تَكْلِيمًا، فَيَأْتُونَ مُوسَى فَيَقُولُ: لَسْتُ هُنَاكُمْ، وَيَذْكُرُ لَهُمْ خَطِيئَتَهُ الَّتِي أَصَابَ، وَلَكِنِ ائْتُوا عِيسَى عَبْدَ اللَّهِ وَرَسُولَهُ، وَكَلِمَتَهُ وَرُوحَهُ، فَيَأْتُونَ عِيسَى، فَيَقُولُ: لَسْتُ هُنَاكُمْ، وَلَكِنِ ائْتُوا مُحَمَّدًا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَبْدًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبهِ وَمَا تَأَخَّرَ، فَيَأْتُونِي، فَأَنْطَلِقُ، فَأَسْتَأْذِنُ عَلَى رَبِّي، فَيُؤْذَنُ لِي عَلَيْهِ، فَإِذَا رَأَيْتُ رَبِّي وَقَعْتُ لَهُ سَاجِدًا، فَيَدَعُنِي مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَدَعَنِي، ثُمَّ يُقَالُ لِي: ارْفَعْ مُحَمَّدُ وَقُلْ يُسْمَعْ، وَسَلْ تُعْطَهْ، وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ، فَأَحْمَدُ رَبِّي بِمَحَامِدَ عَلَّمَنِيهَا، ثُمَّ أَشْفَعُ فَيَحُدُّ لِي حَدًّا، فَأُدْخِلُهُمُ الجَنَّةَ، ثُمَّ أَرْجِعُ، فَإِذَا رَأَيْتُ رَبِّي وَقَعْتُ سَاجِدًا، فَيَدَعُنِي مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَدَعَنِي، ثُمَّ يُقَالُ: ارْفَعْ مُحَمَّدُ وَقُلْ يُسْمَعْ، وَسَلْ تُعْطَهْ، وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ، فَأَحْمَدُ رَبِّي بِمَحَامِدَ عَلَّمَنِيهَا رَبِّي، ثُمَّ أَشْفَعُ فَيَحُدُّ لِي حَدًّا، فَأُدْخِلُهُمُ الجَنَّةَ، ثُمَّ أَرْجِعُ، فَإِذَا رَأَيْتُ رَبِّي وَقَعْتُ سَاجِدًا، فَيَدَعُنِي مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَدَعَنِي، ثُمَّ يُقَالُ: ارْفَعْ مُحَمَّدُ، قُلْ يُسْمَعْ، وَسَلْ تُعْطَهْ، وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ، فَأَحْمَدُ رَبِّي بِمَحَامِدَ عَلَّمَنِيهَا، ثُمَّ أَشْفَعْ، فَيَحُدُّ لِي حَدًّا فَأُدْخِلُهُمُ الجَنَّةَ، ثُمَّ أَرْجِعُ فَأَقُولُ: يَا رَبِّ مَا بَقِيَ فِي النَّارِ إِلَّا مَنْ حَبَسَهُ القُرْآنُ، وَوَجَبَ عَلَيْهِ الخُلُودُ، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَخْرُجُ مِنَ النَّارِ مَنْ قَالَ: لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَكَانَ فِي قَلْبِهِ مِنَ الخَيْرِ مَا يَزِنُ شَعِيرَةً، ثُمَّ يَخْرُجُ مِنَ النَّارِ مَنْ قَالَ: لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَكَانَ فِي قَلْبِهِ مِنَ الخَيْرِ مَا يَزِنُ بُرَّةً، ثُمَّ يَخْرُجُ مِنَ النَّارِ مَنْ قَالَ: لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَكَانَ فِي قَلْبِهِ مَا يَزِنُ مِنَ الخَيْرِ ذَرَّةً "

তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৯০৭
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪১১
৩১২১. আল্লাহর বাণীঃ যাকে আমি নিজ হাতে সৃষ্টি করেছি।
৬৯০৭। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহর হাত পরিপূর্ণ, রাত দিন খরচ করলেও তাতে ঘাটতি আসে না। তিনি আরো বলেছেনঃ তোমরা লক্ষ্য করেছ কি? আসমান যমীন পয়দা করার পর থেকে তিনি যে কত খরচ করেছেন, এতদসত্ত্বেও তার হাতে যা আছে, তাতে কিঞ্চিতও কমেনি। এবং নবী (ﷺ) বলেছেনঃ তখন তার আরশ পানির উপর অবস্থান করছিল। তার অপর হাতটিতে রয়েছে পাল্লা, যা কখনও তিনি নীচে নামান আবার কখনও উপরে উঠান।
باب قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى {لِمَا خَلَقْتُ بِيَدَىَّ}
7411 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " يَدُ اللَّهِ مَلْأَى لاَ يَغِيضُهَا نَفَقَةٌ، سَحَّاءُ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ، وَقَالَ: أَرَأَيْتُمْ مَا أَنْفَقَ مُنْذُ خَلَقَ السَّمَوَاتِ [ص:123] وَالأَرْضَ، فَإِنَّهُ لَمْ يَغِضْ مَا فِي يَدِهِ، وَقَالَ: عَرْشُهُ عَلَى المَاءِ، وَبِيَدِهِ الأُخْرَى المِيزَانُ، يَخْفِضُ وَيَرْفَعُ "

তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৯০৮
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪১২ - ৭৪১৩
৩১২১. আল্লাহর বাণীঃ যাকে আমি নিজ হাতে সৃষ্টি করেছি।
৬৯০৮। মুকাদ্দাম ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন পৃথিবীটা তাঁর মুঠোতে নিয়ে নেবেন। আসমানসমূহ তাঁর ডান হাতে জড়িয়ে বলবেন; বাদশাহ একমাত্র আমিই। সাঈদ (রাহঃ) মালিক (রাহঃ) থেকে এমনই বর্ণনা করেছেন। উমর ইবনে হামযা (রাহঃ) সালিম (রাহঃ) এর মাধ্যমে ইবনে উমর (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে এরূপ বর্ণনা করেছেন।
আবুল ইয়ামান (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা যমীনকে তার মুঠোয় নিয়ে নেবেন।
আবুল ইয়ামান (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা যমীনকে তার মুঠোয় নিয়ে নেবেন।
باب قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى {لِمَا خَلَقْتُ بِيَدَىَّ}
7412 - حَدَّثَنَا مُقَدَّمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنِي عَمِّي القَاسِمُ بْنُ يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: " إِنَّ اللَّهَ يَقْبِضُ يَوْمَ القِيَامَةِ الأَرْضَ، وَتَكُونُ السَّمَوَاتُ بِيَمِينِهِ، ثُمَّ يَقُولُ: أَنَا المَلِكُ " رَوَاهُ سَعِيدٌ، عَنْ مَالِكٍ، وَقَالَ عُمَرُ بْنُ حَمْزَةَ: سَمِعْتُ سَالِمًا، سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهَذَا،
7413 - وَقَالَ أَبُو اليَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَقْبِضُ اللَّهُ الأَرْضَ»
7413 - وَقَالَ أَبُو اليَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَقْبِضُ اللَّهُ الأَرْضَ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৯০৯
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪১৪
৩১২১. আল্লাহর বাণীঃ যাকে আমি নিজ হাতে সৃষ্টি করেছি।
৬৯০৯। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি নবী (ﷺ) এর কাছে এসে বলল, হে মুহাম্মাদ! আল্লাহ কিয়ামতের দিনে আসমানগুলোকে এক আঙ্গুলের ওপর, যমীনগুলোকে এক আঙ্গুলের ওপর, পর্বতমালাকে এক আঙ্গুলের ওপর, বৃক্ষরাজিকে এক আঙ্গুলের ওপর এবং অবশিষ্ট সৃষ্টিকে এক আঙ্গুলের ওপর তুলে বলবেন, বাদশাহ একমাত্র আমিই। এতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হেসে দিলেন। এমনকি তাঁর মাড়ির দাঁত মুবারক পর্যন্ত দীপ্ত হয়ে উঠল। তারপর তিনি তিলাওয়াত করলেনঃ তারা আল্লাহ তাআলার যথোচিত মর্যাদা উপলব্ধি করেনি।
ইয়াহয়া ইবনে সাঈদ বলেনঃ এই বর্ণনায় একটু সংযোজন করেছেন ফুযাইল ইবনে ইয়ায ......... আবিদা (রাহঃ) সূত্রে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে যে, এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আশ্চর্যান্বিত হয়ে তার সমর্থনে হেসে দিলেন।
ইয়াহয়া ইবনে সাঈদ বলেনঃ এই বর্ণনায় একটু সংযোজন করেছেন ফুযাইল ইবনে ইয়ায ......... আবিদা (রাহঃ) সূত্রে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে যে, এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আশ্চর্যান্বিত হয়ে তার সমর্থনে হেসে দিলেন।
باب قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى {لِمَا خَلَقْتُ بِيَدَىَّ}
7414 - حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، سَمِعَ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ، عَنْ سُفْيَانَ، حَدَّثَنِي مَنْصُورٌ، وَسُلَيْمَانُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبِيدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ: أَنَّ يَهُودِيًّا جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، إِنَّ اللَّهَ يُمْسِكُ السَّمَوَاتِ عَلَى إِصْبَعٍ، وَالأَرَضِينَ عَلَى إِصْبَعٍ، وَالجِبَالَ عَلَى إِصْبَعٍ، وَالشَّجَرَ عَلَى إِصْبَعٍ، وَالخَلاَئِقَ عَلَى إِصْبَعٍ، ثُمَّ يَقُولُ: أَنَا المَلِكُ. «فَضَحِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ» ، ثُمَّ قَرَأَ: {وَمَا قَدَرُوا اللَّهَ حَقَّ قَدْرِهِ} [الأنعام: 91] ، قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ: وَزَادَ فِيهِ فُضَيْلُ بْنُ عِيَاضٍ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبِيدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ فَضَحِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَعَجُّبًا وَتَصْدِيقًا لَهُ

তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৯১০
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪১৫
৩১২১. আল্লাহর বাণীঃ যাকে আমি নিজ হাতে সৃষ্টি করেছি।
৬৯১০। উমর ইবনে হাফস ইবনে গিয়াস (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আহলে কিতাবদের থেকে জনৈক ব্যক্তি নবী (ﷺ) এর কাছে এসে বলল, হে আবুল কাসিম! (কিয়ামতের দিন) আল্লাহ তাআলা আসমানসমূহকে এক আঙ্গুলের ওপর, যমীনগুলোকে এক আঙ্গুলের ওপর, গাছ ও কাদামাটিকে এক আঙ্গুলের ওপর এবং বাকি সৃষ্টিরাজিকে এক আঙ্গুলের ওপর তুলে বলবেন, বাদশাহ একমাত্র আমিই, বাদশাহ একমাত্র আমিই। বর্ণনাকারী বলেনঃ আমি দেখতে পেলাম, নবী (ﷺ) হেসে ফেললেন। এমনকি তার মাড়ির দাঁতগুলো প্রকাশিত হয়ে উঠলো। এরপর তিনি তিলাওয়াত করলেনঃ আর তারা আল্লাহ পাকের মহানত্বের যথোচিত মর্যাদা উপলব্ধি করেনি।
باب قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى {لِمَا خَلَقْتُ بِيَدَىَّ}
7415 - حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، سَمِعْتُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: سَمِعْتُ عَلْقَمَةَ يَقُولُ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ أَهْلِ الكِتَابِ فَقَالَ: يَا أَبَا القَاسِمِ، إِنَّ اللَّهَ يُمْسِكُ السَّمَوَاتِ عَلَى إِصْبَعٍ، وَالأَرَضِينَ عَلَى إِصْبَعٍ، وَالشَّجَرَ وَالثَّرَى عَلَى إِصْبَعٍ، وَالخَلاَئِقَ عَلَى إِصْبَعٍ، ثُمَّ يَقُولُ: أَنَا المَلِكُ أَنَا المَلِكُ، «فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ضَحِكَ حَتَّى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ» ، ثُمَّ قَرَأَ: {وَمَا قَدَرُوا اللَّهَ حَقَّ قَدْرِهِ} [الأنعام: 91]

তাহকীক: