আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৮২- কুরআন ও সুন্নাহকে দৃঢ়ভাবে গ্রহণ ও অনুসরণের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
হাদীস নং: ৬৮৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ৭৩৫৬
৩০৯৮. দলীল-প্রমাণাদির দ্বারা যেসব বিধিবিধান সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়। দলীল প্রমাণাদির অর্থ ও বিশ্লেষণ কিভাবে করা যায়? নবী (ﷺ) ঘোড়া ইত্যাদির হুকুম বলে দিয়েছেন। এরপর তাঁকে গাধার হুকুম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি মহান আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণীর দিকে ইশারা করেনঃ কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলেও তা দেখতে পাবে (৯৯ঃ ৭)।
নবী (ﷺ) কে 'দব্ব' (গুঁইসাপ জাতীয়) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেনঃ আমি এটি খাই না, তবে হারামও বলি না। নবী (ﷺ) এর দস্তরখানে 'দব্ব' খাওয়া হয়েছে। এর দ্বারা ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) প্রমাণ করেছেন যে, 'দব্ব' হারাম নয়।
নবী (ﷺ) কে 'দব্ব' (গুঁইসাপ জাতীয়) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেনঃ আমি এটি খাই না, তবে হারামও বলি না। নবী (ﷺ) এর দস্তরখানে 'দব্ব' খাওয়া হয়েছে। এর দ্বারা ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) প্রমাণ করেছেন যে, 'দব্ব' হারাম নয়।
৬৮৫৪। ইসমাঈল (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ঘোড়া ব্যবহারের দিক দিয়ে মানুষ তিন প্রকার। এক প্রকার লোকের জন্য ঘোড়া সওয়ারের মাধ্যম আর এক প্রকার লোকের জন্য তা গুনাহ থেকে রক্ষা পাওয়ার অবলম্বন এবং আর এক প্রকার লোকের জন্য তা শাস্তির কারণ। যার জন্য ঘোড়া সওয়ারের মাধ্যম, সে এমন ব্যক্তি যে ঘোড়াকে আল্লাহর রাস্তায় ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখে এবং চারণভূমি বা বাগানে প্রশস্ত রশিতে বেধে বিচরণ করতে দেয়। এই রশি যত প্রশস্ত এবং যত দুরত্বে ঘোড়া বিচরণ করতে পারে, সে তত বেশী প্রতিদান পায়। যদি ঘোড়া এ রশি ছিড়ে এক চক্কর অথবা দু’টি চক্কর দেয়। তবে ঐ ঘোড়ার প্রতিটি পদক্ষেপ এবং মালের বিনিময়ে তাকে প্রতিদান দেওয়া হয়। ঘোড়া যদি কোন নদী বা নালায় গিয়ে পানি পান করে ফেলে অথচ মালিক পানি পান করানোর নিয়ত করেনি। এগুলো খুবই নেক কাজ। এর জন্য এ ব্যক্তির সাওয়াব রয়েছে। আর যে ব্যক্তি ঘোড়া পালন করে একমাত্র স্বয়ংসম্পূর্ণতা এবং সুনির্ভরতা বজায় বাখার জন্য, এর সাথে সাথে ঘোড়ার ঘাড় ও পিঠে বর্তানো আল্লাহর হক সমূহও আদায় করতেও সে ভুলে যায় না। এ ক্ষেত্রে ঘোড়া তার জন্য শাস্তি থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় হবে। আর যে ব্যক্তি অহংকার ও আত্মগৌরব প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে ঘোড়া পোষে, তার জন্য এই ঘোড়া শাস্তির কারণ হবে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করা হল গাধা সম্পর্কে। তখন তিনি বললেনঃ এ সম্পর্কে আমার প্রতি ব্যাপক অর্থবোধক একটি আয়াত ছাড়া আল্লাহ আর কিছু নাযিল করেননি। (তা হল এই) যে অণু পরিমাণ ভাল কাজও করবে, সে তাও দেখতে পাবে এবং যে অনু পরিমাণ খারাপ কাজ করবে, সেও তা দেখতে পাবে।
باب الأَحْكَامِ الَّتِي تُعْرَفُ بِالدَّلاَئِلِ، وَكَيْفَ مَعْنَى الدِّلاَلَةِ وَتَفْسِيرِهَا وَقَدْ أَخْبَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمْرَ الْخَيْلِ وَغَيْرِهَا، ثُمَّ سُئِلَ عَنِ الْحُمُرِ فَدَلَّهُمْ عَلَى قَوْلِهِ تَعَالَى: {فَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ}. وَسُئِلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الضَّبِّ فَقَالَ: ‘لاَ آكُلُهُ وَلاَ أُحَرِّمُهُ’. وَأُكِلَ عَلَى مَائِدَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الضَّبُّ، فَاسْتَدَلَّ ابْنُ عَبَّاسٍ بِأَنَّهُ لَيْسَ بِحَرَامٍ
7356 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " الخَيْلُ لِثَلاَثَةٍ: لِرَجُلٍ أَجْرٌ، وَلِرَجُلٍ سِتْرٌ، وَعَلَى رَجُلٍ وِزْرٌ، فَأَمَّا الَّذِي لَهُ أَجْرٌ: فَرَجُلٌ رَبَطَهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ، فَأَطَالَ لَهَا فِي مَرْجٍ أَوْ رَوْضَةٍ، فَمَا أَصَابَتْ فِي طِيَلِهَا ذَلِكَ مِنَ المَرْجِ أَوِ الرَّوْضَةِ كَانَ لَهُ حَسَنَاتٍ، وَلَوْ أَنَّهَا قَطَعَتْ طِيَلَهَا، فَاسْتَنَّتْ شَرَفًا أَوْ شَرَفَيْنِ، كَانَتْ آثَارُهَا وَأَرْوَاثُهَا حَسَنَاتٍ لَهُ، وَلَوْ أَنَّهَا مَرَّتْ بِنَهَرٍ فَشَرِبَتْ مِنْهُ وَلَمْ يُرِدْ أَنْ يَسْقِيَ بِهِ كَانَ ذَلِكَ حَسَنَاتٍ لَهُ، وَهِيَ لِذَلِكَ الرَّجُلِ أَجْرٌ، وَرَجُلٌ رَبَطَهَا تَغَنِّيًا وَتَعَفُّفًا، وَلَمْ يَنْسَ حَقَّ اللَّهِ فِي رِقَابِهَا وَلاَ ظُهُورِهَا، فَهِيَ لَهُ سِتْرٌ، وَرَجُلٌ رَبَطَهَا فَخْرًا وَرِيَاءً، فَهِيَ عَلَى ذَلِكَ وِزْرٌ "
وَسُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الحُمُرِ، قَالَ: «مَا أَنْزَلَ اللَّهُ عَلَيَّ فِيهَا إِلَّا هَذِهِ الآيَةَ الفَاذَّةَ الجَامِعَةَ» {فَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ، وَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ} [الزلزلة: 8]
وَسُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الحُمُرِ، قَالَ: «مَا أَنْزَلَ اللَّهُ عَلَيَّ فِيهَا إِلَّا هَذِهِ الآيَةَ الفَاذَّةَ الجَامِعَةَ» {فَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ، وَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ} [الزلزلة: 8]

তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৮৫৫
আন্তর্জাতিক নং: ৭৩৫৭
৩০৯৮. দলীল-প্রমাণাদির দ্বারা যেসব বিধিবিধান সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়। দলীল প্রমাণাদির অর্থ ও বিশ্লেষণ কিভাবে করা যায়?
৬৮৫৫। ইয়াহয়া ও মুহাম্মাদ ইবনে উকবা (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। জনৈক মহিলা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করল, হায়য থেকে গোসল (পবিত্রতা অর্জন) কিভাবে করতে হয়? তিনি বললেনঃ তুমি সুগন্ধিযুক্ত এক টুকরা কাপড় হাতে নেবে। তারপর এর দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করে নেবে। মহিলা বলে উঠল, আমি এর দ্বারা কিভাবে পবিত্রতা অর্জন করে নেব? নবী (ﷺ) বললেনঃ তুমি এর দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করে নেবে। মহিলা আবার বলে উঠল, এর দ্বারা কিভাবে পবিত্রতা অর্জন করে নেব? নবী (ﷺ) বললেনঃ তুমি এর দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করে নেবে। আয়েশা (রাযিঃ) বলেনঃ আমি বুঝতে পারলাম রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর দ্বারা কি বোঝাতে চাচ্ছেন। এরপর মহিলাটিকে আমার দিকে টেনে আনলাম এবং বিষয়টি তাকে জানিয়ে দিলাম।
باب الأَحْكَامِ الَّتِي تُعْرَفُ بِالدَّلاَئِلِ، وَكَيْفَ مَعْنَى الدِّلاَلَةِ وَتَفْسِيرِهَا
7357 - حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مَنْصُورِ بْنِ صَفِيَّةَ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ عَائِشَةَ: أَنَّ امْرَأَةً سَأَلَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ح وحَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ هُوَ ابْنُ عُقْبَةَ، حَدَّثَنَا الفُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ النُّمَيْرِيُّ البَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا مَنْصُورُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ابْنُ شَيْبَةَ، حَدَّثَتْنِي أُمِّي، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: أَنَّ امْرَأَةً سَأَلَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الحَيْضِ، كَيْفَ تَغْتَسِلُ [ص:110] مِنْهُ؟ قَالَ: «تَأْخُذِينَ فِرْصَةً مُمَسَّكَةً فَتَوَضَّئِينَ بِهَا» ، قَالَتْ: كَيْفَ أَتَوَضَّأُ بِهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَوَضَّئِي» ، قَالَتْ: كَيْفَ أَتَوَضَّأُ بِهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَوَضَّئِينَ بِهَا» ، قَالَتْ عَائِشَةُ: فَعَرَفْتُ الَّذِي يُرِيدُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَذَبْتُهَا إِلَيَّ فَعَلَّمْتُهَا

তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৮৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ৭৩৫৮
৩০৯৮. দলীল-প্রমাণাদির দ্বারা যেসব বিধিবিধান সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়। দলীল প্রমাণাদির অর্থ ও বিশ্লেষণ কিভাবে করা যায়?
৬৮৫৬। মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হারিস ইবনে হাযনের কন্যা উম্মে হুফায়দ (রাযিঃ) নবী (ﷺ) এর উদ্দেশ্যে ঘি, পনির এবং কতগুলো দব্ব (গুইসাপ) হাদিয়া পাঠালেন। নবী (ﷺ) এগুলো চেয়ে নিলেন এবং এগুলো তাঁর দস্তরখানে বসে খাওয়া হল। নবী (ﷺ) নিজে এগুলো ঘৃণার কারণে খেতে অপছন্দ করলেন। যদি এগুলো হারাম হত, তবে তাঁর দস্তরখানে তা খাওয়া যেত না এবং তিনিও এগুলো খাওয়ার অনুমতি দিতেন না।
باب الأَحْكَامِ الَّتِي تُعْرَفُ بِالدَّلاَئِلِ، وَكَيْفَ مَعْنَى الدِّلاَلَةِ وَتَفْسِيرِهَا
7358 - حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ أُمَّ حُفَيْدٍ بِنْتَ الحَارِثِ بْنِ حَزْنٍ «أَهْدَتْ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَمْنًا وَأَقِطًا وَأَضُبًّا، فَدَعَا بِهِنَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأُكِلْنَ عَلَى مَائِدَتِهِ، فَتَرَكَهُنَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَالْمُتَقَذِّرِ لَهُنَّ» ، وَلَوْ كُنَّ حَرَامًا مَا أُكِلْنَ عَلَى مَائِدَتِهِ، وَلاَ أَمَرَ بِأَكْلِهِنَّ

তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৮৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ৭৩৫৯
৩০৯৮. দলীল-প্রমাণাদির দ্বারা যেসব বিধিবিধান সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়। দলীল প্রমাণাদির অর্থ ও বিশ্লেষণ কিভাবে করা যায়?
৬৮৫৭। আহমাদ ইবনে সালিহ (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রসুন কিংবা পেঁয়াজ কাঁচা খায়, সে ব্যক্তি যেন আমাদের থেকে কিংবা আমাদের মসজিদ থেকে পৃথক থাকে। আর সে যেন তার ঘরে বসে খাকে। এরপর তার খেদমতে একটি পাত্র আনা হল। বর্ণনাকারী ইবনে ওয়াহব (রাযিঃ) বলেন, অর্থাৎ শাক-সবজির একটি বড় পাত্র। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সেই পাত্রে এক প্রকার গন্ধ অনুভব করলে সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তাঁকে পাত্রের মধ্যকার শাক-সবজি সম্পর্কে অবগত করা হল। তিনি তা জনৈক সাহাবীকে খেতে দিতে বললেন যিনি তার সাথে উপস্থিত রয়েছেন। এরপর তিনি যখন অনুভব করলেন, সে তা খেতে অপছন্দ করছে তখন তিনি বললেনঃ খাও। কারণ আমি যার সাথে গোপনে কথোপকথন করি, তুমি তাঁর সাথে তা কর না।
ইবনে উফায়র (রাহঃ) ......... ইবনে ওয়াহব (রাহঃ) طَبَقًا فِيهِ خَضِرَاتٌ এর স্থলে بِقِدْرٍ فِيهِ خَضِرَاتٌ (শাক-সজির একটি হাড়ি) বর্ণনা করেছেন। পক্ষান্তরে লাঈস ও আবু সাফওয়ান (রাহঃ) ইউনুস (রাহঃ) থেকে হাড়ির ঘটনা উল্লেখ করেননি। এটি কি হাদীস বর্ণিত না যুহরী (রাহঃ) এর উক্তি এ সম্পর্কে আমার জানা নেই।
ইবনে উফায়র (রাহঃ) ......... ইবনে ওয়াহব (রাহঃ) طَبَقًا فِيهِ خَضِرَاتٌ এর স্থলে بِقِدْرٍ فِيهِ خَضِرَاتٌ (শাক-সজির একটি হাড়ি) বর্ণনা করেছেন। পক্ষান্তরে লাঈস ও আবু সাফওয়ান (রাহঃ) ইউনুস (রাহঃ) থেকে হাড়ির ঘটনা উল্লেখ করেননি। এটি কি হাদীস বর্ণিত না যুহরী (রাহঃ) এর উক্তি এ সম্পর্কে আমার জানা নেই।
باب الأَحْكَامِ الَّتِي تُعْرَفُ بِالدَّلاَئِلِ، وَكَيْفَ مَعْنَى الدِّلاَلَةِ وَتَفْسِيرِهَا
7359 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَطَاءُ بْنُ أَبِي رَبَاحٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَكَلَ ثُومًا أَوْ بَصَلًا فَلْيَعْتَزِلْنَا، أَوْ لِيَعْتَزِلْ مَسْجِدَنَا، وَلْيَقْعُدْ فِي بَيْتِهِ» ، وَإِنَّهُ أُتِيَ بِبَدْرٍ، قَالَ ابْنُ وَهْبٍ: يَعْنِي طَبَقًا، فِيهِ خَضِرَاتٌ مِنْ بُقُولٍ، فَوَجَدَ لَهَا رِيحًا، فَسَأَلَ عَنْهَا فَأُخْبِرَ بِمَا فِيهَا مِنَ البُقُولِ، فَقَالَ: «قَرِّبُوهَا» ، فَقَرَّبُوهَا إِلَى بَعْضِ أَصْحَابِهِ كَانَ مَعَهُ، فَلَمَّا رَآهُ كَرِهَ أَكْلَهَا قَالَ: «كُلْ فَإِنِّي أُنَاجِي مَنْ لاَ تُنَاجِي» ، وَقَالَ ابْنُ عُفَيْرٍ، عَنْ ابْنِ وَهْبٍ: بِقِدْرٍ فِيهِ خَضِرَاتٌ، وَلَمْ يَذْكُرِ اللَّيْثُ، وَأَبُو صَفْوَانَ، عَنْ يُونُسَ قِصَّةَ القِدْرِ فَلاَ أَدْرِي هُوَ مِنْ قَوْلِ الزُّهْرِيِّ أَوْ فِي الحَدِيثِ

তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৮৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ৭৩৬০
৩০৯৮. দলীল-প্রমাণাদির দ্বারা যেসব বিধিবিধান সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়। দলীল প্রমাণাদির অর্থ ও বিশ্লেষণ কিভাবে করা যায়?
৬৮৫৮। উবাইদুল্লাহ ইবনে সা’দ ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... জুবাইর ইবনে মুতঈম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক মহিলা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খেদমতে হাযির হল এবং তার সাথে কিছু বিষয়ে কথাবার্তা বলল। নবী (ﷺ) তাঁকে কোন এক বিষয়ে নির্দেশ দিয়ে দিলেন। এরপর মহিলা আবেদন করল, হে আল্লাহর রাসুল! আপনাকে যখন পাব না তখন কি করব? তিনি উত্তর দিলেনঃ যখন আমাকে পাবে না, তখন আসবে আবু বকর (রাযিঃ) এর কাছে।
আবু আব্দুল্লাহ (ইমাম বুখারী (রাহঃ) বলেন, বর্ণনাকারী হুমায়দী (রাহঃ) ইবরাহীম ইবনে সা’দ (রাহঃ) থেকে আরো অতিরিক্ত বলেছেন, মহিলাটি সম্ভবত সেই আবেদন দ্বারা নবী (ﷺ) এর ওফাতের দিকে ইঙ্গিত করেছেন।
আবু আব্দুল্লাহ (ইমাম বুখারী (রাহঃ) বলেন, বর্ণনাকারী হুমায়দী (রাহঃ) ইবরাহীম ইবনে সা’দ (রাহঃ) থেকে আরো অতিরিক্ত বলেছেন, মহিলাটি সম্ভবত সেই আবেদন দ্বারা নবী (ﷺ) এর ওফাতের দিকে ইঙ্গিত করেছেন।
باب الأَحْكَامِ الَّتِي تُعْرَفُ بِالدَّلاَئِلِ، وَكَيْفَ مَعْنَى الدِّلاَلَةِ وَتَفْسِيرِهَا
7360 - حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبِي، وَعَمِّي، قَالاَ: حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ أَبِيهِ، أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جُبَيْرٍ، أَنَّ أَبَاهُ جُبَيْرَ بْنَ مُطْعِمٍ أَخْبَرَهُ: أَنَّ امْرَأَةً أَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَلَّمَتْهُ فِي شَيْءٍ، فَأَمَرَهَا بِأَمْرٍ، فَقَالَتْ: أَرَأَيْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنْ لَمْ أَجِدْكَ؟ قَالَ: «إِنْ لَمْ تَجِدِينِي، فَأْتِي أَبَا بَكْرٍ» زَادَ لَنَا الحُمَيْدِيُّ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ كَأَنَّهَا تَعْنِي المَوْتَ

তাহকীক:

বর্ণনাকারী: