আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৮২- কুরআন ও সুন্নাহকে দৃঢ়ভাবে গ্রহণ ও অনুসরণের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৬৮৫১
আন্তর্জাতিক নং: ৭৩৫৩
৩০৯৬. প্রমাণ তাদের উক্তির বিরুদ্ধে, যারা বলে নবী (ﷺ) এর সব কাজই সুষ্পষ্ট ছিল। কোন কোন সাহাবী নবী (ﷺ) এর দরবার থেকে অনুপস্থিত থাকা যে স্বাভাবিক ছিল যদ্দরুন তাঁদের জন্য ইসলামের বিধিবিধান থেকে লাওয়াকিফ থাকাও স্বাভাবিক ছিল এর প্রমাণ।
৬৮৫১। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ......... উবাইদ ইবনে উমায়র (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবু মুসা (রাযিঃ) উমর (রাযিঃ)-এর কাছে আসার অনুমতি চাইলেন। আবু মুসা (রাযিঃ) তাকে যেন কোন কাজে ব্যস্ত ভেবে চলে যাচ্ছিলেন। উমর (রাযিঃ) বললেন, আমি কি আব্দুল্লাহ ইবনে কায়স এর আওয়াজ শুনিনি? তাকে এখানে আসার অনুমতি দাও। এরপর তাকে ডেকে আনা হলে উমর (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, কি জিনিস আপনাকে ফিরে যেতে বাধ্য করল? আবু মুসা (রাযিঃ) বললেন, আমাদেরকে এরূপই করার নির্দেশ দেয়া হত। উমর (রাযিঃ) বললেন, আপনার উক্তির সপক্ষে প্রমাণ পেশ করুন, অন্যথায় আপনার সাথে মোকাবেলা করব। এরপর তিনি আনসারদের এক মজলিসে চলে গেলেন। তারা বলে উঠল আমাদের বালকরাই এর পক্ষে সাক্ষ্য দেবে। এরপর আবু সাঈদ (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, হ্যাঁ, আমাদেরকে এরূপ করারই নির্দেশ দেওয়া হত। এরপর উমর (রাযিঃ) বললেন, নবী (ﷺ) এর এমন আদেশটি আমার অজানা রয়ে গেল। বাজারের বেচাকেনার ব্যস্ততা আমাকে এ কথা জানা থেকে বঞ্চিত রেখেছে।
بَابُ الْحُجَّةِ عَلَى مَنْ قَالَ إِنَّ أَحْكَامَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَتْ ظَاهِرَةً وَمَا كَانَ يَغِيبُ بَعْضُهُمْ مِنْ مَشَاهِدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأُمُورِ الإِسْلاَمِ
7353 - حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي عَطَاءٌ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، قَالَ: اسْتَأْذَنَ أَبُو مُوسَى عَلَى عُمَرَ فَكَأَنَّهُ وَجَدَهُ مَشْغُولًا فَرَجَعَ، فَقَالَ عُمَرُ: أَلَمْ أَسْمَعْ صَوْتَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ، ائْذَنُوا لَهُ، فَدُعِيَ لَهُ، فَقَالَ: مَا حَمَلَكَ عَلَى مَا صَنَعْتَ؟ فَقَالَ: «إِنَّا كُنَّا نُؤْمَرُ بِهَذَا» ، قَالَ: فَأْتِنِي عَلَى هَذَا بِبَيِّنَةٍ أَوْ لَأَفْعَلَنَّ بِكَ، فَانْطَلَقَ إِلَى مَجْلِسٍ مِنَ الأَنْصَارِ، فَقَالُوا: لاَ يَشْهَدُ إِلَّا أَصَاغِرُنَا، فَقَامَ أَبُو سَعِيدٍ الخُدْرِيُّ فَقَالَ: «قَدْ كُنَّا نُؤْمَرُ بِهَذَا» ، فَقَالَ عُمَرُ خَفِيَ عَلَيَّ هَذَا مِنْ أَمْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَلْهَانِي الصَّفْقُ بِالأَسْوَاقِ
হাদীস নং: ৬৮৫২
আন্তর্জাতিক নং: ৭৩৫৪
৩০৯৬. প্রমাণ তাদের উক্তির বিরুদ্ধে, যারা বলে নবী (ﷺ) এর সব কাজই সুষ্পষ্ট ছিল। কোন কোন সাহাবী নবী (ﷺ) এর দরবার থেকে অনুপস্থিত থাকা যে স্বাভাবিক ছিল যদ্দরুন তাঁদের জন্য ইসলামের বিধিবিধান থেকে লাওয়াকিফ থাকাও স্বাভাবিক ছিল এর প্রমাণ।
৬৮৫২। আলী (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমাদের ধারণা আবু হুরায়রা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে হাদীস বর্ণনায় বাড়াবাড়ি করছে। আল্লাহর কাছে একদিন আমাদেরকে হাযির হতে হবে। আমি ছিলাম একজন মিসকীন। খেয়ে না খেয়েই আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সান্নিধ্যে লেগে থাকতাম। মুহাজিরদেরকে বাজারের বেচাকেনা লিপ্ত রাখত। আর আনসারগণকে ব্যস্ত রাখত তাদের ধন দৌলতের ব্যবস্থাপনা। একদা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খেদমতে উপস্থিত ছিলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমার কথা শেষ হওয়া পর্যন্ত যে ব্যক্তি স্বীয় চাঁদর বিছিয়ে তারপর তা গুটিয়ে নেবে, সে আমার কাছ থেকে শ্রুত বাণী কোন দিন ভুলবে না। তখন আমি আমার গায়ের চাদরখানা বিছিয়ে দিলাম। সে সত্তার কসম, যিনি তাঁকে হকের সাথে প্রেরণ করেছেন। এরপর থেকে আমি তার কাছে যা শুনেছি, তা আর ভুলিনি।
بَابُ الْحُجَّةِ عَلَى مَنْ قَالَ إِنَّ أَحْكَامَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَتْ ظَاهِرَةً وَمَا كَانَ يَغِيبُ بَعْضُهُمْ مِنْ مَشَاهِدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأُمُورِ الإِسْلاَمِ
7354 - حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَهُ مِنَ الأَعْرَجِ، يَقُولُ: أَخْبَرَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ، قَالَ: إِنَّكُمْ تَزْعُمُونَ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ يُكْثِرُ الحَدِيثَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاللَّهُ المَوْعِدُ إِنِّي كُنْتُ امْرَأً مِسْكِينًا، أَلْزَمُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى مِلْءِ بَطْنِي، وَكَانَ المُهَاجِرُونَ يَشْغَلُهُمُ الصَّفْقُ بِالأَسْوَاقِ، وَكَانَتِ الأَنْصَارُ يَشْغَلُهُمُ القِيَامُ عَلَى أَمْوَالِهِمْ، فَشَهِدْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ يَوْمٍ، وَقَالَ: «مَنْ يَبْسُطْ رِدَاءَهُ حَتَّى أَقْضِيَ مَقَالَتِي، ثُمَّ [ص:109] يَقْبِضْهُ، فَلَنْ يَنْسَى شَيْئًا سَمِعَهُ مِنِّي» فَبَسَطْتُ بُرْدَةً كَانَتْ عَلَيَّ، فَوَالَّذِي بَعَثَهُ بِالحَقِّ مَا نَسِيتُ شَيْئًا سَمِعْتُهُ مِنْهُ