আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৮২- কুরআন ও সুন্নাহকে দৃঢ়ভাবে গ্রহণ ও অনুসরণের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৬৮০১
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৯৯
৩০৭৯. দ্বীনের ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত কঠোরতা অবলম্বন, তর্ক-বিতর্কে প্রবৃত্ত হওয়া, বাড়াবাড়ি করা এবং বিদআত অপছন্দীয়। কেননা, আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেনঃ হে কিতাবীরা! তোমরা দ্বীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না এবং আল্লাহ সম্পর্কে সত্য ব্যতীত বলো না ....... (৪ঃ ১৭১)।
৬৮০১। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা (ইফতার না করে) লাগাতার রোযা পালন করো না। সাহাবীরা বললেন, আপনি তো (ইফতার না করে) লাগাতার রোযা পালন করেন। তিনি বললেনঃ আমি তোমাদের মতো নই। আমি এভাবে রাত যাপন করি যে, আমার প্রভু আমাকে পানাহার করান। কিন্তু তাঁরা লাগাতার রোযা পালন করা থেকে বিরত হল না। ফলে তাদের সঙ্গে নবী (ﷺ)ও দুই দিন অথবা (বর্ণনাকারী বলেছিলেন) দু’রাত লাগাতার রোযা পালন করেন। এরপর তারা (ঈদের) চাঁদ দেখতে পেলেন। তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ যদি চাঁদ (আরও কয়েক দিন) দেরী করে উদিত হত, তাহলে আমিও (লাগাতার রোযা পালন করে) তোমাদের রোযার সময়কে দীর্ঘায়িত করতাম, যেন তিনি তাঁদের কাজকে পছন্দ করলেন না।
بَابُ مَا يُكْرَهُ مِنَ التَّعَمُّقِ وَالتَّنَازُعِ فِي العِلْمِ، وَالغُلُوِّ فِي الدِّينِ وَالبِدَعِ لِقَوْلِهِ تَعَالَى: {يَا أَهْلَ الكِتَابِ لاَ تَغْلُوا فِي دِينِكُمْ وَلاَ تَقُولُوا عَلَى اللَّهِ إِلَّا الحَقَّ} [النساء: 171]
7299 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لاَ تُوَاصِلُوا» ، قَالُوا: إِنَّكَ تُوَاصِلُ، قَالَ: «إِنِّي لَسْتُ مِثْلَكُمْ، إِنِّي أَبِيتُ يُطْعِمُنِي رَبِّي وَيَسْقِينِي» ، فَلَمْ يَنْتَهُوا عَنِ الوِصَالِ، قَالَ: فَوَاصَلَ بِهِمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَيْنِ أَوْ لَيْلَتَيْنِ، ثُمَّ رَأَوُا الْهِلَالَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْ تَأَخَّرَ الهِلاَلُ لَزِدْتُكُمْ» كَالْمُنَكِّلِ لَهُمْ
হাদীস নং: ৬৮০২
আন্তর্জাতিক নং: ৭৩০০
৩০৭৯. দ্বীনের ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত কঠোরতা অবলম্বন, তর্ক-বিতর্কে প্রবৃত্ত হওয়া, বাড়াবাড়ি করা এবং বিদআত অপছন্দীয়।
৬৮০২। উমর ইবনে হাফস ইবনে গিয়াস (রাহঃ) ......... ইবরাহীম তায়মী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার পিতা বর্ণনা করেছেন যে, একবার আলী (রাযিঃ) পাকা ইটে নির্মিত একটি মিম্বরে আরোহণ করে আমাদের খুতবা পাঠ করলেন। তাঁর সঙ্গে একটি তরবারী ছিল, যার মাঝে একটি সহীফা ঝুলন্ত ছিল। তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! আমাদের নিকট আল্লাহর কিতাব এবং যা এই সহীফাতে লিপিবদ্ধ আছে এ ছাড়া অন্য এমন কোন কিতাব নেই যা পাঠ করা যেতে পারে। তারপর তিনি তা খুললেন। তাতে উটের বয়স সম্পর্কে লেখা ছিল এবং লেখা ছিল যে, ″আয়র″ (পর্বত) থেকে অমুক স্থান পর্যন্ত মদীনা হারাম (পবিত্র এলাকা) বলে বিবেচিত হবে। যে কেউ এখানে কোন অন্যায় করবে তার উপর আল্লাহ, ফিরিশতাকুল ও সমস্ত মানব সম্প্রদায়ের অভিসস্পাত। আর আল্লাহ তা'আলা তার ফরয ও নফল কোন ইবাদতই কবুল করবেন না এবং তাতে আরও ছিল যে, এখানকার সকল মুসলমানের নিরাপত্তা একই পর্যায়ের। একজন-নিম্ন পর্যায়ের ব্যক্তিও (অন্য কাউকে) নিরাপত্তা দান করতে পারবে। যদি কোন ব্যক্তি অপর একজন মুসলমানের প্রদত্ত নিরাপত্তাকে লংঘন করে, তাহলে তার উপর আল্লাহর, ফিরিশতাকুলের ও সমস্ত মানব সম্প্রদায়ের লানত (অভিসস্পাত)। আল্লাহ তাআলা তার ফরয ও নফল কোন ইবাদতই কবুল করবেন না। তাতে আরও ছিল, যদি কোন ব্যক্তি তার (আযাদকারী) মনিবের অনুমতি ছাড়া অন্য কাউকে নিজের (গোলাম থাকাকালীন সময়ের) মনিব বলে উল্লেখ করে, তাহলে তার উপর আল্লাহর, ফিরিশতাকুলের ও সমস্ত মানব সম্প্রদায়ের অভিসম্পাত। আর আল্লাহ তাআলা তার ফরয, নফল কোন ইবাদতই গ্রহণ করবেন না।
باب مَا يُكْرَهُ مِنَ التَّعَمُّقِ وَالتَّنَازُعِ فِي الْعِلْمِ وَالْغُلُوِّ فِي الدِّينِ وَالْبِدَعِ
7300 - حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ التَّيْمِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، قَالَ: خَطَبَنَا عَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَلَى مِنْبَرٍ مِنْ آجُرٍّ وَعَلَيْهِ سَيْفٌ فِيهِ صَحِيفَةٌ مُعَلَّقَةٌ، فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا عِنْدَنَا مِنْ كِتَابٍ يُقْرَأُ إِلَّا كِتَابُ اللَّهِ، وَمَا فِي هَذِهِ الصَّحِيفَةِ فَنَشَرَهَا، فَإِذَا فِيهَا أَسْنَانُ الإِبِلِ، وَإِذَا فِيهَا: «المَدِينَةُ حَرَمٌ مِنْ عَيْرٍ إِلَى كَذَا، فَمَنْ أَحْدَثَ فِيهَا حَدَثًا فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ، لاَ يَقْبَلُ اللَّهُ مِنْهُ صَرْفًا وَلاَ عَدْلًا» ، وَإِذَا فِيهِ: «ذِمَّةُ المُسْلِمِينَ وَاحِدَةٌ، يَسْعَى بِهَا أَدْنَاهُمْ، فَمَنْ أَخْفَرَ مُسْلِمًا فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ، لاَ يَقْبَلُ اللَّهُ مِنْهُ صَرْفًا وَلاَ عَدْلًا» ، وَإِذَا فِيهَا: «مَنْ وَالَى قَوْمًا بِغَيْرِ إِذْنِ مَوَالِيهِ فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ، لاَ يَقْبَلُ اللَّهُ مِنْهُ صَرْفًا وَلاَ عَدْلًا»
হাদীস নং: ৬৮০৩
আন্তর্জাতিক নং: ৭৩০১
৩০৭৯. দ্বীনের ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত কঠোরতা অবলম্বন, তর্ক-বিতর্কে প্রবৃত্ত হওয়া, বাড়াবাড়ি করা এবং বিদআত অপছন্দীয়।
৬৮০৩। উমর ইবনে হাফস (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) নিজে একটি কাজ করলেন এবং তাতে তিনি অবকাশ দিলেন। তবে কিছু লোক এর থেকে বিরত রইল। নবী (ﷺ) এর কাছে এ সংবাদ পৌছল। তিনি আল্লাহর হামদ ও ছানা পাঠ করলেন, তারপর বললেনঃ লোকদের কি হল যে, তারা এমন কাজ থেকে বিরত থাকে যা আমি নিজে করি। আল্লাহর কসম! আমি আল্লাহ সম্পর্কে তাদের থেকে অধিক জানি এবং আমি তাদের তুলনায় আল্লাহকে অধিক ভয় করি।
باب مَا يُكْرَهُ مِنَ التَّعَمُّقِ وَالتَّنَازُعِ فِي الْعِلْمِ وَالْغُلُوِّ فِي الدِّينِ وَالْبِدَعِ
7301 - حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، حَدَّثَنَا مُسْلِمٌ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ: قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: صَنَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَيْئًا تَرَخَّصَ فِيهِ، وَتَنَزَّهَ عَنْهُ قَوْمٌ، فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ: «مَا بَالُ أَقْوَامٍ يَتَنَزَّهُونَ عَنِ الشَّيْءِ أَصْنَعُهُ، فَوَاللَّهِ إِنِّي أَعْلَمُهُمْ بِاللَّهِ وَأَشَدُّهُمْ لَهُ خَشْيَةً»
হাদীস নং: ৬৮০৪
আন্তর্জাতিক নং: ৭৩০২
৩০৭৯. দ্বীনের ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত কঠোরতা অবলম্বন, তর্ক-বিতর্কে প্রবৃত্ত হওয়া, বাড়াবাড়ি করা এবং বিদআত অপছন্দীয়।
৬৮০৪। মুহাম্মাদ ইবনে মুকাতিল (রাহঃ) ......... ইবনে আবু মুলায়কা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, দুইজন অতি ভাল লোক ধ্বংসের কাছাকাছি পৌছে গিয়েছিলেন। তারা হলেন আবু বকর (রাযিঃ) ও উমর (রাযিঃ)। বনী তামীমের প্রতিনিধি দল যখন নবী (ﷺ) এর কাছে আসল, তখন তাদের একজন [উমর (রাযিঃ)] আকরা ইবনে হাবিস হানযালী নামে বনী মুজাশে গোত্রের ভ্রাতা জনৈক ব্যক্তির দিকে ইশারা করলেন, অপরজন [আবু বকর (রাযিঃ)] অন্য আর একজনের প্রতি ইশারা করলেন। এতে আবু বকর (রাযিঃ) উমর (রাযিঃ) কে বললেন, আপনার ইচ্ছা হল আমার বিরোধিতা করা। উমর (রাযিঃ) বললেন, আমি আপনার বিরোধিতার ইচ্ছা করিনি। নবী (ﷺ) এর সামনে তাঁদের দু’জনেরই আওয়াজ বুলন্দ হয়ে যায়। ফলে (নিন্নোক্ত আয়াতটি) নাযিল হয়ঃ হে মুমিনগন! তোমরা নবীর কণ্ঠস্বরের উপর নিজেদের কণ্ঠস্বর উচু করবে না ......... (৪৯ঃ ২)। ইবনে আবু মুলায়কা বলেনঃ ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, এরপরে উমর (রাযিঃ) যখন নবী (ﷺ) এর সাথে কোন কথা বলতেন, তখন গোপন বিষয়ের আলাপকারীর ন্যায় চুপেচুপে বলতেন, এমন কি তা শোনা যেত না, যতক্ষণ নবী (ﷺ) তার থেকে পুনরায় জিজ্ঞাসা না করতেন।
এ হাদীসের রাবী ইবনে যুবাইর তার পিতা অর্থাৎ নানা আবু বকর (রাযিঃ) থেকে উল্লেখ করেননি।
باب مَا يُكْرَهُ مِنَ التَّعَمُّقِ وَالتَّنَازُعِ فِي الْعِلْمِ وَالْغُلُوِّ فِي الدِّينِ وَالْبِدَعِ
7302 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ، أَخْبَرَنَا وَكِيعٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعُ بْنُ عُمَرَ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ: كَادَ الخَيِّرَانِ أَنْ يَهْلِكَا أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ، لَمَّا قَدِمَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفْدُ بَنِي تَمِيمٍ، أَشَارَ أَحَدُهُمَا بِالأَقْرَعِ بْنِ حَابِسٍ التَّمِيمِيِّ الحَنْظَلِيِّ أَخِي بَنِي مُجَاشِعٍ، وَأَشَارَ الآخَرُ بِغَيْرِهِ، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ لِعُمَرَ: إِنَّمَا أَرَدْتَ خِلاَفِي، فَقَالَ عُمَرُ: مَا أَرَدْتُ خِلاَفَكَ، فَارْتَفَعَتْ أَصْوَاتُهُمَا عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَنَزَلَتْ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ} [الحجرات: 2] إِلَى قَوْلِهِ {عَظِيمٌ} [الحجرات: 3] ، قَالَ ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ ابْنُ الزُّبَيْرِ، فَكَانَ عُمَرُ بَعْدُ، وَلَمْ يَذْكُرْ [ص:98] ذَلِكَ عَنْ أَبِيهِ يَعْنِي أَبَا بَكْرٍ، إِذَا حَدَّثَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِحَدِيثٍ حَدَّثَهُ كَأَخِي السِّرَارِ لَمْ يُسْمِعْهُ حَتَّى يَسْتَفْهِمَهُ
হাদীস নং: ৬৮০৫
আন্তর্জাতিক নং: ৭৩০৩
৩০৭৯. দ্বীনের ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত কঠোরতা অবলম্বন, তর্ক-বিতর্কে প্রবৃত্ত হওয়া, বাড়াবাড়ি করা এবং বিদআত অপছন্দীয়।
৬৮০৫। ইসমাঈল (রাহঃ) ......... উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর অসুস্থতার সময় বললেনঃ তোমরা আবু বকরকে বল, লোকদের নিয়ে যেন নামায আদায় করে নেন। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, আমি বললাম যে, আবু বকর (রাযিঃ) যদি আপনার স্থানে দাঁড়ান তাহলে কান্নার কারণে মানুষকে তার আওয়াজ শুনতে পারবেন না। সুতরাং আপনি উমর (রাযিঃ) কে নির্দেশ দিন, তিনি যেন লোকদের নিয়ে নামায আদায় করেন। তিনি পুনরায় বললেনঃ তোমরা আবু বকরকে বল, যেন তিনি লোকদের নিয়ে নামায আদায় করেন। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, আমি হাফসা (রাযিঃ) কে বললাম, তুমি বল যে, আবু বকর আপনার জায়গায় দাঁড়ালে কান্নার কারণে লোকদের তার আওয়াজ শোনাতে পারবেন না। সুতরাং আপনি উমর (রাযিঃ) কে নির্দেশ দিন। তিনি যেন লোকদের নিয়ে নামায আদায় করেন। হাফসা (রাযিঃ) তাই করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমরা তো ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) এর (বিভ্রান্তকারিণী) মহিলাদের ন্যায়। আবু বকরকে বল, তিনি যেন লোকদের নিয়ে নামায আদায় করেন। হাফসা (রাযিঃ) আয়েশা (রাযিঃ) কে বললেন, আমি আপনার কাছ থেকে কখনই ভাল কিছু পাওয়ার মত নই।
باب مَا يُكْرَهُ مِنَ التَّعَمُّقِ وَالتَّنَازُعِ فِي الْعِلْمِ وَالْغُلُوِّ فِي الدِّينِ وَالْبِدَعِ
7303 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أُمِّ المُؤْمِنِينَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فِي مَرَضِهِ: «مُرُوا أَبَا بَكْرٍ يُصَلِّي بِالنَّاسِ» ، قَالَتْ عَائِشَةُ: قُلْتُ: إِنَّ أَبَا بَكْرٍ إِذَا قَامَ فِي مَقَامِكَ لَمْ يُسْمِعِ النَّاسَ مِنَ البُكَاءِ، فَمُرْ عُمَرَ فَلْيُصَلِّ لِلنَّاسِ، فَقَالَ: «مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ» ، فَقَالَتْ عَائِشَةُ: فَقُلْتُ لِحَفْصَةَ: قُولِي إِنَّ أَبَا بَكْرٍ إِذَا قَامَ فِي مَقَامِكَ لَمْ يُسْمِعِ النَّاسَ مِنَ البُكَاءِ، فَمُرْ عُمَرَ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ، فَفَعَلَتْ حَفْصَةُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّكُنَّ لَأَنْتُنَّ صَوَاحِبُ يُوسُفَ، مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ لِلنَّاسِ» ، فَقَالَتْ حَفْصَةُ لِعَائِشَةَ: مَا كُنْتُ لِأُصِيبَ مِنْكِ خَيْرًا
হাদীস নং: ৬৮০৬
আন্তর্জাতিক নং: ৭৩০৪
৩০৭৯. দ্বীনের ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত কঠোরতা অবলম্বন, তর্ক-বিতর্কে প্রবৃত্ত হওয়া, বাড়াবাড়ি করা এবং বিদআত অপছন্দীয়।
৬৮০৬। আদম (রাহঃ) ......... সাহল ইবনে সা’দ সাঈদী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উওয়ায়মির (রাযিঃ) আসিম ইবনে আদীর কাছে এসে বলল, আচ্ছা বলুন তো, যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে অন্য কাউকে পায় এবং তাকে হত্যা করে ফেলে, তাহলে এর জন্য (কিসাস হিসাবে) আপনারা কি তাকে হত্যা করবেন? হে আসিম! আপনি আমার জন্য এ বিষয়টি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করুন। তিনি জিজ্ঞাসা করলে নবী (ﷺ) এহেন বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করাকে অপছন্দ করলেন এবং দূষণীয় মনে করলেন। আসিম (রাযিঃ) ফিরে এসে তাকে জানাল যে, নবী (ﷺ) বিষয়টিকে খারাপ মনে করেছেন। উওয়ায়মির (রাযিঃ) বললেনঃ আল্লাহর কসম! আমি নিজেই নবী (ﷺ) এর নিকট যাব। তারপর তিনি আসলেন। আসিম (রাযিঃ) চলে যাওয়ার পরেই আল্লাহ তাআলা কুরআন নাযিল করেছেন। নবী (ﷺ) তাকে বললেনঃ তোমাদের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা কুরআনের আয়াত নাযিল করেছেন। তিনি তাদের দু’জনকেই (সে ও তার স্ত্রী) ডাকলেন। তারা উপস্থিত হল এবং লিআন করল। তারপর উওয়ায়মির (রাযিঃ) বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! যদি আমি তাকে আটকিয়ে রাখি তাহলে তো আমি তার উপর মিথ্যা আরোপ করেছি, এ বলে তিনি তার সাথে বিবাহ বন্ধনকে ছিন্ন করলেন। অবশ্য নবী (ﷺ) তাকে বিবাহ বন্ধন ছিন্ন করতে বলেননি। পরে লিআন কারীদের মাঝে (বিবাহ বন্ধন ছিন্ন করার) এ প্রথাই প্রচলিত হয়ে পড়ে। নবী (ﷺ) (মহিলাটি সম্পর্কে) বললেনঃ একে লক্ষ্য রেখ, যদি সে খাটো ওয়াহারার (এক জাতীয় পোকা) ন্যায় লালচে সন্তান প্রসব করে, তাহলে আমি মনে করব উওয়ায়মির মিথ্যাই বলেছে। আর যদি সে কাল চোখবিশিষ্ট ও অপেক্ষাকৃত বৃহৎ নিতম্বধারী সন্তান প্রসব করে, তাহলে মনে করব উওয়ায়মির তার সম্পর্কে সত্যই বলেছে। পরে সে অবাঞ্ছিত সন্তানই প্রসব করে।
باب مَا يُكْرَهُ مِنَ التَّعَمُّقِ وَالتَّنَازُعِ فِي الْعِلْمِ وَالْغُلُوِّ فِي الدِّينِ وَالْبِدَعِ
7304 - حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي ذِئْبٍ، حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ، قَالَ: جَاءَ عُوَيْمِرٌ العَجْلاَنِيُّ، إِلَى عَاصِمِ بْنِ عَدِيٍّ، فَقَالَ: أَرَأَيْتَ رَجُلًا وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلًا فَيَقْتُلُهُ، أَتَقْتُلُونَهُ بِهِ، سَلْ لِي يَا عَاصِمُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَأَلَهُ، فَكَرِهَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ المَسَائِلَ، وَعَابَهَا، فَرَجَعَ عَاصِمٌ، فَأَخْبَرَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَرِهَ المَسَائِلَ، فَقَالَ عُوَيْمِرٌ: وَاللَّهِ لَآتِيَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَاءَ وَقَدْ أَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى القُرْآنَ خَلْفَ عَاصِمٍ، فَقَالَ لَهُ: «قَدْ أَنْزَلَ اللَّهُ فِيكُمْ قُرْآنًا» فَدَعَا بِهِمَا، فَتَقَدَّمَا، فَتَلاَعَنَا، ثُمَّ قَالَ عُوَيْمِرٌ: كَذَبْتُ عَلَيْهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنْ أَمْسَكْتُهَا، فَفَارَقَهَا وَلَمْ يَأْمُرْهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِفِرَاقِهَا، فَجَرَتِ السُّنَّةُ فِي المُتَلاَعِنَيْنِ، وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «انْظُرُوهَا، فَإِنْ جَاءَتْ بِهِ أَحْمَرَ قَصِيرًا مِثْلَ وَحَرَةٍ، فَلاَ أُرَاهُ إِلَّا قَدْ كَذَبَ، وَإِنْ جَاءَتْ بِهِ أَسْحَمَ أَعْيَنَ ذَا أَلْيَتَيْنِ، فَلاَ أَحْسِبُ إِلَّا قَدْ صَدَقَ عَلَيْهَا» فَجَاءَتْ بِهِ عَلَى الأَمْرِ المَكْرُوهِ
হাদীস নং: ৬৮০৭
আন্তর্জাতিক নং: ৭৩০৫
৩০৭৯. দ্বীনের ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত কঠোরতা অবলম্বন, তর্ক-বিতর্কে প্রবৃত্ত হওয়া, বাড়াবাড়ি করা এবং বিদআত অপছন্দীয়।
৬৮০৭। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ......... ইবনে শিহাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মালিক ইবনে আওস নযরী (রাহঃ) আমাকে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। অবশ্য মুহাম্মাদ ইবনে জুবাইর ইবনে মুতঈম এ সম্পর্কে কিছু কথা বলেছিলেন। পরে আমি মালিকের নিকট যাই এবং তাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। তখন তিনি বলেন, উমর (রাযিঃ) এর সাথে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে তার নিকটে উপস্থিত হলাম। এমন সময় তার দাররক্ষক ইয়ারফা এসে বলল, উসমান, আব্দুর রহমান, যুবাইর এবং সা’দ (রাযিঃ) আসতে চাচ্ছেন। আপনার পক্ষ থেকে অনুমতি আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তারপর তাঁরা প্রবেশ করলেন এবং সালাম দিয়ে আসন গ্রহণ করলেন। দাররক্ষক (পুনরায় এসে) বলল, আলী এবং আব্বাসের ব্যাপারে আপনার অনুমতি আছে কি? তিনি তাদের উভয়কে অনুমতি দিলেন। আব্বাস (রাযিঃ) এসে বললেন, হে আমীরুল মু'মিনীন! আমার ও সীমালংঘননকারীর মাঝে ফায়সালা করে দিন। এবং তারা পরস্পরে গালমন্দ করলেন। তখন দলটি বললেন, উসমান ও তার সঙ্গীরা, হে আমীরুল মু'মিনীন! এ দু’জনের মাঝে ফায়সালা করে দিয়ে একজনকে অপরজন থেকে শান্তি দিন। উমর (রাযিঃ) বললেন, আপনারা একটু ধৈর্য ধরুন। আমি আপনাদেরকে সেই আল্লাহর কসম দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি যার নামে আসমান ও যমীন স্বস্থানে বিদ্যমান, আপনারা কি এ কথা জানেন? যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছিলেনঃ আমাদের সস্পদ উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বন্টন হয় না, আমরা যা রেখে যাই তা সাদ্‌কা হিসাবে গণ্য হয়। এ কথা দ্বারা নবী (ﷺ) নিজেকেই উদ্দেশ্য করেছিলেন। (আগত) দলের সকলেই বললেন, হ্যাঁ তিনি এ কথা বলেছিলেন। তারপর উমর (রাযিঃ) আলী ও আব্বাস (রাযিঃ) এর দিকে ফিরে বললেন, আপনাদের দু’জনকে আল্লাহর কসম দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, আপনারা কি জানেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ কথা বলেছিলেন? তাঁরা দু’জনেই বললেনঃ হ্যাঁ। উমর (রাযিঃ) বললেন, আমি আপনাদেরকে জানিয়ে দিচ্ছি যে, আল্লাহ তাআলা এই সম্পদের একাংশ তাঁর রাসূল (ﷺ) এর জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছিলেন, অপর কারো জন্য দেওয়া হয়নি। এ মর্মে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেনঃ আল্লাহ ইহুদীদের কাছ থেকে তার রাসূলকে যে ফায় দিয়েছেন তার জন্য তোমরা ঘোড়া কিংবা উটে আরোহণ করে যুদ্ধ করনি (৫৯ঃ ৬)। সুতরাং এ সম্পদ একমাত্র রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জন্যই নির্দিষ্ট ছিল। তারপর আল্লাহর কসম! তিনি আপনাদেরকে বাদ দিয়ে এককভাবে নিজের জন্য তা সষ্ণিত করে রাখেননি, কিংবা এককভাবে আপনাদেরকেও দিয়ে দেননি। বরং তিনি আপনাদের সকলকেই তা থেকে প্রদান করেছেন এবং সকলের মাঝে বণ্টন করে দিয়েছেন। অবশেষে তা থেকে এই পরিমাণ সস্পদ অবশিষ্ট রয়েছে। নবী (ﷺ) এই সস্পদ থেকে তার পরিবার-পরিজনের জন্য তাদের বছরের খরচ দিতেন। এরপর যা অবশিষ্ট থাকত তা আল্লাহর মাল যে পথে ব্যয় হয় সে পথে ব্যয়ের জন্য রেখে দিতেন।
নবী (ﷺ) তাঁর জীবদ্দশায় এরূপ করতেন। আল্লাহর কসম দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, আপনারা কি এ সম্পর্কে অবগত আছেন? সকলেই বললেন, হ্যাঁ। তারপর আলী (রাযিঃ) ও আব্বাস (রাযিঃ) কে লক্ষ্য করে বললেন, আল্লাহর কসম দিয়ে আপনাদের দু’জনকে জিজ্ঞাসা করছি, আপনারা কি এ সম্পর্কে জানেন? তারা দু’জনেই বললেন, হ্যাঁ। এরপর আল্লাহ তার নবী (ﷺ) কে ওফাত দান করলেন। তখন আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর স্থলাভিষিক্ত। অতএব তিনি সে সম্পদ অধিগ্রহণ করলেন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যে খাতে এ সম্পদ খরচ করতেন তিনিও হুবহু সেভাবেই খরচ করতেন। আপনারা তখন ছিলেন। তারপর আলী (রাযিঃ) ও আব্বাস (রাযিঃ) এর দিকে ফিরে বললেন, আপনারা দু’জন তখনও মনে করতেন যে আবু বকর (রাযিঃ) এ ব্যাপারে এরূপ ছিলেন। আল্লাহ জানেন তিনি এ ব্যাপারে সত্যবাদী, সৎপরায়ণ, ন্যায়নিষ্ঠ ও হকের অনুসারী ছিলেন। তারপর আল্লাহ তাআ’লা আবু বকর (রাযিঃ) কেও ওফাত দিলেন। তখন আমি বললাম, এখন আমি আবু বকর ও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর স্থলাভিষিক্ত। সুতরাং দু’বছর আমি তা আমার তত্ত্বাবধানে রাখলাম এবং আবু বকর (রাযিঃ) ও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তা যে খাতে ব্যয় করতেন, আমিও অনুরূপ করতে লাগলাম। তারপর আপনারা দু’জন আমার কাছে এলেন। আপনাদের দু’জনের একই কথা ছিল, দাবিও ছিল অভিন্ন। আপনি এসেছিলেন স্বীয় ভ্রাতুষ্পুত্র থেকে নিজের অংশ আদায় করে নেয়ার দাবি নিয়ে, আর ইনি (আলী) এসেছিলেন তাঁর স্ত্রীর পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত অংশ আদায় করে নেয়ার দাবি নিয়ে। আমি বললাম, যদি আপনারা চান তাহলে আমি আপনাদেরকে তা দিয়ে দিতে পারি, তবে এ শর্তে যে, আপনারা আল্লাহর নামে এই অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতিতে আবদ্ধ হবেন যে, এ সস্পদ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও আবু বকর (রাযিঃ) যে ভাবে ব্যয় করতেন এবং আমি এর দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর যেভাবে তা ব্যয় করেছি, আপনারাও অনুরূপভাবে ব্যয় করবেন। তখন আপনারা দু’জনে বলেছিলেন, এ শর্তেই আপনি তা আমাদের হাতে অর্পণ করুন। ফলে আমি তা আপনাদের কাছে সোপর্দ করে দিয়েছিলাম। আল্লাহর কসম দিয়ে আপনাদেরকে জিজ্ঞাসা করছি, আমি কি সেই শর্তের উপর এদের কাছে সে সম্পদ দিয়ে দেইনি? সকলেই বলল, হ্যাঁ। তখন তিনি আলী (রাযিঃ) ও আব্বাস (রাযিঃ) এর দিকে ফিরে বললেন, আল্লাহর কসম দিয়ে আপনাদের দু’জনকে জিজ্ঞাসা করছি, আমি কি ঐ শর্তে আপনাদেরকে সে সস্পদ দিয়ে দেইনি? তারা দু’জন বললেন, হ্যাঁ। তখন তিনি বললেনঃ আপনারা কি আমার কাছ থেকে এর ভিন্ন কোন মিমাংসা পেতে চান? সে সত্তার কসম করে বলছি, যার নির্দেশে আকাশ ও যমীন স্বস্থানে বিদ্যমান, কিয়ামতের পূর্বে আমি এ ব্যাপারে নতুন কোন মিমাংসা করব না। যদি আপনারা এর তত্ত্বাবধানে অক্ষম হন, তাহলে তা আমার নিকট দিয়ে দিন। আপনাদের দু’জনের স্থলে আমি একাই এর তত্ত্বাবধায়ের জন্য যথেষ্ট।
باب مَا يُكْرَهُ مِنَ التَّعَمُّقِ وَالتَّنَازُعِ فِي الْعِلْمِ وَالْغُلُوِّ فِي الدِّينِ وَالْبِدَعِ
7305 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مَالِكُ بْنُ أَوْسٍ النَّصْرِيُّ، وَكَانَ مُحَمَّدُ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ ذَكَرَ لِي ذِكْرًا مِنْ ذَلِكَ، فَدَخَلْتُ عَلَى مَالِكٍ فَسَأَلْتُهُ، فَقَالَ: انْطَلَقْتُ حَتَّى أَدْخُلَ عَلَى عُمَرَ أَتَاهُ حَاجِبُهُ يَرْفَا، فَقَالَ: هَلْ لَكَ فِي عُثْمَانَ، وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَالزُّبَيْرِ، وَسَعْدٍ يَسْتَأْذِنُونَ، قَالَ: نَعَمْ، فَدَخَلُوا فَسَلَّمُوا وَجَلَسُوا، فَقَالَ: هَلْ لَكَ فِي عَلِيٍّ، وَعَبَّاسٍ، فَأَذِنَ لَهُمَا، قَالَ العَبَّاسُ: يَا أَمِيرَ المُؤْمِنِينَ، اقْضِ بَيْنِي وَبَيْنَ الظَّالِمِ اسْتَبَّا، فَقَالَ الرَّهْطُ: - عُثْمَانُ وَأَصْحَابُهُ -: يَا أَمِيرَ المُؤْمِنِينَ اقْضِ بَيْنَهُمَا، وَأَرِحْ أَحَدَهُمَا [ص:99] مِنَ الآخَرِ، فَقَالَ: اتَّئِدُوا، أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ، هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ» يُرِيدُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَفْسَهُ؟ قَالَ الرَّهْطُ: قَدْ قَالَ ذَلِكَ، فَأَقْبَلَ عُمَرُ عَلَى عَلِيٍّ، وَعَبَّاسٍ فَقَالَ: أَنْشُدُكُمَا بِاللَّهِ هَلْ تَعْلَمَانِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ذَلِكَ؟ قَالاَ: نَعَمْ، قَالَ عُمَرُ: فَإِنِّي مُحَدِّثُكُمْ عَنْ هَذَا الأَمْرِ، إِنَّ اللَّهَ كَانَ خَصَّ رَسُولَهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا المَالِ بِشَيْءٍ لَمْ يُعْطِهِ أَحَدًا غَيْرَهُ، فَإِنَّ اللَّهَ يَقُولُ: {مَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْهُمْ فَمَا أَوْجَفْتُمْ} [الحشر: 6] الآيَةَ، فَكَانَتْ هَذِهِ خَالِصَةً لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ وَاللَّهِ مَا احْتَازَهَا دُونَكُمْ، وَلاَ اسْتَأْثَرَ بِهَا عَلَيْكُمْ، وَقَدْ أَعْطَاكُمُوهَا وَبَثَّهَا فِيكُمْ حَتَّى بَقِيَ مِنْهَا هَذَا المَالُ، وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُنْفِقُ عَلَى أَهْلِهِ نَفَقَةَ سَنَتِهِمْ مِنْ هَذَا المَالِ، ثُمَّ يَأْخُذُ مَا بَقِيَ فَيَجْعَلُهُ مَجْعَلَ مَالِ اللَّهِ، فَعَمِلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ حَيَاتَهُ، أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ: هَلْ تَعْلَمُونَ ذَلِكَ؟ فَقَالُوا: نَعَمْ، ثُمَّ قَالَ لِعَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ: أَنْشُدُكُمَا اللَّهَ، هَلْ تَعْلَمَانِ ذَلِكَ؟ قَالاَ: نَعَمْ، ثُمَّ تَوَفَّى اللَّهُ نَبِيَّهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: أَنَا وَلِيُّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَبَضَهَا أَبُو بَكْرٍ فَعَمِلَ فِيهَا بِمَا عَمِلَ فِيهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنْتُمَا حِينَئِذٍ - وَأَقْبَلَ عَلَى عَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ - تَزْعُمَانِ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ فِيهَا كَذَا، وَاللَّهُ يَعْلَمُ أَنَّهُ فِيهَا صَادِقٌ بَارٌّ رَاشِدٌ تَابِعٌ لِلْحَقِّ، ثُمَّ تَوَفَّى اللَّهُ أَبَا بَكْرٍ، فَقُلْتُ: أَنَا وَلِيُّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبِي بَكْرٍ، فَقَبَضْتُهَا سَنَتَيْنِ أَعْمَلُ فِيهَا بِمَا عَمِلَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ، ثُمَّ جِئْتُمَانِي وَكَلِمَتُكُمَا عَلَى كَلِمَةٍ وَاحِدَةٍ، وَأَمْرُكُمَا جَمِيعٌ، جِئْتَنِي تَسْأَلُنِي نَصِيبَكَ مِنَ ابْنِ أَخِيكِ، وَأَتَانِي هَذَا يَسْأَلُنِي نَصِيبَ امْرَأَتِهِ مِنْ أَبِيهَا، فَقُلْتُ: إِنْ شِئْتُمَا دَفَعْتُهَا إِلَيْكُمَا عَلَى أَنَّ عَلَيْكُمَا عَهْدَ اللَّهِ وَمِيثَاقَهُ، لَتَعْمَلاَنِ فِيهَا بِمَا عَمِلَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَبِمَا عَمِلَ فِيهَا أَبُو بَكْرٍ، وَبِمَا عَمِلْتُ فِيهَا مُنْذُ وَلِيتُهَا، وَإِلَّا فَلاَ تُكَلِّمَانِي فِيهَا، فَقُلْتُمَا: ادْفَعْهَا إِلَيْنَا بِذَلِكَ، فَدَفَعْتُهَا إِلَيْكُمَا بِذَلِكَ، أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ، هَلْ دَفَعْتُهَا إِلَيْهِمَا بِذَلِكَ؟ قَالَ الرَّهْطُ: نَعَمْ، فَأَقْبَلَ عَلَى عَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ، فَقَالَ: أَنْشُدُكُمَا بِاللَّهِ، هَلْ دَفَعْتُهَا إِلَيْكُمَا بِذَلِكَ؟ قَالاَ: نَعَمْ، قَالَ: أَفَتَلْتَمِسَانِ مِنِّي قَضَاءً غَيْرَ ذَلِكَ، فَوَالَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ، لاَ أَقْضِي فِيهَا قَضَاءً غَيْرَ ذَلِكَ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ، فَإِنْ عَجَزْتُمَا عَنْهَا فَادْفَعَاهَا [ص:100] إِلَيَّ، فَأَنَا أَكْفِيكُمَاهَا