আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৮১- খবরে ওয়াহিদের প্রামাণিকতা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৬৭৭০
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৬৬
৩০৭২. আরবের বিভিন্ন প্রতিনিধিদলের প্রতি নবী (ﷺ) এর ওসিয়ত ছিল, যেন তারা (তাঁর কথাগুলো) তাদের পরবর্তী লোকদের পৌঁছিয়ে দেয়। এ বিষয়টি মালিক ইবনে হুওয়ায়রিস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত।
৬৭৭০। আলী ইবনে জাদ (রাহঃ) ও ইসহাক (রাহঃ) ......... আবু জামরা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) আমাকে তার খাটে বসাতেন। তিনি আমাকে বললেন, আব্দুল কায়স গোত্রের প্রতিনিধিদল যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট আসল। তিনি বললেনঃ এ কোন প্রতিনিধিদল? তারা বলল, আমরা রবীআ গোত্রের। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ গোত্র ও তার প্রতিনিধিদলকে ধন্যবাদ, যারা অপমানিত হয়নি এবং লজ্জিতও হয়নি। তারা বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনার ও আমাদের মাঝে মুদার গোত্রের কাফেররা (প্রতিবন্ধক) রয়েছে। সুতরাং আমাদের এমন নির্দেশ দিন, যাতে আমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারি এবং আমাদের পরবর্তীদেরকেও অবহিত করতে পারি। তারা পানীয় দ্রব্য সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসা করল।
তিনি তাদের চারটি বিষয় থেকে বারণ করলেন এবং চারটি বিষয়ের নির্দেশ দিলেন। তিনি তাদের আল্লাহর প্রতি ঈমান আনতে নির্দেশ দিলেন। তিনি বললেনঃ আল্লাহর প্রতি ঈমান কি তোমরা জান? তারা বলল, আল্লাহ ও তার রাসুলই অধিক জানেন। তিনি বললেনঃ এ মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করা যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন ইলাহ নেই, তিনি একক, তার কোন শরীক নেই। আর মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহর রাসুল এবং নামায কায়েম করা, যাকাত প্রদান করা। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আমার মনে হয় তাতে রোযার কথাও ছিল। আর গনিমতের মাল থেকে এক-পঞ্চমাংশ প্রদান কর এবং তিনি তাদের দুব্বা (লাউয়ের খোলস থেকে তৈরী পাত্র), হানতাম (মাটির সবুজ রংয়ের পাত্র), মুযাফফাত (তৈলাক্ত পাত্র বিশেষ) ও নাকীর (কাঠের খোদাই করা পাত্র) থেকে নিষেধ করলেন। কোন কোন বর্ণনায় 'নাকীর' এর স্থলে 'মুকাইয়ার' শব্দের উল্লেখ রয়েছে। এবং তিনি তাদের বললেনঃ এ কথাগুলো ভাল করে মনে রেখ এবং তোমাদের পিছনে যারা রয়েছে তাদের নিকট পৌছিয়ে দিও।
بَابُ وَصَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وُفُودَ العَرَبِ أَنْ يُبَلِّغُوا مَنْ وَرَاءَهُمْ قَالَهُ مَالِكُ بْنُ الحُوَيْرِثِ
7266 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الجَعْدِ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، ح وحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ، أَخْبَرَنَا النَّضْرُ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي جَمْرَةَ، قَالَ: كَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ يُقْعِدُنِي عَلَى سَرِيرِهِ، فَقَالَ لِي: إِنَّ وَفْدَ عَبْدِ القَيْسِ لَمَّا أَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنِ الوَفْدُ؟» ، قَالُوا: رَبِيعَةُ، قَالَ: «مَرْحَبًا بِالوَفْدِ - أَوِ القَوْمِ - غَيْرَ خَزَايَا وَلاَ نَدَامَى» ، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ بَيْنَنَا وَبَيْنَكَ كُفَّارَ مُضَرَ، فَمُرْنَا بِأَمْرٍ نَدْخُلُ بِهِ الجَنَّةَ وَنُخْبِرُ بِهِ مَنْ وَرَاءَنَا، فَسَأَلُوا عَنِ الأَشْرِبَةِ، فَنَهَاهُمْ عَنْ أَرْبَعٍ، وَأَمَرَهُمْ بِأَرْبَعٍ، أَمَرَهُمْ: بِالإِيمَانِ بِاللَّهِ، قَالَ: «هَلْ تَدْرُونَ مَا الإِيمَانُ بِاللَّهِ؟» ، قَالُوا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، قَالَ: «شَهَادَةُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَإِقَامُ الصَّلاَةِ، وَإِيتَاءُ الزَّكَاةِ، - وَأَظُنُّ فِيهِ صِيَامُ رَمَضَانَ - وَتُؤْتُوا مِنَ المَغَانِمِ الخُمُسَ» وَنَهَاهُمْ عَنْ: الدُّبَّاءِ، وَالحَنْتَمِ، وَالمُزَفَّتِ، وَالنَّقِيرِ، وَرُبَّمَا قَالَ: «المُقَيَّرِ» ، قَالَ: «احْفَظُوهُنَّ وَأَبْلِغُوهُنَّ مَنْ وَرَاءَكُمْ»