আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৭৯- আহকাম (রাষ্ট্রনীতি) অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৬৬৯২
আন্তর্জাতিক নং: ৭১৮১
৩০৩৩. যার জন্য বিচারক তার ভাইয়ের হক (প্রাপ্য) প্রদান করে, সে যেন তা গ্রহণ না করে। কেননা, বিচারকের ফায়সালা হারামকে হালাল এবং হালালকে হারাম করতে পারেনা।
৬৬৯২। আব্দুল আযীয ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... যায়নাব বিনতে আবু সালামা (রাহঃ) বর্ণনা করেন যে, নবী সহধর্মিণী উম্মে সালামা (রাযিঃ) নবী (ﷺ) থেকে তার কাছে বর্ণনা করেছেন যে, একদা তিনি তার হুজরার দরজায় বাদানুবাদের শব্দ শুনতে পেলেন। এরপর তিনি তাদের কাছে এসে বললেনঃ আমি তো একজন মানুষ। আমার নিকট বাদী-বিবাদীরা আসে। হয়ত তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অন্যের তুলনায় বাকপটু থাকে। আমি তার কথায় হয়ত তাকে সত্যবাদী মনে করি। অতএব আমি তার পক্ষে ফায়সালা করি। কিন্তু আমি যদি অপর কোন মুসলমানের হক কারো জন্য ফায়সালা করি, তাহলে সেটা একগুচ্ছ আগুন ছাড়া আর কিছু নয়। অতএব সে চাই তা গ্রহণ করুক অথবা তা বর্জন করুক।
بَابُ مَنْ قُضِيَ لَهُ بِحَقِّ أَخِيهِ فَلاَ يَأْخُذْهُ، فَإِنَّ قَضَاءَ الْحَاكِمِ لاَ يُحِلُّ حَرَامًا وَلاَ يُحَرِّمُ حَلاَلاً
7181 - حَدَّثَنَا عَبْدُ العَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ زَيْنَبَ بِنْتَ أَبِي سَلَمَةَ، أَخْبَرَتْهُ أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَخْبَرَتْهَا، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ سَمِعَ خُصُومَةً بِبَابِ حُجْرَتِهِ فَخَرَجَ إِلَيْهِمْ، فَقَالَ: «إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ، وَإِنَّهُ يَأْتِينِي الخَصْمُ، فَلَعَلَّ بَعْضَكُمْ أَنْ يَكُونَ أَبْلَغَ مِنْ بَعْضٍ، فَأَحْسِبُ أَنَّهُ صَادِقٌ فَأَقْضِي لَهُ بِذَلِكَ، فَمَنْ قَضَيْتُ لَهُ بِحَقِّ مُسْلِمٍ، فَإِنَّمَا هِيَ قِطْعَةٌ مِنَ النَّارِ فَلْيَأْخُذْهَا أَوْ لِيَتْرُكْهَا»
হাদীস নং: ৬৬৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ৭১৮২
৩০৩৩. যার জন্য বিচারক তার ভাইয়ের হক (প্রাপ্য) প্রদান করে, সে যেন তা গ্রহণ না করে। কেননা, বিচারকের ফায়সালা হারামকে হালাল এবং হালালকে হারাম করতে পারেনা।
৬৬৯৩। ইসমাঈল (রাহঃ) ......... নবী (ﷺ) পত্নী আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উতবা ইবনে আবু ওয়াক্কাস তার ভাই সা’দ ইবনে আবু ওয়াক্কাসকে এ মর্মে ওসিয়ত করেন যে, যামআর বাদীর গর্ভজাত সন্তানটি আমার ঔরস থেকে জন্মলাভ করেছে। অতএব তাকে তুমি তোমার তত্ত্বাবধানে নিয়ে এসো। মক্কা বিজয়ের পরে সা’দ (রাযিঃ) তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ধরলেন এবং বললেন, আমার ভাই এ ছেলের ব্যাপারে আমাকে ওসিয়ত করেছিলেন। আবদ ইবনে যামআ দাঁড়িয়ে বলল, এ আমার ভাই, আমার পিতার বাদীর গর্ভজাত সন্তান। আমার পিতার ঔরসে তার জন্ম। তারপর তারা উভয়েই বিষয়টি নিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে বিচারপ্রার্থী হলেন। সা’দ বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! এ আমার ভাইয়ের ছেলে। আমার ভাই এ সম্পর্কে আমাকে ওসিয়ত করে গেছেন। আবদ ইবনে যামআ বলল, এ আমার ভাই, আমার পিতার বাদীর গর্ভজাত সন্তান। আমার পিতার ঔরসেই তার জন্ম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ হে আবদ ইবনে যামআ! এ তোমারই। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ সন্তান বিছানার মালিকেরই আর ব্যভিচারীর জন্য পাথর। পরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উতবার সাথে এ ছেলেটির সাদৃশ্য লক্ষ্য করার কারণে সাওদা বিনতে যামআ (রাযিঃ) কে বললেনঃ এর থেকে পর্দা করে চলো। সেজন্য মৃত্যুর পূর্বে সে ছেলে সাওদাকে কোনদিন দেখতে পায়নি।
بَابُ مَنْ قُضِيَ لَهُ بِحَقِّ أَخِيهِ فَلاَ يَأْخُذْهُ، فَإِنَّ قَضَاءَ الْحَاكِمِ لاَ يُحِلُّ حَرَامًا وَلاَ يُحَرِّمُ حَلاَلاً
7182 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهَا قَالَتْ: كَانَ عُتْبَةُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ عَهِدَ إِلَى أَخِيهِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ أَنَّ ابْنَ وَلِيدَةِ زَمْعَةَ مِنِّي، فَاقْبِضْهُ إِلَيْكَ، فَلَمَّا كَانَ عَامُ الفَتْحِ أَخَذَهُ سَعْدٌ فَقَالَ ابْنُ أَخِي قَدْ كَانَ عَهِدَ إِلَيَّ فِيهِ، فَقَامَ إِلَيْهِ عَبْدُ بْنُ زَمْعَةَ فَقَالَ: أَخِي وَابْنُ وَلِيدَةِ أَبِي، وُلِدَ عَلَى فِرَاشِهِ، فَتَسَاوَقَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ سَعْدٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ابْنُ أَخِي كَانَ عَهِدَ إِلَيَّ فِيهِ، وَقَالَ عَبْدُ بْنُ زَمْعَةَ: أَخِي وَابْنُ وَلِيدَةِ أَبِي وُلِدَ عَلَى فِرَاشِهِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هُوَ لَكَ يَا عَبْدُ بْنَ زَمْعَةَ» ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الوَلَدُ لِلْفِرَاشِ وَلِلْعَاهِرِ الحَجَرُ» ، ثُمَّ قَالَ لِسَوْدَةَ بِنْتِ زَمْعَةَ: «احْتَجِبِي مِنْهُ» لِمَا رَأَى مِنْ شَبَهِهِ بِعُتْبَةَ، فَمَا رَآهَا حَتَّى لَقِيَ اللَّهَ تَعَالَى