আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৭৯- আহকাম (রাষ্ট্রনীতি) অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৬৬৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ৭১৭৪
৩০২৮. কর্মকর্তাদের হাদিয়া গ্রহণ করা।
৬৬৮৬। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... আবু হুমায়দ সাঈদী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, নবী (ﷺ) বনু আসাদ গোত্রের ইবনে লুতবিয়্যা নামক জনৈক ব্যক্তিকে যাকাত আদায়ের জন্য কর্মচারী বানালেন। সে যখন ফিরে আসল, তখন বলল, এগুলো আপনাদের। আর এগুলো আমাকে হাদিয়া দেওয়া হয়েছে। এ কথা শোনার পর নবী (ﷺ) মিম্বরের উপর দাঁড়ালেন। সুফিয়ান কখনো বলেন, তিনি মিম্বরের উপর আরোহণ করলেন এবং আল্লাহর হামদ ও সানা বর্ণনা করলেন। এরপর বললেনঃ কর্মকর্তার কি হল! আমি তাকে (যাকাত আদায়ের জন্য) প্রেরণ করি, তারপর সে ফিরে এসে বলল, এগুলো আপনার, আর এগুলো আমার। সে তার বাপের বাড়ি কিংবা মায়ের বাড়িতে বসে থেকে দেখত যে, তাকে হাদিয়া দেওয়া হয় কিনা? যে সত্ত্বার হাতে আমার প্রাণ তাঁর শপথ! যা কিছুই সে (অবৈধভাবে) গ্রহণ করবে, কিয়ামতের দিন তা কাঁধে বহন করে নিয়ে উপস্থিত হবে। যদি উট হয়, তাহলে তা চিৎকার করবে, যদি গাভী হয় তাহলে তা হাম্বা হাম্বা করবে, অথবা যদি বকরী হয় তাহলে তা ভ্যাঁ ভ্যাঁ করবে। তারপর তিনি উভয় হাত উঠালেন। এমনকি আমরা তার উভয় বগলের শুভ্র ঔজ্জ্বল্য দেখতে পেলাম। তারপর বললেনঃ শোন! আমি কি আল্লাহর কথা পৌছে দিয়েছি? এ কথাটি তিনি তিনবার বললেন।
সুফিয়ান বলেন, আমাদের কাছে যুহরী এ রেওয়ায়ত বর্ণনা করেছেন। তবে হিশাম তার পিতার সূত্রে আবু হুমায়দ (রাযিঃ) থেকে উক্ত বর্ণনায় আর একটু বাড়িয়ে বলেছেন যে, তিনি (আবু হুমায়দ) বলেছেন, আমার উভয় কান তা শুনেছে এবং দু’ চোখ তা দেখেছে। যায়দ ইবনে সাবিত (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা কর, সেও আমার সাথে শুনেছিল। আমি বললাম, “উভয় কান শুনেছে এবং দু’ চোখ তাকে দেখেছে।” যুহরী এ কথা বলেননি।
[বুখারী (রাহঃ) বলেন] خُوَارٌ বলা হয় শব্দকে। আর جُؤَارُ থেকে تجأرون, গরুর আওয়াজের মত চিৎকার করা।
باب هَدَايَا الْعُمَّالِ
7174 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ عُرْوَةَ، أَخْبَرَنَا أَبُو حُمَيْدٍ السَّاعِدِيُّ، قَالَ: اسْتَعْمَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلًا مِنْ بَنِي أَسْدٍ يُقَالُ لَهُ ابْنُ اللتَبِيَّةِ عَلَى صَدَقَةٍ، فَلَمَّا قَدِمَ قَالَ: هَذَا لَكُمْ وَهَذَا أُهْدِيَ لِي، فَقَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى [ص:71] المِنْبَرِ - قَالَ سُفْيَانُ أَيْضًا فَصَعِدَ المِنْبَرَ - فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ: " مَا بَالُ العَامِلِ نَبْعَثُهُ فَيَأْتِي يَقُولُ: هَذَا لَكَ وَهَذَا لِي، فَهَلَّا جَلَسَ فِي بَيْتِ أَبِيهِ وَأُمِّهِ، فَيَنْظُرُ أَيُهْدَى لَهُ أَمْ لا، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، لا يَأْتِي بِشَيْءٍ إِلَّا جَاءَ بِهِ يَوْمَ القِيَامَةِ يَحْمِلُهُ عَلَى رَقَبَتِهِ، إِنْ كَانَ بَعِيرًا لَهُ رُغَاءٌ، أَوْ بَقَرَةً لَهَا خُوَارٌ، أَوْ شَاةً تَيْعَرُ «، ثُمَّ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى رَأَيْنَا عُفْرَتَيْ إِبْطَيْهِ» أَلا هَلْ بَلَّغْتُ " ثَلاَثًا، قَالَ سُفْيَانُ: قَصَّهُ عَلَيْنَا الزُّهْرِيُّ، وَزَادَ هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ قَالَ: سَمِعَ أُذُنَايَ، وَأَبْصَرَتْهُ عَيْنِي، وَسَلُوا زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ فَإِنَّهُ سَمِعَهُ مَعِي، وَلَمْ يَقُلِ الزُّهْرِيُّ سَمِعَ أُذُنِي، خُوَارٌ: صَوْتٌ، «وَالجُؤَارُ مِنْ» تَجْأَرُونَ: «كَصَوْتِ البَقَرَةِ»