আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৭৮- কিয়ামত ও ফিতনাসমূহের বিবরণ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৬৬২৬
আন্তর্জাতিক নং: ৭১১১
২৯৯৭. যখন কেউ কোন সম্প্রদায়ের কাছে কিছু বলে পরে বেরিয়ে এসে বিপরীত বলে।
৬৬২৬। সুলাইমান ইবনে হারব (রাহঃ) ......... নাফি (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন মদীনার লোকেরা ইয়াযীদ ইবনে মুআবিয়ার বায়আত ভঙ্গ করল, তখন ইবনে উমর (রাযিঃ) তার বিশেষ ভক্তবৃন্দ ও সন্তানদের সমবেত করলেন এবং বললেন, আমি নবী (ﷺ) কে বলতে শুনেছি যে, কিয়ামতের দিন প্রত্যেক বিশ্বাসঘাতকের জন্য একটি করে ঝাণ্ডা (পতাকা) উত্তোলন করা হবে। আর আমরা এ লোকটির (ইয়াযীদের) প্রতি আল্লাহ ও তার রাসুলের বর্ণিত শর্তানুযায়ী বায়আত গ্রহণ করেছি। বস্তুত কোন একজন লোকের প্রতি আল্লাহ ও তার রাসুলের বর্ণিত শর্তানুযারী বায়আত গ্রহণ করার পর তার বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণের চেয়ে বড় কোন বিশ্বাসঘাতকতা আছে বলে আমি জানিনা। আমি যেন কারো সম্পর্কে ইয়াযীদের বায়আত ভঙ্গ করেছে, কিংবা সে আনুগত্য করছে না জানতে না পাই। অন্যথায় তার ও আমার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
باب إِذَا قَالَ عِنْدَ قَوْمٍ شَيْئًا ثُمَّ خَرَجَ فَقَالَ بِخِلاَفِهِ
7111 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ: لَمَّا خَلَعَ أَهْلُ المَدِينَةِ يَزِيدَ بْنَ مُعَاوِيَةَ، جَمَعَ ابْنُ عُمَرَ، حَشَمَهُ وَوَلَدَهُ، فَقَالَ: إِنِّي سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «يُنْصَبُ لِكُلِّ غَادِرٍ لِوَاءٌ يَوْمَ القِيَامَةِ» وَإِنَّا قَدْ بَايَعْنَا هَذَا الرَّجُلَ عَلَى بَيْعِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ، وَإِنِّي لاَ أَعْلَمُ غَدْرًا أَعْظَمَ مِنْ أَنْ يُبَايَعَ رَجُلٌ عَلَى بَيْعِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ ثُمَّ يُنْصَبُ لَهُ القِتَالُ، وَإِنِّي لاَ أَعْلَمُ أَحَدًا مِنْكُمْ خَلَعَهُ، وَلاَ بَايَعَ فِي هَذَا الأَمْرِ، إِلَّا كَانَتِ الفَيْصَلَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ
হাদীস নং: ৬৬২৭
আন্তর্জাতিক নং: ৭১১২
২৯৯৭. যখন কেউ কোন সম্প্রদায়ের কাছে কিছু বলে পরে বেরিয়ে এসে বিপরীত বলে।
৬৬২৭। আহমাদ ইবনে ইউনূস (রাহঃ) ......... আবুল মিনহাল (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনে যিয়াদ ও মারওয়ান যখন সিরিয়ার শাসনকর্তা নিযুক্ত ছিলেন এবং ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) মক্কার শাসনক্ষমতা দখল করে নিলেন, আর ক্বারী নামধারীরা (খারেজীরা) বসরার ক্ষমতায় চেপে বসল, তখন একদিন আমি আমার পিতার সঙ্গে আবু বারযা আসলামী (রাযিঃ) এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে আমরা তার ঘরে প্রবেশ করলাম। এ সময় তিনি তার বাঁশের তৈরী কুঠরীর ছায়াতলে বসা ছিলেন। আমরা তার কাছে বসলাম। আমার পিতা তার কাছ থেকে কিছু হাদীস শুনতে চাইলেন। পিতা বললেন, হে আবু বারযা! লোকেরা কী ভীষণ সংকটে পতিত হয়েছে তা কি আপনি লক্ষ্য করছেন না?
সর্বপ্রথম যে কথাটি তাঁকে বলতে শোনলাম তা হল, আমি যে কুরাইশের গোত্রসমূহের প্রতি বিরূপভাব পোষণ করি, এজন্য আল্লাহর কাছে অবশ্যই সাওয়াবের প্রত্যাশা করি। হে আরববাসীরা! তোমরা যে কিরূপ গোমরাহী, অভাব-অনটন ও লাঞ্ছনাকর অবস্থায় ছিলে তা তোমরা জান। মহান আল্লাহ তাআলা ইসলাম ও মুহাম্মাদ (ﷺ) এর মাধ্যমে সে অবস্থা থেকে মুক্ত করে তোমাদের বর্তমান অবস্থায় পৌছিয়েছেন, যা তোমরা দেখছ। আর এ পার্থিব দুনিয়াই তোমাদের মাঝে বিশৃংখলা সৃষ্টি করেছে। ঐ যে লোকটা সিরিয়ায় (ক্ষমতা দখল করে) আছে, আল্লাহর কসম। একমাত্র দুনিয়ার স্বার্থ ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে সে লড়াই করেনি।
باب إِذَا قَالَ عِنْدَ قَوْمٍ شَيْئًا ثُمَّ خَرَجَ فَقَالَ بِخِلاَفِهِ
7112 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا أَبُو شِهَابٍ، عَنْ عَوْفٍ، عَنْ أَبِي المِنْهَالِ، قَالَ: لَمَّا كَانَ ابْنُ زِيَادٍ وَمَرْوَانُ بِالشَّأْمِ، وَوَثَبَ ابْنُ الزُّبَيْرِ بِمَكَّةَ، وَوَثَبَ القُرَّاءُ بِالْبَصْرَةِ، فَانْطَلَقْتُ مَعَ أَبِي إِلَى أَبِي بَرْزَةَ الأَسْلَمِيِّ، حَتَّى دَخَلْنَا عَلَيْهِ فِي دَارِهِ، وَهُوَ جَالِسٌ فِي ظِلِّ عُلِّيَّةٍ لَهُ مِنْ قَصَبٍ، فَجَلَسْنَا إِلَيْهِ، فَأَنْشَأَ أَبِي يَسْتَطْعِمُهُ الحَدِيثَ فَقَالَ: يَا أَبَا بَرْزَةَ، أَلاَ تَرَى مَا وَقَعَ فِيهِ النَّاسُ؟ فَأَوَّلُ شَيْءٍ سَمِعْتُهُ تَكَلَّمَ بِهِ: «إِنِّي احْتَسَبْتُ عِنْدَ اللَّهِ أَنِّي أَصْبَحْتُ سَاخِطًا عَلَى أَحْيَاءِ قُرَيْشٍ، إِنَّكُمْ يَا مَعْشَرَ العَرَبِ، كُنْتُمْ عَلَى الحَالِ الَّذِي عَلِمْتُمْ مِنَ الذِّلَّةِ وَالقِلَّةِ وَالضَّلاَلَةِ، وَإِنَّ اللَّهَ أَنْقَذَكُمْ بِالإِسْلاَمِ وَبِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى بَلَغَ بِكُمْ مَا تَرَوْنَ [ص:58]، وَهَذِهِ الدُّنْيَا الَّتِي أَفْسَدَتْ بَيْنَكُمْ، إِنَّ ذَاكَ الَّذِي بِالشَّأْمِ، وَاللَّهِ إِنْ يُقَاتِلُ إِلَّا عَلَى الدُّنْيَا، وَإِنَّ هَؤُلاَءِ الَّذِينَ بَيْنَ أَظْهُرِكُمْ، وَاللَّهِ إِنْ يُقَاتِلُونَ إِلَّا عَلَى الدُّنْيَا، وَإِنْ ذَاكَ الَّذِي بِمَكَّةَ وَاللَّهِ إِنْ يُقَاتِلُ إِلَّا عَلَى الدُّنْيَا»
হাদীস নং: ৬৬২৮
আন্তর্জাতিক নং: ৭১১৩
২৯৯৭. যখন কেউ কোন সম্প্রদায়ের কাছে কিছু বলে পরে বেরিয়ে এসে বিপরীত বলে।
৬৬২৮। আদম ইবনে আবু ইয়াস (রাহঃ) ......... হুযাইফা ইবনে ইয়ামান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বর্তমান যুগের মুনাফিকরা নবী (ﷺ) এর যুগের মুনাফিকদের চেয়েও জঘন্য। কেননা, সে যুগে তারা (মুনাফিকী) করত গোপনে আর আজ করে প্রকাশ্যে।
باب إِذَا قَالَ عِنْدَ قَوْمٍ شَيْئًا ثُمَّ خَرَجَ فَقَالَ بِخِلاَفِهِ
7113 - حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ وَاصِلٍ الأَحْدَبِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ اليَمَانِ، قَالَ: «إِنَّ المُنَافِقِينَ اليَوْمَ شَرٌّ مِنْهُمْ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَانُوا يَوْمَئِذٍ يُسِرُّونَ وَاليَوْمَ يَجْهَرُونَ»
হাদীস নং: ৬৬২৯
আন্তর্জাতিক নং: ৭১১৪
২৯৯৭. যখন কেউ কোন সম্প্রদায়ের কাছে কিছু বলে পরে বেরিয়ে এসে বিপরীত বলে।
৬৬২৯। খাল্লাদ ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... হুযাইফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিফাক বস্তুত নবী (ﷺ) এর যুগে ছিল। আর এখন হল তা ঈমান গ্রহণের পর কুফরী।
باب إِذَا قَالَ عِنْدَ قَوْمٍ شَيْئًا ثُمَّ خَرَجَ فَقَالَ بِخِلاَفِهِ
7114 - حَدَّثَنَا خَلَّادٌ، حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي الشَّعْثَاءِ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ: «إِنَّمَا كَانَ النِّفَاقُ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَمَّا اليَوْمَ فَإِنَّمَا هُوَ الكُفْرُ بَعْدَ الإِيمَانِ»