আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৭৮- কিয়ামত ও ফিতনাসমূহের বিবরণ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৬৫৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ৭০৭৬
২৯৮৪. নবী (ﷺ) এর বাণীঃ আমার পর তোমরা পরস্পরে হানাহানি করে কুফরীর দিকে প্রত্যাবর্তন করো না।
৬৫৯৬। উমর ইবনে হাফস (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) ইরশাদ করেছেনঃ কোন মুসলমানকে গালি দেওয়া ফাসিকী (জঘন্য পাপ) আর কোন মুসলমানকে হত্যা করা কুফরী।
باب قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَرْجِعُوا بَعْدِي كُفَّارًا، يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ
7076 - حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، حَدَّثَنَا شَقِيقٌ، قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «سِبَابُ المُسْلِمِ فُسُوقٌ، وَقِتَالُهُ كُفْرٌ»
হাদীস নং: ৬৫৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ৭০৭৭
২৯৮৪. নবী (ﷺ) এর বাণীঃ আমার পর তোমরা পরস্পরে হানাহানি করে কুফরীর দিকে প্রত্যাবর্তন করো না।
৬৫৯৭। হাজ্জাজ ইবনে মিনহাল (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী (ﷺ) কে বলতে শুনেছেন যে, আমার পর তোমরা পরস্পরে হানাহানি করে কুফরীর দিকে প্রত্যাবর্তন করো না।
باب قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَرْجِعُوا بَعْدِي كُفَّارًا، يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ
7077 - حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنِي وَاقِدُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ: أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «لاَ تَرْجِعُوا بَعْدِي كُفَّارًا، يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ»
হাদীস নং: ৬৫৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ৭০৭৮
২৯৮৪. নবী (ﷺ) এর বাণীঃ আমার পর তোমরা পরস্পরে হানাহানি করে কুফরীর দিকে প্রত্যাবর্তন করো না।
৬৫৯৮। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ......... আবু বাকরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, (একদা) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জনতার উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। তিনি (নবী ﷺ) বললেনঃ তোমরা কি জান না আজ কোন দিন? তারা বললেনঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই এ সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত। (বর্ণনাকারী বলেন) এতে আমরা মনে করলাম হয়ত তিনি অন্য কোন নামে এ দিনটির নামকরণ করবেন। এরপর তিনি (নবী ﷺ) বললেনঃ এটি কি ইয়াওমুন নাহর (কুরবানীর দিন) নয়? আমরা বললামঃ হ্যাঁ, ইয়া রাসুলাল্লাহ। এরপর তিনি বললেনঃ এটি কোন নগর? এটি 'হারাম নগর' (সংরক্ষিত নগর) নয়? আমরা বললামঃ হ্যাঁ, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তিনি বললেনঃ নিঃসন্দেহে তোমাদের এ নগরে, এ মাসের এ দিনটি তোমাদের জন্য যেরূপ হারাম, তোমাদের (একের) রক্ত, সম্পদ, ইযযত ও চামড়া অপরের জন্য তেমনি হারাম।
শোন! আমি কি তোমাদের নিকট পৌছিয়েছি? আমরা বললাম, হ্যাঁ। তখন তিনি বললেনঃ হে আল্লাহ, তুমি সাক্ষী থাক। (অতঃপর বললেন) উপস্থিত ব্যক্তি যেন (আমার বাণী) অনুপস্থিতের নিকট পৌছিয়ে দেয়। কেননা অনেক প্রচারক এমন ব্যক্তির নিকট (আমার বাণী) পৌছাবে, যারা তার চাইতে অধিক সংরক্ষণকারী হবে। বস্তুত ব্যাপারটি তাই। এরপর নবী (ﷺ) বললেনঃ আমার পরে একে অপরের গর্দান মেরে কুফরীর দিকে ফিরে যেয়ো না।
যে দিন জারিয়্যা ইবনে কুদামা কর্তৃক আলা ইবনে হাযরামীকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়, সেদিন জারিয়্যা তার বাহিনীকে বলেছিল, আবু বাকরার খবর নাও। তারা বলেছিল, এই তো আবু বাকরা (রাযিঃ), আপনাকে দেখছেন। আব্দুর রহমান বলেন, আমার মা আমার কাছে বর্ণনা করেছেন। আবু বাকরা (রাযিঃ) বলেছেন, (সেদিন) যদি তারা আমার গৃহে প্রবেশ করত, তাহলে আমি তাদেরকে একটি বাশের লাঠি পর্যন্ত নিক্ষেপ (প্রতিহত) করতাম না। আবু আব্দুল্লাহ বলেনঃ হাদীসে ব্যবহৃত بَهَشْتُ শব্দের অর্থ رميت অর্থাৎ আমি নিক্ষেপ করেছি।
باب قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَرْجِعُوا بَعْدِي كُفَّارًا، يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ
7078 - حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا قُرَّةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ سِيرِينَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، - وَعَنْ رَجُلٍ آخَرَ هُوَ أَفْضَلُ فِي نَفْسِي مِنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ عَنْ أَبِي بَكْرَةَ -: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطَبَ النَّاسَ فَقَالَ: «أَلاَ تَدْرُونَ أَيُّ يَوْمٍ هَذَا» قَالُوا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، قَالَ: حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ، فَقَالَ: «أَلَيْسَ بِيَوْمِ النَّحْرِ» قُلْنَا: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: «أَيُّ بَلَدٍ هَذَا، أَلَيْسَتْ بِالْبَلْدَةِ الحَرَامِ» قُلْنَا: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: «فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ، وَأَمْوَالَكُمْ، وَأَعْرَاضَكُمْ، وَأَبْشَارَكُمْ، عَلَيْكُمْ حَرَامٌ، كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا، فِي شَهْرِكُمْ هَذَا، فِي بَلَدِكُمْ هَذَا، أَلاَ هَلْ بَلَّغْتُ» قُلْنَا: نَعَمْ، قَالَ: «اللَّهُمَّ اشْهَدْ، فَلْيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ الغَائِبَ، فَإِنَّهُ رُبَّ مُبَلِّغٍ يُبَلِّغُهُ لِمَنْ هُوَ أَوْعَى لَهُ» فَكَانَ كَذَلِكَ، قَالَ: «لاَ تَرْجِعُوا بَعْدِي كُفَّارًا، يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ» فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ حُرِّقَ ابْنُ الحَضْرَمِيِّ، حِينَ حَرَّقَهُ جَارِيَةُ بْنُ قُدَامَةَ، قَالَ: أَشْرِفُوا عَلَى أَبِي بَكْرَةَ، فَقَالُوا: هَذَا أَبُو بَكْرَةَ يَرَاكَ، قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ: فَحَدَّثَتْنِي أُمِّي عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ: لَوْ دَخَلُوا عَلَيَّ مَا بَهَشْتُ بِقَصَبَةٍ
হাদীস নং: ৬৫৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ৭০৭৯
২৯৮৪. নবী (ﷺ) এর বাণীঃ আমার পর তোমরা পরস্পরে হানাহানি করে কুফরীর দিকে প্রত্যাবর্তন করো না।
৬৫৯৯। আহমদ ইবনে ইশকাব (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ আমার পরে তোমরা একে অপরের গর্দান মেরে কুফরীর দিকে ফিরে যেয়ো না।
باب قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَرْجِعُوا بَعْدِي كُفَّارًا، يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ
7079 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِشْكَابَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لاَ تَرْتَدُّوا بَعْدِي كُفَّارًا، يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ»
হাদীস নং: ৬৬০০
আন্তর্জাতিক নং: ৭০৮০
২৯৮৪. নবী (ﷺ) এর বাণীঃ আমার পর তোমরা পরস্পরে হানাহানি করে কুফরীর দিকে প্রত্যাবর্তন করো না।
৬৬০০। সুলাইমান ইবনে হারব (রাহঃ) ......... জারীর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, বিদায় হজ্জে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেনঃ লোকদেরকে নীরব হতে বল। তারপর তিনি বললেনঃ আমার পরে তোমরা একে অপরের গর্দান মেরে কুফরীর দিকে ফিরে যেয়ো না।
باب قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَرْجِعُوا بَعْدِي كُفَّارًا، يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ
7080 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُدْرِكٍ، سَمِعْتُ أَبَا زُرْعَةَ بْنَ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ جَدِّهِ جَرِيرٍ، قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الوَدَاعِ: «اسْتَنْصِتِ النَّاسَ» ثُمَّ قَالَ: «لاَ تَرْجِعُوا بَعْدِي كُفَّارًا، يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ»